OrdinaryITPostAd

নতুনদের জন্য ১০টি ফাইভার রুলস ২০২৫

ফাইভারে বেতন কতনতুনদের জন্য ফাইভার রুলস ২০২৫ নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। অনেকে আছে যারা ফাইভারে কাজ করতে চায় কিন্তু কোন নিয়মে কাজ করতে হয় সাধারণত সেই নিয়ম গুলো সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই।

নতুনদের-জন্য-ফাইভার-রুলস-২০২৫

আপনি যদি ফাইভারে ক্যারিয়ার করতে চান তাহলে আপনার উচিত নতুনদের জন্য ফাইভার রুলস ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। কারণ নিয়ম না জানার ফলে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ভুল করে থাকে।

পেজ সূচিপত্রঃ নতুনদের জন্য ফাইভার রুলস ২০২৫

নতুনদের জন্য ফাইভার রুলস ২০২৫

নতুনদের জন্য ফাইভার রুলস ২০২৫ জানা দরকার বিশেষ করে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই তাদের। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেস রয়েছে। এই জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফাইভার। তবে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে এর যে সকল নিয়মকানুন রয়েছে সেগুলো জেনে নিতে হবে। অনেক সময় আপডেট হওয়ার কারণে নিয়ম কানুন পরিবর্তন হয়। ২০২৫ সালে ফাইভার মার্কেটপ্লেসের নতুনদের জন্য কোন ধরনের রুলস রয়েছে তা জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা আয় করার ১৫টি কার্যকরী উপায়

১। ফাইভারে কাজ করতে হলে অবশ্যই নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে। একটি প্রফেশনাল একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এবং নতুন অবস্থায় কাজ পেতে হলে অবশ্যই নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে। কারণ নিয়মিত একটিভ না থাকলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু থাকে না।

২। পার্সোনাল যে সকল ইনফরমেশন রয়েছে এগুলো শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বায়ার, ক্লায়েন্ট অথবা যেই থাকুক না কেন কখনোই নিজের পার্সোনাল নাম্বার ইমেইল আইডি অথবা অন্য কোন বিষয় শেয়ার করা যাবে না।

৩। প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করার সময় অবশ্যই প্রফেশনাল প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করতে হবে। আমরা যখন একাউন্ট তৈরি করব তখন অবশ্যই সুন্দর একটি প্রোফাইল পিকচার যুক্ত করব। প্রোফাইল পিকচারটি যেন প্রফেশনাল হয় এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৪। যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ রয়েছে এগুলোতে নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে। নিজের জানা বিষয়গুলো মানুষের সাথে শেয়ার করতে হবে। যারা অভিজ্ঞ আছে সাধারণত তাদের পরামর্শ নিতে হবে এবং যারা নতুন আছে তাদের পরামর্শ দিতে হবে।

৫। কোন প্রয়োজন ছাড়া ফাইভার সাপোর্টে মেসেজ করা যাবে না। প্রথম অবস্থায় সমস্যায় পড়লে সমাধানের জন্য ফাইভার সাপোর্টে মেসেজ দেওয়া হয়। প্রথম অবস্থায় এই কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৬। নতুনদের জন্য ফাইভার নিয়মকানুন এর মধ্যে অন্যতম হলো অটো-রিফ্রেশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা অনেকেই নতুন এক্সটেনশন ব্যবহার করে পেজ কিছুক্ষণ পরপর রিফ্রেস করে থাকি যা একেবারে ফাইভারের নিয়ম বহির্ভূত।

৭। নতুন অবস্থায় ফাইভারে কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিপিএন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে আপনি যেই ব্রাউজারে ফাইভার একাউন্ট ব্যবহার করেন সেখানে ভিপিএন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

৮। নতুনদের জন্য ফাইভারে যেসকল নিয়ম রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যত দ্রুত সম্ভব মেসেজ এর রিপ্লাই দেওয়া। যদি কোন বায়ার কাজের জন্য মেসেজ দিয়ে থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি তাকে মেসেজের অ্যানসার দিতে হবে না হলে কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

৯। নতুন অবস্থায় অন্যের গিগ কপি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা অনেকেই অতি উৎসাহী হয়ে ফাইভারের রুলস ভঙ্গ করে অন্যদের গিগ কপি করে নিজেরা ব্যবহার করি। এই কাজ করা থেকে অবশ্যই আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে।

১০। নতুন অবস্থায় যদি আমরা স্কিল টেস্ট দিয়ে সফল হতে পারি তাহলে আমাদের প্রোফাইলের সাথে এক্সট্রা ভ্যালু যুক্ত হবে। এক্ষেত্রে আপনি যে সকল বিষয়ে বেশি অভিজ্ঞ সেই বিষয়গুলোতেই স্কিল টেস্ট দিন। এতে করে উত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

নতুনরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবে

নতুনরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবে? যারা নতুন অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাই সাধারণত তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো জানতে হবে। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে ইনকাম করার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হল ফ্রিল্যান্সিং। অল্প বয়সের মানুষ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবাই ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পেশা। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বেশ কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।

নতুনরা যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাই তাহলে যেকোনো কাজে পারদর্শী হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিভিন্ন রকমের কাজ রয়েছে। সব ধরনের কাজ করা কিন্তু একজন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। ফ্রিল্যান্সিং জগতের সফল হতে চাইলে যেকোনো একটি বিষয়ে নিজেকে এক্সপার্ট করে তুলতে হবে। সাধারণত এরপরে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার প্রয়োজন হবে। অনেকেই মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে। যদিও বেশ কিছু সহজ কাজ মোবাইলের মাধ্যমে করা যায় কিন্তু সব ধরনের কাজ মোবাইলের মাধ্যমে করা সম্ভব নয়।

ফ্রিল্যান্সিং জগতে ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে অবশ্যই নিজের কাজের নলেজ, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং অনলাইনে প্রচার করার অর্থাৎ মার্কেটিং করার কার্যকারিতা থাকতে হবে। যেকোনো মার্কেট প্লেসে কাজ করতে গেলে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। আপনি যে সকল সুযোগ-সুবিধা দিতে চান এবং কত টাকা নিতে চান কাজের বিনিময়ে সেগুলো গিগ তৈরি করে সেখানে উল্লেখ করতে হবে।

ফাইভারে কাজ করার সুবিধা

ফাইভারে কাজ করার সুবিধা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক। যে কোন মার্কেট প্লেসে কাজ করার কিছু সুবিধা রয়েছে। একজনের সুবিধার সাথে অন্যজনের সুবিধা গুলো কিন্তু অনেক সময় মিলে না। আপনি যদি ঠিক করে থাকেন যে ফাইভারে কাজ করবেন তাহলে আপনাকে এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। বর্তমান সময়ে যে সকল জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফাইভার। ফাইভারে কাজ শুরু করার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে।

  • যে সকল ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস রয়েছে এগুলোর চাইতে ফাইভার অনেক বেশি জনপ্রিয়। এই ফাইভারে গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন সহ আরও বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো পাওয়া যায়।
  • আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং সহজ কোনো কাজ করতে চান তাহলেও ফাইভার মার্কেটপ্লেসের সহজ কাজ যেমন ডাটা এন্ট্রি, অনুবাদ করা এবং টিউশনির মতো কাজগুলো পেয়ে যাবেন।
  • অন্যান্য মার্কেট প্লেসের তুলনায় ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজের খরচ কিন্তু অনেকটাই কম। সাধারণত তাই অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর চাইতে এখানে কাজ বেশি পাওয়া যায়। এতে করে বায়াররা খুশি থাকে এবং সেলাররাও খুশি থাকে।
  • আপনি যদি ধৈর্য ধারণ করে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করে যেতে পারেন তাহলে এখান থেকে ভালো কিছু করতে পারবেন। কিন্তু প্রথম অবস্থায় কাজ না পেলে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। প্রথম অবস্থায় কাজ পাওয়া প্রতিটি মার্কেট প্লেসেই কঠিন।

ফাইভারে কেমন কাজ পাওয়া যায়

নতুনদের জন্য ফাইভার রুলস ২০২৫ নিয়ে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। প্রতিনিয়ত মার্কেটপ্লেস গুলো আপডেট হচ্ছে সাধারণত এই কারণেই এর নিয়ম কানুন গুলো পরিবর্তন হচ্ছে। যারা নতুন মার্কেটপ্লেসের কাজ করছে সাধারণত তাদের নতুন নিয়ম কারণ জানার পাশাপাশি অবশ্যই এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কেমন কাজ পাওয়া যায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে। অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে যে বর্তমান সময়ে মার্কেট প্লেসে ভালো কাজ পাওয়া যায় না।

ফাইভারে-কেমন-কাজ-পাওয়া-যায়

এ বিষয়টি একদিক থেকে সত্য যে ফাইভারে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে নতুনদের জন্য কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে যে কাজ রয়েছে সাধারণত এর চাইতে ১০ গুণ বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তবে কেউ যদি ধৈর্য ধারণ করতে পারে তাহলে তার জন্য কিন্তু কাজ পাওয়া অনেক সহজ হবে। তাছাড়া যে কোন মার্কেটপ্লেসের কাজ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। নতুনরা অনেকেই এ বিষয়গুলো জানে না।

ফাইভারে বেশি বেশি কাজ পাবেন যেভাবে

ফাইভারে বেশি বেশি কাজ পাবেন যেভাবে সে বিষয়গুলো আমরা এই মুহূর্তে বিস্তারিত আলোচনা করব। ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি যে বর্তমান সময়ের ফাইভার হল জনপ্রিয় একটি মার্কেট প্লেস। এই মার্কেট প্লেসে কাজ করার জন্য অনেকেই উৎসাহী হয়ে থাকে। তবে আমরা ইতিমধ্যে জানিয়েছি যে মার্কেটপ্লেস এ কাজ পাওয়া কিন্তু বর্তমান সময়ে চাট্টিখানি কথা নয়। যে কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে হলে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়।

সুন্দর করে প্রোফাইল সাজানোঃ ফাইভার সহজে কোন মার্কেট পেলে সে কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো প্রোফাইল। আমরা অনেকেই প্রোফাইল তৈরি করার সময় নিজের তথ্যগুলো শেয়ার করি না। তবে এই কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং প্রোফাইল তৈরি করার সময় অবশ্যই আমাদেরকে আমাদের নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা সার্টিফিকেট অনুযায়ী তথ্য দিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করতে হবেঃ যেকোনো মার্কেট প্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য গিগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সাধারণত এটিকে ফ্রিল্যান্সিং জগতের সিভি বলা হয়ে থাকে। এখানে আপনার যাবতীয় তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি আপনি কোন কাজে বেশি পারদর্শী সাধারণত এগুলো বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকে। আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করার জন্য এর মধ্যে ছবি অথবা ভিডিও যুক্ত করতে পারেন।

নিয়মিত একটিভ থাকতে হবেঃ প্রথম অবস্থায় কাজ পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে নিয়মিত একটিভ থাকা লাগবে। কারণ কোন ভাইয়ার যদি আপনাকে কাজ দিতে চাই এবং মেসেজ দিয়ে না পায় তাহলে অনেক সময় কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। কাজ হাতছাড়া করতে না চাইলে মার্কেটপ্লেসের নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে।

ফাইভারে সেলার একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম

ফাইভারে সেলার একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম চলুন জেনে নেওয়া যাক। যে কোন মার্কেট প্লেসে কাজ করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আমরা অনেকেই অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে জানি আবার অনেকেই জানিনা। বিশেষ করে যারা নতুন ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চাই সাধারণত তাদের জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে জানা জরুরী। কারণ এই ধরনের মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট ছাড়া কাজ করা সম্ভব নয়।

ধাপ ০১ঃ প্রথমে গুগলে চলে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে Fiverr.com লিখে সার্চ করতে হবে। প্রথমে যে ওয়েবসাইট আসবে তার মধ্যে প্রবেশ করে জয়েন বাটন এর ওপরে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ০২ঃ জয়েন বাটনে ক্লিক করার পরে আপনার সামনে একটি ড্যাশবোর্ড আসবে এখন আপনি যদি ইমেইল থেকে একাউন্ট খুলতে চান তাহলে Continue with email এই বাটনের উপরে ক্লিক করুন।

ধাপ ০৩ঃ ফাইভারে আপনি দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন যেহেতু আমরা সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করছি সেহেতু বেশ কিছু তথ্য দিতে হবে। যেমন আমাদের প্রফেশনাল ইমেইল, প্রফেশনাল ছবি, ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি।

ধাপ ০৪ঃ Continue with email এই অপশনে ক্লিক করার পরে ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দেওয়ার একটি অপশন চলে আসবে। যেটা আপনার প্রফেশনাল ইমেইল সাধারণত সেই ইমেইল দিয়ে অবশ্যই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিতে হবে।

ধাপ ০৫ঃ পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরে আপনার সামনে এমন একটি ড্যাশবোর্ড আসবে যেখানে আপনাকে আপনার ইউনিক ইউজার নেম দিতে হবে। এরপরে ক্রিয়েট মাই একাউন্ট এই অপশনের উপর ক্লিক করলে একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন মার্কেটপ্লেস ভালো

নতুনদের জন্য ফাইভার রুলস ২০২৫ সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে। আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই সাধারণত তাদের সবার একটি স্বপ্ন থাকে যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করবে। বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে দেশে এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন বায়ারের সাথে কাজ করা হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন মার্কেটপ্লেস ভালো হবে? বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ পেশা।

আরো পড়ুনঃ ২০টি সেরা উপায় ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করার

বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে বর্তমান সময়ে মার্কেট প্লেসে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে অনেকেই দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পরেও কাজ পাই না। ফ্রিল্যান্সিং জগতে অর্থাৎ মার্কেটপ্লেসের কাজ পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে গিয়েছে। একটি মার্কেট প্লেসে যদি কাজ থাকে চার লাখ তাহলে সেখানে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি। এতো ফ্রিল্যান্সারদের ভিড়ে কাজ পাওয়া অনেকটাই কঠিন। তবে ফ্রিল্যান্সিং জগতে ফাইভার মার্কেটপ্লেস সবচাইতে ভালো মনে করা হয়। এর সুবিধাগুলো ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

ফাইভারের গিগ আকর্ষণীয় করার উপায়

ফাইভারের গিগ আকর্ষণীয় করার উপায় চলুন জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত আমরা পড়াশোনা শেষ করার পরে চাকরি খুঁজতে গেলে আকর্ষণীয়ভাবে সিভি তৈরি করি। যেখানে আমাদের সব ধরনের তথ্য সুন্দরভাবে উল্লেখ করা থাকে। ফাইভার জগতের সিভি হল গিগ। যার গিগ যত বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হবে সাধারণত তার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু নতুনরা অনেকেই গিগ কিভাবে আকর্ষণীয় করা যায় সাধারণত এই বিষয়গুলো জানে না।

ফাইভারের-গিগ-আকর্ষণীয়-করার-উপায়

আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করাঃ যেকোনো মার্কেটে প্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো আকর্ষণীয় গিগ। এটিকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য যখন গিগ তৈরি করব অবশ্যই একটি আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করব। টাইটেল যদি এসইও ফ্রেন্ডলি হয়ে থাকে তাহলে সবচাইতে ভালো। টাইটেল খুঁজতে যদি সময় লাগে এতেও কোন সমস্যা নেই।

সকল তথ্য দেওয়াঃ গিগ তৈরি করার সময় আমরা অনেকেই ভুল করে থাকি যে আমাদের সকল ধরনের তথ্যগুলো শেয়ার করি না। সাধারণত কাজ না পাওয়ার পেছনে এই বিষয়টি অনেক বড় কারণ। তাই নিয়মিত কাজ পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে সকল ধরনের তথ্য গুলো ঠিকমতো শেয়ার করতে হবে। যে সকল দক্ষতা রয়েছে সেগুলো উল্লেখ করতে হবে। এতে করে আপনার গিগ আরো বেশি আকর্ষণীয় হবে।

ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করাঃ যেকোনো মার্কেট প্লেসে গিগ আকর্ষণীয় করার জন্য ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই কাজটি করা যায় এবং আমাদের প্রফেশনাল ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করা যায় তাহলে গিগ ইম্প্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। গিগ তৈরি করার সময় অবশ্যই এ বিষয়টি মাথায় রাখবেন এবং প্রফেশনাল ছবি ভিডিও যুক্ত করবেন।

ফাইভারে বেতন কত

ফাইভারে বেতন কত? প্রথম অবস্থায় যারা কাজ শুরু করতে চায় সাধারণত তারা অনেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে কখনোই নির্দিষ্ট পরিমাণে বেতন পাওয়া যায় না। কারণ এখানে আপনি কারো অধীনে কাজ করছেন না। আপনি মাসে যতগুলো প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে পারবেন সাধারণত আপনার ইনকাম তত বেশি হবে। যারা পুরাতন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে সাধারণত তারা ফাইভার থেকে মাস শেষে তিন থেকে চার লক্ষ অথবা এর চাইতে বেশি টাকা ইনকাম করে। তবে নতুন অবস্থায় এত ইনকাম করা সম্ভব নয়। মোটকথা মার্কেট প্লেসে ইনকাম কেমন হবে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার কাজের উপর নির্ভর করে।

আমাদের শেষ কথা

নতুনদের জন্য ফাইভার রুলস ২০২৫ নিয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে ফাইভার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান এবং এখানে ক্যারিয়ার করতে চান তাহলে আপনার উচিত আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে বিস্তারিত ভাবে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া। কারণ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানা থাকলে মার্কেটপ্লেসের কাজ পাওয়া যেমন সহজ এখানে ক্যারিয়ার গড়া কিন্তু অনেকটা সহজ হয়ে যায়।

এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url