OrdinaryITPostAd

আপওয়ার্কে কাজ করার সমস্ত নিয়মকানূন যা জানা জরুরী

আপওয়ার্কে কাজ করার সুবিধাআপওয়ার্ক পরিষেবার শর্তাবলী নিয়ে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস রয়েছে। এই জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আপওয়ার্ক।

আপওয়ার্ক-পরিষেবার-শর্তাবলী

আপনি যদি এই জনপ্রিয় মার্কেট প্লেসে কাজ করতে চান তাহলে আপনার উচিত আপওয়ার্ক পরিষেবার শর্তাবলী কোনগুলো এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া। তাছাড়া নতুনদের জন্য আপওয়ার্ক সম্পর্কে আরো বেশ কয়েকটি বিষয় জানার রয়েছে।

সূচিপত্রঃ আপওয়ার্ক পরিষেবার শর্তাবলী

আপওয়ার্ক পরিষেবার শর্তাবলী

আপওয়ার্ক পরিষেবার শর্তাবলী সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান অথবা এখানে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে শর্ত পূরণ করতে হবে। যদি এই শর্ত গুলো পূরণ করতে না পারেন তাহলে কখনো এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না এবং কাজ করতে পারবেন না। যে কোন মার্কেটপ্লেসে সফল হতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে তাদের সেবার শর্তাবলী গুলো জানতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা আয় করার ১৫টি কার্যকরী উপায়

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এর সুবিধা পেতে হলে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। মার্কেট প্লেসে কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট ছাড়া আপনি সুবিধা পাবেন না। তাছাড়া আপনি যেহেতু এখানে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন সেহেতু একটা সুন্দর একাউন্ট করা জরুরী। তাছাড়া আপনার বয়স যদি ১৮ বছর না হয় তাহলে আপনি এখানে একাউন্ট করতে পারবেন না। তাই যে সকল তথ্য দিবেন অবশ্যই সেগুলো যেন ১৮ বছর প্রমাণ করে।

আপওয়ার্ক মার্কেট প্লেসে সুবিধা নেওয়ার আরও একটি শর্তাবলী হল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় অবশ্যই সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। সাধারণত আমরা অনেকেই আমাদের সঠিক তথ্য প্রদান করি না। এ বিষয়টি থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট অনুযায়ী সকল ধরনের তথ্য প্রদান করতে হবে। সুন্দর করে একটি প্রোফাইল পিকচার যুক্ত করতে হবে অবশ্যই প্রোফাইল পিকচারটি প্রফেশনাল হতে হবে।

আপওয়ার্ক কাকে বলে

আপওয়ার্ক কাকে বলে? যদি এ বিষয়ে কোন ধারণা না থাকে এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনার উচিত আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। একেবারে সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপওয়ার্ক হচ্ছে একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এই মার্কেটপ্লেসটি অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে এই জনপ্রিয় মার্কেট প্লেসে লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।

এ মার্কেট প্লেসে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সিং জগতে যে সকল কাজ রয়েছে প্রায় সবগুলোই এখানে পাওয়া যাবে। আপওয়ার্কে ফ্রিল্যান্সাররা প্রোফাইল তৈরি করে। তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী একজন ক্লায়েন্ট তাদের প্রজেক্ট এর জন্য ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ করে থাকে কিছু সময়ের জন্য। এ মার্কেট প্লেসে প্রতি ঘন্টা অথবা পেমেন্ট অনুযায়ী কাজ করা হয়। সাধারণত তাই রিলায়েন্সারদের কাছে এই মার্কেটপ্লেসটি সবচাইতে বিশ্বস্ত মার্কেট প্রাইস হিসেবে পরিচিত।

আপওয়ার্ক কোন ধরনের মাধ্যম

আপওয়ার্ক পরিষেবার শর্তাবলী নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। আপওয়ার্ক হল এক ধরনের জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশের ফ্রিল্যান্সাররা এই মার্কেট প্লেসে কাজ করে থাকে। এখানে দুই ধরনের ব্যক্তি কাজ করতে পারে। একজন যে তার সেবা এবং সার্ভিস গুলো বিক্রয় করবে এবং অন্যজন হল বায়ার যে সার্ভিস গুলো ক্রয় করবে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে যে সকল কাজ রয়েছে প্রায় সবগুলোই এই মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে পাওয়া যায়। সাধারণত এই চাহিদা সম্পন্ন কাজ গুলোর উপরে দক্ষ এবং স্কিল বাড়িয়ে একজন ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করতে আসে এবং অন্যজন বায়ার তাদের কাজের দক্ষতা অনুযায়ী তাদেরকে কিছু সময়ের জন্য চাকরিতে নিয়োগ দেয়।

আপওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে

আপওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে? গুরুত্বপূর্ণ জানার একটি বিষয়। আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে বর্তমান সময়ের যে সকল গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটপ্লেস রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা মার্কেটপ্লেস হল আপওয়ার্ক। তবে যারা প্রথম অবস্থায় এখানে কাজ শুরু করছে বা করতে চায় সাধারণত তারা অনেকে জানে না যে কিভাবে এখানে কাজ করতে হয়? সাধারণত আমাদের প্রত্যেকের উচিত কাজ করার মাধ্যম গুলো সম্পর্কে জেনে তারপরে কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া।

আপওয়ার্ক-কিভাবে-কাজ-করে

অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে -- আপওয়ার্ক মার্কেট প্লেসে যদি আপনার কোন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে তাহলে আপনি এখানে কখনোই কাজ করতে পারবেন না। যেহেতু কাজ করতে চাচ্ছেন সেহেতু আপনার উচিত একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নেওয়া। সাধারণত এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কাজ খুঁজে বের করা, কাজ জমা দেওয়া, পেমেন্ট নেওয়া থেকে শুরু করে আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

জব পোস্টিং সিস্টেম -- এই মার্কেট প্লেসে আপনি তিন ধরনের জব পোস্টিং করতে পারবেন। যখন এই মার্কেটপ্লেস শুরু করা হয় সাধারণত তখন ফিক্সড এবং ঘণ্টা ভিত্তিক কাজ করার নিয়ম থাকলেও বর্তমান সময়ে গিগ হিসেবেও কাজ করা হচ্ছে। এখানে ফিক্সড যে সকল কাজ রয়েছে এগুলোতে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ জমা দিতে হবে। কিন্তু এখন ফ্রিল্যান্সাররা গিগ এর মাধ্যমে তাদের সকল ধরনের তথ্য তুলে ধরবে যদি বায়ার তার পছন্দ অনুযায়ী কাজ পাওয়ার মত হয় তাহলে তার সার্ভিস গুলো নিবে এবং কাজ ডেলিভারির নেওয়ার পরে ফ্রিল্যান্সারদের একাউন্টে টাকা জমা হবে।

সেলার এবং বায়ার নিয়ন্ত্রণ -- এই ধরনের মার্কেটপ্লেস গুলোতে দুই ধরনের ব্যক্তি কাজ করতে পারে। একজন সেবা গ্রহণ করে এবং অন্যজন সেবা বিক্রয় করে থাকে। এখন বিষয় হচ্ছে যে সঠিকভাবে কাজ পরিচালনা করার জন্য সেলার এবং বায়ার নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন সেলারকে বায়ারের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে তারা কোন ধরনের কাজ পছন্দ করে এবং কেমন কাজ নিতে চাই এ বিষয় গুলো তাদের কাছে জেনে নিতে হবে। কারণ একজন বায়ারের কাছ থেকে আরো অনেক গুলো কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আপওয়ার্কে যেভাবে ক্যারিয়ার গড়বেন

আপওয়ার্কে যেভাবে ক্যারিয়ার গড়বেন নতুনদের অবশ্যই এ বিষয়গুলো জানা উচিত। সাধারণত আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং জগতে ক্যারিয়ার গড়তে চাই কিন্তু পারিনা। বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে এটা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। তবে বেশ কিছু কাজ রয়েছে যদি আমরা এগুলো অনুসরণ করতে পারি তাহলে খুব সহজেই নিজেদের একটি ভালো ক্যারিয়ার বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে করতে পারব।

সুন্দর একাউন্ট তৈরি করা -- যেকোনো মার্কেট প্লেসে ক্যারিয়ার করতে হলে অবশ্যই প্রথম কাজ হল সুন্দর করে একটি একাউন্ট তৈরি করা। একাউন্ট তৈরি করার সময় যে সকল তথ্য দিতে হবে সেগুলো অবশ্যই অরজিনাল তথ্য দিতে হবে। কারণ অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার সময় অবশ্যই এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইন্টারভিউ দিতে হবে -- একাউন্ট তৈরি তৈরি করে আমাদের পরবর্তী কাজ হল ইমেইল ভেরিফাই করে নেওয়া। সাধারণত এরপরে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস একাউন্ট একটিভ করার জন্য ভিডিও ইন্টারভিউ দিতে হবে। ইন্টারভিউ আপনার সম্পর্কে সকল ধরনের ডাটা নিয়ে এবং মিলিয়ে ভেরিফাই করা হবে।

প্রোফাইল সম্পন্ন করা -- একাউন্ট যদি ভেরিফাই হয়ে যায় সাধারণত পরবর্তীতে আমাদের কাজ হল প্রোফাইলটিকে সম্পন্ন করতে হবে। অর্থাৎ প্রোফাইলে যদি কোন কিছু বাদ থাকে যেমন প্রোফাইল পিকচার যুক্ত করা থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের তথ্য বাকি থাকলে সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

নিয়মিত একটিভ থাকা -- মার্কেটপ্লেসের ক্যারিয়ার গড়তে হলে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হল নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে। যে কোন মার্কেটপ্লেসের যদি নিয়মিত একটিভ না থাকা হয় তাহলে বায়ারের কাছ থেকে কাজগুলো পাওয়া সম্ভব হবে না। তাই অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে একাউন্ট সাজিয়ে নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে।

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়

আপওয়ার্ক পরিষেবার শর্তাবলী জানার পাশাপাশি এই মার্কেটপ্লেসে কোন ধরনের কাজগুলো পাওয়া যায় সাধারণত এই বিষয়ে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। আমরা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্যই মার্কেটপ্লেস বেছে নেই। সাধারণত এই মার্কেট প্লেস গুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হয়ে থাকে। আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান তাহলে কোন কাজগুলো করতে পারবেন এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি চলন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • আর্টিকেল রাইটিং এবং কনটেন্ট  ক্রিয়েশন
  • ওয়েব এবং অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং মাল্টিমিডিয়া
  • ডাটা এন্ট্রি
  • আইটি এবং নেটওয়ার্কিং
  • লোগো ডিজাইন
  • সেলস এবং মার্কেটিং
  • ডেটা এনালিটিক্স

আপওয়ার্ক মার্কেট প্লেসে কাজ পাওয়ার উপায়

আপওয়ার্ক মার্কেট প্লেসে কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। যারা একেবারে প্রথম একাউন্ট তৈরি করেছে সাধারণত তাদের জন্য কাজ পাওয়া অনেকটাই কঠিন। এ কঠিন কাজ গুলো সহজ করার জন্য বেশ কিছু করণীয় রয়েছে। এই করণ এগুলো না জানার কারণে অনেক সময় আমরা মার্কেটপ্লেসের কাছ থেকে বঞ্চিত থাকি। তাই বেশি বেশি কাজ পাওয়ার উপায় গুলোর নিচে উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এ যে ২০টি কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি

আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করা -- আপওয়ার্ক মার্কেট প্লেস ছাড়াও যেকোনো মার্কেট প্লেসে যদি আপনি বেশি বেশি কাজ পেতে চান তাহলে আপনাকে একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। সাধারণত অন্য সবার চাইতে প্রোফাইলটি একটু আলাদা হতে হবে। তবে অবশ্যই প্রফেশনাল প্রোফাইল হওয়া জরুরী। তাই অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় যে সকল তথ্য দেওয়া প্রয়োজন সেই তথ্যগুলো সঠিক দিতে হবে।

আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করা -- মার্কেটপ্লেসের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আকর্ষণীয় গিগ। যে ফ্রিল্যান্সারের গিগ যত বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হবে সাধারণত তার কাজ ততো বেশি হবে। এক্ষেত্রে গিগ তৈরি করার সময় অবশ্যই ছবি, ভিডিও এবং ডকুমেন্ট যুক্ত করতে হবে। সাধারণত এর ফলে গিগের ইম্প্রেশন আগের থেকে বৃদ্ধি পাবে।

বায়ারদের সাথে কথা বলা -- যদি প্রথমে কোন কাজ পাওয়া যায় তাহলে সে কাজ সম্পর্কে অবশ্যই বায়ারদের কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। বায়ার কোন ধরনের কাজ পছন্দ করে? কেমন কাজ করলে ভালো হবে সাধারণত এই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া জরুরী। কোন ধরনের তথ্য যদি নেওয়ার হয় তাহলে বায়ার এর কাছ থেকেই নিতে হবে।

সঠিক সময়ে কাজ জমা দেওয়া -- আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে বেশি কাজ পাওয়ার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে সঠিক সময় কাজ জমা দেওয়া। আপনি যদি সঠিক সময়ে সঠিক কাজ জমা দিতে পারেন তাহলে বায়ার আপনার একাউন্টে রেটিং ভালো দেবে যার ফলে অন্যান্য ভাইয়েরা আপনার একাউন্টের প্রতি আকর্ষিত হবে। তাই এই বিষয়টি কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।

আপওয়ার্ক মার্কেট প্লেসে কি সফল হওয়া যায়

আপওয়ার্ক মার্কেট প্লেসে কি সফল হওয়া যায়? চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত আমরা যারা মার্কেটপ্লেসে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করি সাধারণত সবাই সফল হতে চাই। সফল হতে চাইলে বেশ কিছু করণীয় রয়েছে সাধারণত আমাদেরকে এই করণীয় গুলো অনুসরণ করতে হবে। যেকোনো মার্কেট প্লেস এর সফল হতে হলে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। যাদের ধৈর্যধারণ ক্ষমতা একেবারেই কম সাধারণত তাদের মার্কেটপ্লেসে কাজ করা উচিত নয়। ধৈর্য ধারণ করে যদি কাজ পাওয়ার উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এখানে আপনি সফল হতে পারবেন। তাছাড়া প্রথম যে কাজ পাবেন সেটি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে করতে হবে।

আপওয়ার্কে কাজ করার সুবিধা

আপওয়ার্কে কাজ করার সুবিধা আছে কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা। অন্যান্য মার্কেটপ্লেস বাদ দিয়ে আপনি যদি আপওয়ার্কে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই এর মধ্যে থাকা সুবিধা গুলো সম্পর্কে আপনাকে জেনে নিতে হবে। একাউন্ট তৈরি করার আগে এবং কাজ করার মন-মানসিকতার আগে অবশ্যই সুবিধা গুলো জেনে নিন।

আপওয়ার্কে-কাজ-করার-সুবিধা

  • আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এর সবচাইতে বড় সুবিধা হল এখানে আপনি ঘন্টা ভিত্তিক এবং প্রজেক্ট ভিত্তিক পদ্ধতিতে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যদি ঘন্টা ভিত্তিক পদ্ধতিতে কাজ করেন তাহলে যত ঘন্টা কাজ করবেন ঠিক তত ঘণ্টার পারিশ্রমিক পাবেন।
  • তাছাড়া এই মার্কেটপ্লেসের আরো একটি বড় সুবিধা রয়েছে সেটি হল আপনি যে কাজে এক্সপার্ট সাধারণত সেই ধরনের কাজগুলো খুঁজে বিড করতে পারবেন।
  • আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসের সুবিধাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এখানে একজন সেলার তার বায়ারের সাথে সরাসরি ভিডিও অথবা অডিও কলে কথা বলতে পারবে এবং বিভিন্ন ধরনের বিষয় জানতে পারবে।
  • যদি বায়ার অথবা সেলার যে কেউ কাজ অথবা পেমেন্ট সম্পর্কিত কোন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে তাহলে আপওয়ার্ক সাপোর্ট টিমের সহযোগিতা পাবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আপওয়ার্ক পরিষেবার শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে এই মার্কেটপ্লেস নিয়ে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে প্রায় সবগুলোই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি এই জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান তাহলে আপনার উচিত আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে বিস্তারিত ভাবে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া। বিশেষ করে নতুনদের জন্য এ বিষয়গুলো জেনে কাজ শুরু করা অত্যন্ত জরুরী।

আশা করছি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপওয়ার্ক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url