OrdinaryITPostAd

ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আনতে ১০ টি টিপস

 আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায় জানুনব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আনতে টিপস সম্পর্কে আপনাদের জানা প্রয়োজন। যারা ব্লগার রয়েছেন তাদের উচিত এই বিষয়টি সম্পর্কে ভালো ভাবে জানা। অর্গানিক ভিজিটর হলে সাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।

ওয়েবসাইট -কি

আপনার সাইটে অর্গানিক ভিজিটর না আসে তা হলে আপনার কন্টেন্ট গুলো গুগলে র‍্যাংকিং করবে না। যার ফলে আপনার সাইটে তেমন ট্রাফিক আসবে না। তাই চলুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আনতে টিপস সম্পর্কে জেনে নিই।

পেজ সূচিপত্র : ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আনতে টিপস

ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আনতে টিপস

একজন নতুন ব্লগার হিসেবে আপনার প্রথম লক্ষ্য হলো কিভাবে সাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করবেন। অর্থাৎ আপনার সাইটে কিভাবে অর্গানিক ভিজিটরের সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন। আপনি যতই কষ্ট করেন না কেন, যদি আপনার সাইটে অর্গানিক ভিজিটরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে না থাকে তবে ভালো পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব হবে না। তাই আপনার উচিত হবে কিভাবে নিজ ব্লগার সাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াবেন সে সম্পর্কে জানা। এমন কিছু টিপস নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো যে গুলোর মাধ্যমে আপনি অর্গানিক ভিজিটর বাড়াতে পারবেন।

১. SEO এর মাধ্যমে
এস ই ও মানে হলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন যার মাধ্যমে আপনি আপনার কন্টেন্ট গুলো গুগলের র‍্যাংকিংয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে কেউ যদি আপনার কন্টেন্ট অনুযায়ী কিছু লিখে সার্চ করে থাকে তবে আপনার কন্টেন্টের টাইটেলও সেখানে দেখাবে। এসইও করার মূল লক্ষ্য হলো সাইটে ভিজিটর সংখ্যা বাড়ানো। এই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল সার্চ র‍্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকে। এসইও এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানো সম্ভব হয়ে থাকে এবং এটি হচ্ছে কার্যকরী একটি প্রক্রিয়া৷ এই কাজটি আপনি দুই ভাবে করতে পারবেন। অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও।

অন পেজ এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি সাইটের অভ্যন্তরীণ কন্টেন্ট গুলো ও এর উপাদান গুলো কে অপ্টিমাইজড করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন গুলো যেমন গুগল, বিং ও ইয়াহুতে সহজেই র‍্যাংকিং করতে পারে এবং এর ফলে সার্চ রেজাল্টে সবকিছু ভালোভাবে দেখায়।
ব্লগারের- কাজ- কি
অন পেজ এসইও হলো এমন একটি কৌশল যা সরাসরি নিজ ওয়েবসাইটের কন্টেন্টে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মেটা ডিসক্রিপশন, হেডিং ও কন্টেন্ট শিরোনাম ইত্যাদি বিষয় গুলো এখানে উল্লেখযোগ্য। সার্চ ইঞ্জিনে আপনার কন্টেন্ট কে দ্রুত খুঁজে পাওয়ার জন্যে টার্গেট কিওয়ার্ড যুক্ত করতে পারেন।

আপনার সাইটে বাইরে থেকে প্রভাব ফেলে থাকে অফ পেজ এসইও কৌশল। এটি হয়ে থাকে ব্যাকলিংকের উপর ভিত্তি করে। অন্য ওয়েব সাইটে আপনার সাইটের লিংক দেওয়া হলে সেখানে আপনার বিশ্বস্তা বাড়ে ও র‍্যাংকিং বৃদ্ধি পায়। আবার গেস্ট পোস্টিং ও সোশ্যাল পোস্টিং ও এই ক্ষেত্রে ভুমিকা পালন করে থাকে। অফ পেজ এসইও আপনার সাইটের সার্বিক সফলতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার সাইটের র‍্যাংকিং কে অনেক উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে।

২. কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে
আপনি ইন্টারনেটে এমন বাক্য বা শব্দাংশ খুঁজে বের করুন যে গুলো ব্যবহার করে গুগলে সার্চ করা হয়ে থাকে। এটি এসইও করার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটি আপনার কন্টেন্ট গুলো কে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসতে পারে। আপনি যদি সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন তবে গুগল আপনার কন্টেন্ট কে প্রাসঙ্গিক মনে করে সেটি কে সার্চ ইঞ্জিনে আগে নিয়ে আসবে। এর ফলে আপনি ভিজিটর পাবেন বেশী পরিমাণে। এই কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে আপনি বুঝতে সক্ষম হবেন যে আপনার দর্শক গুলো আসলে কি লিখে গুগলে সার্চ বেশী করে থাকে।

আপনি যদি গুগলে মাত্র একটি কিওয়ার্ড লিখে থাকেন তবে তার প্রাসঙ্গিক হিসেবে আরো কিছু কিওয়ার্ড আপনাকে সাজেশন হিসেবে দেখাবে। এর ফলে আপনি এখান থেকে জনপ্রিয় কিওয়ার্ড গুলো খুৃজে বের করতে পারবেন। কিওয়ার্ড গুলো রিসার্চ করার জন্যে আপনি google keyword planner, Ubersuggest ইত্যাদি টুলসের ব্যবহার করতে পারেন। এখান একটু কম প্রতিযোগিতার কিওয়ার্ড গুলো বেছে নিবেন যে গুলোর সার্চ ভলিউম মোটামুটি ভালো।

৩. টাইটেল ও সাবটাইটেল অপটিমাইজেশন
এটি হলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর জন্যে। গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে ভিজিটরদের নজর কাড়ার প্রধান মাধ্যমে হলো এটি। আপনি যদি কাজটি সঠিক ভাবে করতে পারেন তবে আপনার কন্টেন্ট গুলো সার্চ ইঞ্জিনে ভিজিটরদের উচ্চ র‍্যাংক পেতে পারে ও আকর্ষণ করতে পারে। ভালো ভাবে তৈরি করা একটি টাইটেল র‍্যাংকিং বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদেরও আকর্ষণ করে থাকে। যার ফলে সাইটে অর্গানিক ভিজিটর আসতে থাকে৷

ট্যাগ দেখার উপর নির্ভর করে সার্চ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে কোন কন্টেন্ট কে প্রথম দিকে দেখাবে। সে জন্যে যদি টাইটেল ও সাবটাইটেলে যদি সঠিক ভাবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার কন্টেন্ট প্রথমে চলে আসে। যার ফলে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ে। আপনি যদি আপনার কন্টেন্টের টাইটেল ব্যবহার করেন " সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন। " তাহলে টাইটেল ব্যবহার করবেন " সেরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ২০২৫।" টাইটেল কে ৫ থেকে ৬ টি শব্দের মাঝে রাখার চেষ্টা করবেন। কিছু শক্তিশালী শব্দ যেমন সেরা, বেস্ট, টিপস, গাইড ইত্যাদি ব্যবহার করার কারণে ক্লিক সংখ্যা বাড়তে পারে৷

৪. মেটা ডিসক্রিপশন করা
এটি একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ লিখা যা আপনার কন্টেন্টের বিষয় বস্তু কে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজে প্রদর্শিত করে৷ এটি সরাসরি র‍্যাংকিংয়ে কোনো ধরণের প্রভাব না ফেললেও ভিজিটরদের ক্লিক সংখ্যা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে থাকে। ব্যবহারকারীরা এর কারণে সাইট ভিজিট করতে আগ্রহী হয়ে থাকে ফলে ক্লিক থ্রু রেট বাড়িয়ে থাকে। যার ফলে এটি দীর্ঘ মেয়াদী ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়ে থাকে। আপনি যদি ভালো ভাবে মূল পয়েন্ট গুলো ধরে ডেসক্রিপশন লিখতে পারেন তবে তা ভিজিটরদের নজরে আসে এবং সেখানে ভিজিটররা ক্লিক করে থাকে।

মেটা ডিসক্রিপশন সাধারণ ১৫০ থেকে ১৬০ ক্যারেক্টারের মাঝে রাখতে হয়। এটি সংক্ষিপ্ত রাখতে হবে ও প্রাসঙ্গিক করতে হবে। যাতে অল্প পড়েই মূল বিষয় বস্তু সম্পর্কে বুঝা যায়। এখানে লিখা আপনার কন্টেন্ট কে ভালো ভাবে নির্দেশ প্রদান করে থাকে এবং সার্চ ইঞ্জিনে তা সংক্ষিপ্ত আকারে দেখিয়ে থাকে। সে জন্য এটি কোনো ভিজিটর কে আকৃষ্ট করতে অনেক সাহায্য করে থাকে। এটি কে আরো শক্তিশালী করতে এবং ভিজিটর কে সাইটে প্রবেশ করাতে কিছু কল টু অ্যাকশন যোগ করে নিতে পারেন। যেমন আরোও জানুন, এখনই দেখুন ও শুরু করুন ইত্যাদি।

৫. হেডিং ট্যাগ অপটিমাইজেশন করা
এটি ভিজিটর বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। এটি সার্চ ইঞ্জিনে নিজ পেজ কে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে থাকে। হেডিং ট্যাগ গুলো যথাক্রমে h1, h2, h3 ইত্যাদি ভিজিটর কে সহজে বুঝতে সাহায্য করে থাকে। তাই যদি কিওয়ার্ড সমৃদ্ধ হেডিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে সার্চ ইঞ্জিন সেটি কে প্রথম পেজে নিয়ে আসে। এই ট্যাগ গুলো দেওয়ার ফলে একজন পাঠকের জন্যে লেখা গুলো সহজবোধ্য হয়ে উঠে ও সহজে বুঝতে পারে।

h1 ও h2 ট্যাগে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড গুলো অন্তর্ভুক্ত করে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন কিওয়ার্ড গুলো যেন স্প্যামিং না হয়। এই গুলো অর্গানিক ভাবে ব্যবহার করবেন। হেডিং গুলো সংক্ষিপ্ত ও আকর্ষণীয় ভাবে তৈরি করে নিন। কিওয়ার্ড গুলো ভালো ভাবে রিসার্চ করে দিবেন। h3 ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন সাব টপিক গুলোর ক্ষেত্রে।

৬. ইমেজ অপটিমাইজেশন
ইমেইজ অপটিমাইজেশন ওয়েবসাইটের গতি বৃদ্ধি করে থাকে। এটি কন্টেন্ট কে সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে আসে ও ইউজার অভিজ্ঞতা কে উন্নত করে থাকে। যদি ইমেজ সঠিক ভাবে অপটিমাইজেশন করা হয়ে থাকে তবে তা লোডিং সময় হ্রাস করে থাকে। যার বাউন্স রেট কম হয় এবং ভিজিটরদের আকৃষ্ট করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় সাইটে লোডিং সময় যদি ৩ সেকেন্ডের বেশী নেয় তবে ৫৬ শতাংশ ভিজিটর ওয়েবসাইটটি ত্যাগ করে থাকে। সে জন্যে সঠিক ভাবে ইমেজ অপ্টিমাইজেশন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আবার ইমেজ অপ্টিমাইজেশন সরাসরি এসইও তে প্রভাব ফেলে থাকে। তাই প্রতিটি ইমেজে Alt text ব্যবহার করতে হবে। এটি ইমেজের বিষয় বস্তু ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়। তাই ইমেজ ফাইলের নাম ও Alt text এ যদি প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে গুগল সার্চ রেজাল্টে আপনার পেজ উপরে চলে আসবে। ফলে গুগলে র‍্যাংকিং এর পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।

৭. ইন্টারনাল ও এক্সটার্নাল লিংকের ব্যবহার
ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করার ফলে ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করে। ভিজিটর বাড়ানোর জন্য একটি কার্যকরী কৌশল হলো এটি। এর ব্যবহার করার ফলে এসইও উন্নত হয়, অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়, বাউন্স রেট কমিয়ে থাকে ও সাইটে এনগেজমেন্ট বাড়াতে সাহায্য করে। ইন্টরনাল লিংকের মাধ্যমে আপনি নতুন পেজের সাথে পুরোনো পেজের সংযোগ করতে পারেন। আমাদের এই আর্টিকেল পড়ার সময় এখানে যে " আরো পড়ুন" সেকশন গুলো দেখতে পারছেন সে গুলোই ইন্টারনাল লিংকের উদাহরণ।

এক্সটার্নাল লিংক গুলোর মাধ্যমে আপনি নিজ ওয়েবসাইটের সাথে বাহ্যিক কোনো ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করতে পারবেন।
আপনি যদি অন্য কোনো একটি ভালো ওয়েবসাইটে নিজের সাইটের লিংক যুক্ত করতে পারেন তবে আপনার সাইটে ভালো পরিমাণ ভিজিটর বাড়বে। এটি যদি নো ফলো হয়ে থাকে তবে এসইও তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।

৮. কিওয়ার্ড ডেনসিটি
কিওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার আপনার সাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি আপনার কন্টেন্টের কিওয়ার্ডটি সঠিক ভাবে কন্টেন্ট সকল জায়গায় ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সেটি র‍্যাংকিংয়ে অনেক সাহায্য করবে৷ আপনি যদি ১৫০০ শব্দের একটি আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে সেটিকে সঠিক ভাবে সকল জায়গায় কমপক্ষে ১০ বার ব্যবহার করবেন। আমাদের আর্টিকেলের কিওয়ার্ড " ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আনতে টিপস " ১০ জায়গায় ব্যবহার করা আছে।

৯. কন্টেন্ট মার্কেটিং
ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট কে বলা হয় কিং। আপনার কন্টেন্ট যদি মানসম্মত হয়ে থাকে এবং তা ব্যবহারকারীদের জন্যে উপকার হয় তবে তা সাইটে ভিজিটর বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। নিয়মিত যদি মান সম্মত কনটেন্ট পোস্ট করে থাকেন তাহলে আপনার সাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে।

১০. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
এখনকার সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অন্যতম একটি বড় উৎস। সোশ্যাল মিডিয়া গুলো যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইন্সট্রাগ্রাম ও লিঙ্কডিন সহ ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার কন্টেন্ট গুলো শেয়ার করলে সেখান থেকে প্রচুর ভিজিটর পেতে পারেন। আর তাই ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ বা পোস্টে এটি শেয়ার করুন।

ওয়েবসাইট কি

ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আনতে টিপস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ওয়েবসাইট হলো কতগুলো ওয়েব পেজ নিয়ে গঠিত একটি সংগ্রহশালা যা একটি ডোমেইন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এই গুলো একটি সার্ভাবে সংরক্ষিত থাকে। উল্লেখযোগ্য কিছু ওয়েবসাইট হলো Wikipedia.com, google.com ও amazon.com ইত্যাদি। এটি CERN এর টিম বার্নাস লি তৈরি করেছিলেন। যেকোন ব্যক্তি এটি এখন বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারে।

অর্গানিক ভিজিটর কি

অর্গানিক ভিজিটর বলতে বুঝানো হয়ে থাকে এমন সকল ভিজিটরদের কে যারা সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে আপনার সাইটে প্রবেশ করে থাকে। অর্থাৎ এমন কিছু ভিজিটর যারা সার্চ ইঞ্জিনে এমন কিছু লিখে সার্চ করলো যার উপর আপনার কন্টেন্ট রয়েছে, তখন তারা তা খুঁজে পায় এবং আপনার সাইট ভিজিট করে থাকে। এতে করে আপনার সাইটে ট্রাফিক আসে যার ফলে আপনার ইনকাম আসে।

ব্লগিং কি

ইংরেজি শব্দ Webblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ব্লগ। বারজার নামক এক মার্কিন নাগরিক ১৯৯৭ সালের দিকে প্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। ব্লগ এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো ডায়রি।
একটি ডাইরি কে যেভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ব্লগটা ঠিক সেই রকমই। যারা ব্লগ লিখে থাকে তাদের বলা হয় ব্লগার। ব্লগ লিখা কে বলা হয়ে থাকে ব্লগিং। ব্লগিং বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট নির্ভর একটি জনপ্রিয় পেশাতে পরিণত হয়েছে।

ব্লগিং করে কি আয় করা যায়

এতোক্ষণ ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আনতে টিপস গুলো সম্পর্কে জেনেছেন তার কারণ হলো আপনি ব্লগ লিখে আয় করতে চান। ব্লগ লিখে আয় করার ব্যপারটি হলো সত্যি। যে কেউ ব্লগ লিখে আয় করতে পারে। তবে তার জন্যে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। আপনি বিভিন্ন ভাবে এখান থেকে আয় করতে পারবেন। অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে, কোর্স বিক্রি করে, পণ্য বিক্রি করে ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে। এখান বেশ ভালো ও মোটা অংকের টাকা আয় করা সম্ভব প্রতি মাসে।

ব্লগিং করে আয় করতে কত সময় লাগে

ব্লগিং করতে একেক জনের একেক সময় লেগে যায়। কাউকে দেখা যায় দুই মাসেই আয় করতে শুরু করে। আবার কাউকে দেখা যায় আয় করতে অনেক সময় লেগে যায়। আপনি মূলত যদি ভালো মানের কন্টেন্ট লিখে থাকেন তাহলে আপনার সাইটে ভালো ট্রাফিক আসবে, এতে করে আপনি অ্যাডসেন্স অনুমোদন দ্রুত পেয়ে যাবেন। যার ফলে ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন। তবে এতে আরো বেশী ইনকাম করার জন্যে আপনাকে আরো দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে।

ব্লগারের কাজ কি

ব্লগ হচ্ছে একটি অনলাইন ব্যক্তিগত পত্রিকা বা দিনলিপি। এটি হলো ওয়েব ব্লগের সংক্ষিপ্ত রূপ। যিনি ব্লগ লিখে থাকেন বা ব্লগ লিখে পোস্ট করে থাকেন তাকে বলা হয় ব্লগার।
ব্লগারা সব সময় তাদের সাইটে কন্টেন্ট যোগ করে থাকেন এবং তার দর্শকরা সেখানে সে বিষয়ে মন্তব্য করে থাকে। এখন এই ব্লগ আয়ের একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্লগাররা ব্লগ ওয়েবসাইটে ব্লগ লিখে তা পাবলিশ করে থাকেন।

ব্লগ করে কত আয় করা যায়

ব্লগিং করে আপনি কত টাকা আয় করবেন তা নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া সম্ভব না। এই বিষয়টি নির্ভর করে থাকে আপনার আয়ের মাধ্যমের উপরে। আপনি অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নাকি অন্য কিছুর উপর নির্ভর করে ইনকাম করছেন সে বিষয়টির উপরে।ভালো মানের বেশীর ভাগ ব্লগেই সাধারণত  ১০০ থেকে ২০০ ডলার ইনকাম হয়ে থাকে।
ব্লগ- করে -আয়
আবার অনেক কে দেখা যায় ১০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে। ইংরেজি ব্লগে আরো বেশী ইনকাম হয়ে থাকে। এখানে ৩০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম হয়। আর প্রো ব্লগাররা ১০০০+ ডলার ইনকাম করে থাকে।

ব্লগ কত প্রকার

একজন ব্লগার সাধারণত তার ব্লগে অভিজ্ঞতা, চিন্তা- ভাবনা, ভালো লাগার বিষয় গুলো তুলে ধরে থাকেন। তা ছাড়া পাশাপাশি কিছু ভিডিও ও ছবিও করে রাখেন। এই ব্লগ দুই ধরণের হয়ে থাকে। পার্সোনাল ব্লগ ও প্রফেশনাল ব্লগ। পার্সোনাল ব্লগে ব্লগাররা তাদের অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনা ও তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকেন। আর প্রফেশনাল ব্লগারদের উদ্দেশ্য হলো অর্থ উপার্জন করা। সে জন্যে তারা বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ লিখে থাকে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আনতে টিপস সম্পর্কে। আশাকরি এখানে সকল বিষয় গুলো ভালো ভাবে জানতে পেরেছেন। বিষয়টির উপর আপনার মতামত জানাবেন ও আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ। 250109

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url