OrdinaryITPostAd

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ - পলাশীর যুদ্ধের প্রেক্ষাপট

নবাব সিরাজউদ্দৌলার বংশধর নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। এছাড়া আপনারা যারা জানেন না নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে ছিলেন? বিশেষ করে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।

নবাব-সিরাজউদ্দৌলার-পরাজয়ের-কারণ

নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে ছিলেন? যদি না জানেন তাহলে আপনি বাংলার ইতিহাস জানেন না। তাহলে চলুন বিষয়টি জেনে নেই এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় হওয়ার মূল কারণ - নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে ছিলেন

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ জানা থাকলে আমরা বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারব। বাংলা বিহার এবং উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। তিনি অল্প বয়সেই এত বড় দায়িত্বে বসে যাওয়াই কিছু মানুষ ছিল যা সহ্য করতে পারেনি। যার ফলে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি এবং অল্প সময়ের মধ্যেই নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় হয়। কিন্তু এই পরাজয়ের কারণ কি ছিল? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ বাড়িতে বসে ইনকাম করার ২০ টি উপায়

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল কারণ হলো ষড়যন্ত্র। যদি নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার না হতো তাহলে কখনোই নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হতেন না। তিনি যুদ্ধে এগিয়েছিলেন এবং যদি সহযোগিতা করার মতো কেউ এগিয়ে আসতো তাহলে তিনি জয়লাভ করতেন। চলুন কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক।

ষড়যন্ত্র -- নবাব সিরাজউদ্দৌলা এর পরাজয়ের মূল কারণ হলো ষড়যন্ত্র। যেহেতু নবাব সিরাজউদ্দৌলা, অল্প বয়সেই বাংলার নবাব হয়েছিলেন তাই তার আপন মানুষগুলো এই বিষয়গুলো সহ্য করতে পারেনি। এই বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে তারা নবাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

নবাবের সরলতা -- নবাবের বয়স অনেক অল্প ছিল যার ফলে তিনি তেমনভাবে বিষয়গুলো বুঝতে পারেনি। এছাড়া সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নবাব ছিলেন খুবই সরল মনের মানুষ। অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষকে বিশ্বাস করতেন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার ফলে ও তিনি মীরজাফর সহ সবাইকে বিশ্বাস করেছিলেন। যার ফলে তারা আবার নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।

যুদ্ধের সহযোগিতা না করা -- প্রথম দিকে ইংলিশ বাহিনীদের সাথে যুদ্ধ করা অবস্থায় নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্যরা অনেকটা এগিয়ে ছিল। তবে মীরজাফর সহ যারা এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল সাধারণত তারা দাঁড়িয়ে থেকে দেখছিল তারা কেউ যুদ্ধে এগিয়ে আসেনি। যার ফলে অল্প সৈন্য নিয়ে লড়াই করা যথেষ্ট ছিল না এবং এটি যুদ্ধে পরাজয় হওয়ার অন্যতম কারণ।

যুদ্ধের সামগ্রী নষ্ট হওয়া -- যুদ্ধ করা অবস্থায় হঠাৎ করেই বৃষ্টি চলে আসে যার ফলে নবাবের সৈন্যের কাছে যে সকল যুদ্ধ সামগ্রী ছিল সেগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এই নষ্ট সামগ্রী নিয়ে যুদ্ধ করা সম্ভব ছিল না যার ফলে ইংরেজ বাহিনীদের কাছে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজয় হয়।

নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে ছিলেন

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে ছিলেন? বিষয়টি ভালোভাবে জানে না। যেহেতু আমরা সবাই বাঙালি, তাই বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলেন বাংলার ইতিহাসের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি।

বিশেষ করে যারা পড়াশোনা করেছে সাধারণত তাদের মধ্যে খুব কমানো রয়েছে নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে চিনে না। আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে রাখি যে নবাব সিরাজউদ্দৌলার ছিলেন বাংলা বিহার এবং উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব। নবাবের দাদা মৃত্যুবরণ করার পরে তিনি ক্ষমতায় বসে ছিলেন। এর পরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এই ষড়যন্ত্র গুলো করেছিল তার আপন মানুষ গুলো।

নবাব কেন যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন

নবাব কেন যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন? যদি উপরের বিষয় গুলো পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার যুদ্ধে পরাজয় হওয়ার বেশ কিছু কারণ ছিল এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা। এ ছাড়া নবাবের কাছের মানুষগুলো তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তাই তিনি যুদ্ধে পরাজিত হয়।

বাংলার ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি যে নবাব সিরাজউদ্দৌলার যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার প্রধান কারণ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা। বাংলা শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এছাড়া তারা ইংরেজ বাহিনীদের সাথে যুক্ত ছিলেন যেন নবাব কে পরাজিত করা যায়। এটি ছিল নবাবের পরাজয়ের মূল কারণ।

এছাড়া যুদ্ধের সময় নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে সাহায্য করা হয়নি। নবাব সিরাজউদ্দৌলা যখন ইংরেজ বাহিনীদের সাথে অল্প কিছু শূন্য নিয়ে লড়াই করছিল তখন দূর থেকে দাঁড়িয়ে মীরজাফরসহ বেশ কিছু সৈন্য যুদ্ধ দেখছিল। তারা কেউ নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি যার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে সৈন্য না থাকার কারণে ইংরেজদের বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যু হয়েছিল কিভাবে

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ জানতে পেরেছি এখন আমাদের নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যু হয়েছিল কিভাবে এই বিষয়টি জেনে রাখতে হবে। অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ জ্ঞান হিসেবে আমাদের এই প্রশ্নগুলো করা হয়ে থাকে। এগুলো একজন বাঙালি হিসেবে আমাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। নির্মমভাবে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করা হয়।

নবাব সিরাজউদ্দৌলা যখন যুদ্ধে পরাজিত হন তখন তিনি তার রাজধানী ছেড়ে স্ত্রীর সন্তান নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এই অবস্থায় নবাবকে ধরার জন্য মীরজাফর তার সৈন্য বাহিনী পাঠায়। পরবর্তীতে একটি বাজারে কিছু লোক নবাব কে দেখতে পেয়ে মীরজাফরের সৈন্য বাহিনীকে খবর দেয়। এ খবর পেয়ে মীরজাফরের বাহিনী নবাবকে আটক করে রাজধানী মুর্শিদাবাদের নিয়ে আসে।

মুর্শিদাবাদের নিয়ে এসে নবাব তার স্ত্রী এবং চার বছরের কন্যা সন্তানকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এই কারাগারেই নবাব সিরাজউদ্দৌলারকে হত্যা করা হয়েছিল। মীরজাফর এর আদেশে এবং তার সন্তান মিরন এর নির্দেশে মোহাম্মদী বেগ নামে একজন ঘাতক ছুরি আঘাতে নির্মমভাবে সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করেছিলেন। আশা করি জানতে পেরেছেন কিভাবে নবাব হত্যা হয়েছিলেন।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার বংশধর

নবাব সিরাজউদ্দৌলার বংশধর সম্পর্কে আমরা তেমন ভাবে ধারণা রাখি না। যেহেতু নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাংলার একজন নবাব ছিলেন তাই আমাদের অবশ্যই নবাবের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী বংশধর সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। নবাব সিরাজউদ্দৌলা খুব অল্প বয়সেই সিংহাসনে আরোহন করেছিলেন এবং তিনি তার জীবন দশায় তিনটি বিয়ে করেছিলেন।

নবাব-সিরাজউদ্দৌলার-বংশধর

  • প্রথম বংশধর -- নবাব সিরাজউদ্দৌলার মেয়ে উম্মে জোহরা ওরফে কুদসিয়া বেগম
  • দ্বিতীয় বংশধর -- জোহরার ছেলে শমসের আলী খান
  • তৃতীয় বংশধর -- শমসের আলী খান এর ছেলে লুৎফে আলী
  • চতুর্থ বংশধর -- লুৎফের মেয়ে ফাতেমা বেগম
  • পঞ্চম বংশধর -- ফাতেমা বেগমের মেয়ে হাসমত আরা বেগম
  • ষষ্ঠ বংশধর -- হাসমত আরার ছেলে সৈয়দ জাকি রেজা
  • সপ্তম বংশধর -- শরীয়ত জাকির রেজার ছেলে সৈয়দ গোলাম মোর্তজা
  • অষ্টম বংশধর -- গোলাম মোর্তজার ছেলে সৈয়দ গোলাম মোস্তফা
  • নবম বংশধর -- সৈয়দ গোলাম মোস্তফার ছেলে সৈয়দ গোলাম আব্বাস আরেব

নবাব সিরাজউদ্দৌলা কোথায় বন্দী হয়েছিলেন

নবাব সিরাজউদ্দৌলা কোথায় বন্দী হয়েছিলেন? বিষয়টি অনেকের কাছে অজানা। যেহেতু এটি বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে আমাদের সকলের বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নেওয়া উচিত। বাংলা বিহার এবং উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। আপন ব্যক্তিবর্গদের কাছ থেকে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি ইংরেজ বাহিনীদের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন এবং তাকে হত্যা করা হয়েছিল নির্মমভাবে।

সিরাজদ্দৌলা মহানন্দা নদী আর হচ্ছিলেন কিন্তু হঠাৎ করে জোয়ার ভাটা চলে আসার কারণে পানি কমে যায় যার ফলে তিনি নদীতে আটকে যান। এর পরে নবাব নৌকা থেকে নেমে তার পরিবারের জন্য খাবার সংগ্রহ করার জন্য একটি মসজিদের পাশে বাজারে যান। অনেকেই বলে থাকে যে একজন ফকির নবাবকে দেখে চিনে ফেলেন এবং পূর্বে এই ফকির নবাব দ্বারা শাস্তিপ্রাপ্ত ছিলেন।

এ শাস্তির কারণে তার এক কান কাটা গিয়েছিল। যার ফলে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ফকির নবাবের খবর মীরজাফর এর সৈন্য বাহিনীর কাছে জানিয়ে দেয়। মীরজাফর এর সৈন্যবাহিনী নবাব সিরাজদ্দৌলাকে বন্দি করে তৎকালীন বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে নিয়ে যান। নবাব বন্দী হওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী লুৎফুন্নেসা বেগম এছাড়া আরও ছিলেন চার বছর বয়সী কন্যা উম্মে জহুরা। 

নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রথম স্ত্রীর নাম কি

নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রথম স্ত্রীর নাম কি? আমরা অনেকেই জানিনা। আমরা যে স্ত্রীর নাম জানি সেটি হল লুৎফুন্নেসা বেগম তিনি হলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলার তৃতীয় স্ত্রী। নবাব তার জীবন দশায় তিনটি বিয়ে করেছিলেন। প্রথম দুই স্ত্রীর নাম ইতিহাস থেকে তেমনভাবে না জানা গেলেও তৃতীয় স্ত্রী অর্থাৎ লুৎফুন্নেসা বেগম ছিলেন নবাবের কাছে খুবই পছন্দের।

এর আগে নবাব সিরাজউদ্দৌলা দুটি বিয়ে করেছিলেন। নবাবের প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল উমদাদুন্নেসা বেগম এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ছিল জেবুন্নেসা বেগম এবং তৃতীয় স্ত্রী এবং সব থেকে প্রিয়তম স্ত্রী ছিল লুৎফুন্নেসা বেগম। এবং ইতিহাস থেকে তৃতীয় স্ত্রীর সম্পর্কে বেশি জানা যায়। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি নবাবের সাথে ছিলেন।

পলাশীর যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। কিন্তু নবাব সিরাজউদ্দৌলা কোন যুদ্ধে পরাজয় হয় এবং কত সালে যুদ্ধ সংঘটিত হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে অনেকের জানা নেই। বাংলা বিহার এবং উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। তিনি ক্ষমতা থাকা অবস্থায় ইংরেজরা নবাবের রাজ্য দখল করতে আসে যার ফলে তিনি তাদের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

পলাশীর-যুদ্ধ-কত-সালে-সংঘটিত-হয়

ইংরেজি বাহিনীদের সাথে নবাবের যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল পলাশী নামক অঞ্চলের পাশে তাই এই যুদ্ধকে পলাশী যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে। এই এলাকাটি কৃষ্ণনগর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পলাশীর যুদ্ধ ২৩ শে জুন ১৭৫৭ সালে সংঘটিত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হয়েছিলেন কারণ নবাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকারীর নাম

নবাব সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকারীর নাম আমরা কম বেশি সকলেই জানি। বিশেষ করে আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি এই বিষয়টি সম্পর্কে অজানা থাকার কথা নয়। পলাশী যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে কারাগারে বন্দি করা হয় এবং এই বন্দি অবস্থায় থাকে হত্যা করা হয়েছিল।

আরো পড়ুনঃ ডেইলি ৫০০ টাকা ইনকাম করার ১৯ টি উপায়

নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মীরজাফর এর আদেশে তার পুত্র মিরন মোহাম্মদী বেগ নামে একজন ব্যক্তিকে নবাবকে হত্যা করতে নির্দেশ দেন। কারা কারা থাকা অবস্থায় এই ব্যক্তি ছুরির আঘাতে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলেন। আশা করি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার হত্যাকারীর নাম জানতে পেরেছেন।

লেখক এর শেষ বক্তব্য

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া নবাব সিরাজউদ্দৌলার আরো বেশ কিছু অজানা তথ্য ছিল এগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে। আপনি যদি বাংলা শেষ স্বাধীন নবাব সম্পর্কে কোন ধারণা না রাখেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি এখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। যা আপনাকে বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে সহযোগিতা করবে। 20791

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url