OrdinaryITPostAd

কলার খোসার ১১ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

লিচু খাওয়ার ৫টি উপকারিতা ও অপকারিতাকলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। আমরা সাধারণত কলা খেয়ে থাকি কিন্তু কলার খোসা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এটা আমরা অনেকেই জানিনা। উপকারিতা জানার পাশাপাশি কলার খোসার অপকারিতা জেনে নেব।

কলার-খোসার-উপকারিতা

আপনি যদি কলা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই কলার খোসার উপকারিতা জেনে নিতে হবে এর সাথে আরো জানতে হবে কলার খোসার অপকারিতা সমূহ।

পেজ সূচিপত্রঃ কলার খোসা আমাদের জন্য কতটা উপকারি - কলার খোসার অপকারিতা

কলার খোসার উপকারিতা

কলার খোসার উপকারিতা আমাদের অনেকের জানা নেই। সাধারণত আমরা কলা খেয়ে থাকি এবং এর খোসাটা ফেলে দেই সাধারণত তাই করা সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। কলা যেহেতু একটি উপকারী ফল তাই আমাদের অবশ্যই এই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে হবে। কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান সাধারণত এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ জাম খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা অপকারিতা

কিন্তু আপনারা জেনে অবাক হবেন যে কলার খোসার মধ্যে ও কলার মত অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যদি আপনি কলার খোসার উপকারিতা গুলো পেতে চান তাহলে আপনাকে এই বিষয়টি আগে জেনে নিতে হবে।

  • দাঁত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে
  • চোখের সুরক্ষা দিয়ে থাকে
  • মুখের দাগ দূর করতে সাহায্য করে
  • বলিরেখা দূর করে
  • দাদ দূর করে
  • পোকা মাকড় কামড়ের যন্ত্রণা দূর করে

দাঁত পরিষ্কার করতে সাহায্য করেঃ অনেক সময় ব্রাশ করার পরেও আমাদের দাঁত অনেক অপরিষ্কার হয়ে থাকে সাধারণত এটি দেখতে অনেক খারাপ দেখায়। আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায় আপনার দাঁত পরিষ্কার করতে চান তাহলে বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করতে পারেন এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের দিকটা কিছুক্ষণ দাঁতে ঘুষতে হবে এতে করে দাঁতের হলদে ভাব দূর হবে।

চোখের সুরক্ষা দিয়ে থাকেঃ চোখ হলো আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। চোখের সমস্যা হলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকি। তাই আপনি যদি আপনার চোখের সুরক্ষা চান তাহলে নিয়মিত বেশ কিছু খাবার খেতে হবে। এছাড়া চোখের যে কোন সমস্যার সমাধান করতে হলে আপনি কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।

মুখের দাগ দূর করতে সাহায্য করেঃ একটা নির্দিষ্ট বয়স হলে আমাদের মুখে ব্রণ হয়ে থাকে। এই ব্রণগুলো দূর করার অনেক মাধ্যম রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কলার খোসা। আপনি যদি আপনার মুখের এ ধরনের ব্রণগুলো দূর করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত মুখে কলার খোসা ব্যবহার করতে হবে।

বলিরেখা দূর করেঃ কলার খোসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাধারণত এটি মুখের বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার মুখ পরিষ্কার করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করতে হবে।

দাদ দূর করেঃ আপনার শরীরে যদি দাদ এবং চুলকানির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন খুব সহজেই। কলার খোসা ব্যবহার করেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে আপনার চুলকানি এবং দাদ ভালো হয়ে যাবে। এই জন্য আপনাকে কলার খোসা ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে তারপরে পরিষ্কার করে ওই জায়গায় লাগাতে হবে।

পোকা মাকড় কামড়ের যন্ত্রণা দূর করেঃ যদি আপনার শরীরে কোন পোকামাকড় কামড় দেয় এবং অনেক বেশি জ্বালা যন্ত্রণা করে অথবা চুলকায় তাহলে আপনি কলার খোসা দিয়ে এগুলো দূর করতে পারবেন। যেখানে পোকামাকড় কামড় দিয়েছে সেখানে উপকরণটি লাগাতে হবে। আশা করি কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।

কলার খোসার অপকারিতা

কলার খোসার অপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। যেহেতু আমরা নিয়মিতই কলা খেয়ে থাকি সেহেতু এই বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। কারণ যেই জিনিসের উপকারিতা রয়েছে অবশ্যই তার কিছু না কিছু অপকারিতা আছে। এখন আমরা যদি এই অপকারিতা গুলো না জেনে খেয়ে থাকি তাহলে এটি ঠিক হবে না। তাই উপকারিতার সাথে অবশ্যই অপকারিতা জেনে নিতে হবে।

যদিও কলার খোসা আমরা তেমন কেউ খাই না এবং ব্যবহারও করি না। তবে আমরা যে উপকারিতা গুলো উল্লেখ করেছি আপনি যদি এগুলো সমস্যার সমাধান করতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন। কলার খোসার তেমন কোন পার্থক্য প্রতিক্রিয়া নেই। আপনি নিঃসন্দেহে এটি ব্যবহার করতে পারবেন কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম সহ বিভিন্ন ধরনের উপাদান।

তবে যেকোনো উপকারী খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়। যদি আপনি উপকারী খাবার গুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খান তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেবে। তাই আপনাকে নিয়মিত এবং নিয়ম অনুযায়ী পরিমাপ মতো করার খোসা খেতে হবে অথবা ব্যবহার করতে হবে। তাহলে এর উপকারিতা গুলো পাবেন এবং কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না।

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। যদি আপনি এই নিয়ম গুলো জানেন তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন কলার খোসা দিয়ে। যেহেতু আমরা কলা খাই এবং কলার উপরে যে খোসা থাকে এটি ফেলে দেই তাই আমরা এ বিষয়ে তেমন কোন ধারণা রাখি না। আমাদের ত্বকের জন্য যে সকল উপাদান প্রয়োজন এর সবগুলোই করার মধ্যে রয়েছে।

আপনার মুখে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রণ হয়ে থাকে এবং আপনি এই সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এবং অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি কলার খোসা ব্যবহার করে মুখের এ ধরনের দাগ গুলো দূর করতে পারবেন। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে আপনাকে ব্রণের ওপর ঘষতে হবে। নিয়মিত কয়েকদিন করলেই এই সমস্যার সমাধান পাবেন।

যদি দরকার উজ্জ্বলতা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি করতে চান তাহলে নিয়মিত ব্যবহার করুন কলার খোসা। কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান এবং এই উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী। এখন আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা পেতে চান তাহলে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করতে শুরু করুন।

চুলের যত্নে কলার খোসা

চুলের যত্নে কলার খোসা কতটা উপকারী আমরা অনেকেই জানিনা। যেহেতু আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কলার খোসা নিয়ে আলোচনা করছি তাই উপরোক্ত বিষয়টি আমাদের ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। কলার খোসা আমাদের ত্বকের জন্য যতটা উপকারী আমাদের চুলের জন্য ও তেমন উপকারী। তবে আপনাকে জানতে হবে যে কিভাবে এটি ব্যবহার করতে হয়।

চুলের-যত্নে-কলার-খোসা

কলার মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান সাধারণত এগুলো আমাদের দেহ এবং ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এমনকি বেশকিছু জটিল রোগ থেকে মুক্তি দিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে কলা। একই রকম ভাবে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে কলার খোসা।

যদি প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নিতে চান তাহলে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। কলার খোসার মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চুলকে নরম এবং উজ্জ্বল করতে সহযোগিতা করে। এছাড়া এটি আমাদের চুলকে শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান এবং চুলের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে কলার খোসা ব্যবহার করুন।

কলার খোসার ব্যবহার

কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু আপনি কি কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে জানেন? কলা হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। কলা খাওয়ার পর এর খোসা আমরা ফেলে দেই। তবে এ খোসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান এগুলো বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে। যেটি আমাদের স্বাস্থ্য এবং আমাদের রূপচর্চার জন্য খুবই উপকারী।

  • আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার দাঁত পরিষ্কার করতে চান অথবা আপনার তাদের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে আপনি কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ কলার খোসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের দাঁতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • মুখে যে কোন ধরনের দাগ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে কলার খোসা। আমরা অনেকেই মুখের বিভিন্ন ধরনের দাগ নিয়ে অনেক সমস্যার মধ্যে থাকি যদি আপনি মধুর সঙ্গে কলার খোসা মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই মুখের দাগ গুলো উঠে যাবে।
  • আপনি যদি আপনার মুখের ব্রণ গুলো দূর করতে চান তাহলে কলার খোসা অনেক বেশি উপকারী। সব ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন এই সমস্যার সমাধান না পান তাহলে কলার খোসা ব্যবহার করেন। কেটে মুখে ভালোভাবে ঘষে সারারাত ধরে রেখে দিন এরপর সকালে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে করার খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে কলার খোসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। সাধারণত এটি আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কলার খোসা কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে রেখে তারপরে ফেলে দিতে হবে।
  • চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে হলে এবং চোখের ছানি পড়া দূর করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কলার খোসা ব্যবহার করা উচিত। চুলকানি ও চোখের অবসাদ দূর করতে চোখের ওপর কলার খোসা মেখে ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে।

কলার খোসা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার

কলার খোসা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা যায় খুব সহজেই। আমরা ইতিমধ্যেই কলার খোসার যে সকল উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দাঁত পরিষ্কার করা। আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আমরা নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করি কিন্তু সঠিকভাবে পরিষ্কার হয় না দাঁতের বিভিন্ন ধরনের দাগ দেখা যায়। এখন আপনি যদি এই দাগ গুলো দূর করতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে।

প্রাকৃতিক ভাবে দাঁত পরিষ্কার করার অন্যতম একটি সেরা উপায় হল কলার খোসা। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম সহ বিভিন্ন ধরনের উপাদান। আমরা যদি নিয়মিত এটি ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হবে এমনকি দাঁত আরো শক্তিশালী হবে। যদি আপনি দাঁতের এই সমস্যাগুলো দূর করতে চান তাহলে কলার খোসা ব্যবহার করুন।

পাকা কলা দিয়ে ফেসপ্যাক

পাকা কলা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা খুবই সহজ। শুধু আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আমরা সাধারণত আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকি। এখন আপনি যদি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা আরো বেশি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে পাকা কলা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।

আমরা জানি যে আমাদের ত্বকের জন্য যে সকল উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কলা। কলার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সাধারণত এই উপাদান গুলো আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত জরুরী। তাই আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে পাকা কলা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন।

পাকা কলা দিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করতে হলে আপনাকে একটি পাকা কলা নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন কলা পচা না থাকে। ভালোভাবে কলা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এর ভেতরে একটু পানি দিতে হবে যদি দুধ দিতে চান তাহলে দিতে পারেন। এর সাথে সামান্য পরিমাণে মধু মিশিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এরপরে মিশ্রণটিকে মুখে ব্যবহার করতে হবে।

কলার খোসার মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ

কলার খোসার মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারনা নেই। তবে আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে রাখি যে বলার খোসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। ঠিক করার মধ্যে যে সকল প্রশ্ন উপাদান রয়েছে এমনই পুষ্টি উপাদান গুলো কলার খোসার মধ্যে পাওয়া যায়। কলার খোসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ১২, জিংক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

কলার-খোসার-মধ্যে-থাকা-পুষ্টিগুণ

আরো পড়ুনঃ কিসমিসের ৩০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

এছাড়া আরো পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। এই উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী। আমরা যদি আমাদের স্বাস্থ্যের উপকারিতা পেতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে এই উপাদানগুলো গ্রহণ করতে হবে। আর এই উপাদান গুলো করার খোসার মধ্যে পাওয়া যাবে।

কলার খোসা খাওয়ার নিয়ম

কলার খোসা খাওয়ার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। যে কোন খাবার এর উপকারিতা পেতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই সেটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে করার খোসা খাওয়ার। আপনি যে নিয়ম পছন্দ করেন এবং যেই নিয়মে খেতে আপনার স্বাচ্ছন্দ বোধ হয় সেটি খেতে পারেন। কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি এবার খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।

কলার খোসা খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। কারণ কলার মধ্যে কোন ধরনের ময়লা আবর্জনা থাকার সম্ভাবনা থাকে না কিন্তু কলার খোসার মধ্যে থাকে। যদি আপনি এই ময়লা গুলো না খেতে চান এবং সুস্থ থাকতে চান তাহলে আপনাকে ভালোভাবে কলার খোসা ধুয়ে নিতে হবে। এরপরে ভালোভাবে বেটে নিতে হবে অথবা সিদ্ধ করে খেতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা শুরু করে কলার খোসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি কলার খোসার এই উপকারিতা গুলো পেতে চান তাহলে আপনাকে নিয়ম অনুযায়ী কলা খেতে হবে এবং এটি ব্যবহার করতে হবে। আশা করি আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে কলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি নিয়মিত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যমূলক বিষয় জানতে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আশা করি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই ধরনের তথ্য নিয়মিত পাবেন। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ। 25427

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url