স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর সহজ ৬টি উপায়
স্মার্টফোন হ্যাক থেকে বাঁচানোর উপায়স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর সহজ উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই আপনি এই বিষয়ে জেনে নিতে পারেন। স্টোরেজ বৃদ্ধি করলে তা আপনার ফোন কে গতিশীল করতে সাহায্য করে।
আপনার ফোনে যদি বেশী স্টোরেজ খালি থাকে তবে তা আপনার ফোন চালানো কে অনেক স্মোথ করবে। আর যদি স্টোরেজ একদম ফুল থাকে তাহলে মোবাইল চালিয়ে তেমন একটা সুবিধা করতে পাবেন না। তাই স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্র : স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর সহজ উপায়
- স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর সহজ উপায়
- স্মার্টফোনের কাজ করার ক্ষমতা ভালো রাখার উপায়
- স্মার্টফোনের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়
- স্মার্টফোনে চার্জ ধরে রাখার উপায়
- স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করলে যেভাবে বুঝবেন
- স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচার উপায়
- স্মার্টফোনে ভাইরাস প্রবেশ করলে যেভাবে ডিলিট করবেন
- স্মার্টফোন কেনার সময় যে বিষয় মাথায় রাখবেন
- স্মার্টফোন মেরামত করতে দেওয়ার আগে করণীয়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর সহজ উপায়
স্মার্টফোনে আমরা বিভিন্ন কিছু সংরক্ষণ করে থাকি। যার ফলে আমাদের অনেক স্টোরেজ এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু যদি স্টোরেজ ফুল হয়ে যায় তখন তা খালি করার প্রয়েজন পড়ে। স্টোরেজ ফুল থাকলে ফোনের গতি অনেক কমে যায়। স্টোরেজ ফুল হয়ে থাকে সাধারণত নানা ধরণের ভিডিও, ডকুমেন্ট ও ছবি সংরক্ষণ করার কারণে। তা ছাড়া আবার স্মার্ট ফোনে অনেক ধরণের অ্যাপ ও ব্যবহার করে থাকি। এই সব বিভিন্ন কারণে ফোনের স্টোরেজ ফুল হয়ে যায়। এমন সমস্যায় পড়লে আপনার স্টোরেজ খালি করার প্রয়োজন পড়বে। তাই কিভাবে স্টোরেজ খালি করতে পারেন তা সম্পর্কে জেনে নিন।
১. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ গুলো আনইন্সটল করে দেওয়া
অনেক আমাদের কোনো অ্যাপ প্রয়োজন হলে আমরা তা ইন্সটল করে থাকি। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় যে, সেটি আমাদের আর ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু অ্যাপটি স্টোরেজ এর জায়গা দখল করে রয়েছে। একটা অ্যাপ যত বেশী দিন ফোনে থাকে সে তত বেশী পরিমাণে জায়গা দখল করতে থাকে। আর এই জন্যই এই অ্যাপ গুলো আনইন্সটল করে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আবার অধিকাংশ ফোনে কোম্পানি অনেক অ্যাপ ইন্সটল করে রাখে। কিন্তু এই অ্যাপ গুলোর বেশীর ভাগই আমাদের তেমন কোনো কাজে আসে না। আবার আনন্সটল করতে গেলে এই গুলো তা করাও সম্ভব হয় না। তাই এই গুলো কে ডিজেবল করে রাখবেন। আর যে গুলো আনইন্সটল করা যায় ঐ গুলো কে আনইন্সটল করে দিবেন। এর ফলে স্টোরেজ এর উপর অনেক কম চাপ পড়বে। স্টোরেজ ও অনেকাংশে খালি হবে।
২. কম স্টোরেজের অ্যাপ ব্যবহার করা
আপনি চাইলে আপনার ফোনে অ্যাপ গুলো Lite ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন। লাইট অ্যাপ গুলো সাধারণত কম স্টোরেজ দখল করে থাকে।তাই আপনি যদি লাইট অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনার স্টোরেজ হালকা থাকবে ও কম জায়গা দখল করবে। তাই যে সকল প্রয়োজনীয় অ্যাপে লাইট সংস্করন রয়েছে সে গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
৩. অব্যবহৃত ফাইল গুলো ডিলিট করে দেওয়া
অনেক সময় আমাদের ফোনের অনেক পুরোনো ভিডিও, ছবি বা ফাইল থাকে। এই গুলো ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না। তাই আপনার যদি এই ফাইল গুলো প্রয়োজন না হয় তাহলে ডিলিট করে দিতে পারেন। এই অব্যবহৃত ফাইল গুলো আমাদের স্মার্ট ফোনের অধিকাংশ জায়গা দখল করে থাকে। যার জন্যে এই গুলো যদি ডিলিট করে দেওয়া হয় তাহলে স্টোরেজ হালকা হয়। আমরা তো এখন আমাদের ফোন কে ক্যামেরার মতো করে ব্যবহার করে থাকি। যে কোন সময় হাজার হাজার ছবি তুলে থাকি। কিন্তু এই গুলো আর ডিলিট করা হয়ে উঠে না। তাই ব্যবহার বা প্রয়োজনে না আসলে সে গুলো কে ডিলিট করে দিন।
৪. ক্যাশ পরিষ্কার করা
আপনার ফোনে যদি কোনো অ্যাপ ইন্সটল করে থাকেন তাহলে সময়ের সাথে সাথে দেখবেন এটি বেশী পরিমাণে ক্যাশ মেমরি দখল করছে। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দুই দিক থেকেই জমা হতে পারে ক্যাশ মেমরি। এটি আসলে ভিজিটরের জন্যে তথ্য সংরক্ষণ করে থাকে। তবে অনেক সময় এটি অপ্রয়োজনীয় তথ্য গুলো সংরক্ষণ করে থাকে।
আরো পড়ুন : ১০০০ টাকার মধ্যে সেরা বাটন ফোন
যার ফলে স্টোরেজ এর অনেক জায়গা এর দ্বারা দখল করা হয়ে থাকে। এর ফলে স্মার্ট ফোনের স্টোরেজ হ্রাস পায়। এই সমস্যা সমাধানে আপনি ব্রাউজারে চলে যেতে পারেন। কিংবা বিভিন্ন অ্যাপের সেটিংসে গিয়ে সেখানে আপনি ডাটা থেকে ক্যাশ মেমরি পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এতে করে আপনার স্টোরেজ এর অনেক জায়গা খালি হবে।
৫. প্রয়োজনীয় বড় ফাইল গুলো কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা
আপনার যদি কম্পিউটার থাকে তাহলে মোবাইলে থাকা বড় ফাইল গুলো কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে নিন। এম্নিতেও মোবাইলে কোনো বড় ফাইলের প্রয়োজন পড়ে না। তারপরও যদি আপনার ফোনে কোনো ধরণের বড় ফাইল থেকে থাকে তবে কম্পিউটারে রেখে দিতে পারেন। এতে করে ফোনের অনেক স্টোরেজ কমবে।
৬. অটো ডাউনলোড অপশন বন্ধ করা
অনেক গুলো অ্যাপ রয়েছে যেখানে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অ্যাপ গুলো ডাউনলোড হয়ে থাকে। এই গুলো ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিন। অর্থাৎ অটো ডাউনলোড হওয়া অপশন গুলো বন্ধ করে দিন। বিশেষ করে মেসেঞ্জার, টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এর ছবি বা ভিডিও গুলো অটোমেটিকই গ্যালারিতে সেভ হয়ে যায়। এই ফাইল গুলোই ডিভাইস স্টোরেজ এর অনেক জায়গা দখল করে ফেলে। তাই এই গুলো অফ করে রাখুন। ফলে আপনার ডিভাইসে অনেক পরিমাণ জায়গা হ্রাস পাবে।
স্মার্টফোনের কাজ করার ক্ষমতা ভালো রাখার উপায়
স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জেনেছেন। স্মার্ট ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার ফোনটি যে রকমই হয়ে থাকুক না কেন যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেন তাহলে আপনার ফেনটি আস্তে আস্তে ধীর গতি সম্পন্ন হয়ে যাবে। তাই আপনি যদি আপনার স্মার্ট ফোনে কাজ করার ক্ষমতা বজায় রাখতে চান বা নিজ ফোন কে কার্যক্ষম রাখতে চান তাহলে আপনাকে এর পরিচর্চা করার প্রয়োজন পড়বে। এর জন্যে আপনি কিছু পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে।
স্মার্ট ফোন কে গতিশীল রাখতে ও তার কার্য ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে ফোনের স্টোরেজ। তাই ফোনের স্টোরেজ খালি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই আপনার ফোনের যদি কোনো ধরণের অপ্রয়োজনীয় কোনো ফাইল থেকে থাকে বা আপনি ব্যবহার করেন না এমন কোনো অ্যাপ থাকে তা ডিলিট করে দিন। তাহলে আপনার স্টোরেজ খালি হয়ে যাবে। আপনার ফোনে তখন কাজ করার ক্ষমতা অনেক বেশী বেড়ে যাবে। নিজ ফোন কে স্মোথ ভাবে চালাতে পারবেন। আর যদি দীর্ঘ দিন ধরে ফোন ব্যবহার করে থাকেন এবং ধীর গতির হয়ে গেলে আপনাকে ফ্যাক্টরি রিসেট দেওয়ারও প্রয়োজন পড়তে পারে।
ফোনের থাকা অ্যাপ গুলো আপডেট করে রাখুন। এর ফলে অ্যাপ গুলো যেমন নিরাপদ ও শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত হবে ঠিক এর পাশাপাশি অ্যাপ গুলো তে কাজ করার ক্ষমতাও বাড়বে। তাই আপনি ফোনের নিয়মিত আপডেট সংস্করণ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আপনার ফোনও ভালো ভাবে কাজ করবে। অনেক সময় যদি ফোন হাত ফসকে পড়ে যায় তাহলে আপনার ফোন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর তাই ফোনের স্কিন প্রটেক্টর ও কভার ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় ফোন পানিতে পড়ে যায় বা হাত থেকে পড়ে যাওয়ার কারনেও ফোনের অভ্যন্তরীণ হার্ডওয়্যার এর ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই শক্ত কভার ও স্কিন প্রটেক্টর ব্যবহার করতে পারেন।
চার্জিং পোর্ট ও স্পিকার পরিষ্কার রাখা। অনেক সময় এই গুলো তে ধুলো জমে যায়। তাই চার্জ দেওয়াতে সমস্যা হয়ে থাকে। কিংবা স্পিকারে অডিও সাউন্ড কম আসে। তাই ধুলেবালি জমে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিন। তবে পরিষ্কার করার সময় নরম ও মোলায়েম জিনিস গুলো ব্যবহার করবেন। ধারালো কিছু ব্যবহার করবেন না।
আরো পড়ুন : মোবাইল দিয়ে ইনকাম জানুন
ফলে ফোনের ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘ দিন ফোন যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে ব্যাটারি যত্ন নিতে হবে আপনাকে। তাই ব্যাটারি চার্জিং দেওয়ার সময় ৩০ ও ৮০ বা ৯০ এর বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। অর্থাৎ ৩০ পারসেন্ট এর কম হলে চার্জ দিবেন এবং ৮০ বা ৯০ পারসেন্ট হলে খুলে ফেলবেন।
স্মার্টফোনের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়
স্মার্টফোনের ব্যাটারি যদি ডাউন হয়ে যায় তাহলে আপনার ফোন পুরোটাই অচল। আপনি ফোন চালুই করতে পারবেন না। তাই ব্যাটারি ভালো কে ভালো রাখতে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হয়। আপনি যদি ব্যাটারি কে ভালো রাখতে চান তাহলে আপনাকে কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। নতুন ফোন কেনার পর আপনি তা কিছুক্ষণ চার্জে দেওয়ার পর ব্যবহার করতে পারেন। ফোন কিনে নিয়ে এসেই ব্যবহার করবেন না। যখন ইচ্ছা ফোন চার্জে বসাবেন না। আপনার ফোন কে দীর্ঘায়ু করতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফোন চার্জে বসান।
যে অ্যাপ গুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে সে গুলো বন্ধ করে নিবেন। কেননা ফোন বন্ধ করার পরও এই গুলো আপনার ব্যাটারির উপর প্রভাব ফেলতে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো ফোন যখন চার্জে বসাবেন তখন তা ব্যবহার করবেন না। এতে করে ব্যাটারির উপর অনেক বেশী চাপ পড়ে। অনেকেই অল্প সময়ে চার্জ হওয়ার জন্যে ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করে থাকেন। তবে ফোনের এই ফাস্ট চার্জিং থেকে দূরে থাকুন। আরো একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, সব সময় শুধু নিজের ফোনের চার্জার ব্যবহার করে চার্জ দিবেন। কখনো অন্য ফোনের চার্জার দিয়ে চার্জ করবেন না। তাহলে আপনার ব্যাটারি দীঘ দিন পর্যন্ত টেকসই করবে।
স্মার্টফোনে চার্জ ধরে রাখার উপায়
স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জেনেছেন। আপনি যদি আপনার ফোনে চার্জ বেশীক্ষণ রাখতে চান তাহলে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। যার ফলে আপনার ফোনে দীঘ সময় ধরে চার্জ থাকবে। অনেকেই রয়েছেন যাদের ফোনে দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যায়। তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। ফলে চার্জ সাশ্রয় করতে পারবেন।
- ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ গুলো বন্ধ রাখা।
- ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ বন্ধ করে রাখা।
- লোকেশন অফ করে রাখা।
- পুরোনো চার্জার ব্যবহার না করা।
- ফোনের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা।
- বেশী তাপমাত্রা এড়িয়ে চলা।
- এরোপ্লেন মোড ব্যবহার করতে পারেন।
- পাওয়ার সেভিং মোড অন করে রাখুন।
- লাইট ওয়ালপেপার ব্যবহার করবেন না।
- ভাইব্রেশনের পরিবর্তে রিংটোন ব্যবহার করুন।
- অটো আপডেট বন্ধ রাখুন।
- ডেটা সেভিং মোড ব্যবহার করুন।
- পুরোনো ভার্সনের অ্যাপ ব্যবহার করবেন না।
- ব্যাটারি অপ্টিমাইজেশন ব্যবহার করুন।
- ওয়ারল্যাস চার্জিং এড়িয়ে চলুন।
স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করলে যেভাবে বুঝবেন
স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জেনেছেন। অনেক সময়ে আমাদের অজান্তেই ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে থাকে। হ্যাকাররা এই ম্যালওয়্যার গুলো ফোনে প্রবেশ করিয়ে বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। তাছাড়া তারা সব সময় খবর রাখতে থাকে এই ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে। তাই জেনে নিন কিভাবে বুঝবেন ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করেছে।
- ফোনের গতি হ্রাস পাওয়া।
- কল ড্রপ হওয়া ও নেটওয়ার্কের সমস্যা।
- তথ্য ব্যবহারের অনুমতি।
- মোবাইল ডেটার অস্বাভাবিক ব্যবহার।
- ফোনের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া ও চার্জ দ্রুত কমে যাওয়া।
স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচার উপায়
বিভিন্ন কারণে ও অকারণে ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে থাকে। এই গুলো আমাদের তথ্য গুলো কে হুমকির মুখে ফেলে থাকে। তাই কিভাবে এই গুলো থেকে বাঁচা যায় সে বিষয় গুলো জেনে নেওয়া খুবই প্রয়োজন। উপায় গুলো নিম্নে উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
- অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।
- টু অথেনটিকেশন ফ্যাক্টর অন করে রাখা।
- অ্যাপ নামানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করা।
- পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে ভিপিএন এর ব্যবহার করা।
- সফটওয়্যার আপডেট করে রাখা।
- শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।
স্মার্টফোনে ভাইরাস প্রবেশ করলে যেভাবে ডিলিট করবেন
অনেকের ফোনই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এর ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন : সেরা মোবাইল কোম্পানি সম্পর্কে জানুন
তাই জেনে নিন কিভাবে ভাইরাস গুলো ডিলিট করবেন ফোনে প্রবেশ করলে।
- গুগল প্লে স্টোর প্রটেক্ট করুন।
- ক্যাশ ক্লিয়ার করে নিন।
- অ্যান্টি- ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ইন্সটল করা।
- ফ্যাক্টরি সেটিংসে গিয়ে ফোন রিসেট করতে পারেন।
স্মার্টফোন কেনার সময় যে বিষয় মাথায় রাখবেন
স্মার্ট ফোন কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরী। তাহলে আপনি ভালো একটা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে কেনার ফলে একটি ভালো ফোন পেতে পারেন।
- ফোন কি দিয়ে তৈরি তার উপাদান।
- ডিসপ্লে
- প্রসেসর সম্পর্কে জানা।
- ব্যাটারির দিকে নজর দিবেন।
- অপারেটিং সিস্টেম কেমন।
- ক্যামেরা দেখে নিবেন।
- নিরাপত্তা সিস্টেম সম্পর্কে জেনে নিবেন।
- স্পিকার কেমন।
- হেডফোন জ্যাক।
- স্টোরেজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া।
স্মার্টফোন মেরামত করতে দেওয়ার আগে করণীয়
স্মার্টফোন যদি কখনো মেরামত করতে দিন তাহলে আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কেননা ফোন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে যায়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল থাকতে পারে৷ আপনার ফোনে যদি সার্ভিসিং মেয়াদ থাকে এবং ফোন যদি নিজে থেকে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ফ্রী তে ঠিক করে নিয়ে আসতে পারবেন।আর যদি হাত থেকে পড়ে যায় বা আপনার দ্বারা ফোন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন এই সেবা পাওয়া যায় না। ফোন মেরামত করার আগে ফোনের চারপাশের ছবি তুলে নিতে পারেন। এতে করে পরে যদি কোনো ক্ষতি হয় তাহলে ক্ষতি পূরণ দাবি বা ফ্রীতে সার্ভিসিং করাবেন।
ফোনে যদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে থাকে তাহলে তা সংরক্ষণ করুন। গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সংরক্ষণ করে মুছে ফেলতে হবে। ডেটা ব্যাক আপ নিয়ে ফোন রিসেট করতে পারেন। তাহলে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে৷ আবার ফোনের কেস, স্কিন প্রটেক্টর ও একসেসরিজ গুলো মেরামত করার প্রয়োজন হয় না। তাই এই গুলো রেখে দিতে পারেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর সহজ উপায় সম্পর্কে। আশা করি সকল বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনি ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। কোনো বিষয়ে যদি মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে তা নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। পাশাপাশি যদি বিষয়টি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। 250109
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url