Upwork এ যেভাবে পেমেন্ট মেথড সেটআপ করবেন
আপওয়ার্কে কাজ করার পদ্ধতিUpwork এ কিভাবে পেমেন্ট মেথড সেট-আপ করবেন? সাধারণত এই বিষয়টি আমাদের অনেকের জানা নেই। আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে একেবারে নতুন হয়ে থাকেন এবং পেমেন্ট মেথড সেট করার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেল আপনার জন্যই।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে আমরা টাকা আয় করার জন্যই আসি। ফ্রিল্যান্সিং করে যে অর্থ আয় করা যায় সাধারণত সেই অর্থ উত্তোলন করার জন্য পেমেন্ট মেথড সেটাপ করতে হয়। Upwork এ কিভাবে পেমেন্ট মেথড সেট-আপ করবেন? তা উল্লেখ করা হলো।
সূচিপত্রঃ Upwork এ কিভাবে পেমেন্ট মেথড সেট-আপ করবেন
- Upwork এ কিভাবে পেমেন্ট মেথড সেট-আপ করবেন
- আপওয়ার্ক কোন ধরনের ওয়েবসাইট
- আপওয়ার্ক ওয়েবসাইট থেকে টাকা উত্তোলনের উপায়
- আপওয়ার্ক থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়
- আপওয়ার্ক পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক
- আপওয়ার্ক পেমেন্ট কতদিন পেন্ডিং থাকে
- আপওয়ার্কে কাজ করার পদ্ধতি
- আপওয়ার্কে কাজ করার সুবিধা
- আপওয়ার্কে বেশি কাজ পাবেন যেভাবে
- লেখকের শেষ মন্তব্য
Upwork এ কিভাবে পেমেন্ট মেথড সেট-আপ করবেন
Upwork এ কিভাবে পেমেন্ট মেথড সেট-আপ করবেন এই বিষয়টি জানতে চাইলে আপনাকে আমাদের আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। প্রতিটি মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করার টাকা উত্তোলন করার বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। ঠিক একই রকম ভাবে আপনি আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে যেই অর্থ উপার্জন করবেন সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করার পেমেন্ট মেথড সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জেনে রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা আয় করার ১৫টি কার্যকরী উপায়
ব্যাংক ট্রান্সফার -- বেশিরভাগ সময় আমরা পেমেন্ট এর টাকা ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে নিয়ে থাকি। যদি আপনার বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আপওয়ার্ক পেমেন্ট মেথডের সাথে যুক্ত করা থাকে তাহলে খুব সহজে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে যেমন আপওয়ার্ক অ্যাকাউন্ট নাম এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম এর সাথে মিল থাকতে হবে। অবশ্যই অন্যান্য তথ্যগুলো সঠিক হতে হবে। আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে ব্যাংকে টাকা তুলতে হলে প্রতিবার টাকা উত্তোলনের সময় $4.99 ফি দেওয়া লাগবে।
টাকা উত্তোলন করার দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে। বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট থেকে আপনি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আপনি যদি চান তাহলে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন কিন্তু এখান থেকে টাকা তুলতে একটু বেশি খরচ হবে। ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করার সময় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার, ব্যাংক সুইফট কোড অবশ্যই দিতে হবে।
২। ব্যাংক একাউন্টের টাকা উত্তোলন করার জন্য আরো একটি মাধ্যম রয়েছে সেটি হল স্ক্রিল। এ পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করার সময় আপওয়ার্ক থেকে আপনার ডলার তুলে স্ক্রিল অ্যাকাউন্ট এ হিসাব রাখতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনি যদি চান তাহলে স্ক্রিল থেকে আপনার ব্যাংকে সরাসরি টাকা আসতে নিয়ে আসতে পারবেন অথবা কারো কাছে এই ডলার বিক্রি করে নগদ অর্থ নিতে পারবেন। তবে এই পেমেন্ট মেথড সেটআপ করার সময় অবশ্যই usd ডলারে সেটআপ করতে হবে।
আপওয়ার্ক কোন ধরনের ওয়েবসাইট
আপওয়ার্ক কোন ধরনের ওয়েবসাইট? চলুন বিস্তারিত ভাবে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক। জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে আপওয়ার্ক অন্যতম একটি। তবে বর্তমান সময়ে যদি আপনি এখানে কাজ করতে যান তাহলে ধৈর্য ধারণ করা অত্যন্ত জরুরী। প্রথম অবস্থায় কাজ পাওয়া অনেক কঠিন। যারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা রাখে না সাধারণত তারা জানে না যে আপওয়ার্ক আসলে কোন ধরনের ওয়েবসাইট? আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে রাখি যে আপওয়ার্ক হল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট।
বর্তমান সময়ে বিশ্বে অনেক বড় বড় মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট রয়েছে। আপওয়ার্ক হলো ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা হয়ে থাকে। এখানে দুই ধরনের চাহিদা সম্পন্ন মানুষ কাজ করতে পারে। যার সার্ভিস সেল করার প্রয়োজন সেও করতে পারবে আর যার সার্ভিস নেওয়ার প্রয়োজন সেও নিতে পারবে অর্থের বিনিময়ে। ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে শুরু করে ডাটা এন্ট্রি সহ আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়।
আপওয়ার্ক ওয়েবসাইট থেকে টাকা উত্তোলনের উপায়
আপওয়ার্ক ওয়েবসাইট থেকে টাকা উত্তোলনের উপায় ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। সাধারণত উপরোক্ত উপায় গুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু মাধ্যম রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ওয়েবসাইট থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সবচাইতে সহজ উপায় হলো ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা। আর বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেই টাকা উত্তোলন করে থাকে।
১। পেয়নিয়ার টাকা উত্তোলন করার অনলাইন মাধ্যম। পেয়নিয়ার এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করার একটি বড় সুবিধা হল একাউন্টের সাথে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড পাবেন যেটি দিয়ে আপনি বাংলাদেশের বেশিরভাগ এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। যদি চান তাহলে অনলাইনে এই কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করা যাবে। তাছাড়া পেয়নিয়ার একাউন্টে থাকার ডলার অন্য কারো কাছে বিক্রি করে তার কাছে নগদ অর্থ নিতে পারবেন।
এই একাউন্টের সাথে যে কার্ড দেওয়া হয় তার একটি বাৎসরিক ফি $29.95। তাছাড়া প্রতিবার এটিএম থেকে টাকা তুলতে খরচ হয় $3.15 করে। সাধারণত তাই অনেকেই এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে চাই না। তাছাড়া আপনি যদি কোন রেফেরাল লিঙ্ক দিয়ে পেয়নিয়ার অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করেন তাহলে 25 ডলার বোনাস পাবেন। অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করার সময় অবশ্যই আপনার নাম, জন্ম তারিখ এবং অন্যান্য তথ্যগুলো জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট অনুযায়ী হতে হবে।
২। পেপাল হলো জনপ্রিয় একটি অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম। পেপাল কে অল্টারনেট ব্যাংকিং মাধ্যম বলা হয়ে থাকে। তবে দুঃখের বিষয় হলো যে পেপাল বাংলাদেশে বৈধ নয়। তবে আপনি অন্য যেকোনো দেশ থেকে একাউন্ট তৈরি করতে পারেন। পেপাল একাউন্ট তৈরি করার পর অবশ্যই অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি বাংলাদেশ থেকে টাকা উত্তোলন করতে চান তাহলে জেনে রাখুন পেপাল দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। তবে অনলাইনের মাধ্যমে এই টাকা দিয়ে কেনাকাটা করতে পারবেন।
আপওয়ার্ক থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়
Upwork এ কিভাবে পেমেন্ট মেথড সেট-আপ করবেন তাই ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আপওয়ার্ক মার্কেট পুলিশের কাজ করতে চান অথবা করে থাকেন তাহলে আপনার উচিত পেমেন্ট মেথড গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায়। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা সব থেকে সহজ কাজ। মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো বাংলাদেশ বৈধ নয়।
আপওয়ার্ক থেকে আসলে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ঘরে বসে বসে ইনকাম করার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। আপনি যদি কোন কাজে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে সেই কাজের সার্ভিস গুলো সেল করে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যেহেতু আপনি এখানে নির্দিষ্ট কারো অধীনে কাজ করেন না সেহেতু নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব নয়। যে মাসে আপনি যেমন কাজ করবেন আপনার ইনকাম ঠিক কেমন হবে।
আপওয়ার্ক পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক
আপওয়ার্ক পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক কিভাবে করতে হয়? সাধারণত এই বিষয়টি না জানার কারণে অনেকেই বুঝতে পারে না যে তার ইনকাম করা টাকা একাউন্টে আসবে কিনা। আমরা যখন টাকা উত্তোলন করব সাধারণত তখন আপওয়ার্ক পেমেন্ট স্ট্যাটাস অবশ্যই চেক করে নেব। তাছাড়া মাসের কত তারিখের মধ্যে পেমেন্ট দিয়ে থাকে? এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে। আপওয়ার্ক স্ট্যাটাস দেখার জন্য প্রথমে রিপোর্ট অপশনে যেতে হবে সেখান থেকে সরাসরি লেনদেন অপশনে চলে গেলে আপওয়ার্ক পেমেন্ট সকল স্ট্যাটাস দেখা যাবে।
আপওয়ার্ক পেমেন্ট কতদিন পেন্ডিং থাকে
Upwork এ কিভাবে পেমেন্ট মেথড সেট-আপ করবেন? গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আপওয়ার্ক পেমেন্ট উত্তোলন করার পর কতদিন পেন্ডিং থাকে? সাধারণত এই বিষয়টি সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে। সাধারণত আমরা যারা মার্কেটপ্লেসের ফ্রিল্যান্সিং করি সবাই টাকা উপার্জন করার জন্যই কিন্তু করে থাকি। যদি সঠিক সময়ে পেমেন্ট না পাওয়া যায় তাহলে কাজের প্রতি অনেকেরই অনীহা চলে আসে।
আমরা যদি কোন বায়ারের কাজ করি তার দেওয়া টাকা কতদিন পেন্ডিং থাকে তারপর আমাদের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে? আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এ কাজ জমা দেওয়ার পরে সর্বোচ্চ পাঁচ দিন পেমেন্ট পেন্ডিং থাকে সাধারণত এরপরে অটোমেটিক আমাদের একাউন্টের মধ্যে অর্থ প্রবেশ করে। এরপরে ব্যাংক একাউন্ট থেকে সে অর্থ আপনি যখন ইচ্ছা তখন উত্তোলন করতে পারবেন।
আপওয়ার্কে কাজ করার পদ্ধতি
আপওয়ার্কে কাজ করার পদ্ধতি না জেনে কাজ শুরু করলে আমরা কিন্তু অনেক সময় ব্যর্থ হয়ে যেতে পারি। যেহেতু সফল হওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে চাই সেহেতু সফল হতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে বেশ কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতে এতটা প্রতিযোগিতা বেড়ে গিয়েছে যে প্রথম অবস্থায় কাজ পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। যে কোন মার্কেট প্লেসে প্রথম অবস্থায় কেউ কাজ পেতে চাইলে তাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
আপনি যদি কোন কাজে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে সেই কাজের বর্ণনা দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। একাউন্ট তৈরি করার সময় অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সঠিক দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার পাসপোর্ট অথবা এন আই ডি কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। যদি একাউন্ট না থাকে তাহলে কখনোই মার্কেট প্লেসে কাজ করে লাভবান হতে পারবেন না। এবং কাজ পাওয়া তুলনামূলক অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। এরপরে আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করতে হবে।
তাছাড়া দুই পদ্ধতিতে এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। সাধারণত এরকম সুবিধা আর অন্যান্য কোন মার্কেট পেলে সে পাওয়া যাবে না। আপনি যদি চান তাহলে ঘন্টা চুক্তিতে কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যত ঘন্টা কাজ করবেন ঠিক তত ঘন্টার জন্য বেতন নিবেন। যদি ঘন্টা চুক্তি ভালো না লাগে তাহলে সরাসরি প্রজেক্ট চুক্তিতে কাজ করতে পারবেন। সাধারণত এভাবেই আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এ কাজ করা হয়ে থাকে।
আপওয়ার্কে কাজ করার সুবিধা
আপওয়ার্কে কাজ করার সুবিধা রয়েছে কিন্তু আমরা অনেকেই এই সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানিনা। আপনি যদি আপওয়ার্ক মার্কেট প্লেসে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান এবং বেশি বেশি কাজ পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কাজ শুরু করার আগে এই সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কাজ করার যে সকল সুবিধা রয়েছে সেগুলো উল্লেখ করা হলো।
- আপওয়ার্কে সবচেয়ে জনপ্রিয় সুবিধা হল আপনি যদি চান তাহলে এখানে ঘন্টা ভিত্তিক চুক্তিতে কাজ করতে পারবেন। এখন এক ঘন্টার জন্য কত টাকা নিবেন সেটা কাজের উপর নির্ভর করে।
- আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসের আরো একটি সুবিধা হল আপনি যে কাজে এক্সপার্ট অর্থাৎ আপনার পছন্দ মত কাজ খুঁজে এর পরে সরাসরি বিড করতে পারবেন।
- আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসের গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল এখানে সরাসরি ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায় অর্থাৎ ভয়েস অথবা ভিডিও কলে কথা বলতে পারবেন।
- যদি বায়ার অথবা সেলারদের কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে খুব সহজেই এবং ভালোভাবেই সেবা দিয়ে থাকে আপওয়ার্ক কাস্টমার সার্ভিস। তাই কোন সমস্যা হলে মার্কেটপ্লেসের সাপোর্ট টিমের সাথে যোগাযোগ করা যায়।
আপওয়ার্কে বেশি কাজ পাবেন যেভাবে
আপওয়ার্কে বেশি কাজ পাবেন যেভাবে চলুন সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। কারণ প্রথম অবস্থায় কিন্তু যেকোনো মার্কেট প্লেসে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন। তবে বায়ারদের আকর্ষণ করার জন্য বেশ কিছু কাজ রয়েছে। যদি এ কাজগুলো আমরা অনুসরণ করতে পারি তাহলে খুব সহজেই যেকোনো বায়ারকে আকর্ষণ করতে পারব এবং এই জগতে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবো। তাহলে চলুন সংক্ষিপ্ত ভাবে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে কিভাবে কাজ পাবেন জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শেখার ৩০টি সহজ উপায় - ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
১। আপওয়ার্কে বেশি কাজ পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। কারণ কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রোফাইল কিন্তু অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। যার প্রোফাইল যত বেশি সুন্দর কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হয়।
২। প্রোফাইল তৈরি করার সময় অবশ্যই নিজের সঠিক তথ্য গুলো দিতে হবে। সাধারণত আমরা অনেকেই নিজেদের তথ্য শেয়ার করি না যার ফলে বায়াররা ফেক মনে করে। তাই অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে নিজস্ব তথ্য শেয়ার করতে হবে।
৩। আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করতে হবে। যে কোন মার্কেট প্লেসে কাজ পেতে হলে গিগ অনেক কার্যকরী একটি বিষয়। যার গিগ যত বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় সাধারণত মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকে। গিগ তৈরির সময় ভিডিও এবং ছবি যুক্ত করতে হবে।
৪। আপওয়ার্কে যদি বেশি বেশি কাজ পেতে চান তাহলে নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে। আমরা অনেকেই নিয়মিত একটিভ থাকি না সাধারণত এটি কাজ না পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। তাই প্রথম অবস্থায় কাজ পেতে হলে অবশ্যই নিয়মিত একটিভ থাকা জরুরী।
লেখকের শেষ মন্তব্য
Upwork এ কিভাবে পেমেন্ট মেথড সেট-আপ করবেন? এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আরও যে সকল তথ্য রয়েছে প্রায় সবগুলোই আলোচনা করতে হবে। আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ার এই মার্কেটপ্লেস করতে চান তাহলে এই বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত জরুরী। মার্কেট প্লেসে কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে হলে এ বিষয়গুলো জানতে হবে। কারণ আমরা কিন্তু টাকা উপার্জনের জন্যই মার্কেটপ্লেসের ধৈর্য ধারণ করে কাজ করে যায়।
আশা করছি আমাদের আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত ভাবে আপওয়ার্ক সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় যদি নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url