গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার গাইড
গুগল এডসেন্সে ফ্যাক ক্লিক থেকে বাঁচার উপায়গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার গাইড সম্পর্কে অনেকেই ভালো করে কিছু জানেন না। তাই আপনার যদি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার সমন্ধে ধারণা না থাকে, তাহলে গাইড নিতে পারেন। এতে করে আপনি সঠিক ভাবে কাজটি করতে সক্ষম হবেন।
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটি আপনার পরিশ্রম কে সার্থক করে তুলে। তাই সঠিক ভাবে কাজটি করার জন্যে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার গাইড সম্পর্কে জানুন।
পেজ সূচিপত্র : গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার গাইড
- গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার গাইড
- গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায়
- গুগল অ্যাডসেন্স কি
- গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন না হওয়ার কারণ
- গুগল অ্যাডসেন্সের কাজ কি
- অ্যাডসেন্সের পেমেন্ট কখন পাওয়া যায়
- গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য কি কি প্রয়োজন
- ব্লগ সাইটে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার শর্ত কি
- অ্যাডসেন্সে কত টাকা আয় করা যায়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার গাইড
অনেকে বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট খুলে থাকেন। এই ক্ষেত্রে কেউ ব্যবসা করার জন্যে, কেউ বা অফিসিয়াল কাজের জন্যে কিংবা অনেকেই আবার ব্লগিং ওয়েবসাইট খুলে থাকেন। তবে ওয়েবসাইট খুলেই আপনি ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন না। এর জন্যে আপনাকে বেশ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করতে হবে। ইনকামের জন্যে আপনাকে প্রথমে অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল পেতে হবে, এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেকেই গুগল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্যে নানা রকমের চেষ্টা করে থাকে, তবে সঠিক ভাবে কাজ না করায় কিংবা গাইড না পাওয়ায় তাদের বেশীর ভাগ কেই দেখা যায় যে, তারা অ্যাপ্রুভাল পায় না।
তাই আমি আজকে আপনাদের কে গাইড করবো যাতে করে আপনারা সহজেই গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল পেতে পারেন। নিজের ব্লগের ব্যাপারে দক্ষ ও গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্যে নিম্নোক্ত গাইডলাইন গুলো ভালোভাবে অনুসরণ করুন।
১. টপ লেভেল ডোমেনের ব্যবহার করা
আপনি যদি অনেক তাড়াতাড়ি গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল পেতে চান, তাহলে আপনি টপ লেভেল ডোমেন এর ব্যবহার করতে পারেন। টপ লেভেল ডোমেন গুলো হলো ডট কম (. Com), ডট এক্স ওয়াই জেড (. xyz), ডট নেট (.net), ডট ইনফো (. info) ইত্যাদি । এই ডোমেইন গুলো হলো প্রিমিয়াম। অর্থাৎ আপনাকে টাকা দিয়ে কেনার প্রয়োজন পড়বে। এই প্রিমিয়াম ডোমেইন গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যেতে পারেন।
তা ছাড়া কিছু সাব ডোমেইনও আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই গুলোতে আপনার একটু সময়ের প্রয়োজন পড়বে। কারণ সাব ডোমেইন দিয়ে অ্যাডসেন্স পেতে একটু দেরি হয়ে থাকে।সে জন্য আপনাকে আমার ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে জানাবো যে, আপনি একটি প্রিমিয়াম ডোমেইন নিয়ে নিন। কেননা এর ফলে আপনি তাড়াতাড়ি গুগল অ্যাডসেন্স এর অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাবেন। অন্যথায়, আপনি যদি সাব ডোমেইন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাকে কিছু সময় ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে। এক কথায় গুগল অ্যাডসেন্স পেতে দেরী হবে।
২. ইউজার ফ্রেন্ডলি টেম্পলেটের ব্যবহার
এই বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর সঠিক ব্যবহার করার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসবে। আপনি যদি ইউজার ফ্রেন্ডলি টেম্পলেট ব্যবহার করেন তাহলে লোডিং সময় কম নিবে, ফলে দ্রুত লোড হবে। অনেক সময় আপনার দর্শক লোডিং স্পিড বেশী হওয়ার কারণে বিরক্ত হয়ে থাকে। যার ফলে ইউজার সংখ্যা হ্রাস পেয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি ইউজার ফ্রেন্ডলি রেস্পন্সিব টেম্পলেট এর ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন অনেক সুন্দর হবে। এর ফলে ভিজিটর আপনার সাইট ভিজিট করার সময়ে কি কি পোস্ট রয়েছে তা বুঝতে পারবে।
তাই লোডিং স্পিড যত সম্ভব ফার্স্ট রাখা যায় চেষ্টা করবেন। মোবাইল ও ডেস্কটপের মোড ভালো করে রাখবেন। যাতে করে আপনার ফোন ইউজার ও ডেস্কটপ ইউজাররা ভালো ভাবে এটি ব্যবহার করতে পারে। এখানে প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করার সুবিধাও রয়েছে। তাই আপনি চাইলে প্রিমিয়াম থিমও ব্যবহার করতে পারেন। আবার ফ্রী থিম যে গুলো রয়েছে সেখান থেকেও ভালো কোনো থিম ব্যবহার করতে পারেন।
৩. কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেজ তৈরি করা
আপনি যখন গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্যে আবেদন করবেন তখন অ্যাডসেন্সের টিম আপনার সাইট ঘুরে দেখবে। তখন তারা আপনার সাইটে এই গুরুত্বপূর্ণ পেজ গুলোর দিকেও নজর দিবে। যদি এই পেজ গুলো না থাকে তাহলে তারা আপনার অ্যাডসেন্সের জন্যে আবেদন ক্যান্সেল করে দিতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ পেজ গুলো অ্যাবাউট পেজ, কন্টাক্ট পেজ, টার্মস এন্ড কন্ডিশন, ডিসক্লেইমার পেজ ও প্রাইভেসি পলিসি পেজ। এই পেজ গুলো অবশ্যই গুগল অ্যাডসেন্সের আবেদন করার আগে তৈরি করে নিবেন।
আপনার সাইটে যদি কন্টাক্ট পেজ থাকে তাহলে অ্যাডসেন্স টিম বুঝবে আপনার দর্শক ও আপনার মধ্যে যোগাযোগ করার সিস্টেম রয়েছে। আবার টার্মস এন্ড কন্ডিশন পেজে আপনি কিছু নীতিমালা ও শর্ত দিয়ে রাখতে পারবেন। আপনার সাইটের অ্যাবাউট পেজে আপনি সাইট সম্পর্কে, আপনার সম্পর্কে ও কি কি বিষয়ে ব্লগ লিখে থাকেন তা উল্লেখ করে দিতে পারেন। এই ভাবেই পেজ তৈরি করে তারপর সে পেজ গুলো তে কিছু লিখবেন বা ইনফরমেশন দিবেন। শুধু পেজ তৈরি করে রাখলেই তো আর হবে না।
৪. কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করুন
আপনার কিছু তথ্য পূর্ণ ও হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট রাখবেন। কেননা অ্যাডসেন্স টিম আপনার কন্টেন্ট গুলো কে একটু পরীক্ষা করে দেখবে। আপনি যদি আপনার সাইটে ভালো মানের কিছু কন্টেন্ট রাখেন তাহলে এই গুলো আপনাকে অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্যে দারুণ ভাবে সাহায্য করবে। অপর দিকে, আপনার ব্লগ কিংবা সাইটে যদি কোনো ধরণের কন্টেন্ট না থেকে থাকে তাহলে তো আপনি অ্যাডসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা হারাবেন। কেননা আপনার এই কন্টেন্ট গুলোতেই অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে। তাই যদি অ্যাডসেন্স পেতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন কিছু কন্টেন্ট রাখতে হবে।
আপনি যদি ব্লগ লিখে থাকেন এবং সে গুলো যদি ৫০০ শব্দ থেকে ৮০০ শব্দে লিখেই ভেবে বসেন যে অনেক শব্দে লিখে ফেলেছেন তাহলে কিন্তু হবে না। আপনাকে আরো বেশী পরিমাণ শব্দে ব্লগ লিখতে হবে। এর ফলে গুগল আপনার ব্লগ কে বেশী তথ্য সম্পন্ন ধরে নিবে। যদি আপনি কম শব্দে ব্লগ লিখে থাকেন তাহলে গুগল সেটি কে তেমন কোয়ালিটি ফুল মনে করবে না। মনে করবে এখানে তথ্যের অভাব রয়েছে। আপনাকে ২০০ শব্দের মাঝে কিছু লিখলে হবে না। তাই চেষ্টা করুন মিনিমাম ১৫০০ শব্দের মাঝে ব্লগ লিখার জন্যে। এতে গুগল আপনার আর্টিকেল কে উচ্চ কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্লগ বলে বিবেচনা করবে। যার ফলে আপনার এই ব্লগটি কে গুগল ভালো ভাবে র্যাংক করাবে।
৫. কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ কন্টেন্ট রাখুন
অনেকে যে কাজটি করে থাকেন তা হলো মাত্র কয়েকটি কন্টেন্ট লিখেই অ্যাডসেন্স এর জন্যে আবেদন করে দিয়ে থাকেন। এর ফলে আপনার অ্যাডসেন্স পাওয়ার সম্ভবনা অনেক কম থাকে। তাই যদি অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেতে চান তাহলে আপনার উচিত আপনার সাইটে কম করে হলেও ২৫ টি কন্টেন্ট রাখা। চাইলে ৩০টির মতো কন্টেন্ট রেখেও আপনি গুগল অ্যাডসেন্সের জন্যে আবেদন করতে পারেন। এই কন্টেন্ট গুলো যে রাখবেন, তা কিন্তু অল্প শব্দের লো কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট রাখলে হবে না।
২৫ থেকে ৩০ টির মাঝে যত গুলোই কন্টেন্ট রাখুন না কেন এই গুলো যেন উচ্চ কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্লগ হয়ে থাকে। এতে করে আপনার ব্লগ গুলো কে গুগল ভালো ভাবে র্যাংক করাবে।
আরো পড়ুন : আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায়
যার ফলে আপনার সাইটের কন্টেন্ট গুলো গুগলের প্রথম পেজে চলে আসবে। তাই ভালো ও উচ্চ কোয়ালিটি কন্টেন্ট রাখার চেষ্টা করুন। এর ফলে গুগল অ্যাডসেন্স এর অ্যাপ্রুভাল পাওয়া আপনার পক্ষে খুবই সহজ হবে।
৬. অ্যাডসেন্সের আবেদন করার সময় বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখুন
যদি আপনি আপনার সাইটে তৃতীয় পক্ষের কোনো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তা বন্ধ রাখবেন, যখন অ্যাডসেন্স এর জন্যে আবেদন করবেন। কারণ যখন আপনি অ্যাডসেন্স এর জন্যে আবেদন করবেন তখন আপনার সাইট ভিজিট করার জন্যে অ্যাডসেন্স টিম আসবে। তখন তারা যদি আপনার সাইটে থার্ড পার্টি দেখে তাহলে তো তারা আপনার সাইটটি কে নিরাপদ এর কাতারে রাখবে না। তারা এটি কে হুমকি স্বরূপ দেখবে যার ফলে খুব সহজেই তারা আপনার অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল রিকোয়েস্ট ক্যান্সেল করে দিবে।
তাই অ্যাডসেন্স এর জন্যে যখন আবেদন করবেন তখন এই ব্যাপার গুলো নিয়ে খুবই সতর্ক থাকবেন। এর ফলে আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার অনেক বেশী পরিমাণ চান্স থাকবে। অ্যাডসেন্সের আবেদন করার সময় নিজের সাইটে কোনো বিজ্ঞাপন রাখবেন না। যদি আগে থেকে চালু থাকে তাহলে তা কিছু সময়ে জন্যে অর্থাৎ আবেদন করা থেকে অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার আগ পর্যন্ত বন্ধ করে রাখবেন। এর ফলে আপনার সাইটে কোনো থার্ড পার্টি থাকবে না ও সহজেই আপনার সাইট অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাবে।
৭. কপিরাইট ইমেজ ব্যবহার না করা
ভুলেও কখনো কপিরাইট ইমেজ ব্যবহার করবেন না। আপনি যখন ব্লগ লিখবেন তখন সেখানে উচ্চ কোয়ালিটি সম্পন্ন ২ থেকে ৩ টি ইমেজ ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। এর ফলে আপনি হয়তো গুগল থেকে ইমেজ ডাউনলোড করে তা আপনার ব্লগে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন? যে এই ইমেজ গুলো হলো কপিরাইট যুক্ত ইমেজ। এই ইমেজ গুলো ব্যবহার করার ফলে গুগল আপনাকে চোর হিসেবে জানবে। সে ভাববে আপনি অন্যের জিনিস নিজের বলে ব্যবহার করে থাকেন।
তাই আপনি আপনার ব্লগে উচ্চ কোয়ালিটি সম্পন্ন ইমেজ ব্যবহার করবেন। এখন প্রশ্ন হলো কোথায় এই ইমেজ গুলো পাবেন। সাধারণ কিছু অ্যাপ বা সফটওয়্যার থেকে আপনি কপি রাইট ফ্রী ইমেজ ব্যবহার করতে পারেন। যেমন Pixabay, Unplash ও Photostock থেকে কপিরাইট ফ্রী ইমেজ ডাউনলোড করে তা আপনার কন্টেন্টে ব্যবহার করতে পারেন।
৮. গুগল কতৃক রেস্ট্রিকটেড কন্টেন্ট না লিখা
আপনি কিছু নিদিষ্ট বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখতে পারবেন না। যেমন, এমন কিছু কন্টেন্ট যে গুলো কোনো দেশ বা জাতির জন্যে হুমকি স্বরূপ হয়ে থাকে। আবার যৌনতা, নগ্নতা রয়েছে এমন কিছু ছবি বা কন্টেন্ট লিখা থেকেও আপনাকে বিরত থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি লিখা গুলো থেকেও বিরত থাকবেন। রক্ত, মারামারি এমন কন্টেন্ট বা ইমেজ লিখা বা ব্যবহার করবেন না।
৯. ওয়েবসাইটের বয়স
আপনার সাইটের বয়সটা আসলে গুগল অ্যাডসেন্সের অ্যাপ্রুভালের ক্ষেত্রে তেমন একটা প্রভাব ফলে না। তবে আপনি চাইলে ৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। ইন্ডিয়ার জন্যে কিন্তু গুগল এই নিয়ম বেধে দিয়েছে। যে কোনো ইন্ডিয়ান ওয়েবসাইটের বয়স ৬ মাস হওয়ার পরে অ্যাডসেন্সের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশে সে নিয়ম নেই। এখানে অনেকে পরিশ্রম করে ২ মাসের মধ্যেও অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যায়। তাই আপনি যদি উপরের সব গুলো ক্রাইটেরিয়া সঠিক ভাবে পালন করে ফেলেন এবং আপনার কাছে যদি মনে হয়ে থাকে আর কোনো শূণ্যতা নেই, তাহলে আবেদন করে দিবেন।
গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায়
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার গাইড সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত ভাবে সকল কিছু বলেছি। আপনি যদি এই গাইড গুলো ভালো ভাবে মেনে চলেন তাহলে গুগল অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন। গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্যে আপনাকে অ্যাডসেন্সের নীতিমালা গুলো ভালো ভাবে অনুসরণ করতে হবে। অ্যাডসেন্স যে কাজ গুলো করতে নিষেধ করে দিয়েছে সে গুলো করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিষিদ্ধ কন্টেন্ট গুলো উপরে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে, সে গুলো লিখবেন না।
এখান থেকে অ্যাডসেন্স পাওয়ার মাধ্যমে আপনি বিজ্ঞাপণ দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। তাই যদি আপনি অ্যাডসেন্সের অনুমোদন না পান, তাহলে তা দিয়ে আপনি তেমন কোনো কাজ করতে পারবেন না। তাই অ্যাডসেন্সের সকল নীতিমালা গুলো ভালো ভাবে মেনে চলবেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি অ্যাডসেন্সের অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
গুগল অ্যাডসেন্স কি
গুগল অ্যাডসেন্স হলো একটি বিজ্ঞাপণ প্ল্যাটফর্ম যা গুগল দ্বারা পরিচালিত করা হয়। এই অ্যাডসেন্স ব্যবহার করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ মালিক নিজেদের ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করার মাধ্যমে ইনকাম করে থাকে। সাইটের বিষয় বস্তু ও ভিজিটরদের উপর ভিত্তি করে অ্যাডসেন্স বা ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে।
ব্লগের মালিক নিজেদের গুগল অ্যাডসেন্সের নিকট নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যে আবেদন করে থাকে। যখন অ্যাডসেন্স এটির অনুমোদন দিয়ে দেয় তখন ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন হয়ে থাকে। তারপর এই বিজ্ঞাপন গুলো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট মালিক অর্থ উপার্জন করে থাকে।
গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন না হওয়ার কারণ
গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন না হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এই গুলো হলো লো কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করা, সাইটের কাঠামো সঠিক ভাবে তৈরি না করা, সাইটের থিম গুলো ভালো ভাবে না সাজানো, গুরুত্বপূর্ণ পেজ গুলো তৈরি না করা ইত্যাদি কারণে গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন পায় না।
আরো পড়ুন : ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
তা ছাড়া অ্যাডসেন্সের বিরুদ্ধে কিছু লিখা, অ্যাডসেন্স নিষেধ করে দিয়েছে এমন কিছু লিখে থাকলে গ্রহণযোগ্য হয় না। আবার অন্যের কন্টেন্ট চুরি করে লিখা কিংবা দেখে দেখে লিখার কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।
গুগল অ্যাডসেন্সের কাজ কি
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার গাইড সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়েছে। এখনকার সময়ে আমরা যখন অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের প্রোডাক্ট কিনে থাকি কিংবা কন্টেন্ট পড়ে থাকি। এই গুলোতে অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। অ্যাডসেন্স হলো একটি অ্যাডভারটাইজিং প্ল্যাটফর্ম। এটি বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইটে সে অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে এবং সেই ওয়েবসাইট মালিকদের নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা দিয়ে থাকে।
অ্যাডসেন্সের পেমেন্ট কখন পাওয়া যায়
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার গাইড সম্পর্কে জেনেছেন। গুগল একটি নির্দিষ্ট সময়ে পেমেন্ট প্রদান করে থাকে। গুগল সাধারণ প্রত্যেক মাসের ২১ তারিখে পেমেন্ট প্রদান করে থাকে। তবে এই দিন যদি সপ্তাহের ছুটির দিন পড়ে যায়, তবে কিছুটা বিলম্বিত হয়ে থাকে। তা ছাড়া আপনি যদি নির্ধারণ করা সময়ের মধ্যে টাকা না পেয়ে থাকেন, তবে অ্যাডসেন্সের কাছে এই ব্যাপারে সাহায্য নিতে পারেন।
গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য কি কি প্রয়োজন
গুগলে অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্যে আপনাকে প্রথমে নিজস্ব কন্টেন্ট থাকতে হবে, যে গুলো খুবই আকর্ষণীয় হবে। আপনার কন্টেন্ট গুলো কে অ্যাডসেন্সের নীতি মালা গুলো কে মেনে চলতে হবে।
আরো পড়ুন : রাজশাহীর সেরা আইটি সম্পর্কে জানুন
আপনাকে অ্যাডাল্ট হতে হবে৷ অর্থাৎ আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। সবশেষে, আপনি যদি গুগল অ্যাডসেন্সের অনুমোদন পেতে চান, তাহলে অ্যাডসেন্সের সকল নীতিমালা গুলো আপনাকে পূরণ করতে হবে যে গুলো উপরে বলে দেওয়া হয়েছে।
ব্লগ সাইটে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার শর্ত কি
ব্লগ সাইটে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্যে কিছু শর্ত রয়েছে। এই শর্ত গুলো যদি আপনি ভালো ভাবে পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনার পক্ষে গুগল অ্যাডসেন্সের অনুমোদন পাওয়া অনেকাংশেই লাঘব হবে৷ শর্ত গুলো যথাক্রমে,
- কাস্টম ডোমেইন থাকতে হবে।
- ব্লগের বয়স ৩ থেকে ৪ মাস হতে হবে।
- ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ডিজাইন ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
- সার্চ ইঞ্জিন ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
- ভালো মানের কন্টেন্ট লিখতে হবে।
- রেস্ট্রিকটেড কন্টেন্ট লেখা যাবে না।
- পর্যাপ্ত কন্টেন্ট থাকতে হবে।
- অ্যাডসেন্স নীতি মালা অনুসরণ করা
- বিজ্ঞাপন না দেওয়া
অ্যাডসেন্সে কত টাকা আয় করা যায়
অ্যাডসেন্সে আপনি কত টাকা আয় করবেন এই বিষয়টি নির্ভর করছে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক কিভাবে আসে তার উপরে। তাছাড়া আপনার ভিজিটরগণ কোথা থেকে এই বিষয়টিরও উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে।আপনার ব্লগের কন্টেন্ট গুলোও নির্ধারণ করে থাকে যে আপনি কত টাকা পাবেন। আপনার ব্লগে সিপিসি এর পরিমাণ যদি বেশী থাকে তবে টাকা আয় করতে পারবেন অনেক। কিন্তু সবচেয়ে বেশী জরুরী হলো আপনার ইউজারদের দিকে নজর দেওয়া। কেননা এখান থেকে বেশী টাকা আয় করা সম্ভব হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ১০০০ ভিজিটর দিয়ে আপনি ২ থেকে ৩ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ, আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার গাইড পাওয়ার উপরে। আশা করি বিষয়টি সম্পর্কে ভালো ভাবে সকল কিছু সম্পর্কে গাইড পেয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে আপনি আপনার মন্তব্য রাখতে পারেন। পাশাপাশি নিজ বন্ধুদের কাছেও এটি শেয়ার করে দিতে পারেন। ধন্যবাদ। 250109
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url