OrdinaryITPostAd

ফাইভারে বায়ারের সাথে ভিডিও কলে করণীয়

ফাইভারে কি ক্যারিয়ার গড়া সম্ভবফাইভারে বায়ারের সাথে ভিডিও কলে করণীয় নিয়ে এই মুহূর্তে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ফাইভার মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই মার্কেটপ্লেসের কাজ পাওয়ার জন্য আমাদের করণীয় জানা নেই।

ফাইভারে-বায়ারের-সাথে-ভিডিও-কলে-করণীয়

আপনি যদি ফাইভার মার্কেটপ্লেস এ কাজ পেতে চান এবং বায়ারদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে চান তাহলে ফাইভারে বায়ারের সাথে ভিডিও কলে করণীয় সম্পর্কে অবশ্যই আপনার জেনে রাখা উচিত।

সূচিপত্রঃ ফাইভারে বায়ারের সাথে ভিডিও কলে করণীয়

ফাইভারে বায়ারের সাথে ভিডিও কলে করণীয়

ফাইভারে বায়ারের সাথে ভিডিও কলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন। আপনি যদি ফাইভার সেক্টরে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়ে আগে থেকেই দক্ষ হতে হবে। ফাইভারে যারা কাজ করে তাদের অনেক নীতিমালা ও উপায় গুলো মেনে চলতে হয়। ফাইভারে ঠিকমতো কাজ পেতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ফাইভারে বায়ারের সাথে ভিডিও কলে কিছু করণীয় সম্পর্কে জেনে থাকা উচিত।ফাইভারে সফলতা পেতে গেলে অবশ্যই আপনাকে কিছু ভিডিও শেয়ার করতে হবে। কিন্তু এই ভিডিও কিভাবে বানাবেন বা কিভাবে ভিডিও বানালে আপনার সফলতা আসবে সে বিষয়ে আমরা অনেকেই হয়তো জানি না।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এ যে ২০টি কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি

  • ফাইভার সহ অন্যান্য মার্কেট প্লেসে যদি সঠিক ভাবে কাজ পেতে হয় তাহলে প্রোফাইল পারফেক্ট থাকা যতটা গুরুত্বপূর্ণ বায়ারের সাথে সম্পর্ক থাকাও তত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত বায়ারের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখার জন্য আমাদেরকে ভিডিও কল অথবা অডিও কলে কথা বলতে হবে। কিন্তু যারা প্রথমবারের মতো কথা বলে সাধারণত তারা অনেকেই জানে না কিভাবে কথা বলবে?
  • ভিডিও কলে যাওয়ার আগে কাজের বিষয়বস্তু গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। যদি বায়ারে কে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে সেগুলোকে ফাইল আকারে সাজিয়ে রাখতে হবে যেন সবকিছু হাতের কাছেই থাকে।
  • সময় নির্ধারণ করে ভিডিও কলে অংশগ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি সময় নির্ধারণ করে কলে অংশগ্রহণ করেন এতে করে আপনার পেশাদারিত্বের পরিচয় পাবে। তাছাড়া সময় নির্ধারণ করা সেলার এবং বায়ার দুজনের জন্যই সুবিধা জনক।
  • এরপরে ভিডিও কলে কাজের সম্পর্কে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে সবগুলো জানতে হবে। বায়ার কোন ধরনের কাজগুলো পছন্দ করে সাধারণত তার কাছে জেনে নিতে হবে। বায়ারের প্রতিযোগী কারা সাধারণত তাদের সম্পর্কে জানতে হবে। কারন এই বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • তাছাড়া বায়ার পূর্বে এই কাজটি অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছে কিনা অথবা করিয়ে থাকলে আপনাকে দিয়ে আবার কেন করাতে চাই? কোন ধরনের পরিবর্তনগুলো চাই সাধারণত এই বিষয়গুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে।
  • যদি বায়ারের সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে পেশাদার পোশাক পরিধান করতে হবে। সাধারণত এতে করে আপনার গুরুত্ব রুচিবোধ তাদের কাছে স্পষ্ট হবে। সাধারণত এই বিষয়টি একজন বাইরের কাছে ইতিবাচক বার্তা দেবে।

ফাইভার কাকে বলে

ফাইভার কাকে বলে? এ বিষয়ে আমরা অনেকেই হয়তো সঠিকভাবে বলতে পারি না। কিন্তু যারা জানি তারা আরো সঠিকভাবে এবং বিস্তারিতভাবে জানতে চাই। ফাইভার হলো ফ্রিলেন্সারদের জন্য গঠিত একটি অনলাইন মার্কেট প্লেস।ইসরাইলের ২০১০ সালে একটি কোম্পানি এটি প্রতিষ্ঠা করে। এটি বিশ্বব্যাপী সেবা প্রদান করে।নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সবথেকে সুবিধা জনক একটি সেক্টর।

নতুনরা যারা এখানে কাজ করতে চান তারা কঠিন এবং সোজা দুই ধরনের কাজের সুবিধা পাবেন। Fiverr এ মেইন ক্যাটাগরি হল ১০০ এর অধিক রয়েছে। সেফ ধরে যারা কাজ করতে চান এবং নতুন ফ্রিল্যান্সিং রয়েছেন তাদের জন্য এই সেক্টরে কাজের কোন অভাব হবে না শুধু একটু দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষের অভাব রয়েছে। দক্ষতা দিয়ে যদি আপনি এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ফাইভার কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ফাইভার কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে চলুন জেনে নিন। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য জনপ্রিয় একটি মার্কেট প্লেস হল ফাইভার। আপনি যদি সঠিকভাবে এই কার্যক্রম বা নীতিমালা গুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার এর পরিণত হবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ফাইভার। এটি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ চলন সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।

ফ্রিল্যান্সিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সেক্টর। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় সেক্টর হল ফাইভার এখানে কাজ করে স্বল্প সময়ে অনেকেই নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন। ফাইভার পরিচালনার জন্য খুব কম জায়গা এবং খুব কম সময়ে আপনি এ কাজটি পরিচালনা করতে পারবেন। নতুনদের জন্য এবং বেকারত্বের জন্য ফাইভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মার্কেটপ্লেস। মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য আপনার শুধু প্রয়োজন হবে একটি ল্যাপটপ বা একটি কম্পিউটার।

অবশ্যই ইন্টারনেট সংযুক্ত থাকতে হবে। কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা ও কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রমাণ করতে হবে এবং আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অনলাইনে প্রচার করা। কাজ করার জন্য আপনার নিজের ভালো নাম, কাজের অভিজ্ঞতা, ভালো দক্ষতা এগুলি হবে আপনার ব্র্যান্ড (brand) বা নামের পরিচয় এই সেক্টরে কাজ করার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি এই মার্কেটপ্লেস একটি ভালো ব্র্যান্ড বা নাম তৈরি করতে পারেন তাহলে অধিক কাজ পেতে সাহায্য করবে।

Graphic design -- বর্তমান বাজারে গ্রাফিক্স ডিজাইনের মান খুবই উন্নত। মার্কেটিং লোগো বানানো ছাড়াও বিভিন্ন কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই কাজটি শুরু করতে পারেন। 

Translating course -- আপনি যদি বিভিন্ন দেশের ভাষা জেনে থাকেন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে এই ভাষা ট্রান্সলেট করার কাজটা আপনার নতুন ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

Website create -- অনেকেই ওয়েবসাইট বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। ঘরে বসে খুব সহজে ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

Article writing -- লেখার কাজে যারা দক্ষ তাদের জন্য এই আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ খুব একটা কঠিন নয়। তবে আপনি চাইলে একটি কোর্সের মাধ্যমে ভালোভাবে শিখে কোন ওয়েবসাইটের জন্য কাজ করতে পারেন এতেও অনেকটাই আয় করা যায়। অথবা নিজেই একটি ওয়েবসাইট কিনে কাজ শুরু করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং করতে ফাইভার এর ভূমিকা

ফাইভারে বায়ারের সাথে ভিডিও কলে করণীয় জানার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে ফাইভারের ভূমিকা কতটুকু এ বিষয়েও জেনে নেওয়া উচিত। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর জন্য ফাইভার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় সেক্টর। এখানে কাজ করে বহু যুবক নিজের দক্ষতায় ও অভিজ্ঞতায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছেন। যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চায় তাদের জন্য ভালো একটি সেক্টর হতে পারে ফাইভার। ফাইভারে বিভিন্ন রকমের কাজ রয়েছে যে কাজগুলো আপনি খুব সহজভাবে করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং-করতে-ফাইভার-এর-ভূমিকা

নতুনদের জন্য এই কাজটি অনেক সহজ কারণ এখানে কঠিন এবং সহজ দুই ধরনের কাজ শেখানো হয়ে থাকে। একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রজেক্ট পাওয়ার জন্যে এ প্লাটফর্মটি একটি জনপ্রিয় জায়গা। প্রায় সবগুলো অনলাইন কাজই ফাইভার ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে করা যায়। ফাইভারের প্রধান কাজ হল বিভিন্ন জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস তৈরি করা। যারা ফাইভারে কাজ করতে চান তাদের রেজিস্ট্রেশন করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বায়ার এবং সেলার সার্ভিস ক্রয়-বিক্রয় করবে। ফাইভার একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম যেখানে সব ধরনের ফ্রিলান্সিং করতে পারেন। এই সেক্টরে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে গিগ ভিত্তিক ভিডিও আপলোড করতে হবে। এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর ফ্রিল্যান্সারদের গিগ ভিডিও তৈরি করতে হয়। ক্যাটাগরি ভিত্তিক এই গিগ গুলো ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কাজের ধরণ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করতে হয়।

গিগ মার্কেটিং হলো ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফাইভারে আপনি যত বেশি গিগ ভিডিও মার্কেটিং, রিকোয়েস্ট, গিগ প্রমোট করতে পারবেন তত বেশি কাজ পাবেন। ফাইভারে সফলতা পেতে হলে এই সেক্টরে আপনাকে দক্ষতা ও পারিশ্রমিক হতে হবে। এই জনপ্রিয় ফাইভার মার্কেটপ্লেসটিকে সঠিক পদ্ধতিতে কাজে লাগাতে পারলে ও দক্ষ ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে প্রতি মাসে অনেক ভালো অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

ফাইভারে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা

ফাইভারে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা রয়েছে কিন্তু আমরা অনেকেই এই বিষয়গুলো জানিনা। আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ জানি সাধারণত তারা মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চাই। বর্তমান সময়ে যে সকল জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস রয়েছে এগুলোর মধ্যে ফাইভার অন্যতম একটি। আপনি যদি ফাইভারে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত ফাইভার মার্কেটপ্লেসের সুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া।

১। অন্যান্য মার্কেট প্লেসে কাজ শুরু করার জন্য প্রথমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। সেই মার্কেটপ্লেস গুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার প্রক্রিয়া কিন্তু অনেক জটিল হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য যে সকল মার্কেটপ্লে শুরু হয়েছে এগুলোর সাথে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা এবং প্রোফাইল সাজানো গোছানোর প্রক্রিয়া ফাইভারে অনেকটাই সহজ।

২। বর্তমানে যে সকল জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস রয়েছে এগুলোতে ক্লায়েন্টরা নিজেদের কাজের যে সকল প্রয়োজনীয় সার্ভিস রয়েছে এগুলো প্রজেক্ট আকারে প্রকাশ করে। এবং ফ্রিল্যান্সাররা ওই কাজ পাওয়ার জন্য এপ্লাই অথবা গিগ সাবমিট করে। এরপরে ক্লায়েন্ট ইন্টারভিউ নিয়ে যদি মনে করে যে সে কাজ করার যোগ্যতা হলে তাকে কাজ দেয়। অর্থাৎ এখানে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।

অপরদিকে ফাইভারে কিন্তু অনেকটাই ভিন্ন এখানে ফ্রিল্যান্সাররা নিজেরা যে বিষয়ে দক্ষ সাধারনত সেই বিষয়ে ছোট ছোট গিগ আকারে আবেদনপত্র তৈরি করে ক্লায়েন্টের কাছে উপস্থাপন করে এবং ক্লায়েন্ট তার প্রয়োজনীয় গিগটি অর্ডার থাকেন। অর্থাৎ এখানে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক কম।

ফাইভার গিগ আকর্ষণীয় করার উপায়

ফাইভার গিগ আকর্ষণীয় করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। আপনারা যারা ফাইভার গিগ নিয়ে কাজ করতে চাইছেন তাদের জন্য ফাইভার র‍্যাংক করতে হলে এবং ভালো কাজ পেতে হলে অবশ্যই আপনার গিগগুলোকে আকর্ষণীয় করা জরুরী। এ জন্য কিছু উপায় আপনাদের অবলম্বন করতে হবে।

ফাইভার গিগের SEO -- ফাইভার গিগ আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য SEO অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যদি আপনার গিগ গুলোর জন্য ভালো SEO তৈরি করতে পারেন তাহলে অনেকটাই ভালো ফলাফল পাবেন। ফাইভারে গিগ তৈরি করার জন্য প্রথমে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে এবং কিওয়ার্ড গুলো দিয়ে ভালোভাবে অপ্টিমাইজ করে আপনার গিগের SEO এর কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

গিগে ভিডিও সংযুক্ত করা -- যারা ফাইভারের মাধ্যমে গিগ তৈরি করে করেন তাদের গিগে 40% পর্যন্ত ট্রাফিক বাড়ায়। গিগে ডেসক্রিপশন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভিডিওতে আপনি যে বিবরণ গুলো তুলে ধরবেন তা আপনার আকর্ষণীয়তা বাড়াবে এবং গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করবে। গিগ তৈরির জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।

  • নিজের পরিচয় দিয়ে অডিয়েন্সকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
  • বায়ার কে আপনি বলে সম্বোধন জানান।
  • আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এবং আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে তুলে ধরুন।
  • আপনার সার্ভিস গুলো অন্যদের থেকে আলাদা তা তুলে ধরুন।
  • যারা আপনার গিগ ভিডিও গুলো দেখছে তাদের অর্ডার করতে বলুন।

এসইও ফ্রেন্ডলি গিগ টাইটেল -- এসইও এর ক্ষেত্রে শিরোনামটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আপনাকে গিগ তৈরীর সময় অবশ্যই শিরোনাম বা টাইটেলটি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।আপনার গিগ ভিডিওটি সার্ভারের মাধ্যমে সার্চ করতে হলে অবশ্যই শিরোনামটি বিশেষ জরুরী। তাহলে এখানে বোঝাই যাচ্ছে গিগ ভিডিওর জন্য এসইও কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

গিগের আকর্ষণীয় ছবি -- বায়াররা গিগের আকর্ষণীয় ছবি ও  টাইটেল এর মাধ্যমে আকৃষ্ট হয়ে থাকেন। যদি আপনার গিগের আকর্ষণীয় ছবি ও টাইটেল পছন্দ হয় তাহলে বায়ারা সেখানে সম্পন্ন প্রোফাইল দেখার জন্য ক্লিক করে। আপনার প্রোফাইল পিকচার অবশ্যই আকর্ষণীয় ও উচ্চ রেজুলেশন যুক্ত করুন। পাশাপাশি একাধিক ছবিগুলো বায়ার কে আকৃষ্ট করতে ব্যবহার করতে পারেন।

প্রোফাইল -- আপনি যদি ফাইভারে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার জীবন বৃত্তান্ত সম্পর্কে কিছু ধারনা দিয়ে আপনার প্রোফাইলটি সুন্দর করে সাজাতে হবে। শুধু আপনার গিগ দেখে যে আপনাকে কাজ দিবে তা কিন্তু নয় এর জন্য অবশ্যই আপনার প্রোফাইল সুন্দর করে সাজানো জরুরী। অনেক বায়ার প্রোফাইলের বৃত্তান্ত জেনে কাজ দিয়ে থাকেন।

অন-টাইম ডেলিভারি -- সঠিক ভাবে কাজের ডেলিভারি দেওয়া দক্ষ ফ্রিল্যান্সারের কাজ। যেসব ফ্রিল্যান্সার যথাসময়ে কাজ হ্যান্ডওভার করে থাকে তাদের সাথে অনেকে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন।

ফাইভারে বেশি কাজ পাওয়ার সহজ উপায়

ফাইভারে বায়ারের সাথে ভিডিও কলে করণীয় জানা গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ের পাশাপাশি ফাইভারে বেশি কাজ করা সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। ফাইভার বিশ্বের ডিজিটাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে সকল ধরনের সহজ এবং কঠিন কাজ শেখানো হয়। অনেকেই এখানে ইনকামের আশায় এই সেক্টরে কাজ করে থাকেন কিন্তু সঠিকভাবে অনেকেই কাজ পায় না। আজকে আপনাদের ফাইভারে বেশি কাজ পাওয়ার কিছু সহজ উপায় সম্পর্কে জানিয়ে রাখবো।

একটি ভালো মানের প্রোফাইল তৈরি করুন -- ফাইভারে কাজের জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার জীবনের কিছু বৃত্তান্ত দিয়ে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। আপনার প্রোফাইল কে অবশ্যই পেশাদার ও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। প্রোফাইলে অবশ্যই আপনার বাস্তব ছবি এবং বাস্তব কিছু ভিডিও যুক্ত করতে হবে। আপনার নাম এবং পরিচয় নয় এর পাশাপাশি এমন কিছু বিষয় উপস্থাপন করুন যা দেখে বায়ার আকৃষ্ট হবে এবং কাজ পেতে সাহায্য করবে।

ডেসক্রিপশন দিন -- ফাইভার প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ভিডিও আপলোড করে থাকে আপনাকে তাদের থেকে আলাদাভাবে কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। ভিডিওতে এমন কিছু উপস্থাপন করুন যা আপনার বায়ারের মন আকৃষ্ট করবে। আপনার গিগ গুলোর জন্য ভিন্ন ডেসক্রিপশন দিন এটি আপনাকে কাজ পেতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে ডেলিভারির সময় তাদের আপনি সময় সম্পর্কে উল্লেখ করুন তাদের নিশ্চিত করুন আপনি বাকিদের থেকে অনেকটাই দক্ষ। গিগ তৈরির সময় এমন কিছু গিগ  অফার বায়ের জন্য রাখুন যা আপনার বায়ার দেখে আকৃষ্ট হয়।

সিমিলার গিগ নিয়ে কাজ করুন -- অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন টিপস নিয়ে কাজ করে থাকেন এটি না করে আপনি সিমিলার গিট নিয়ে কাজ করতে পারেন।একটি নিশ টার্গেট করে কয়েকটি গিগ এর ভ্যারিয়েন্ট তৈরি করা। এই নিশ নিয়ে কাজ করলে ফাইভারে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

আপনার সার্ভিসটিকে নতুন ও ইউনিক করে প্রেজেন্ট করুন -- ফাইভার থেকে ইনকাম করা অনেকটাই সহজ যদি আপনি বেশ কিছু নতুন ইউনিক প্রেজেন্ট করেন। বাজারে যেসব সার্ভিস চলছে তা থেকে একটু ইউনিক ভাবে নিজেকে তুলে ধরুন।

ফাইভারে কি ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব

ফাইভারে কি ক্যারিয়ার করা সম্ভব? যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন বা ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কাজ করতে চাইছেন এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাইছেন তাদের মধ্যে অনেকেই এসব চিন্তাভাবনা করে থাকে। আপনি যদি দক্ষ ও সৃজনশীলতার সাথে কাজ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। ফাইভারে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিকভাবে কাজ পরিচালনা করতে হবে এবং দক্ষ হতে হবে তাহলে অবশ্যই আপনি একটি স্মার্ট ক্যারিয়ার এর মাধ্যমে গড়ে তুলতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শেখার ৩০টি সহজ উপায় - ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

একজন ফ্রিল্যান্সার যদি দক্ষ ভাবে কাজ করতে পারে এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মটি তার জন্য একটি অন্যতম ক্যারিয়ার গঠনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হতে পারে। প্ল্যাটফর্মটিতে বায়ার এবং সেলারদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ফিচার পরিচালনা করা হয়। অনলাইনে কাজ করার জন্য যে যে মাধ্যম গুলো অনলাইনের মধ্যে রয়েছে তার প্রায় সব বিষয়ে ফাইভারে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। আপনি যদি একজন দক্ষ অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজেকে পরিণত করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি ফাইভারে কাজ করে একটি উন্নত ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।

ফাইভারে কিভাবে কাজ শুরু করব

ফাভারে কিভাবে কাজ শুরু করব? বিষয়ে যারা নতুন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ। ফাইভার একটি ইন্টারন্যাশনাল মাল্টিমিডিয়া কোম্পানি। বিশ্বের অনেকগুলো ভাষায় এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি এতে বিশ্বব্যাপী আলাদা আলাদা সাংস্কৃতির মানুষ এই ফ্ল্যাটফ্রম ব্যবহার করে তাদের কাজে সফল হচ্ছেন। ফাইভার সেলার এবং বায়ার এই দুই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করে।

ফাইভারে-কিভাবে-কাজ-শুরু-করব

এখানে আপনি কাজ করতে গেলে সেলার অ্যাকাউন্টের কাজ করতে হবে এবং কাজ করিয়ে নিতে চাইলে বায়ার প্রোফাইল ইউজ করতে হবে। ফাইভার সেলার প্রোফাইলের মাধ্যমে বায়ারকে ফ্রিল্যান্সার সরবরাহ করে থাকে। যেহেতু ফাইভার একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম যেখানে সব ধরনের ফ্রিলান্সিং কাজ পরিচালনা করা হয়। এক প্লাটফর্মে যারা কাজ করে তারা গিগ ভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করে। এই প্লাটফর্মে গিগ ভিডিও গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।

গিগের মাধ্যমে আপনার পণ্য বায়ারের সামনে উপস্থাপন করে বায়ারকে আকৃষ্ট করতে হবে। গিগ এর মাধ্যমে আপনার পণ্যের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরবেন। তথ্য গুলো যেন সঠিক এবং নির্ভুল হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ কাজ পাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই আপনার গিগের উপর নির্ভর করবে। তাই আপনার উচিত হবে দক্ষ নির্ভুল ভাবে গিগ তৈরি করে বায়ারের সামনে উপস্থাপনা করা।

লেখকের শেষ মন্তব্য

ফাইভারে বায়ারের সাথে ভিডিও কলে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং ফাইভার মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে চান তাহলে আপনার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই আর্টিকেলে যা আলোচনা করা হয়েছে তা নতুন ফ্রিল্যান্সারের অবশ্যই জানা উচিত।

আশা করছি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা ফাইভার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেল এর সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url