আপওয়ার্কে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করা এবং টাকা তোলার নিয়ম
আপওয়ার্কে মাসিক ইনকাম কতআপওয়ার্ক থেকে টাকা তোলার নিয়ম নিয়ে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। আমরা সবাই জানি যে আপওয়ার্ক হল জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। অনেকেই এখানে কাজ করে কিন্তু সেই কাজের অর্থ কিভাবে উত্তোলন করবে সেই বিষয়ে ধারণা নেই।
আপওয়ার্কে কাজ করতে গেলে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আপওয়ার্ক থেকে টাকা তোলার নিয়ম সম্পর্কে জানা। তাই এই বিষয়ে যে সকল তথ্য রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সূচিপত্রঃ আপওয়ার্ক থেকে টাকা তোলার নিয়ম
- আপওয়ার্ক থেকে টাকা তোলার নিয়ম
- আপওয়ার্কে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করার নিয়ম
- আপওয়ার্কে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
- আপওয়ার্কে কাজ বেশি পাওয়ার উপায়
- আপওয়ার্কে কিভাবে পেমেন্ট নিতে হয়
- আপওয়ার্কে কত টাকা বেতন পাওয়া যায়
- আপওয়ার্কে মাসিক ইনকাম কত
- আপওয়ার্ক একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম
- আপওয়ার্ক থেকে টাকা ট্রান্সফার হতে কত সময় লাগে
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
আপওয়ার্ক থেকে টাকা তোলার নিয়ম
আপওয়ার্ক থেকে টাকা তোলার নিয়ম নিয়ে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। আমরা যারা মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকি সাধারণত তারা অনেকেই জানেনা যে কিভাবে মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা তুলতে হয়। বর্তমানে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটপ্লেস রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আপওয়ার্ক। যদি আপনি একেবারেই নতুন হয়ে থাকেন এবং কাজ করে টাকা না উত্তোলন করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য টাকা উত্তোলনের নিয়ম সম্পর্কে জানা জরুরী।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এ যে ২০টি কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
১। মার্কেটপ্লেসের টাকা উত্তোলন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো স্ক্রিল। সাধারণত এটি অনলাইন টাকা উত্তোলন করার একটি মাধ্যম এখানে আপনি খুব সহজেই মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা উত্তোলন করে হিসাব রাখতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যদি চান তাহলে স্ক্রিল থেকে সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে অর্থ নিয়ে আসতে পারবেন কিন্তু এই ডলার অন্য কারো কাছে বিক্রি করে তারপরে নগদ অর্থ নিতে পারবেন। পেমেন্ট মেথড সেটআপ করার সময় অবশ্যই ডলারের সেটআপ করতে হবে।
২। যেকোনো মার্কেটপ্লেসের টাকা উত্তোলন করার জন্য পেয়নিয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি অনলাইন মাধ্যম। এই মাধ্যমে টাকা তোলার একটি বড় সুবিধা হল এখানে একাউন্টের সাথে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাওয়া যাবে সাধারণত এই কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের তাই এটিএম থেকে টাকা উঠাতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যদি চান তাহলে কেনাকাটার জন্যও এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। পেয়নিয়ার একাউন্টে থাকার ডলার বিক্রি করে নগদ অর্থ নিতে পারবেন। তবে প্রতিবার টাকা উত্তোলন করার ক্ষেত্রে কিছু টাকা চার্জ নেওয়া হয় এবং বাৎসরিক কিছু টাকা কাটা হয়।
৩। আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এর টাকা উত্তোলন করার আরো একটি নিয়ম এবং মাধ্যম হলো পেপাল। এটি ও জনপ্রিয় একটি অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পেপাল বৈধ নয়। এর মাধ্যমে কোন অর্থ আদান প্রদান করা সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি দেশের বাইরে থাকেন তাহলে দেশের বাইরের তথ্য দিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। পেপাল একাউন্ট করার জন্য আমাদের আপওয়ার্ক অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে। বাংলাদেশের কোন ব্যাংক থেকে পেপাল দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না।
আপওয়ার্কে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করার নিয়ম
আপওয়ার্কে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করার নিয়ম নিয়ে এই মুহূর্তে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন অথবা ফ্রিল্যান্সিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আপওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। উপার্জন করা অর্থ কিভাবে উত্তোলন করবেন সাধারণত আমরা ইতিমধ্যে এই বিষয় গুলো বিস্তারিত উল্লেখ করেছি। যদি আপনাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে প্রথম কাজ হল একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নেওয়া। যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট হতে পারে।
আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি বেশিরভাগ সময় মার্কেটপ্লেসের পেমেন্ট এর টাকা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নেওয়া হয়। কারণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাংক একাউন্টের মধ্যে টাকা নেওয়া সবচাইতে সহজ মাধ্যম। যদি আমাদের বৈধ ব্যাংক একাউন্ট আপওয়ার্ক পেমেন্ট মেথডের সাথে যুক্ত করা থাকে তাহলে আমাদের উপার্জন করা অর্থ উত্তোলন করা যাবে। তবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করার সময় অবশ্যই বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাংক একাউন্টের তথ্য এবং আপওয়ার্ক একাউন্টের তথ্য একই হতে হবে।
আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে থাকা টাকা প্রতিবার উত্তোলন করতে হলে $4.99 ফি দিতে হবে। মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা উত্তোলন করার তিন থেকে পাঁচ দিনের ভেতরেই ব্যাংক একাউন্টের মধ্যে জমা হয়ে যাবে। বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যেতে পারে। ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায় কিন্তু এক্ষেত্রে টাকা কিছু বেশি কাটে। ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করার সময় অবশ্যই ব্যাংকের নাম, একাউন্ট ধারে নাম এবং ব্যাংকের সুইফট কোড ঠিকভাবে দিতে হবে।
আপওয়ার্কে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
আপওয়ার্কে ক্যারিয়ার গড়ার উপায় অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সাররা জানতে চাই। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশা। অনেকেই আছে কিন্তু কিভাবে করবে সাধারণত এ বিষয় গুলো বুঝতে পারে না। তবে যে কোন মার্কেট প্লেসে ক্যারিয়ার গড়তে হলে অবশ্যই আমাদেরকে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যেকোনো একটি অথবা দুইটি কাজের ওপর নিজেদের স্কিল বৃদ্ধি করতে হবে। যেন আমরা এমনভাবে কাজ দেই বায়ার আমাদের কাজের প্রতি খুশি হয়।
ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে যে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে যে সকল ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আপওয়ার্ক। পূর্বে এ ধরনের মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজের চাহিদা বেশি ছিল কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা কম ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে কাজের চাহিদা কম কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা অনেক বেশি। তাই নতুন ফ্রিল্যান্সারদের মার্কেটপ্লেসের কাজ করা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও বেশ কিছু করণীয় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে ক্যারিয়ার সহজ করা যায়।
যে কোন মার্কেটপ্লেস ক্যারিয়ার গড়তে হলে প্রথম কাজ হল কাজ জানা। আপনি যদি কাজ জানেন তাহলে কাজের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ক্যারিয়ারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। যদি কাজ না জানেন তাহলে কখনোই মার্কেটপ্লেস অথবা অন্য যে কোন কোথাও ভালো কিছু করতে পারবেন না। যে সকল কাজের চাহিদা বেশি যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য কাজ গুলোতে এক্সপার্ট হতে হবে।
আপওয়ার্কে কাজ বেশি পাওয়ার উপায়
আপওয়ার্ক থেকে টাকা তোলার নিয়ম আশা করছি ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন। আপওয়ার্কে দীর্ঘদিন কাজ করার পরেও অনেকেই কাজ পাই না সাধারণত এই হতাশায় মার্কেটপ্লেস ছেড়ে দেয়। শুরুতে আপনাদের একটি বিষয় জানিয়ে রাখি যে ফ্রিল্যান্সিং হল ধৈর্যের পরীক্ষা। আপনার যদি ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা থাকে তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং লাইনে আসতে পারেন। যদি ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা কম থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে দূরে থাকাই ভালো।
বর্তমানে প্রতিটি মার্কেট পেলে সেই ফ্রিল্যান্সারদের এত প্রতিযোগিতা যে প্রথম অবস্থায় কাজ পাওয়া অনেক কঠিন। তবে একবার যদি কাজ পাওয়া যায় এবং বায়ারকে খুশি করানো যায় তাহলে পরবর্তীতে কাজ পাওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যায়। বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে আমরা বেশি বেশি কাজ নিতে পারব। তাহলে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক যে কোন বিষয়গুলো অনুসরণ করলে বেশি বেশি কাজ পাওয়া যাবে?
যেকোনো মার্কেট প্লেসে বেশি কাজ পেতে হলে আপনাকে সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইল তৈরি করার সময় যে সকল তথ্যগুলো দিতে হয় অবশ্যই অরজিনাল তথ্য দিতে হবে। তথ্যের মধ্যে যেন কোন ধরনের ঝামেলা না থাকে এ বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এরপরে প্রোফাইলে নিজের সুন্দর একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল পিকচার সেট করতে হবে। অর্থাৎ কিভাবে প্রোফাইলের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা যায় এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
মার্কেটপ্লেসের সিভি বলা হয় অর্থাৎ গিগ আকর্ষণীয় করে তৈরি করতে হবে। যার গিগ যত বেশি আকর্ষণীয় সাধারণত তার কাজ পাওয়া সম্ভব না তত বেশি থাকে। আপনি যদি গিগ আকর্ষণীয় করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ভালো কাজ পাবেন। গিগ তৈরি করার সময় এখানে ছবি ভিডিওসহ বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট যুক্ত করতে হবে এর ফলে এর আকর্ষণ আরো বৃদ্ধি পাবে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে। বায়ারদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।
আপওয়ার্কে কিভাবে পেমেন্ট নিতে হয়
আপওয়ার্কে কিভাবে পেমেন্ট নিতে হয়? যারা এই ধরনের প্রশ্ন করে সাধারণত তাদের প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি বেশ কয়েকটি উপায়ে পেমেন্ট নিতে পারবেন। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট নিয়ে থাকে। কিভাবে কোন মাধ্যমে পেমেন্ট দেওয়া হয় সাধারণত এগুলো বিস্তারিত জানতে উপরের বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করার পদ্ধতি ও সংক্ষিপ্ত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আপওয়ার্কে কত টাকা বেতন পাওয়া যায়
আপওয়ার্ক থেকে টাকা তোলার নিয়ম জানার পাশাপাশি আপওয়ার্কে কত টাকা বেতন দেয়? সাধারণত এই বিষয়টি নতুনরা অনেকেই জানতে চাই। আমরা যখন কারো অধীনে চাকরি করি সাধারণত তখন আমাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এবং আপওয়ার্ক এমন একটি মাধ্যম যেখানে আমরা কারো অধীনে কাজ করছি না। এখানে আমরা নির্দিষ্ট সময় নিয়ে একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি যেটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদেরকে জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ২০টি সেরা উপায় ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করার
মাস শেষে আপনি যতগুলো প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করতে পারবেন এবং প্রজেক্ট প্রতি যত টাকা নিবেন সাধারণত সেই অনুযায়ী আপনার বেতন হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে মাসে অনেক গুলো কাজ করলে বেতন বেশি পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় কাজ কম করলে বেতন কমে যায়। যদিও প্রথম অবস্থায় কাজ পাওয়া অনেকটা কঠিন তবে কেউ যদি কাজ পায় তাহলে মাসে যতগুলো কাজ করবে সেই কাজের বিনিময়ে তেমন টাকা বেতন পাবে।
আপওয়ার্কে মাসিক ইনকাম কত
আপওয়ার্কে মাসিক ইনকাম কত? যারা জানতে চাই তাদেরকে বলে রাখি এখানে নির্দিষ্ট কোন ইনকাম নেই। ইতিমধ্যে বলা হয়েছে যে মাসে যেমন কাজ হবে তেমন ইনকাম। যেই মাসে আপনি বেশি কাজ করবেন সেই মাসে বেশি ইনকাম করতে পারবেন আর যদি কম কাজ হয় তাহলে কম ইনকাম হবে। ফ্রিল্যান্সিং বিশেষ করে মার্কেটপ্লেসের আয় উঠানামা করে। অনেক সময় দেখা যায় যে বেশি আয় হয় আবার অনেক সময় বিভিন্ন কারণে কাজ কমে যাওয়ার জন্য ইনকাম কমে যায়। তাই যত বেশি কাজ পাওয়া যায় এ বিষয়টির উপর আমাদেরকে বেশি নজর দিতে হবে।
আপওয়ার্ক একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম
আপওয়ার্ক একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম জেনে রাখা প্রতিটি ফ্রিল্যান্সারদের দায়িত্ব। বায়াররা ভেরিফাই অ্যাকাউন্টের বেশি কাজ দিয়ে থাকে। যারা সত্যিকারের ভালো ফিন্যান্সার সাধারণত তাদের একাউন্ট ভেরিফাই করা থাকে। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং ভালো কাজ জানেন তাহলে আপনার প্রথম করণীয় হলো অ্যাকাউন্ট খোলার পরে আপওয়ার্ক একাউন্টটি ভেরিফাই করে নেওয়া। কিভাবে ভেরিফাই করতে হয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য যারে জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে রাখতে হবে। যে কোন দুইটি সঙ্গে রাখলে সবচাইতে ভালো হয়।
- একাউন্ট তৈরি করার সময় যে সকল তথ্য দিয়ে একাউন্ট তৈরি করেছেন সাধারণত সেই তথ্যগুলো অবশ্যই মনে রাখতে হবে। কারণ আইডি ভেরিফাই করার জন্য এই তথ্যগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- অ্যাকাউন্ট খোলার পরে অবশ্যই একাউন্টের মধ্যে নিজের ছবি ব্যবহার করতে হবে। নিজের ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে না হলে আইডি ভেরিফাই হবে না।
- যদি প্রয়োজনীয় কোন ডকুমেন্ট আপলোড করতে বলে তাহলে সেগুলোকে আপলোড করে দিতে হবে। আপওয়ার্ক একাউন্টের মধ্যে থাকার তথ্যগুলোর সাথে অবশ্যই আইডির তথ্য মিলতে হবে না হলে আইডি সাসপেন্ড হয়ে যাবে।
আপওয়ার্ক থেকে টাকা ট্রান্সফার হতে কত সময় লাগে
আপওয়ার্ক থেকে টাকা ট্রান্সফার হতে কত সময় লাগে? সাধারণত যারা এর আগে টাকা উত্তোলন করেছে তারা ভালোভাবে জানে। আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো জেনে নেওয়া। আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা উইথড্র করার ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যেই ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার হয়ে যায়। যদি এর চাইতে বেশি সময় লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মার্কেটপ্লেস সাপোর্টিং টিমের সাথে কথা বলতে হবে অথবা যে ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে সে ব্যাংকের ব্রাঞ্চে গিয়ে কথা বলতে হবে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
আপওয়ার্ক থেকে টাকা তোলার নিয়ম নিয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে এই সম্পর্কে যে সকল তথ্য ছিল এবং কিভাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করা যায় সাধারণত এই বিষয় গুলো আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একেবারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে বিস্তারিত ভাবে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া।
আশা করছি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপওয়ার্কে পেমেন্ট সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় যদি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url