পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি - পদ্ম ফুলের বীজ যেখানে পাওয়া যায়
পদ্ম ফুলের বীজের দামপদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি জেনে তারপর আমাদের গাছ লাগাতে হবে। আমরা অনেকেই পদ্ম ফুল পছন্দ করি কিন্তু পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়? এই বিষয়ে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই।
যদি আপনি আপনার বাসা বাড়িতে পদ্ম গাছ লাগাতে চান তাহলে পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। লাগানোর পদ্ধতি জানার পাশাপাশি পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে জানুন।
পেজ সূচিপত্রঃ পদ্ম গাছ লাগাতে হয় কিভাবে সেই পদ্ধতি জানুন - পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়
- পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি
- পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়
- পদ্ম বীজের উপকারিতা
- পদ্ম বীজের ক্ষতিকর দিক
- পদ্ম ফুলের বীজের দাম
- পদ্ম ফুলের বীজ থেকে চারা
- পদ্ম গাছের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়
- টবে পদ্ম গাছ লাগানোর নিয়ম
- পদ্ম ফুল কোন ঋতুতে হয়
- আমাদের শেষ কথা
পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি
পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি বেশিরভাগ মানুষ জানেনা। ফুল হচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক। আমরা প্রত্যেকে ফুল পছন্দ করে থাকি সাধারণত অনেকের বাড়ির ছাদে বিভিন্ন ধরনের ফুল দেখা যায়। কেউ শাপলা ফুল পছন্দ করে কেউ পদ্মফুল পছন্দ করে আবার কেউ সূর্যমুখী অথবা গোলাপ ফুল পছন্দ করে থাকে। আপনি যদি পদ্ম ফুল পছন্দ করে থাকেন তাহলে পদ্ম গাছ কিভাবে লাগাতে হয়? এ বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিন তাহলে তাড়াতাড়ি এবং ভালো ফলন পাবেন।
আরো পড়ুনঃ জাম খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা অপকারিতা
পদ্ম গাছ লাগাতে হলে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কোন পাত্রে গাছ লাগাবেন সেটি। অনেক সময় আমরা সঠিক পাত্র নির্বাচন করতে পারি না যার ফলে সঠিকভাবে পদ্ম গাছ বড় হয় না এবং তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যেহেতু পদ্ম ফুল বড় জায়গা নিয়ে ফুটে থাকে তাই এই বিষয়টি বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
এরপর আপনাকে পদ্ম গাছের বীজ খুঁজে বের করতে হবে। সাধারণত পদ্ম গাছ সব থেকে বেশি বিলের দিকে ভালো জন্মায়। আপনার এলাকার আশেপাশে যদি বিল থাকে এবং বর্ষাকাল থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই পদ্ম গাছের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। অথবা আপনি যদি সরাসরি পদ্ম গাছের চারা লাগাতে চান তাহলেও লাগাতে পারবেন এবং ভালো ফলন পাবেন।
পাত্র নির্বাচন করার পরে সেখানে এটেল মাটি দিয়ে পূরণ করতে হবে। কারণ পদ্মফুল সব থেকে বেশি ভালো ফলন দিয়ে থাকে এটেল মাটিতে। মাটি তৈরি করার সময় যদি পুকুর থেকে পাক নিয়ে এসে যুক্ত করতে পারেন তাহলে আরো ভালো ফলন পাবেন। এরপরে পাত্রের মধ্যে চারা পুঁতে দিতে হবে। এরপর পাথরটিকে পানি ভর্তি একটি টবের মধ্যে রেখে দিতে হবে এবং পানি কখনো কমে না যায় এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।
পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়
পদ্ম ফুলের বীজ কোথায় পাওয়া যায়? অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে। আমরা যদি পদ্মফুল চাষ করতে চাই তাহলে অবশ্যই পদ্ম ফুলের বীজ প্রয়োজন হবে। যদি সরাসরি বীজ থেকে চারা তৈরি করতে চাই তাহলে আর যদি চারা সরাসরি লাগানো হয় তাহলে পদ্ম ফুলের বীজের তেমন কোন প্রয়োজন নেই। পদ্ম ফুলের বীজ সংগ্রহ করা খুবই সহজ।
আমাদের আশেপাশে নার্সারি থাকলে এটি আরো সহজ হয়ে যায়। আমরা জানি যে ফুল সকলের পছন্দের একটি উদ্ভিদ। বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আমরা ফুল লাগিয়ে থাকি বিশেষ করে বাড়ির ছাদে এবং বাসার বারান্দায়। যদি আপনার আশেপাশে কোন ধরনের নার্সারি থাকে তাহলে সেখানে গিয়ে আপনি খুব সহজেই পদ্ম ফুলের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়া বর্তমানে সকল ধরনের পণ্য অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়। আপনি যদি অনলাইনে পদ্ম ফুলের কিনতে চান তাহলে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মাধ্যম রয়েছে যারা ভালো মানের পদ্ম ফুলের বীজ আপনাকে সংগ্রহ করে দেবে। তাদের কাছ থেকে নিতে পারেন তবে দেখে শুনে বাড়ির আশেপাশে যদি ফুলের নার্সারি থেকে নিতে পারেন তাহলে বেশি ভালো হয়।
পদ্ম বীজের উপকারিতা
পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা পদ্ম বীজের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা অনেকেই পদ্ম ফুলের বীজ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি। যারা গ্রামে বসবাস করে সাধারণত তারা এই খাবারটি বেশি পছন্দ করে এবং তারা পদ্ম ফুলের মৌসুমের সময় পদ্ম ফুলের বীজ বেশি খায় এমন বাজারে বিক্রি করতে দেখা যায়। যেহেতু আপনারা পদ্ম ফুলের বীজ খেয়ে থাকেন তাই অবশ্যই এর উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।
- পদ্ম বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাধারণত এই উপাদানটি আমাদের দেহ থেকে বজ্র পদার্থ গুলোকে নিষ্কাশন করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।
- যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তারা যদি নিয়মিত পদ্মবিজ খেতে পারে তাহলে এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য এর মত রোগ কমাতে সাহায্য করবে।
- পদ্ধতি এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এর দেহকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই প্রোটিন খেতে হবে।
- যেহেতু পদ্ম বীজের মধ্যে প্রোটিন পাওয়া যায় সাধারণত এটি ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- এছাড়া যাদের দেহের ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ওজন কমাতে পারছে না সাধারণত তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পদ্ম বীজ। এর মধ্যে থাকা উপাদান গুলো আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট দূর করে এবং ওজন কমায়।
- যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে সাধারণত তারা যদি নিয়মিত খেতে পারে তাহলে এটি তাদের এসিডিটি নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এবং গ্যাসটিক জাতীয় ধরনের সমস্যা রয়েছে সবগুলো সমাধান করবে।
- যদি সন্তান প্রসবের পর কোন নিয়ম অনুযায়ী এবং পরিমাপ মতো পদ্ম বীজ খেতে পারে তাহলে দুধ উৎপাদনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
- কিডনি জাতীয় সমস্যা সমাধানে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে পদ্ম ফুলের বীজ। কিডনির সমস্যার সমাধানে এবং এটি ভালো রাখতে হলে পদ্ম বীজ খাওয়া যেতে পারে।
- যেহেতু এটি আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে সেই জন্য এটি আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। তাছাড়া হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- আমাদের দেহকে সুন্দর এবং ত্বক সুন্দর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে পদ্মফুলের বীজ। তাই আপনি যদি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান তাহলে পদ্ম ফুলের বীজ খেতে পারেন।
পদ্ম বীজের ক্ষতিকর দিক
পদ্ম বীজের ক্ষতিকর দিক গুলো বেশিরভাগ মানুষের জানা নাই। যেহেতু আমরা পদ্মবীজ খাওয়ার ফলে কোন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনেছি তাই আমাদের পদ্ম বীজের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কেও ভালোভাবে ধারণা রাখতে হবে। পদ্ম বীজের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সাধারণত এই উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী।
কোন জিনিস অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয় সাধারণত সেই জিনিস যদি অনেক বেশি উপকারী হয় তাও। কারণ উপকারি কোন জিনিস যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে সেটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পদ্ম বীজ খেয়ে থাকে তাহলে তার হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। উপকারী খাবার গুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়।
গর্ভবতী কোন মা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পদ্মবীজ খেয়ে থাকে তাহলে তার দুধের স্বাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যদি নিয়ম অনুযায়ী এবং পরিমাপ অনুযায়ী খায় তাহলে দুধ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। স্বাদ নষ্ট না হয়ে যায় এ বিষয়টির দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে পদ্ম বীজ খাওয়া উচিত নয়।
পদ্ম ফুলের বীজের দাম
পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা পদ্ম ফুলের বীজের দাম কত হতে পারে? সে বিষয়ে জানব। গ্রাম অঞ্চলে পদ্ম ফুলের বীজ এমনিতে পাওয়া যায় আবার যদি এর চাহিদা বেড়ে যায় তাহলে অনেক সময় বাজারে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে গ্রামের চাইতে শহরে পদ্ম ফুলের বীজের দাম বেশি। কারণ শহরে এটি তেমন ভাবে পাওয়া যায় না।
যদি আপনি পদ্ম ফুলের বীজ খেতে চান অথবা চারা তৈরি করে গাছ উৎপাদন করতে চান তাহলে পদ্ম ফুলের বীজ কেনার আগে বর্তমান বাজারে বীজের দাম কত হতে পারে? সে সম্পর্কে একটা ধারণা নিয়ে নেওয়া জরুরী। পদ্ম ফুলের বীজ অনেক বড় হয়ে থাকে সাধারণত চার থেকে পাঁচটি বীজের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।
পদ্ম ফুলের বীজ থেকে চারা
পদ্ম ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করতে পারলে আমরা সহজেই পদ্ম গাছ লাগাতে পারবো। পদ্ম ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করার পদ্ধতি খুবই সহজ। সাধারণত চারা তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো পদবীজের দুইটি অংশ থাকে একটি সূচালো এবং অপরটি গোল অংশ। যে অংশটি সূচালো থাকে সাধারণত সেই অংশটি ঘষে একটু সমান করে নিতে হবে।
এরপরে এটা ছোট পাত্রের মধ্যে অল্প পরিমাণে পানি নিতে হবে এরপরে পদ্ম ফুলের বীজ গুলোকে পানিতে ডুবিয়ে দেখতে হবে যে সেগুলো ডুকছে কিনা? যদি পানিতে ডুবে যায় তাহলে মনে করতে হবে এই বীজ থেকে যে গাছ হবে সেটি ভালো মানের গাছ হবে। যদি বীজ না ডুবে এবং ওপরের দিকে ভেসে থাকে তাহলে মনে করবেন যে এই বীজ থেকে কখনোই ভালো মানের গাছ হবে না।
চারা তৈরি করার পূর্বে পদ্ম ফুলের বীজ গুলোকে কয়েকদিন পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। কিছুদিন পর দেখতে পাবেন যে বীজগুলো থেকে অঙ্কুরোদগম বের হয়েছে এরপরে আস্তে আস্তে দুই থেকে তিনটি করে পাতা বের হতে থাকবে। যখন দেখবেন যে পাতা বের হতে শুরু করেছে সাধারণত তখনই বীজগুলোকে বের করে একটি পাত্রে এটের মাটি ভরে পুঁতে দিতে হবে।
পদ্ম গাছের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়
পদ্ম গাছের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়? খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা যদি গাছের ভালো ফলন পেতে চাই তাহলে অবশ্যই কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে এই বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। কারণ গাছের যদি পরিচর্যা করার না হয় তাহলে কখনোই ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব নয়। আপনি যদি বাড়িতে পদ্ম ফুল চাষ করে থাকেন তাহলে টবে অনেক দিন ধরে পানি জমে না থাকে এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।
যদি আপনি পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে আপনার গাছকে বাঁচাতে চান তাহলে বাজার থেকে ছোট আকারের মাছ গুলো কিনে টবে ছেড়ে দিতে হবে তাহলে ছোট পোকামাকড় গুলো কখনোই গাছকে আক্রমণ করতে পারবে না। পদ্মফুলের ভালো ফলন পেতে হলে অবশ্যই রোদ দিতে হবে। তাই পদ্মফুল এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে রোদ আসে।
আমরা কত গাছ লাগাই কিন্তু সঠিকভাবে পরিচর্যা না করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে একই পানি টবে থেকে যায়। যদি আপনি ভালো ফলন পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই মাঝেমধ্যে পানি পরিবর্তন করতে হবে। যদি কোন ধরনের রোগ আক্রমণ করে তাহলে পদ্ম গাছের পাতায় বাদামি রঙের দাগ দেখা যায় এ সময় অবশ্যই কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
যদি আরো জটিল কোন রোগ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন ভালো কৃষিবীদের পরামর্শ নিবেন। আপনি যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারেন তাহলে একটি পদ্ম ফুলের কাছ থেকে কয়েক মাসের মধ্যেই ফুল পাবেন। যেহেতু পদ্ম ফুলের গাছ অনেকদিন বেঁচে থাকে তাই একটি গাছ যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করা যায় তাহলে দীর্ঘদিন ধরে ফুল পাওয়া যাবে।
টবে পদ্ম গাছ লাগানোর নিয়ম
পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে যারা শহরে বসবাস করে সাধারণত তারা টবে পদ্ম ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকে ছাদে অথবা বেলকনিতে। যদি আপনি টবে পদ্ম ফুলের গাছ লাগাতে চান এবং ভালো ফলন পেতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। যেমন টব নির্বাচন করা, মাটি তৈরি করা ইত্যাদি।
কিভাবে আপনি পদ্ম ফুলের বীজ থেকে চারা তৈরি করবেন এই বিষয় গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই পদ্ম ফুলের বীজ থেকে ছাড়া তৈরি করতে পারবেন এছাড়া অন্য তেমন কোন পদ্ধতি নেই। তাছাড়া আপনি যদি সরাসরি চারা রোপন করতে চান তাহলেও পারবেন। তবে প্রথমে আপনাকে টবের আকৃতি নির্বাচন করতে হবে।
আপনি যদি টবে পদ্ম ফুল চাষ করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে ১৬ ইঞ্চির টব ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনার বাড়িতে যদি প্লাস্টিকের কোন ধরনের ড্রাম থাকে তাহলে সেটি ব্যবহার করতে পারবে না। টব নির্বাচন করার সময় অবশ্যই একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যেন টবে অথবা ড্রাম এর মধ্যে কোন ধরনের ফটো না থাকে।
আরো পড়ুনঃ কিসমিসের ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে মাটি তৈরি করার সময় সামান্য পরিমাণে পুকুরে থাকা পাক ব্যবহার করতে পারেন এতে করে পদ্ম ফুলের ফলন আরো ভালো হতে পারে। মাটি টবে ভর্তি করার পরে ভালোভাবে পুঁতে পদ্ম ফুলের বীজ অথবা চারা লাগিয়ে দিতে হবে। এরপরে উপরে উল্লেখ করা পরিচর্যা করার নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে।
পদ্ম ফুল কোন ঋতুতে হয়
পদ্ম ফুল কোন ঋতুতে হয়? আমাদের অনেকের জানা নেই। আমাদের পরিবেশের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের ফুল রয়েছে। প্রতিটি ফুল একই মৌসুমে ফোটে না সাধারণত মৌসুম অনুযায়ী এই ফুলগুলো ফুটে থাকে। ঠিক একই রকম ভাবে পদ্মফুল সব মৌসুমে পাওয়া যায় এমনটা নয়। একটি নির্দিষ্ট মৌসুম অথবা ঋতু রয়েছে সাধারণত এই ঋতুতে পদ্ম ফুল সব থেকে বেশি পাওয়া যায়।
বর্ষাকালে অর্থাৎ বৃষ্টির মৌসুমে সব থেকে বেশি পদ্ম ফুল ফুটে থাকে। সাধারণত তাই বর্ষাকালে খাল বিলে পদ্মফুল দেখা যায়। পদ্ম ফুল শরৎকালে সবথেকে বেশি পরিমাণে ফুল ফুটে থাকে এবং এই ফুল হেমন্তকাল পর্যন্ত থাকে। পদ্ম ফুলের বিভিন্ন জাত রয়েছে সাধারণত এগুলো বিভিন্ন ঋতুতে ফুটে থাকে যেমন গ্রীষ্মকালে পদ্ম ফুলের রঙ গোলাপি, সাদা, বা হলুদ হয়।
আমাদের শেষ কথা
পদ্ম গাছ লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি পদ্মফুল পছন্দ করে থাকেন এবং পদ্ম ফুলের গাছ আপনার বাড়িতে লাগাতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আটিকের মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কিভাবে পদ্ম ফুলের গাছ লাগাতে হয় এবং কিভাবে চারা তৈরি করতে হয় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল করে পদ্মফুল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এই ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চান এবং ফুল সম্পর্কে আরো ধারণা পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url