ফাইভারে গিগ তৈরির পদ্ধতি -ফাইভারে গিগ প্রমোট করার উপায়
ফাইভারে গিগ আকর্ষণীয় করার উপায়ফাইভারে গিগ তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। ফ্রিল্যান্সিং জগতে আমাদের যে সকল দক্ষতা রয়েছে সাধারণত এগুলো যে পেইজের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় সেটিকেই ফ্রিল্যান্সিং এর ভাষায় গিগ বলা হয়ে থাকে।
আমরা যারা ফাইভারে কাজ করি অথবা কাজ করতে চাই তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার ফাইভারে গিগ তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানেনা। আজকের এই আর্টিকেলে ফাইভারে গিগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ ফাইভারে গিগ তৈরির পদ্ধতি
- ফাইভারে গিগ তৈরির পদ্ধতি
- ফাইভার কাকে বলে
- গিগ বলতে কি বোঝায়
- ফাইভার গিগ মার্কেটিং কি
- ফাইভারে গিগ প্রমোট করার উপায়
- ফাইভারে কিভাবে সেরা গিগ করা যায়
- ফাইভারে গিগ আকর্ষণীয় করার উপায়
- ফাইভারে গিগ টাইটেল কেমন হলে ভালো হয়
- ফাইভারে বেশি কাজ পাওয়ার পদ্ধতি
- আমাদের শেষ কথা
ফাইভারে গিগ তৈরির পদ্ধতি
ফাইভারে গিগ তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী মার্কেটপ্লেস রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফাইভার। ফাইভার মার্কেটপ্লেস এর কাজ পাওয়ার জন্য গিগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গিগ এর মধ্যে একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রতিটি বিষয় উল্লেখ করা থাকে। বিশেষ করে একজন ফ্রিল্যান্সার কোন কাজে পারদর্শী এছাড়াও পেমেন্ট চার্জ সহ প্রতিটি বিষয়ে উল্লেখ করা থাকে। নতুনদের অবশ্যই একটি ফাইভার গিগ তৈরি করার নিয়ম জানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শেখার ৩০টি সহজ উপায় - ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
প্রথম ধাপঃ ফাইভার গিগ তৈরি করার ক্ষেত্রে ওভারভিউ বিভাগে প্রথমে আপনাকে একটি ভালো শিরোনাম দিতে হবে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ফাইভারে ‘I will’ শব্দ দিয়ে প্রতিটি গিগ শুরু হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে গিগে লিখতে হবে ‘I will Design website for your company’। আপনি যে কাজে এক্সপার্ট হন না কেন গিগ সাজাতে হবে ‘I will’ শব্দটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাক্যগুলো দিয়ে।
দ্বিতীয় ধাপঃ গিগের বেশ কয়েকটি বিভাগ রয়েছে এগুলোর মধ্যে প্রাইজিং বিভাগ অন্যতম এখানে আপনাকে গিগের প্যাকেজ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে সকল সেবা দিবেন এবং এই সেবা গুলো দেওয়ার জন্য কোন ধরনের প্যাকেজ বানাতে চান এ প্যাকেজগুলো আপনাকে এখানে উল্লেখ করতে হবে। একটি প্রফেশনাল ফাইভার গিগ বানাতে হলে গিগের জন্য তিনটি প্যাকেজ রাখা সবচাইতে ভালো।
তৃতীয় ধাপঃ তৃতীয় ধাপে ডেসক্রিপশন বিভাগে আপনি যেই গিগ তৈরি করেছেন এর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। সাধারণত আপনার তৈরি করা গিগটি কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে কোন ক্লাইন্ট যদি চিনতে চাই তাহলে সে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা গুলো পাবে এই বিষয় গুলো আপনাকে এখানে উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা গুলো দিতে চান এগুলোই উল্লেখ করতে হবে।
চতুর্থ ধাপঃ এরপরে রিকোয়ারমেন্ট বিভাগ পূরণ করতে হবে। কেউ যদি গিগ অর্ডার করে তাহলে আপনার যে ধরনের তথ্যগুলো এবং সোর্সগুলো দরকার হবে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। এখন কোন ক্লায়েন্ট যদি ওয়েবসাইট ডিজাইন এর জন্য আপনার তৈরি করা গিগ কেনেন তাহলে আপনাকে তার ওয়েবসাইটের ডোমেন হোস্টিং এর তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই প্রয়োজনীয় ছবি পাঠাতে হবে। কারণ এই তথ্যগুলো ছাড়া কখনো নির্দিষ্ট সময়ে নির্দেশনা মতো কাজ করা যাবে না।
পঞ্চম ধাপঃ ফাইভার গিগ তৈরি করার সময় ইমেজ গ্যালারি একটি অংশ দেখতে পাবেন সাধারণত এখানে আপনাকে আপনার সেবার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এবং ছবি যুক্ত করতে হবে। ছবি এবং ভিডিওগুলো এরকম হতে হবে যে ক্লায়ন্টরা এই ভিডিও এবং ছবিগুলো দেখে ভালো ধারণা পাই। কারণ ইমেজ এবং ভিডিও যদি উন্নতমানের না হয় তাহলে কাজের অর্ডার পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
ফাইভার কাকে বলে
ফাইভার কাকে বলে? চলুন বিস্তারিত ভাবে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেই। আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং করবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন সাধারণত তাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ফাইভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। সাধারণত এটিকে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বলা হয়ে থাকে। ২০১০ সালে ইজরাইলের একটি কোম্পানি এই মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২৩ সালের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে ৪.৩ মিলিয়ন অ্যাক্টিভ বায়ার এবং ৩৮,০০০০ জন ফ্রীলান্সার একটিভ রয়েছে। তবে এই সংখ্যা দিন দিন আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হয়।
গিগ বলতে কি বোঝায়
গিগ বলতে কি বোঝায়? যারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুন সাধারণত তারা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেনা। তবে আপনি যদি সঠিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনার উচিত গিগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। বিশেষ করে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে অবশ্যই গিগ সম্পর্কে জানতে হবে। সেটা আপনি যেকোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করুন না কেন। গিগ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস জগতের এক ধরনের সিভি।
একজন নতুন অথবা পুরাতন ফ্রিল্যান্সার ফাইভারে অথবা অন্যান্য মার্কেট প্লেসে তার সার্ভিস গুলো বিক্রি করার জন্য যে সকল সুবিধা প্রদান করবে এবং বায়ারের প্রজেক্ট কতদিনের মধ্যে সাবমিট করবে সাধারণত এই বিষয়গুলো একটি পেজে উল্লেখ করা হয় যাকে ফ্রিল্যান্সিং এর ভাষায় গিগ বলা হয়। সাধারণত আপনি কি ধরনের কাজ করতে চান তার ওপর নির্ভর করে আপনাকে একটি সুন্দর গিগ সাজাতে হবে। যদি আপনি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় একটি গিগ তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার ভাগ্য খুলে যাবে।
ফাইভার গিগ মার্কেটিং কি
ফাইভারে গিগ তৈরির পদ্ধতি আলোচনা করার পাশাপাশি ফাইভার মার্কেটপ্লেসে গিগ তৈরি করে কিভাবে এটি মার্কেটিং করতে হয়? সাধারণত এই বিষয়েও আমাদেরকে জেনে নিতে হবে। আমরা কমবেশি সবাই জানে যে মার্কেটিং হল কোন বিষয়কে প্রচার করা। আমরা যারা ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চাই সাধারণত তাদের জন্য গিগ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কোন ধরনের সুবিধা দিতে চাই এবং কত দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে চাই কোন কাজের জন্য কত টাকা নিতে চাই এই বিষয়গুলো এখানে উল্লেখ করা থাকে।
এখন বিষয় হচ্ছে যে আপনি যদি আপনার সিভি প্রচার না করেন তাহলে কিন্তু কেউ আপনার সম্পর্কে জানতে পারবে না। ঠিক একই রকম ভাবে ফাইভার গিগ মার্কেটিং না করলে কেউ আপনার কাজের বিষয়ে জানতে পারবে না। এখন আমরা বিভিন্ন রকম উপায়ে ফাইভার গিগ মার্কেটিং করতে পারি। যখন আমরা একটি গিগ তৈরি করব সাধারণত তখন আমাদেরকে এ বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে। ফাইভার গিগের জন্য অবশ্যই আকর্ষণীয় টাইটেল এবং শিরোনাম খুঁজে বের করতে হবে। তাছাড়া যত ভালো গিগ মার্কেটিং করতে পারবেন আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পাবে।
ফাইভারে গিগ প্রমোট করার উপায়
ফাইভারে গিগ প্রমোট করার উপায় চলুন জেনে নেওয়া যাক। ফাইভার হল বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। কোন ফ্রিল্যান্সার যদি এখানে কাজ পেতে চাই তাহলে তাকে একটি আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করতে হবে এবং এটিকে কিভাবে প্রমোট করতে হবে সে সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখতে হবে। কারণ যে যত বেশি গিগ প্রমোট করবে সাধারণত তার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা ততো বৃদ্ধি পাবে।
প্রফেশনাল টাইটেলঃ গিগ তৈরি করার সময় যে টাইটেল দিবেন সেটি অবশ্যই প্রফেশনাল এবং আকর্ষণীয় হতে হবে। যেমন তেমন টাইটেল দিয়ে গিগ তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আকর্ষণীয় টাইটেল বায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।
সুন্দর ছবি ব্যবহার করাঃ গিগ তৈরি করার সময় অবশ্যই আমাদেরকে এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ছবি ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে আপনি যে সকল কাজে এক্সপার্ট সে ধরনের ছবিগুলো ব্যবহার করুন। এতে করে বায়ার আপনার সম্পর্কে জানতে পারবে।
স্পষ্ট বর্ণনা দিতে হবেঃ গিগ তৈরির সময় যে সকল বর্ণনা দিবেন এর মধ্যে কোন ধরনের ঝামেলা রাখা যাবে না। আপনি যে কাজগুলো পারেন সে কাজগুলো সম্পর্কেই তথ্য দিতে হবে। তাছাড়া কাজ কতদিনের মধ্যে জমা দিবেন সবকিছু স্পষ্ট করে দিতে হবে।
আকর্ষণীয় কিওয়ার্ড ব্যবহারঃ ফাইভার গিগ প্রমোট করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আকর্ষণীয় কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। গিগ মার্কেটিং এবং আকর্ষণীয় করার জন্য কিওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক মিডিয়াঃ গিগ তৈরি করার পরে যে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন এগুলোতে শেয়ার করতে হবে। বিশেষ করে যেখানে আপনার ফলোয়ার বেশি আছে সেখানে শেয়ার করুন।
ভিডিও ব্যবহার করতে হবেঃ গিগ আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য গিগের মধ্যে ভিডিও ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ভিডিও হতে হবে আপনার দক্ষতা এবং কাজের বিষয়ের উপর।
কাস্টমার সার্ভিসঃ গিগ তৈরি করার সময় আপনি কোন ধরনের সার্ভিস গুলো দিতে চাচ্ছেন সাধারণত এই বিষয়গুলো আপনাকে স্পষ্ট করতে হবে। তাছাড়া সার্ভিস গুলো কতদিনের মধ্যে জমা দিবেন এই বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
ফাইভারে কিভাবে সেরা গিগ করা যায়
ফাইভারে গিগ তৈরির পদ্ধতি জানার পাশাপাশি কিভাবে একটি সেরা গিগ তৈরি করা যায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কেও আমাদেরকে জেনে নিতে হবে। বর্তমানে যে সকল ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফাইভার। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি গুলো এই মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা কাজ করিয়ে নেই। তবে বেশি বেশি কাজ পাওয়ার জন্য গিগ আকর্ষণীয় ভাবে তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আকর্ষণীয় গিগ টাইটেল ব্যবহার করাঃ ফাইভারে অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে সাধারণত তাদের সবার গিগ রয়েছে। সবার থেকে আলাদা করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে আকর্ষণীয় এবং একটি সুন্দর গিফট টাইটেল ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া টাইটেলটি যেন এসইও ফ্রেন্ডলি হয়ে থাকে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
প্রতিযোগী নির্ণয় করাঃ আপনি কোন কাজে সবচাইতে বেশি অভিজ্ঞ এবং এক্সপার্ট এই বিষয়টি খুঁজে বের করে আপনার যে সকল প্রতিযোগী রয়েছে তাদের চাইতে ভাল মানের গিগ তৈরি করা। বিশেষ করে আপনার সেক্টরে যারা অনেকদিন ধরে কাজ করছে তাদের চাইতে আপনার গিগ যেন ভাল হয় এই বিষয়টি অবশ্যই লক্ষ্য রাখা।
ইউনিক ডেসক্রিপশন দেওয়াঃ ডেসক্রিপশন এর মধ্যে আমরা আমাদের সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে থাকি। বিশেষ করে আমরা যে সকল সেবা প্রদান করতে চাই সেই তথ্যগুলো দেওয়া হয়ে থাকে। সবাই একই ধরনের তথ্য দিয়ে থাকে। গিগ আকর্ষণীয় করার জন্য আপনাকে একটি ইউনিক ভাবে ডেসক্রিপশন দিতে হবে।
ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করাঃ গিগের মধ্যে যদি ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করা যায় তাহলে এর ইম্প্রেশন অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। গিগের ইম্প্রেশন বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আমাদেরকে কাজ সম্পর্কিত ছবি এবং ভিডিও গুলো গিগের মধ্যে যুক্ত করতে হবে। এতে করে বায়ার আপনার কাজ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবে।
ফাইভারে গিগ আকর্ষণীয় করার উপায়
ফাইভারে গিগ আকর্ষণীয় করার উপায় প্রতিটি ফাইভার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য জানা জরুরি। ফাইভারে কাজ পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে আকর্ষণীয় এবং সুন্দর একটি গিগ তৈরি করতে হবে। কিভাবে গিগ আকর্ষণীয় করা যায় সাধারণত এই বিষয়গুলো ইতিমধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয় গুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো আমাদের জানা নেই। ফাইভারে গিগ আকর্ষণ করার জন্য আরো বেশ কয়েকটি তথ্য উল্লেখ করা হলো।
গিগে সঠিক প্যাকেজ যুক্ত করতে হবেঃ ফাইভারে গিগ তৈরি করার সময় অবশ্যই আপনি কোন প্যাকেজ গুলো দিতে চাচ্ছেন সেটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। প্যাকেজের মধ্যে আপনি কোন সার্ভিস গুলো দিতে চাচ্ছেন এবং সার্ভিস কতদিনের মধ্যে দিতে চাচ্ছেন এ বিষয়গুলো অবশ্যই যুক্ত করতে হবে।
সঠিক ট্যাগ ব্যবহারঃ যদি সঠিক ট্যাগ ব্যবহার করা যায় তাহলে এটি ফাইভারে গিগ Rank করতে অনেক সাহায্য করবে। ফাইভার গিগে ট্যাগ মূলত এসইও এর মত কাজ করে থাকে। তাই গিফট তৈরি করার সময় অবশ্যই সঠিক ট্যাগ ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।
সুন্দর কাভার ফটো এবং প্রোফাইল ফটো দেওয়াঃ গিগ তৈরি করার সময় এটিকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সুন্দর একটি কাভার ফটো এবং প্রোফাইল ফটো যুক্ত করতে হবে। বিশেষ করে ছবি যুক্ত করার সময় অবশ্যই প্রফেশনাল ছবিগুলো যুক্ত করা জরুরী।
ফাইভারে গিগ টাইটেল কেমন হলে ভালো হয়
ফাইভারে গিগ টাইটেল কেমন হলে ভালো হয়? নতুনদের জন্য এই বিষয়টি জানা অত্যন্ত জরুরী। গিগের টাইটেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা অনেকেই টাইটেল হিসেবে আমাদের মনগড়া একটি বিষয় দিয়ে দেয় যা ফাইভারে আমাদের গিগ Ranking হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সাধারণত তাই এসইও ফ্রেন্ডলি টাইটেল ব্যবহার করা উচিত। কারণ আগেই বলা হয়েছে যে আপনার ফাইভার গিগ টাইটেল যদি এসইও ফ্রেন্ডলি না হয় তাহলে ফাইভার সার্চ রেজাল্টে আপনার গিগ উপরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। সাধারণত এই জন্য গিগ তৈরি করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে টাইটেল কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে এতে করে যদি কিছুদিন সময় লাগে তাহলে সমস্যা নেই।
ফাইভারে বেশি কাজ পাওয়ার পদ্ধতি
ফাইভারে বেশি কাজ পাওয়ার পদ্ধতি প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারদের জেনে রাখা উচিত। যারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে চাই সাধারণত তাদের সবার স্বপ্ন থাকে মার্কেটপ্লেসে কাজ করার। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফাইভার। তবে প্রতিটি মার্কেট প্লেসে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। যদি ভালোভাবে দেখা যায় তাহলে কাজের চাইতে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক বেশি। বেশি কাজ পাওয়ার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো।
আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করাঃ প্রোফাইল তৈরি করার সময় অবশ্যই আমাদেরকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আমরা যে সকল তথ্য দেব অবশ্যই সেই তথ্যগুলো আমাদের নিজস্ব তথ্য হতে হবে। বিশেষ করে আমাদের এনআইডি কার্ড অথবা সার্টিফিকেট অনুযায়ী সকল ধরনের তথ্য গুলো দিতে হবে। প্রোফাইল কে অন্যদের তুলনায় যতটা আকর্ষণীয় করা যায় তা করার চেষ্টা করতে হবে।
আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করাঃ শুধু প্রোফাইল সুন্দর হলে হবে না আপনার গিগ আকর্ষণীয় ভাবে গড়ে তুলতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে বায়ার আকর্ষণীয় গিগ দেখে কাজ দিয়ে থাকে। এখন কিভাবে একটি আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করা যাবে এ বিষয়গুলো আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনাকে সেই অনুযায়ী একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এ যে ২০টি কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
বায়ারদের সাথে কথা বলাঃ যদি কোন বায়ার আপনার সাথে কথা বলতে চাই এবং আপনার কাজ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চাই তাহলে তাদের সাথে ভালোভাবে কথা বলতে হবে। আপনার বিষয়ে সকল ধরনের তথ্য জানানোর পাশাপাশি তাদের বিষয়ে যে সকল তথ্য রয়েছে সবগুলোই জানতে হবে। এতে করে বায়ার আপনার প্রতি খুশি হতে পারে।
নিয়মিত অনলাইনে থাকাঃ আপনি যদি ফাইভার অথবা অন্যান্য মার্কেট প্লেসে বেশি কাজ পেতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত অনলাইনে থাকতে হবে। কারণ নিয়মিত অনলাইনে না থাকলে বায়ার যদি মেসেজ দেয় তাহলে আপনি তার মেসেজের উত্তর দিতে পারবেন না সময় মতো এবং আপনার হাত থেকে কাজ চলে যেতে পারে।
আমাদের শেষ কথা
ফাইভারে গিগ তৈরির পদ্ধতি আলোচনা করার পাশাপাশি এই সম্পর্কে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে প্রায় সবগুলো আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ফাইভার অথবা অন্যান্য মার্কেটপ্লেস ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আপনার উচিত আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। কারণ ফাইভার গিগ সম্পর্কে যে সকল তথ্য রয়েছে প্রায় সবগুলোই আলোচনা করা হয়েছে।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url