ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ফাইভারে গিগ তৈরি করার উপায়ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। কমবেশি আমরা সবাই জানি যে ফাইভার হল জনপ্রিয় একটি মার্কেট প্লেস। বিভিন্ন ধরনের কাজ এই মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে কাজ করার পরেও সফল হতে পারেনা। তাই আমরা যারা নতুন কাজ করতে চাই তাদের ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা প্রয়োজন।
সূচিপত্রঃ ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- ফাইভার কোন ধরনের সাইট
- ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
- ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়
- ফাইভারে কিভাবে কাজ করা যায়
- ফাইভারে গিগ তৈরি করার উপায়
- ফাইভারে বায়ার কে খুশি করার উপায়
- ফাইভারে ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করার উপায়
- ফাইভার গিগ র্যাঙ্ক করার উপায়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত। বিশেষ করে আমরা যারা ফাইভারে কাজ করতে চাই সাধারণত তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে সকল গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটপ্লেস রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফাইভার। কিন্তু এখানে সফলভাবে কাজ করতে গেলে বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ২০২৪ সালের ফ্রিল্যান্সিং এর যেসব কাজের চাহিদা বেশি
১। সম্পূর্ণ ও প্রফেশনাল সেলার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। আপনারা যারা ফাইভারে কাজ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন সাধারণত তাদের প্রথম কাজ হল সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করা। সাধারণত আপনি যে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস দিয়ে থাকেন অবশ্যই এই বিষয় গুলো উল্লেখ করে একটি সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। তথ্য দেওয়ার সময় আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং সার্টিফিকেট অনুযায়ী তথ্য পূরণ করতে হবে।
২। সঠিক গিগ টাইটেল ও ডেসক্রিপশন দিতে হবে। আপনি যদি চান আপনার আবেদনগুলো সবার উপরের দিকে থাকুক তাহলে আপনাকে আপনার আবেদনের সঠিক টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন যুক্ত করতে হবে। একটা কাজের জন্য অসংখ্য মানুষ আবেদন করে থাকে সাধারণত সবার চাইতে আপনার আবেদনটি ইউনিক হতে হবে।
৩। আকর্ষণীয় করার জন্য গিগ তৈরি করার সময় ইমেজ ও ভিডিও যুক্ত করতে হবে। আপনি যদি আপনার আবেদনের মধ্যে কোন ধরনের ছবি অথবা ভিডিও যুক্ত করেন তাহলে আপনার আবেদনটি সবার উপরের দিকে থাকবে। যদি আপনার আবেদন সবার উপরের দিকে থাকে তাহলে অবশ্যই বায়ারের চোখে আপনার আবেদনটি সবার প্রথমে পড়বে।
৪। ডেসক্রিপশন এর মধ্যে সেরা ও সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত আমরা ডেসক্রিপশনে আমাদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে থাকি। এই তথ্য গুলো দেওয়ার সময় অবশ্যই যে সকল সেরা কিওয়ার্ড রয়েছে সাধারণত সেগুলো যুক্ত করতে হবে। এ বিষয়টি যেন ভুল না হয় সাধারণত সে দিকের দৃষ্টি রাখতে হবে।
৫। সোশ্যাল মিডিয়াতে গিগ প্রমোট করতে হবে। আমরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকি। আপনি যদি ফাইভারে সফলভাবে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে এখানে আবেদন করার পাশাপাশি এই আবেদন পত্র আপনার যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে সবগুলোতেই শেয়ার করতে হবে। এতে করে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
৬। বেশিরভাগ সময় ফাইভারে অনলাইন থাকতে হবে। যদি অনলাইন না থাকা হয় তাহলে অনেক সময় বায়ার আমাদেরকে মেসেজ দেয় কিন্তু একটিভ না থাকার কারণে আমরা এই মেসেজ গুলো দেখতে পারি না। সঠিক সময়ে বায়ারের সাথে কথা বলার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে বেশিরভাগ সময় অনলাইন থাকতে হবে।
৭। কাজের কোয়ালিটি ও অন-টাইম ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদি আপনি একেবারেই নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কাজের কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো করতে হবে। যদি রেটিং ভালো পেতে চান তাহলে ওয়ান টাইম ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কাজ সম্পন্ন করার পরে ভালো হবে চেক করে নেবেন এরপরে কাজ জমা দেবেন।
ফাইভার কোন ধরনের সাইট
ফাইভার কোন ধরনের সাইট? আমরা খুব ভালোভাবেই জানি। তবে আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে থাকেন এবং ফাইভার সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ফাইভার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কারণ ফাইভার হল এক ধরনের মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট। সাধারণত এই ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হয়ে থাকে।
দেশ অথবা দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন কোম্পানি দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফাইভার হল জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট। যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স ডিজাইন সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ অর্থের বিনিময়ে করানো হয়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন একটি সেক্টরে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সেই সেক্টর নিয়ে এ মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারবেন।
ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার উপায় জানানো হবে। আমাদের অনেকের চিন্তা থাকে যে আমরা ফ্রিল্যান্সিং শিখে ফাইভারে গিয়ে মাস শেষে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করব। কিন্তু মুখে বললেই আসলে এই বিষয়গুলো সম্ভব নয় অবশ্যই আপনাকে কাজে দেখাতে হবে। ফাইভারে যদি আপনি আপনার নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। না হলে কখনোই আপনি ফাইভারে একটি ভালো ক্যারিয়ার করতে পারবেন না।
প্রোফাইল কমপ্লিট করতে হবে -- ফাইভারে যদি সফলতা পেতে চান এবং এখানে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আপনার প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট করতে হবে। প্রোফাইলটি কে সুন্দর করে সাজাতে হবে বিশেষ করে নামের নিচে অবশ্যই ট্যাগলাইন থাকে সেখানে আপনার যে সকল অভিজ্ঞতা আছে এবং আপনি যে কাজ গুলো করতে ইচ্ছুক সেগুলো দিতে হবে। এরপরে আপনার প্রোফাইল পিকচার অবশ্যই প্রফেশনাল মানে হতে হবে। এরপরে ডেসক্রিপশন বক্সে নিজের সম্পর্কে এবং আপনি কোন কোন সার্ভিস দেন সেগুলো সম্পর্কে লিখতে হবে।
গিগ তৈরি করতে হবে -- ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে এগুলোর মধ্যে আরেকটি হলো সুন্দর করে গিগ তৈরি করা। এক্ষেত্রে আপনার পর্যায়ে যারা রয়েছে সাধারণত তাদের চাইতে ভালো মানের গিগ তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে। গিগ আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ইমেজ এবং ভিডিও যুক্ত করতে হবে। ইমেজ এবং ভিডিও যুক্ত করলে গিগ সবার উপরের দিকে থাকবে।
স্কিল টেস্ট করতে হবে -- ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়তে হলে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্কিল টেস্ট। সাধারণত আপনি কোন কাজে বেশি অভিজ্ঞ এবং কোন কাজ ভালোভাবে পারেন এই বিষয়টি আপনাকে জানতে হবে। আর এই বিষয়গুলো জানার জন্য স্কিল টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়
ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি। এখন বিষয় হচ্ছে যে আপনি যদি ফাইভারে কাজ পেতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যারা স্ক্রিল ডেভেলপ করেছে সাধারণত তাদের জন্য ফাইভারে কাজ পাওয়া অনেকটাই সহজ। কিন্তু যারা নতুন রয়েছে সাধারণত তাদের জন্য ফাইভারে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন।
১। আপনি যদি ফাইভারে কাজ পেতে চান তাহলে আপনার প্রথম করণীয় হবে একটি সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করা। কিভাবে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে সাধারণত এই বিষয় গুলো ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। যদি প্রোফাইল ঠিক থাকে এবং প্রোফাইল সুন্দর করে সাজানো থাকে তাহলে অনেক বায়ার আছে যারা কাজ দিয়ে থাকে।
২। ফাইভারে কাজ পাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে। আমরা অনেকেই নিয়মিত একটিভ থাকি না কিন্তু কাজ পাওয়ার আশা করি আসলে এটি বৃথা আশা ছাড়া কিছুই নয়। তাই কাজ পাওয়ার জন্য অবশ্যই বেশিরভাগ সময় একটিভ থাকতে হবে।
৩। একটি আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করতে হবে। কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন পত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি সঠিকভাবে আবেদন করতে পারি তাহলে অনেক সময় কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। গিগ এমনভাবে সাজাতে হবে যেন দেখতে আকর্ষণীয় হয়। বিশেষ করে ইমেজ এবং ভিডিও যুক্ত করতে হবে।
ফাইভারে কিভাবে কাজ করা যায়
ফাইভারে কিভাবে কাজ করা যায়? চলুন এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি যে ফাইভার হল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মার্কেট প্লেস। প্রতিটি ফ্রিল্যান্সারের ইচ্ছা থাকে ফাইভার সহজে সকল মার্কেটপ্লেস রয়েছে সব গুলোতেই কাজ করা। এখন বিষয় হচ্ছে যে কিভাবে এই ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হয়? যারা মার্কেটপ্লেসের নতুন সাধারণত তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো ভালোভাবে জানা উচিত।
ফাইভার সাধারণত সেলার এবং বায়ার এই দুই পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান তাহলে আপনি এখানে একটি সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন এবং এই একাউন্টের মধ্যেই আপনি কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যদি কাজ করিয়ে নিতে চান তাহলে একটি বায়ার প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন যেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি অন্যকে দিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় কাজ গুলো টাকার বিনিময়ে করাতে পারবেন।
এই দুইটি একাউন্টের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য পাওয়া যায়। যে সকল বায়ার প্রোফাইল রয়েছে সাধারণত এগুলো ব্যবহার করা হয় ডিজিটাল সার্ভিস ক্রয় করার জন্য। অন্যদিকে সেলার একাউন্ট তৈরি করা হয় যেকোনো ধরনের সার্ভিস বিক্রয় করার জন্য। আমরা যখন একাউন্ট তৈরি করি সাধারণত তখন আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে আমরা বায়ার নাকি সেলার কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চাই? সাধারণত এভাবেই মার্কেটপ্লেস ফাইভার কাজ করে।
ফাইভারে গিগ তৈরি করার উপায়
ফাইভারে গিগ তৈরি করার উপায় আমরা নতুনরা অনেকেই জানিনা। আপনি যেহেতু ফাইভারে কাজ করতে চাচ্ছেন সেহেতু গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো গিগ। সহজ ভাষায় বলতে গেলে গিগ হল মূলত এক ধরণের পরিষেবা বা সার্ভিস। একজন ফ্রিল্যান্সার ফাইভারের মাধ্যমে তার সার্ভিস গুলো বিক্রি করার জন্য যে সুবিধা গুলো প্রদান করে এবং কত দিনের মধ্যে ও কত টাকার বিনিময়ে কাজ করে এই তথ্যগুলো সাবমিট করা হয় যার মাধ্যমে সাধারণত এটিকেই গিগ বলা হয়ে থাকে।
মার্কেট প্লেসে আপনি যদি কাজ পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি সুন্দর মানের গিগ তৈরি করতে হবে। আর এই গিগ তৈরি করার জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। আপনার যতগুলো দক্ষতা রয়েছে সবগুলো দিয়েই গিগ তৈরি করার চেষ্টা করুন।
- কম্পিটিটর অ্যানালাইসিস
- আকর্ষণীয় গিগ তৈরি করার জন্য ইউনিক এসইও পূর্ণ টাইটেল দিতে হবে
- সবার চাইতে আলাদা অর্থাৎ ইউনিক ডেস্ক্রিপশন যুক্ত করতে হবে।
- গিগের প্যাকেজ যুক্ত করতে হবে।
- একটি সুন্দর গিগের ট্যাগ যুক্ত করতে হবে।
- ভালো দেখে একটি থাম্বেল গিগের জন্য যুক্ত করতে হবে।
- যদি ভিডিও যুক্ত করা যায় তাহলে আরো ভালো হয়।
ফাইভারে বায়ার কে খুশি করার উপায়
ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে এগুলো জানার পাশাপাশি কিভাবে আমরা আমাদের বায়ারকে খুশি করাতে পারি এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও জেনে রাখতে হবে। বিশেষ করে আমাদের কাজ দিয়ে যদি আমরা বায়ারকে খুশি করতে পারি তাহলে তিনি আমাদের প্রোফাইলে ভালো রেটিং দিবেন। ফাইভারে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ভালো মানের রেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রত্যেকের বায়ারকে খুশি করার উপায় গুলো জানা উচিত।
- কাজ সম্পর্কিত প্রশ্ন করতে হবে
- বায়ারের বিজনেস এবং সার্ভিস সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে
- আগে এই কাজটি কেউ করেছে কিনা এই বিষয়ে জানতে হবে
- তার কম্পিটিটর সম্পর্কে জানতে হবে
- ওয়ান টাইমে কাজ জমা দিতে হবে
কাজ সম্পর্কিত প্রশ্ন করতে হবে -- অনেক সময় আমরা অতি উৎসাহী হয়ে কোন কিছু প্রশ্ন না করেই কাজ শুরু করে দেই যার ফলে কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা দেয়। এ বিষয়টি থেকে বের হয়ে আমাদেরকে যে কাজ দিয়েছে সাধারণত সেই কাজ সম্পর্কিত যে সকল বিষয় রয়েছে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
বায়ারের বিজনেস এবং সার্ভিস সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে -- আপনার বায়ার আপনাকে যে কাজ দিয়েছে সাধারণত তার বিজনেস এবং সার্ভিস কোন ধরনের এ বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে। কারণ আপনি যদি তার বিজনেস সম্পর্কিত বিষয় গুলো না জানেন তাহলে কখনোই ভালো কাজ করতে পারবেন না।
আগে এই কাজটি কেউ করেছে কিনা এই বিষয়ে জানতে হবে -- আপনার আগে কেউ এই কাজটি করেছে কিনা অবশ্যই বায়ার কে জিজ্ঞেস করতে হবে। যদি করে থাকে তাহলে তিনি কেন আবার নতুন করে আপনাকে দিয়ে কাজ করাতে চাচ্ছে তার কোন জিনিসটি পছন্দ হচ্ছে না এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবশ্যই জানা উচিত।
তার কম্পিটিটর সম্পর্কে জানতে হবে -- আপনার বাইরের যে সকল কম্পিটিটর রয়েছে সাধারণত তাদের সম্পর্কে জানতে হবে। আমরা সবাই জানি যে বর্তমানের সময় হলো প্রতিযোগিতার সময়। আমরা যদি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে প্রতিযোগীর চাইতে ভালো কাজ করতে হবে।
ওয়ান টাইমে কাজ জমা দিতে হবে -- বায়ার আপনাকে যে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন এ সময়ের মধ্যে কাজ দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অনেক সময় আমরা কাজ করতে দেরি করে দেয় যার ফলে বায়ার ও খুশি হয় এবং আমাদের পয়েন্ট কমিয়ে দেয়। যদি সম্ভব হয় তাহলে সময়ের আগেই কাজ জমা দিয়ে দিতে হবে।
ফাইভারে ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করার উপায়
ফাইভারে ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করার উপায় জানতে হলে আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে। কিভাবে গিগ তৈরি করতে হয় সাধারণত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি। সাধারণত কাজ পাওয়ার জন্য আমরা যেই গিগ তৈরি করি সেখানে যদি সঠিক ইম্প্রেশন না আসে তাহলে কখনোই কাজ পাওয়া সম্ভব নয়। সঠিক পরিমাণ কাজ পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইম্প্রেশন এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
- সাধারণত আমরা যে সার্ভিস গুলো প্রদান করব সেই বিষয়ে যে সকল কি-ওয়ার্ড রয়েছে সেগুলো নিয়ে রিসার্চ করে নিতে হবে।
- গিগ তৈরি করার সময় এর টাইটেল যেন এসইও ফ্রেন্ডলি হয় অবশ্যই এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তাছাড়া ইউ আর এল ও এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
- গিগ তৈরি করার সময় ইমেজ অথবা ভিডিও যুক্ত করতে হবে এর ফলে ইম্প্রশন বাড়তে পারে।
- সুন্দর কিউট ব্যবহার করার পাশাপাশি অবশ্যই রিলেটেড কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
- নিজের প্রয়োজনে প্রথম অবস্থায় নিজের কাজের দাম কমিয়ে রাখতে হবে। যদি রেটিং বৃদ্ধি পায় সাধারণত তখন দাম বাড়াতে হবে।
ফাইভার গিগ র্যাঙ্ক করার উপায়
ফাইভার গিগ র্যাঙ্ক করার উপায় অনেকেই জানতে চাই। সাধারণত আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি যে ফাইভার হল বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একটি মার্কেট প্লেস। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ এ ফাইভার মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে করা যায়। কাজ পাওয়ার জন্য আমরা ফাইভারে গিগ তৈরি করে থাকি কিন্তু কিভাবে এটি র্যাঙ্ক করানো যায় সাধারণত এই বিষয়টি জানা নেই। কাজ পাওয়ার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ ২০টি সেরা উপায় ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করার
- ফাইভারে গিগে এসইও করতে হবে। আমরা জানি যে যে কোন আর্টিকেলকে র্যাঙ্ক করানোর জন্য এসইও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গিগ তৈরি করার সময় অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি কিওয়ার্ড খুঁজে বের করে তা তৈরি করতে হবে।
- ফাইভার গিগ র্যাঙ্কে আনতে হলে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভিডিও যুক্ত করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি যে ভিডিও যুক্ত করলে এর ইম্প্রেশন অনেক বাড়ে।
- গিগে আকর্ষণীয় ছবি যুক্ত করতে হবে। গিগ র্যাঙ্ক না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো খারাপ ছবি যুক্ত করা। ফাইভার গিগ যেন আকর্ষণীয় হয় সাধারণত এইজন্য অবশ্যই আমাদেরকে একটি আকর্ষণীয় ছবি যুক্ত করতে হবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
ফাইভারে সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে ফাইভার সম্পর্কে আরো যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল প্রায় সবগুলোই আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান এবং মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনার উচিত ফাইভার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া। তাছাড়া এখানে কিভাবে আপনি সফল হতে পারবেন সাধারণত এই বিষয় গুলো আপনাকে জানতে হবে।
আশা করছি আমাদের আর্টিকেল থেকে ফাইভার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url