120+ মে দিবসের দেশপ্রেমিক ক্যাপশন
মে দিবসের দেশপ্রেমিক ক্যাপশন নিয়ে আজকের এই সাজানো ব্লগ। মে দিবস বা শ্রমিক দিবস হচ্ছে একটি শতাব্দীর পর শতাব্দী চলে আসা শ্রমিকদের উপর অবিচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ফলাফল। দেশপ্রমিক হিসেবে মে দিবসের কিছু ক্যাপশন দেওয়া হলো।
নিচে এখন আমরা মে দিবস বা শ্রমিক দিবসের কিছু সেরা ক্যাপশন সম্পর্কে জানবো। যেগুলো আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বা র্যালির ব্যানার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। মে দিবসে উক্ত সংগ্রামে মৃত ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানাতে এই ক্যাপশন গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
সূচিপত্রঃ মে দিবসের দেশপ্রেমিক ক্যাপশন
- মে দিবসের দেশপ্রেমিক ক্যাপশন
- মে দিবসের জন্য সেরা ১০টি উক্তি
- মে দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর সেরা ক্যাপশন
- মে দিবসের ১০টি জনপ্রিয় স্লোগান
- মে দিবসের আবেগময় কবিতা
- মে দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
- মে দিবস উপলক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ক্যাপশন
- জনপ্রিয় দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের উক্তি
- মে দিবসের দেশপ্রেমিক ক্যাপশন নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথা - মে দিবসের দেশপ্রেমিক ক্যাপশন
মে দিবসের দেশপ্রেমিক ক্যাপশন
মে দিবস বা বিশ্ব শ্রমিক দিবসে সকল শ্রমিক ও কর্মরত চাকরিজীবীদের ঐক্য গড়ে তুলতে এবং মে আন্দোলনে মৃত ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর জন্য এই ক্যাপশন গুলো দেওয়া হলো। বিশেষ করে মে মাসের প্রথম তারিখে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য নিচে দেওয়া দেশপ্রমিক ক্যাপশন গুলো বেশ কার্যকর। মে দিবসের দেশপ্রেমিক ৫০টি ক্যাপশন দেওয়া হলোঃ
১) কাজের ক্লান্তিতে যে মুখ হাসে, সেই মুখেই জাতির আশার আলো।
২) মে দিবসে কণ্ঠে নয়, কাজে হোক দেশপ্রেমের চেতনা।
২) মে দিবসে কণ্ঠে নয়, কাজে হোক দেশপ্রেমের চেতনা।
৩) শ্রমিক মানেই শক্তি, শ্রমিক মানেই শ্রেষ্ঠত্ব - শুভ মে দিবস!
৪) ঘামে ভেজা মাটিতে জন্ম নেয় স্বপ্ন - তাই শ্রমিক মানেই জাতির স্থপতি।
৫) তোমার হাতের কাঠামোয় দাঁড়িয়ে আছে আমার স্বাধীনতা, হে শ্রমিক!
৬) পেশা যাই হোক, যদি পরিশ্রম থাকে - তুমি এই দেশের সত্যিকারের নায়ক!
৯) জয় হোক সেই হাতে, যেখানে ক্যালাস আছে দেশগঠনের সাক্ষী হয়ে।
৮) শ্রমিকের ঘামেই দেশের পতাকা উড়ে গর্বের সাথে, সে গল্পটাই বলি আজ মে দিবসে।
৯) শ্রমিক মানেই বীর, আর দেশ মানেই সেই বীরদের মাটি।
১০) যে হাতে হাতুড়ি, সেই হাতেই জাতির ভবিষ্যৎ আঁকা - শুভ মে দিবস!
১১) মে দিবসে কেবল ছুটি নয়, তা শ্রমিকের প্রতি শ্রদ্ধার দিন।
১২) যে মানুষ ঘাম ঝরায়, সে-ই জাতির সোনার মানুষ।
১৩) দেশগঠনের আসল কারিগর তোমরা - শুভ মে দিবস, শ্রমিক ভাই-বোনেরা!
১৪) শ্রমিক শুধু কাজ করে না, তারা ভবিষ্যৎ গড়ে।
১৫) দেশকে ভালোবাসো? তাহলে শ্রমিককে সম্মান করো - এটাই সত্যিকারের দেশপ্রেম।
১৬) পেটের ক্ষুধা মিটাতে যারা ব্যস্ত, তারাই আমাদের দেশের আসল নায়ক।
১৭) ঘামে ভেজা হাতে গড়ে ওঠে স্বপ্নের বাংলাদেশ - শ্রমিক তুমি আমার গর্ব!
১৮) মে দিবসে নয়, প্রতিটি দিনেই শ্রমিকের হাসি হোক জাতির জয়গান।
১৯) শ্রমের গন্ধেই দেশের সুরভি - আজ মে দিবসে তাদেরই করি স্যালুট।
২০) পোশাকে না হোক, পরিশ্রমে লুকিয়ে থাকে একেকজন দেশপ্রেমিক!
২১) ঘামের বিনিময়ে গড়া জাতি কখনোই হারে না - মে দিবসে সে সাহসকে সম্মান করি।
২২) যারা ঘুম ভেঙে দেশের জন্য উঠে দাঁড়ায়, তারাই সেরা দেশপ্রেমিক।
২৩) দেশের রক্ত চিহ্ন যুদ্ধ নয়, শ্রমিকের হাতের দাগ - এটাই সত্যি ইতিহাস।
২৪) দেশপ্রেম শুধু পতাকা বুকে ধারণ নয়, শ্রমিকের কষ্টকে সম্মান করাও দেশপ্রেম।
২৫) তুমি যখন পরিশ্রম করো, তখনই দেশ এগিয়ে যায় - শুভ মে দিবস!
২৬) মাঠে, কল-কারখানায় কিংবা সড়কে - তুমি আছো বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
২৭) তোমার ঘামের গন্ধই আমার দেশের জয়গান!
২৮) ছোট কাজ বলে কিছু নেই, দেশ গড়ে ওঠে প্রতিটি ঘাম বিন্দুতে।
২৯) তুমি যদি একজন পরিশ্রমী হও, তবে তুমিই জাতির প্রেরণা।
৩০) আমরা যেটা স্বপ্ন বলি, শ্রমিক সেটা বাস্তব বানায়।
৩১) শ্রমিক না থাকলে দেশ হয় নির্জীব - তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
৩২) একটি হাতুড়ির শব্দেই বাজে উন্নয়নের সুর।
৩৩) আজকের ঘামই কালকের গৌরব - শুভ মে দিবস!
৩৪) তোমার কাজকে ছোট ভাবিস না, দেশ কিন্তু সেখান থেকেই শুরু।
৩৫) হাসিমুখে পরিশ্রম করাই তো প্রকৃত দেশপ্রেম!
৩৬) একজন সৎ শ্রমিকই দেশপ্রেমের জীবন্ত উদাহরণ।
৩৭) শ্রমিক মানে শক্তি, শ্রমিক মানে আগামীর বাংলাদেশ।
৩৮) হাতে কলম না থাকলেও, হাতের ঘামেই ইতিহাস লেখা যায়।
৩৯) এই হাতগুলোই তো আমার জাতির আসল শিল্পী!
৪০) তাদের কষ্টে তৈরি হয় ভবিষ্যৎ, আর আমরা বলি উন্নয়ন।
৪১) দেশপ্রেম শুধু মুখে নয়, শ্রমিকের মতো কাজে দেখাতে হয়।
৪২) যে মানুষের ঘামে জন্ম নেয় কারখানা, তাকেই বলি দেশপ্রেমিক।
৪৩) তাদের সকাল শুরু হয় আমাদের ঘুম ভাঙার আগেই সেই ত্যাগেই দেশ বাঁচে।
৪৪) তোমার পরিশ্রমেই বাংলাদেশের প্রতিটি ইট পাথর গাঁথা।
৪৫) মাটির সঙ্গে মিশে থাকা হাতে লুকিয়ে থাকে আসল দেশপ্রেম।
৪৬) মে দিবস হলো সেই গল্প, যেখানে নায়ক হলো শ্রমিক।
৪৭) তোমার নীরব কষ্টেই রচিত হয় আমাদের বিজয়।
৪৮) একজন শ্রমিকের হাসিই দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
৪৯) প্রতিদিনের পরিশ্রমই একেকটা দেশপ্রেমিক পদক্ষেপ।
৫০) হাত নোংরা হলেও হৃদয়টা থাকে দেশপ্রেমে পরিপূর্ণ!
মে দিবসের জন্য সেরা ১০টি উক্তি
উক্তি হচ্ছে এমন একটি কথা বা বাক্য যা একজন ব্যক্তি অথবা লেখক তার চিন্তাভাবনা থেকে বলে থাকেন যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক বা বোধগম্য। সহজ কথায় বলতে গেলে কারো বলা অর্থপূর্ণ কথা যা বারবার বলা ও শোনার যায় সেটিই হচ্ছে উক্তি। কালের পরিক্রমায় দেশকে ভালোবেসে ও দেশের শ্রমিকের প্রতি সম্মান রেখে অনেক মানুষ তাদের মূল্যবান উক্তি পৃথিবীতে রেখে গেছেন। এখন আমরা এমনই কিছু মে দিবসের জন্য সেরা ১০টি উক্তি সম্পর্কে জানবো।
১) যে ঘামে ভিজে উঠে একটি জাতি, সে ঘামই জাতির গৌরবের ইতিহাস।
২) পরিশ্রম কখনো ছোট নয় - তা জাতিকে গড়ে তোলে নীরব কণ্ঠে, দৃঢ় হাতের ছোঁয়ায়।
৩) শ্রমিকের কষ্টই দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি - তাদের প্রতি সম্মান মানেই দেশকে ভালোবাসা।
৪) শ্রম দিবস কেবল একটি দিন নয়, এটি আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনদের ত্যাগের স্বীকৃতি।
৫) স্বাধীনতা রক্ষা করে সৈনিক, আর জাতি গড়ে তোলে শ্রমিক।
৬) ঘামের দাগে লেখা হয় উন্নয়নের গল্প, আর সেই গল্পেই জন্ম নেয় গর্বিত বাংলাদেশ।
৭) যে ব্যক্তি কাজ করে নীরবে, তার হাতেই লুকিয়ে থাকে জাতির ভবিষ্যৎ।
৮) মে দিবসে কৃতজ্ঞ হই সেই হাতে, যেখানে নেই অলংকার - আছে দেশের স্বপ্ন গড়ার শক্তি।
৯) শ্রমিক শুধু একজন কর্মী নয়, সে জাতির নীরব স্থপতি।
১০) শ্রম ছাড়া কোনো সমাজ উন্নতির চূড়ায় উঠতে পারে না - মে দিবসে স্মরণ করি তাদের যাদের ঘামে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী।
মে দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর সেরা ক্যাপশন
১) শুভ মে দিবস!
আজকের দিনটি কেবল ছুটি নয়, এটি একটি শ্রদ্ধা জানানোর দিন - শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমাদের দেশকে আরো সমৃদ্ধশালী করে তোলার অঙ্গীকার করি। তাদের পরিশ্রমের কারণেই আমরা আজকের সুখী, সমৃদ্ধ জাতি। তাদের ত্যাগের জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ।
২) শুভ মে দিবস!
আজকের দিনটি বিশেষভাবে আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন। তারা আমাদের জন্য দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে যান, তাদের ত্যাগের জন্যই আমাদের সমাজ, দেশ ও অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের জীবন আরো সুরক্ষিত ও সম্মানিত হোক - এটাই আমাদের প্রার্থনা।
৩) শুভ মে দিবস!
শ্রমিকের গায়ে যে ঘাম ঝরে, তার মধ্যে লুকিয়ে থাকে আমাদের ভবিষ্যতের রঙিন ছবি। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাই আজকের দিনে।
৪) শুভ মে দিবস!
আজকের দিনটি কেবল শ্রমিকদের নয়, এটি আমাদের সবাইকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করার দিন।
৫) শুভ মে দিবস!
যে হাতে দেশ গড়ে, সে হাতে গড়ে ওঠে আমাদের উন্নতি। শ্রমিকদের প্রতি সবার শ্রদ্ধা এবং সম্মান থাকুক আজ ও চিরকাল।
৬) শুভ মে দিবস!
আজকের দিনটি কেবল একটি দিন নয়, এটি আমাদের শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ও তাদের অবদানকে সম্মান করার দিন। তাদের প্রচেষ্টার জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ।
৭) শুভ মে দিবস!
আজকের দিনটি শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন, যাদের অবদান ছাড়া আমাদের উন্নতি সম্ভব ছিল না। তারা দেশের গৌরব—তাদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাই। শুভকামনা সবাইকে!
৮) শুভ মে দিবস!
শ্রমিকের ঘামে গড়ে ওঠে উন্নতি, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো আমাদের কর্তব্য। এই মে দিবসে আমরা তাদের প্রতি আমাদের সম্মান প্রকাশ করি এবং তাদের অবদানকে সেলাম জানাই। তাদের ত্যাগেই আমাদের দেশ সুগঠিত, সুস্থ এবং শক্তিশালী।
৯) শুভ মে দিবস!
শ্রমিকের প্রতিটি কষ্টের ফলেই দেশ এগিয়ে যায়। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই - এটা শুধু একদিনের কথা নয়, তাদের ত্যাগ আমাদের প্রতিদিনের শক্তি।
১০) শুভ মে দিবস!
শ্রমিকদের পরিশ্রম ছাড়া একটি জাতি কখনও উন্নতি করতে পারে না। আজ তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা একযোগে এগিয়ে চলি।
মে দিবসের ১০টি জনপ্রিয় স্লোগান
মে মাসের প্রথম তারিখে বাংলাদেশের অনেক সংগোঠন ও রাজনৈতিক দল তাদের প্রচারণা অথবা শ্রমিকদের ঐক্যতার লক্ষ্যে এই দিনটিতে মিছিল বের করেন। আমরা জানি যে মিছিলে স্লোগান ছাড়া মিছিল সম্পূর্ণ হয় না। তাই আজকে আমরা মে দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সেরা ১০টি স্লোগান উপস্থাপন করবো।
১)শ্রমিকদের ঘামই আমাদের ভবিষ্যৎ - তাদের সম্মান জানানো আমাদের কর্তব্য!
২) যাদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে আমাদের জীবন সহজ, তাদেরকে কখনো ভুলে যেও না!
৩) শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে, দেশকে আরো শক্তিশালী বানাও!
৪) শ্রমিকের প্রতিটি পদক্ষেপে দেশ এগিয়ে চলে!
৫) তাদের ত্যাগেই আমাদের উন্নতি, তাদের মর্যাদাই আমাদের দায়িত্ব!
৬) শ্রমিকের শক্তিতে গড়ে ওঠে জাতি, তাদের সম্মানই আমাদের গৌরব!
৭) শ্রমিকের কষ্টের ফলেই আমাদের শান্তি - তাদের সম্মান দাও!
৮) শ্রমিকদের কাজের মূল্য কখনো কম নয় - তাদের অবদানকে সম্মান জানাও!
৯) যারা দেশ গড়েন তাদেরকে কখনো ছুটির দিন মনে করো না - শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাও!
১০) শ্রমিকদের কষ্টেই আমাদের সমাজ চলতে থাকে - তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিখো!
মে দিবসের আবেগময় কবিতা
মে দিবসের কবিতা
আজ ১ মে, শ্রমিকদের দিন,
যারা রোজার মতো পরিশ্রম করে,
বাহুতে শক্তি, হাতে স্বপ্নের ছবি,
এরা আমাদের জাতির রূপের মুকুট,
এরা আমাদের দেশ, এরা আমাদের ভবিষ্যৎ।
শ্রমিকের ঘামে ভিজে যে মাটি,
সে মাটি একদিন হবে সোনালি,
পথে চলা প্রতিটি কষ্টের স্তর,
যথাযথ সম্মান না পেলেও,
তাদের মধ্যে থাকে শক্তির পট,
দেশ গড়ার অজানা আশা, অদৃশ্য সুর।
আজ তাদের দিন, আজ তাদের স্বীকৃতি,
শ্রদ্ধা, সম্মান তাদের প্রাপ্য,
তাদের কষ্টে রচিত ইতিহাসের গাথা,
আজ তারা সোনার মানুষ,
আজ তাদের অমূল্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত।
তাদের জন্য আজ মনের গহিনে শ্রদ্ধার শ্রবণ,
তাদের জন্য এই কবিতার গভীর গুঞ্জন,
কখনো ভুলে যেও না,
তাদের হাতেই আমাদের শক্তি,
তাদের ধকলেই গড়ি আমরা দেশ,
তাদের কষ্টেই উজ্জ্বল হয় পৃথিবী।
আজকের দিনটি তাদের,
শ্রমিকদের প্রতি আমাদের চিরকালীন শ্রদ্ধা।
শ্রমিকের হাতে গড়া এই দেশ,
শ্রমিকের হাতে গড়া সমৃদ্ধি,
এই মে দিবসে, তাদের জন্যই বলি
তোমরা আমাদের চিরকালীন নায়ক!
মে দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
আমরা অনেকে মে দিবস পালন করি ঠিকই কিন্তু এর পেছনের চলে আসা শতাব্দীর পর শতাব্দীর আন্দোলনের ইতিহাস জানিনা। ঘটনাটি শুরু হয় ১৮শ শতাব্দীর দিকে যখন প্রথম ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব শুরু হয়। তখন গ্রাম থেকে অনেক মানুষ শহরে চলে আসে কাজের সন্ধানে। তখন বেশিরভাগ শিল্প কলকারখানায় মেশিন ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ শ্রমিকদের দিনে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করিয়ে নেওয়া হতো কোনো রকম বিশ্রাম ছাড়ায়। দিনে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও শ্রমিকরা বেতন পেতো নাম মাত্র এবং এর সাথে শিশু শ্রম ও নারী শ্রমিকদের প্রচি অবিচার ছিল অতি সাধারণ ঘটনা।
শত বছরের অবিচার সহ্য করার পর শ্রমিকরা সচেতন হয় এবং এই অবিচার থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে এর মাঝে ছোট ছোট আন্দোলন করেছিল। ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে হাজার হাজার শ্রমিক রাস্তায় নেমে এসে আন্দোলন শুরু করে। তাদের একটি দাবি ছিল দিনে মাত্র ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হবে ও ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম এবং ৮ ঘণ্টা ব্যক্তিগত সময় হবে আমেরিকার প্রত্যেক শ্রমিকদের। তাদের আন্দোলন ১ মে থেকে ৩ মে শান্তিপূর্ণ ভাবে চললেও ৪ মে হেমার্কেট স্কোয়ার নামক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর
এই ঘটনার ফলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি বর্ষণ শুরু করে এবং অনেক আন্দোলনকারী ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং পরবর্তীতে অনেক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার ও ফাঁসি দেওয়া হয়। এই ঘটনা সারা বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলে। যার ফলে এই আন্দোলন শুরু আমেরিকায় সীমাবদ্ধ না থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ১৮৮৯ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে শ্রমিকদের আরো একটি সম্মেলন হয় এবং এই সম্মেলনে মার্চ মাসের প্রথম তারিখকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শ্রমিক দিবস ঘোষণা করার মূল উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করা ও শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাওয়া।
মে দিবস উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ক্যাপশন
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমনঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স, লিংকডিন ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বা পোস্টের ক্যাপশন হিসেবে মে ডে কে লক্ষ্য করে পোস্ট অনেকেই করে থাকেন। শ্রমিক আন্দোলনে যারা মৃত্যু হয়েছিলেন এবং বর্তমান সময়ে সকল চাকরিরত মানুষ ও শ্রমিক সম্প্রদায়ের মানুষদের ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই দিনে সকলকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। তাই এখন আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার মতো কিছু ক্যাপশন তুলে ধরবো।
- আজকের ঘামই কালকের গৌরব - শুভ মে দিবস!
- তোমার কাজকে ছোট ভাবিও না, দেশ কিন্তু ছোট সেখান থেকেই শুরু।
- হাসিমুখে পরিশ্রম করাই তো প্রকৃত দেশপ্রেম!
- একজন সৎ শ্রমিকই দেশপ্রেমের জীবন্ত উদাহরণ।
- শ্রমিক মানে শক্তি, শ্রমিক মানে আগামীর বাংলাদেশ।
- হাতে কলম না থাকলেও, হাতের ঘামেই ইতিহাস লেখা যায়।
- এই হাতগুলোই তো আমার জাতির আসল শিল্পী!
- তাদের কষ্টে তৈরি হয় ভবিষ্যৎ, আর আমরা তাকে বলি উন্নয়ন।
- দেশপ্রেম শুধু মুখে নয়, শ্রমিকের মতো কাজে দেখাতে হয়।
- যে মানুষের ঘামে জন্ম নেয় কারখানা, তাকেই আমরা বলি দেশপ্রেমিক।
- তাদের সকাল শুরু হয় আমাদের ঘুম ভাঙার আগেই সেই তাদের ত্যাগেই দেশ বাঁচে।
জনপ্রিয় দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের উক্তি
সময়ের পরিক্রমায় অসংখ্য জনপ্রিয় ব্যক্তিবর্গ দেশ প্রেমের অসংখ্য উক্তি দিয়েছেন। তারা হইতো আজ এই পৃথিবীতে নেই কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া লিখা উক্তি আজও ইতিহাসের পাতায় লিখে রাখা আছে। তাদের উক্তি স্মরণ করে আজও অসংখ্য মানুষ দেশ প্রেমের ধারনা উপলব্ধি করতে পারছে। এখন আমরা এমনই কিছু জনপ্রিয় ব্যক্তিদের দেশপ্রেমিক উক্তি সম্পর্কে জানবো যা ইতিহাসের পাতায় রয়ে গেছে এবং শ্রমিক দিবসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে তাদের এই উক্তি অসংখ্য শ্রমিকদের ঐক্যতার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকে।
- দেশপ্রেম এমন একটি ফুল, যা যত্ন চাই আর সেই যত্ন নিতে পারে শুধু সচেতন মানুষ - ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
- তুমি যে মাটিতে জন্মেছো, তার প্রতি দায়িত্ব পালন করাই প্রকৃত দেশপ্রেম - নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।
- আমি দেশকে ভালোবাসি, কারণ এই দেশ আমাকে চিনতে শিখিয়েছে, ভাবতে শিখিয়েছে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- তুমি দেশকে ভালোবাসলে, দেশ একদিন তোমাকে গর্বিত করবে - জন এফ কেনেডি।
- আমরা স্বাধীন হবই। কারণ স্বাধীনতা আমাদের প্রাপ্য অধিকার - মাওলানা ভাসানী।
- শ্রমিকরা জাতির চালিকাশক্তি। তাদের সম্মান না দিলে জাতি এগোতে পারে না - এলিনর রুজভেল্ট।
- একটি জাতিকে ধ্বংস করতে হলে প্রথমে তার সংস্কৃতি ও ইতিহাস ধ্বংস করো - কার্ল মার্কস।
- তুমি যদি দেশের উপকারে না আসতে পারো, তবে দেশের অপকারেও যেও না - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মে দিবসের দেশপ্রেমিক ক্যাপশন নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ঃ শ্রমিক দিবস কেন পালন করা হয়?
উত্তর ঃ ১৮৮৬ সালের শ্রমিকদের দাবি নিয়ে যে আন্দোলন হয় যে আন্দোলনে মৃত শ্রমিকদের সম্মান ও বর্তমান সময়ের সকল শ্রমিক ও কর্মরত মানুষদের ঐক্যের লক্ষ্যে প্রতি বছর মে মাসের ১ তারিখে শ্রমিক দিবস বা মে ডে পালন করা হয়।
প্রশ্ন ঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশপ্রেমিক ক্যাপশন দেওয়া নিয়ে ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকে কি বলে?
উত্তর ঃ যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশপ্রেমিক ক্যাপশন গুলো অন্যায়, অহংকার বা জুলুমের মধ্যে না পড়ে তাহলে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশপ্রেমিক ক্যাপশন দেওয়া একটি ভারসাম্যপূর্ণ ঘটনা বলে বিবেচনা করা হবে।
প্রশ্ন ঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশপ্রেমিক ক্যাপশন দেওয়া কি জায়েজ?
উত্তর ঃ যদি ক্যাপশন গুলো ইসলামি শালীনতা বজায় রাখে ও অন্য জাতি, ধর্ম বা গোষ্ঠীকে নীচু না করে শুধু দেশের প্রতি ভালোবাসা বা কৃতজ্ঞ প্রকাশ করে তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রশ্ন ঃ কখন দেশপ্রেমিক ক্যাপশন দেওয়া হারাম বলে বিবেচিত হবে?
উত্তর ঃ যখন কোনো ক্যাপশন দ্বারা ধর্ম, সংস্কৃতি বা জাতিকে অপমান করা হয় অথবা অশ্লীলতা, বিদ্বেষ জড়িত থাকে তখন ইসলামের দৃষ্টিতে নিন্দনীয় বা গুনাহের কাজ হিসেবে গণ্য হবে।
প্রশ্ন ঃ বাংলাদেশে মে দিবস কবে থেকে সরকারিভাবে পালিত হয়?
উত্তর ঃ বাংলাদেশে মে দিবস ১৯৭২ সাল থেকে সরকারিভাবে পালন করা হয় এবং এই দিনটি সরকারি ছুটি থাকে।
শেষ কথা - মে দিবসের দেশপ্রেমিক ক্যাপশন
মে দিবসের দেশপ্রেমিক ক্যাপশন নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আন্দোলন অবস্থায় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নাম না জানা অসংখ্য শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন তাদের সম্মান জানাতে ও বর্তমান সময়ে সকল কর্মরত ও শ্রমিক মানুষদের ঐক্য গঠনের জন্য প্রতি বছর মে মাসের প্রথম তারিখে শ্রমিক দিবস বা মে ডে পালন করা হয়। শ্রমিক দিবসে সকলের ঐক্যের লক্ষ্যে ফেসবুক অথবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় উপরের দেওয়া ক্যাপশন গুলো ব্যবহার করতে পারেন। 250311
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url