একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার যেভাবে বায়ারকে ইমপ্রেস করতে পারে
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবেন জানুনএকজন নতুন ফ্রিল্যান্সার কিভাবে বায়ারকে ইমপ্রেস করতে পারে এই নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব। বর্তমানে দিন দিন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে বায়ারকে ইমপ্রেস করার বিষয়টি বিভিন্ন অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার কিভাবে বায়ারকে ইমপ্রেস করতে পারে
- একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার কিভাবে বায়ারকে ইমপ্রেস করতে পারে
- কিভাবে প্রোফাইল সাজালে বায়ার ইম্প্রেস হবে
- কিভাবে প্রজেক্ট এর প্রোপোজাল দিলে বায়ারের পছন্দ হবে
- বায়ারকে ইমপ্রেস করার জন্য যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি
- বায়ারকে ইমপ্রেস করতে কাজের মান বৃদ্ধি
- কেন বায়ারের কাছ থেকে ফিডব্যাক গ্রহণ করবেন
- মানসিক ইতিবাচকতা ও ধৈর্য ধারণ করা
- সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ ডেলিভারি দেওয়া
- নিজেকে সময়ের সাথে সাথে আপডেট রাখা
- আমাদের শেষ কথা
একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার কিভাবে বায়ারকে ইমপ্রেস করতে পারে
একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার কিভাবে বায়ারকে ইমপ্রেস করতে পারে এই বিষয়টি জানা একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বায়ারকে ইমপ্রেস করার জন্য আমাদের বেশ কিছু কাজ করতে হবে যেমন সঠিকভাবে এবং সুন্দর করে আমাদের প্রোফাইল সাজাতে হবে যেন সেটি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারের মতো হয়। যার ফলে বায়ার যখন আমাদের প্রোফাইল ভিজিট করবে তখন সেটি দেখে তার মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়াও আমরা যখন বায়ারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করব তখন বায়ারকে আমাদের সুন্দরভাবে প্রপোজাল দিতে হবে সে প্রপোজলের মধ্যে অবশ্যই আমাদের নিজেদের দক্ষতা তুলে ধরে এবং বায়ারের কাজটি করার জন্য আপনি উপযুক্ত সেটি ফুটিয়ে চলতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শেখার ৩০টি সহজ উপায়
বায়ারকে ইমপ্রেস করার জন্য অবশ্যই আমাদের যোগাযোগ দক্ষতার উন্নতি করতে হবে যার ফলে খুব সহজে আমরা বায়ারের চাহিদা বুঝে তার সাথে কথা বলতে পারবো। সঠিকভাবে কথা বলা এবং যোগাযোগ স্থাপন করা বায়ারকে ইমপ্রেস করতে অনেক বেশি কাজে দিবে। শুধু কথা দিয়েই নয় বায়ার কে ইমপ্রেস করার জন্য আমাদের কাজের মান ঠিক রেখে কাজ করতে হবে। অবশ্যই কাজ ডেলিভারির দেওয়ার পরে বায়ারের থেকে সে কাজের ফিডব্যাক গ্রহণ করতে হবে।
এই ফিডব্যাক গ্রহণ বায়ারকে ইমপ্রেস করার জন্য সহযোগিতা করে থাকে। এছাড়াও আমরা আরও বেশ কিছু বিষয় আছে যেগুলো ফলো করলে বায়ারকে ইমপ্রেস করা অনেক সহজ হয়ে যায়। ইমপ্রেস করতে গেলে অবশ্যই আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সঠিক সময়ে কাজ ডেলিভারি করতে হবে। সময়ের সাথে সাথে আমাদের নিজের প্রোফাইল এবং নিজেদের দক্ষতা আপডেট করতে হবে।
কিভাবে প্রোফাইল সাজালে বায়ার ইম্প্রেস হবে
একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের সফলতা নির্ভর করে একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার কিভাবে বায়ারকে ইমপ্রেস করতে পারে সেই বিষয়টির উপর। কিভাবে প্রোফাইল সাজালে বায়ার ইম্প্রেস হবে এ বিষয়টা অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সারই বুঝে উঠতে পারেনা। নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আমাদের প্রোফাইল যেভাবে সাজানোর দরকার তা হচ্ছে প্রোফাইল সাজানোর সময় আমাদের দক্ষতাকে খুব সহজভাবে এবং নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
প্রোফাইলে সঠিক টাইটেল এবং বিবরণ ব্যবহার করে প্রোফাইল সাজাতে হবে। প্রোফাইল সাজানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদের যে দক্ষতা সেটি যেন প্রফেশনালি আমাদের কথার মাধ্যমে এবং কাজের মাধ্যমে ফুটে উঠে। প্রোফাইলে সঠিক কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে যার ফলে আমাদের প্রোফাইল অনেক বেশি ইউনিক এবং প্রফেশনাল দেখাবে।

কিভাবে প্রজেক্ট এর প্রোপোজাল দিলে বায়ারের পছন্দ হবে
কিভাবে প্রজেক্ট এর প্রপোজাল দিলে বায়ারের পছন্দ হবে সেটি আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে প্রপোজাল দিলে বায়ারের পছন্দ হবে। ব্যক্তিগত সম্বোধন দিয়ে বায়ারের সাথে যোগাযোগ শুরু করতে পারেন। বায়ারের নাম যদি সেখানে উল্লেখ থাকে তবে বায়ারের নাম ধরে সম্মোধন করে যোগাযোগ শুরু করতে পারেন এটি ব্যক্তিগত এবং আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। শুরুতেই বায়ারকে আপনার প্রয়োজন বুঝিয়ে দিন আপনি কোন কোন বিষয়ের উপর দক্ষ এবং কোন জিনিসটা নিয়ে কাজ করেন সেটি বায়ারের কাছে উপস্থাপন করুন।
আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বায়ারের সাথে শেয়ার করুন। প্রয়োজন পরলে বায়ারকে আপনার পোর্টফলিও এবং পূর্ববতী কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে উদাহরণ দিন। নিজে থেকে বায়ারকে কিছু কিছু প্রশ্ন করুন এটি বায়ারের অনেক পছন্দ হবে। দাম এবং মূল্য নির্ধারণ করুন এবং নমনীয়তা এবং প্রতিশ্রুতি তা দেখান সর্বশেষ শুভেচ্ছা এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কথোপকথন শেষ করুন।
বায়ারকে ইমপ্রেস করার জন্য যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি
বায়ারকে ইমপ্রেস করার জন্য যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর সফলতা অর্জন করতে চাইলে একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার কিভাবে বায়ারকে ইমপ্রেস করতে পারে সে বিষয়ে একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারের যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। সেজন্য বায়ারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সংক্ষিপ্ত এবং পরিষ্কার বার্তা প্রেরণ করুন। বা এর সাথে কথা বলার সময় নমনীয়তা এবং ভদ্রতা বজায় রেখে কথা বলুন। বায়ারকে বোঝার চেষ্টা করুন যে আসলে সে কি চায় এবং তার সাথে নিজে থেকে বায়ারকে কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে পারেন। বায়ারের ভাষা এবং স্টাইল অনুসরণ করে তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন।
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী থাকবেন যেন বায়ারের কাছে আপনার প্রফেশন বজায় থাকে। বায়ারের সাথে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই সঠিক সময়ে এবং সুন্দরভাবে ডেড লাইন শেষ হওয়ার আগে কাজ ডেলিভারি করবেন। অবশ্যই বায়ারের থেকে ফিডব্যাক গ্রহণ করুন এবং বায়ারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। ফিডব্যাক গ্রহণ করা অনেক বড় একটি সুবিধা ইমপ্রেস বায়ারকে করার জন্য। তাই বলা যায় বায়ারকে ইমপ্রেস করার জন্য যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
বায়ারকে ইমপ্রেস করতে কাজের মান বৃদ্ধি
ইমপ্রেস করার জন্য অবশ্যই কাজের মান বৃদ্ধি করতে হবে কারণ ইমপ্রেস করার প্রধান একটি কাজ হচ্ছে বায়ারের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের কাজের মান ঠিক রেখে ডেলিভারি করা। তাই আমরা বায়ারকে ইমপ্রেস করার জন্য আমাদের কাজের মান বৃদ্ধি এবং বায়ারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। কারণ কাজের মান যদি ভালো না হয় তাহলে খুশি হবে না এবং পরবর্তীতে আর কাজ করাবে না।
তাই বায়ারের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সঠিক ভাবে ডেলিভারি করতে পারি তাহলে বায়ারকে ইমপ্রেস করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। এছাড়াও আমাদের কাজের মান বৃদ্ধি পেলে আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং পরবর্তীতে আরও নতুন বায়ার এর সাথে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। তাই অবশ্যই ইমপ্রেস করার জন্য আমাদের কাজের মান বৃদ্ধি করতে হবে।
কেন বায়ারের কাছ থেকে ফিডব্যাক গ্রহণ করবেন
কেন বায়ারের কাছ থেকে ফিডব্যাক গ্রহণ করবেন এর কারণ হচ্ছে আপনি যখন কোন একটি কাজ বায়ার কে ডেলিভারি করবেন সেই কাজটি পেয়ে সে কতটা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে সেটি তার ফিডব্যাক এর গ্রহণ করার পরে বুঝা যাবে। এছাড়াও বায়ারের কাছ থেকে ফিডব্যাক গ্রহণ করার ফলে আপনার পণ্যের পরিষেবার মান সম্পর্কে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন এবং কোন জায়গাতে ঘাটতি দেখা দিলে সেটি খুব সহজেই পূরণ করতে পারবেন। এছাড়াও বায়ারের কাছ থেকে ফিডব্যাক গ্রহণ করার ফলে বায়ারের সাথে সুসম্পর্ক এবং বিশ্বাস তৈরি হয় যা আপনাকে আরো অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
ফিডব্যাক গ্রহণ করার ফলে আপনি বাজার প্রবণতা বুঝতে পারবেন এবং ক্রেতাদের চাহিদা এবং তাদের ধারণা সম্পর্কে আইডিয়া পাবেন। এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ফিডব্যাক গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি আরো বেশি সুবিধা পেতে পারেন যেমন আপনার পণ্যের মান উন্নয়ন মূল্য নির্ধারণ এবং বিক্রয়কর কৌশল গুলো পরিবর্তন বা আপডেট করতে পারবেন যা খুব সহজেই সম্ভব হবে বায়ারের ফিডব্যাক গ্রহণ করার ফলে। তাই বলা যায় ফিডব্যাক অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মানসিক ইতিবাচকতা ও ধৈর্য ধারণ করা
মানসিক ইতিবাচকতা এবং ধৈর্য ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভালো দিক। শুধু নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবেই নয় আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে মানসিক ইতিবাচকতা তৈরি করা এবং ধৈর্য ধারণ করা এটি একটি অনেক বড় গুণ যা সবার মধ্যে থাকে না। যেকোনো কাজ করার সময় আমাদের অবশ্যই সে কাজের প্রতি ভালোবাসা এবং মানসিক ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে এসে ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হবে। মানসিক ইতিবাচক চিন্তা আমাদের কাজের মান বৃদ্ধি এবং কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে এবং আমাদের সফল হতে সাহায্য করে।
তাই আমাদের যে কোন কাজ করার সময় অবশ্যই সে কাজের প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরি এবং ধৈর্য ধারণ করে কাজ করতে হবে। ধৈর্য ধারণ করা সফলতা প্রথম এবং প্রধান চাবিকাঠি বলা হয়ে থাকে। নতুন অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ধৈর্য ধারণ না করলে সফলতা পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে যা পরবর্তীতে এই মুক্ত পেশার উপর অনেকের ভুল ধারণা তৈরি হয়। তাই অবশ্যই আমাদের মানসিক ইতিবাচকতা এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ ডেলিভারি দেওয়া
সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ ডেলিভারি দেওয়া এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বায়ারের সাথে আপনি যখন কোন একটি কাজের চুক্তি সম্পন্ন করবেন সেই চুক্তি অনুযায়ী অবশ্যই ডেড লাইন শেষ হওয়ার আগেই বায়ার কে সেই কাজটি বুঝিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমাদের প্রোফাইল এবং আমাদের ফ্রিল্যান্সিং আইডির প্রতি খুব খারাপ একটি প্রভাব পড়বে যা পরবর্তীতে আমাদের জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে।

নিজেকে সময়ের সাথে সাথে আপডেট রাখা
বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলো অনেক প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে যার ফলে একটি কাজের বিপক্ষে বেশ কয়েকজন মানুষ প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে। আর এই প্রতিযোগিতার মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে সময় মত এবং সময়ের সাথে সাথে নিজেকে এবং নিজের দক্ষতাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু তাই নয় সাথে সাথে নিজেকে আপডেট করার ফলে কিংবা নিজের প্রোফাইল আপডেট করার ফলে খুব সহজে আমাদের ক্লায়েন্টের সামনে দক্ষতা এবং আধুনিকতা ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হব।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সেরা উপায়
যার ফলে বায়ারের কাছে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের প্রফেশনাল এর বিষয়টি উঠবে। সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট করার ফলে আমরা বেশি বেশি আর্নিং করতে পারবো যা খুবই একটি ভালো দিক এবং তার সাথে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url