OrdinaryITPostAd

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে স্ক্যামার বায়ার হতে সাবধান থাকার ০৭ কৌশল

বায়ারকে ইমপ্রেস করার উপায়স্ক্যামার বায়ারদের থেকে সাবধান থাকার কৌশল নিয়ে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। আমরা জানি যে সব জায়গায় কিন্তু স্ক্যামার করা হয়। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ও স্ক্যামার এর প্রচলন রয়েছে। এখান থেকে বাঁচার বেশ কিছু কৌশল আছে।

স্ক্যামার-বায়ারদের-থেকে-সাবধান-থাকার-কৌশল

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং স্ক্যামার থেকে বাঁচতে চান এবং আপনার ইনকাম বৃদ্ধি করতে চান তাহলে স্ক্যামার বায়ারদের থেকে সাবধান থাকার কৌশল বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য থাকছে এই আর্টিকেলে।

সূচিপত্রঃ স্ক্যামার বায়ারদের থেকে সাবধান থাকার কৌশল

স্ক্যামার বায়ার বোঝার উপায়

স্ক্যামার বায়ার বোঝার উপায় নিয়ে প্রথমে আলোচনা করব। বর্তমানে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে এতটাই গুরুত্ব দিচ্ছে যে প্রতারক চক্ররা আরো বেশি সুযোগ পাচ্ছে। প্রতিটি মার্কেট প্লেসে কাজের তুলনায় অনেক বেশি গুণ ফ্রিল্যান্সার আছে। সাধারণত এদের মধ্যে অনেকেই কিন্তু প্রতারণার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর এই প্রতারণার শিকার হচ্ছে স্ক্যামারদের দ্বারা। কোন বায়ার যদি আপনাকে কাজ দেয় তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন সে স্ক্যামার নাকি সত্যিকারের বায়ার? সাধারণত এই উপায়গুলোই নিচে উল্লেখ করব।

আরো পড়ুনঃ ২০টি সেরা উপায় ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করার

মার্কেটপ্লেস থেকে যখন বায়ারদের কাছে কাজ নেওয়া হয় সাধারণত তখন বায়ার এবং সেলার এর কাছে এক ধরনের চুক্তি হয়। সাধারণত প্রথম অবস্থায় নতুন ফ্রিল্যান্সাররা এ বিষয়গুলো বুঝতে পারে না যার ফলে সম্পন্ন কাজ জমা দেওয়ার পরে যখন পেমেন্ট নিতে যাই তখন বুঝতে পারে যে তাদের সাথে প্রতারণা হয়েছে। যদি কোন বায়ার পেমেন্ট দেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাদের কাছে কোন টাকা দাবি করে সাধারণত তখন বুঝতে হবে যে সে আপনার সাথে প্রতারণা করতে চাচ্ছে।

কারণ আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি যে ফ্রিল্যান্সিং জগতে যে সকল মার্কেটপ্লেস রয়েছে সাধারণত এগুলোতে পেমেন্টের জন্য কখনোই টাকা দাবি করা হয় না। যদি ক্লায়েন্ট রিয়াল হয়ে থাকে তাহলে মানি ট্রান্সফার অথবা অন্য কোন কিছুর জন্য আপনার কাছে টাকা দাবি করবে না। আপনি তাকে কাজ করে দিবেন এবং সে আপনাকে আপনার প্রাপ্য টাকা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেবে। ব্যাংক একাউন্ট ছাড়াও আরো বেশ কিছু মাধ্যম রয়েছে টাকা আদান প্রদান করার।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে একেবারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বলে রাখি যে কাজ শেষ করার আগে কোন ধরনের অর্থ বায়ার কে দিতে হয় না। কাজ শেষ করার পরেও পেমেন্ট নেওয়ার জন্য কোন ধরনের অর্থ দিতে হয় না। কোন বায়ার যদি আপনার সাথে চুক্তি করে যে তাকে যে কোন কিছুর জন্য অর্থ দিতে হবে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে সে একজন স্ক্যামার। অবশ্যই তার কাজকে বর্জন করুন এবং তাকে ব্লক করুন।

স্ক্যামার বায়ারদের থেকে সাবধান থাকার কৌশল

স্ক্যামার বায়ারদের থেকে সাবধান থাকার কৌশল নতুনদের জানা উচিত। মার্কেট প্লেসে একেবারে নতুন হওয়ার কারণে সাধারণত অনেক সময় আমরা প্রতারণার শিকার হয়ে থাকি। পূর্বে এই বিষয়গুলো কম থাকলেও বর্তমান সময়ে এই বিষয়গুলো অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। মার্কেটপ্লেসে যেমন হারে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে ঠিক তেমনভাবেই স্ক্যামারদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু কিভাবে আমরা এখান থেকে সাবধানে থাকবো সাধারণত এই বিষয়গুলো অনেক বেশি জরুরী।

বায়ারের কাছে সব ধরনের তথ্য নেওয়া -- অনেক আগে থেকেই কাজ করে সাধারণত তারা বুঝতে পারে যে কোনটি স্ক্যামার বায়ার এবং কোনটি আসল। তবে যারা এই কাজে একেবারে নতুন সাধারণত তারা অনেকেই জানেনা যার ফলে প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে। এখন বিষয় হচ্ছে যে আপনি কিভাবে স্ক্যামার বায়ারদের থেকে বেঁচে থাকবেন? কাজ নেওয়ার সময় অবশ্যই বায়ারের সাথে সঠিকভাবে কথা বলতে হবে অর্থাৎ সে কোন ধরনের কাজ নিতে চাচ্ছে কাজের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে হবে। যদি কোন তথ্য সঠিকভাবে না দেয় তাহলে বুঝতে হবে স্ক্যামার বায়ার।

প্রোফাইল যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে -- সাধারণত প্রথম অবস্থায় আমরা কাজ পেলে অনেক সময় প্রোফাইল যাচাই-বাছাই করি না যার ফলে প্রতারণার শিকার বেশি হয়ে থাকে। তাই যদি কোন বায়ার আপনাকে কাজ দেয় তাহলে অবশ্যই তার প্রোফাইল চেক করতে হবে। তারপর প্রোফাইলে কতগুলো কাজ করা হয়েছে এবং রিভিউ কেমন এগুলো যাচাই-বাছাই করতে হবে।

কোন ধরনের টাকা চাইলে দেওয়া থেকে বিরত থাকা -- কোন ধরনের টাকা চেয়ে বসে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে সে আপনার সাথে প্রতারণা করছে। আর এই প্রতারক বায়ারদের কাছ থেকে সাবধানে থাকার উপায় হল তারা যদি আপনার কাছে কোন ধরনের মানি ট্রান্সফার ফি অথবা অন্য কোন কাজের জন্য টাকা চেয়ে থাকে তাহলে টাকা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ইতিমধ্যে বলা হয়েছে যে কোন মার্কেট প্লেসে সেলারের কাছ থেকে কোন ধরনের অর্থ নেওয়া হয় না।

প্রলোভনের ফাঁদ এড়িয়ে চলা -- কোন বায়ার যদি আপনাকে বেশি লাভের প্রলোভন দেখায় অর্থাৎ একটি কাজ করার জন্য আপনাকে অধিক টাকা অফার করে তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে আপনার সাথে সে স্ক্যাম করতে চাইছে। এছাড়া যদি অল্প সময়ে বেশি ইনকামের কথা বলে তাহলে এ ধরনের লোভে পড়া যাবে না।

বাইরের লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে -- যদি কোন বায়ার আপনাকে মার্কেটপ্লেসের বাইরের কোন মাধ্যমে লেনদেন করার প্রস্তাব দিয়ে থাকে তাহলে স্ক্যামার হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। তাই মার্কেটপ্লেস এর বাইরে কোন ধরনের লেনদেন করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।

ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে -- স্ক্যামার বায়ার হলে সেলার এর কাছে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে চাই। যদি কাজ সম্পর্কিত কোন তথ্য হয় তাহলে সেগুলো নিঃসন্দেহে দিবেন কিন্তু যদি আপনার পার্সোনাল কোন ধরনের তথ্য চাই তাহলে এগুলো থেকে সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়া কাজের জন্য যদি অ্যাডভান্স টাকা দিতে চাই তাহলেও সতর্ক থাকুন।

মার্কেটপ্লেস এর হেল্পলাইনে রিপোর্ট করতে হবে -- উপরের যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে যদি কোন বায়ারের ক্ষেত্রে সন্দেহজনক ভাবে এই বিষয় গুলো প্রকাশ পায় তাহলে মার্কেটপ্লেসের হেল্প লাইন সেন্টারে অবশ্যই রিপোর্ট করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে

ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে? অনেকেই এই বিষয়ে তেমন কোন ধারণা রাখেনা। বর্তমান সময়ে বাড়িতে বসে থেকে ইনকাম করার গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হল ফ্রিল্যান্সিং। একটি নির্দিষ্ট বয়সের মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করবে সাধারণত বিষয়টি কিন্তু এরকম নয়। যেকোনো বয়সের মানুষ এ কাজ করতে পারে। তবে ফ্রিল্যান্সিং করার আগে এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে হবে। কারণ না জেনে কাজ শুরু করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং এর বাংলা অর্থ হল মুক্ত পেশা। সাধারণত এখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে বাড়িতে বসে থেকেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আমরা যদি কারো অধীনে চাকরি করি সাধারণত তখন আমাদেরকে নির্দিষ্ট একটি ব্যক্তির পরামর্শ চলতে হয়। তাদের সময় অনুযায়ী কাজ করতে হয় কিন্তু এখানে নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। আপনার যখন ইচ্ছা তখন কাজ করতে পারবেন সাধারণত তাই এটিকে মুক্ত পেশা বলা হয়ে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং জগতে কঠিন সহজ দুই ধরনের কাজ রয়েছে। তবে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলো ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ। যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে আগে যে কোন একটি কাজে এক্সপার্ট হয়ে যেতে হবে সাধারণত এর পরে মার্কেট প্লেসে কাজ শুরু করতে হবে তাহলে বেশি কাজ করা সম্ভাবনা থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলে

স্ক্যামার বায়ারদের থেকে সাবধান থাকার কৌশল নিয়ে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ করতে ইচ্ছুক সাধারণত এরকম অনেকেই জানে না যে আসলে বায়ার কাকে বলে? ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের দুই ধরনের ব্যক্তিদের দেখা যায় একটি হলো বায়ার এবং অন্যটি হলো সেলার। সেলার কারা সাধারণত আমরা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি। যারা মার্কেট প্লেসে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস বিক্রি করে থাকে সাধারণত তাদেরকে সেলার বলা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং-সেক্টরে-বায়ার-কাকে-বলে

যারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে সেলারদের থেকে কোন ধরনের সার্ভিস নেয় সাধারণত তাদেরকে বায়ার বলা হয়ে থাকে। মার্কেটপ্লেস থেকে যারা ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস গুলো অর্থের মাধ্যমে কিনে নেয় সাধারণত তাদেরকে বায়ার বলে। বর্তমান সময়ে কিছু প্রতারক বায়ার সেজে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের প্রতারিত করছে। সাধারণত এই বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্যই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় উল্লেখ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কোনটি? চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। আমাদের মধ্যে যাদের ফ্রিল্যান্সিং করার ইচ্ছা রয়েছে সাধারণত তারা মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চাই। পূর্বে যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছে যখন এই কাজের তেমন একটা গুরুত্ব ছিল না সাধারণত তখন মার্কেটপ্লেসের কাজ করার বেশ কিছু সুবিধা ছিল। কারণ সে সময় মার্কেট প্লেসে প্রচুর পরিমাণে কাজ পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষাপটে মার্কেটপ্লেসে কাজের পরিমাণ অনেকটা কমে গিয়েছে।

মার্কেট প্লেসে কাজ কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে কাজের চাইতে দশ গুণ বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে প্রতিটি মার্কেট প্লেসে। বর্তমান সময়ে বেশ কয়েকটি ইন্টারন্যাশনাল জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি। যদি এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে ধৈর্য ধারণ করে কাজ করতে পারেন আশা করছি এখান থেকে ভালো কিছু করতে পারবেন।

বায়ারকে ইমপ্রেস করার উপায়

বায়ারকে ইমপ্রেস করার উপায় জানা থাকলে কাজ পাওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ পেতে হলে বায়ারদেরকে খুশি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি বায়ার আমাদের কাজের প্রতি খুশি হয় তাহলে আমরা বেশি বেশি কাজ পাব। বায়ারকে ইমপ্রেস এবং খুশি করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে সাধারণত এই উপায় গুলো নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জানা উচিত। কারণ প্রথম অবস্থায় আমাদের প্রথম কাজ হবে সুন্দর কাজ উপহার দেওয়া এবং বায়ারদেরকে খুশি করে রেটিং বৃদ্ধি করা।

কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করা -- যেকোনো মার্কেটপ্লেসে বায়ারদেরকে ইমপ্রেস করতে চাইলে আপনার প্রথম কাজ হবে সে যে কাজটি দিয়েছে সে কাজ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা। কিন্তু যে কোন ধরনের উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অবশ্যই কাজ সম্পর্কিত প্রশ্ন করতে হবে।

বায়ারের কোন ধরনের বিজনেস করে সেই সম্পর্কে জানতে চাওয়া -- বায়ার যদি তার বিজনেস সম্পর্কিত কোনো কাজ আপনাকে দিয়ে থাকে তাহলে সে কোন ধরনের বিজনেস করে এবং তার বিজনেসের পলিসি কি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে।

বায়ারের প্রতিযোগীদের সম্পর্কে জানা -- আপনার বায়ারের প্রতিযোগী কারা সাধারণত তাদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া। কারণ বায়ারের প্রতিযোগী সম্পর্কে জানতে পারলে তাদের চাইতে ভাল কাজ উপহার দিতে পারব। সাধারণত কাজের কোয়ালিটি বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই এই বিষয়গুলো জানা জরুরী।

পূর্বে এই কাজ করেছে কিনা তা জানতে চাওয়া -- বায়ার যে কাজটি আপনাকে দিয়েছে সাধারণত এই কাজটি পূর্বে কারো দ্বারা করিয়েছে কিনা এবং করিয়ে থাকলে কোন ধরনের বিষয় আবার আপনাকে দিয়ে করাচ্ছে এবং কেন করাচ্ছে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাওয়া।

বায়ারের সাথে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত

স্ক্যামার বায়ারদের থেকে সাবধান থাকার কৌশল জানার পাশাপাশি যারা সত্যিকারের বায়ার সাধারণত তাদের সাথে সম্পর্ক কেমন হতে হবে? এই বিষয়গুলো অবশ্যই জানা লাগবে। যদি আপনি মার্কেট প্লেসে ক্যারিয়ার করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বায়ার কে খুশি করতে হবে। আর বায়ারকে খুশি করার অন্যতম প্রধান উপায় হলো ভালো কাজ উপহার দিতে হবে এর পাশাপাশি কাজ সম্পর্কে যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে হবে। কিভাবে বায়ারকে ইমপ্রেস করা যায় সাধারণত এই বিষয় গুলো আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি।

একজন ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে যেমন আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকে ঠিক একই রকম সম্পর্ক বায়ার এবং সেলার এর মধ্যে রাখতে হবে। যদি সেলার কোন ধরনের বিষয় বুঝতেন না পারে তাহলে বায়ারের কাছ থেকে যাবতীয় বিষয়গুলো বুঝে নেবে। কাজ সম্পর্কে বুঝে তারপরে কাজ শুরু করতে হবে এতে করে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকবে। তাছাড়া তাড়াতাড়ি কাজ জমা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে এতে করে বায়ারের সাথে সম্পর্ক ভালো হবে।

একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত

একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত? সাধারণত যারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা রাখেনা তারা এই ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং অথবা মার্কেটপ্লেসে কোন মাসিক আয় নেই। কারণ এখানে আপনি কারো অধীনে অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করছেন না। এখানে আপনি একজন মুক্ত পেশাজীবী হিসেবে কাজ করছেন। আপনার যখন সময় হবে সাধারণত তখন কাজ জমা দেবেন। যতগুলো প্রজেক্ট সম্পন্ন করবেন সাধারণত তেমন টাকা আয় করতে পারবেন।

একজন-ফ্রিল্যান্সার-এর-মাসিক-আয়-কত

যে মাসে প্রজেক্ট বেশি সম্পন্ন করতে পারবেন অথবা অর্ডার বেশি পাবেন সে মাসে ইনকাম বেশি হবে। যে মাসে অর্ডার কম পাবেন সাধারণত সেই মাসে ইনকাম কম হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যত বেশি প্রজেক্ট সংগ্রহ করা যায়। আপনি যদি বেশি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে মাস শেষে এক লক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যদিও প্রথম অবস্থায় এত টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়। প্রথমে কাজ পাওয়ার দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কিভাবে করা যায়? নতুনরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ক্যারিয়ার করতে চাই কিন্তু কিভাবে শুরু করবে অথবা কিভাবে কাজ করবে এই বিষয় গুলো তাদের ধারণার বাইরে থাকে। পড়বে যখন ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা এতটা ছিল না সাধারণত তখন এই সেক্টরের ক্যারিয়ার করা অনেকটা সহজ হতো কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে কাজের চাইতে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেশি। তবুও অনেক বায়ার আছে নতুনদের দিয়ে কাজ করাতে চাই।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শেখার ৩০টি সহজ উপায় - ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রথম কাজ হল বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা। বেশ কয়েকটি ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে সবগুলোতে একাউন্ট তৈরি করে প্রোফাইল থেকে সুন্দর করে সাজানো। কারণ আপনি আপনার প্রোফাইল যত বেশি আকর্ষণীয় করতে পারবেন আপনার কাজ পাওয়া সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পাবে। এর পরের কাজ হল আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনার সকল ধরনের তথ্য দিতে হবে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ধৈর্য ধারণ করে কাজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

স্ক্যামার বায়ারদের থেকে সাবধান থাকার কৌশল যারা জানতে চেয়েছে সাধারণত তাদের জন্য প্রথমেই এই বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে আপনার উচিত আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে আসল বায়ার এবং স্ক্যামার বায়ারদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। কারণ বর্তমান সময়ে অনেকেই প্রতারণা শিকার হয়ে থাকে যার ফলে তারা ফ্রিল্যান্সিং করার মন মানসিকতা হারিয়ে ফেলে।

আশা করছি আমাদের আর্টিকেল থেকে স্ক্যামার বায়ারদের সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url