OrdinaryITPostAd

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ - বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়

দাঁত ফাকা দূর করার ১৫টি উপায় বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ আমরা অনেকেই জানিনা। সাধারণত বাচ্চাদের বাচ্চাদের যখন দাঁত উঠতে শুরু করে তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিটি পিতা মাতার উচিত বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় গুলো জানা।

বাচ্চাদের-দাঁত-ওঠার-লক্ষণ

সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বয়সে বাচ্চাদের দাঁত উঠে থাকে তাই আগে থেকেই আমাদের বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ এর সাথে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় গুলো জেনে রাখতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময়কার লক্ষণ - বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ অনেক পিতা-মাতা জানেনা। সাধারণত এই বিষয়গুলো না জানার কারণেই অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। কারণ অনেক বাচ্চা আছে যাদের মুখে অনেক বেশি ব্যথা হয় কিন্তু তারা বলতে পারে না যার ফলে পিতা-মাতা সেগুলো বুঝতে পারে না। তাই আগে থেকে আমাদেরকে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায় সেগুলো জেনে রাখতে হবে।

আরো পড়ুনঃ দাঁতের ফিলিং করার পর করণীয়

  • বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় শরীরে হালকা পরিমাণ জ্বর থাকতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় জ্বর কিছুটা বেড়ে গিয়েছে আবার অনেকের ক্ষেত্রেই হালকা পরিমাণে জ্বর থাকে।
  • যখন আমাদের বাচ্চাদের নতুন দাঁত উঠতে শুরু করে তখন সাধারণত তারা সবকিছু চিবাতে চাই অর্থাৎ কামরাতে চাই। যদি কামড়ানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে দাঁত উঠতে শুরু করেছে।
  • অনেক সময় যে জায়গাতে বাচ্চাদের দাঁত উঠতে শুরু করে সাধারণত সেই জায়গা গুলোতে ফুলে যেতে পারে। বিশেষ করে সামনের দুইটি দাঁতের দিকে এই অবস্থা বেশি দেখা যায়।
  • যখন বাচ্চাদের দাঁত উঠতে শুরু করে সাধারণত তাদের মুখে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা করে তাই অনেকে আছে যারা খেতে চায় না। এদের দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই।
  • আমাদের বাচ্চাদের যখন দাঁত উঠতে শুরু করে সাধারণত তখন তাদের মুখ দিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে লালা বের হতে থাকে।
  • যেহেতু মাড়ি ফেরে বের হয় সাধারণত তখন প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হয় তাই এ সময় বাচ্চাদের বেশি কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। এর কারণে তারা সঠিকভাবে ঘুমাতেও পারে না।
  • অনেক বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তাদের জিদ এবং রাগ অনেক বেড়ে যায়। সাধারণত প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হওয়ার কারণে এই সমস্যাগুলো দেখা যায়।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় সম্পর্কে প্রতিটি পিতা-মাতা জেনে রাখা উচিত। ছোট বাচ্চারা যেহেতু সঠিক ভাবে বলতে পারেনা এবং বুঝাতে পারেনা তাদের কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে তাই দাঁত ওঠার সময় আমাদের এই খেয়াল গুলো রাখতে হবে। কারণ দাঁত ওঠার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে চলুন এই সময় পিতা মাতার করনীয় জেনে নেওয়া যাক।

  • যেহেতু দাঁত উঠার সময় অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে শরীরের জ্বর আসতে পারে তাই এই সময় একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাচ্চাকে যেন কোনো মতেই ঠান্ডা না লেগে যায় এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • যদি বাচ্চাদের শরীরে হালকা পরিমাণে জ্বর থাকে তাহলে কোন সমস্যা নেই তবে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে জ্বর থাকে তাহলে কোন একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • যেহেতু এই সময় বাচ্চারা অনেক বেশি কামড়াতে চাই তাদের মাড়ি সুরসুর করে তাই খারাপ কোন কিছু কামড়ে না নেই এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণত তাদের কামড়ানোর জন্য ভালো এবং নরম কোন কিছু দিতে হবে।
  • যদি তাদের মাড়ি ফুলে যায় তাহলে হালকা করে হাত দিয়ে তাদের মাড়ির উপরে মালিশ করতে হবে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে এটি করা উচিত নয়।
  • সাধারণত এই সময় অনেক বাচ্চারা খেতে চায় না এই বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক। তাই বেশি চিন্তিত না হয়ে বাচ্চাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে নরম কোন কিছু।
  • যেহেতু দাঁত বের হয় তখন মুখ দিয়ে প্রচন্ড পরিমাণে লালা পড়তে পারে। তাই নরম কোনো কাপড় দিয়ে লালা গুলোকে ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে।
  • সাধারণত যখন বাচ্চাদের দাঁত বের হয় তখন প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হতে পারে যার ফলে বাচ্চারা কান্নাকাটি করতে পারে তাই এই সময় তাদেরকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ সম্পর্কে জানে না। সাধারণত অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সময় পার হয়ে গেছে কিন্তু দাঁত ওঠার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। যদি আমাদের বাচ্চার ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের করণীয় কি? এ বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে।

একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে সাধারণত এই সময় গুলোর মধ্যে বাচ্চাদের দাঁত উঠতে শুরু করে কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে একটু দেরি হতে পারে আবার অনেকের ক্ষেত্রে এ সময়ের মধ্যেই উঠে যায়। যদি বাচ্চাদের দাঁত উঠতে অনেক বেশি দেরি হয় তাহলে বুঝতে হবে অন্য কোন সমস্যা রয়েছে। কারণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিছুটা দেরি হতে পারে এটা স্বাভাবিক।

সাধারণত অনেকগুলো কারণে বাচ্চাদের দাঁত উঠতে দেরি হয়ে থাকে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বংশগত কারণ। যদি আগে পিতা-মাতা অথবা বংশের অন্য কারো দাঁত উঠতে দেরি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এটি অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে। আবার কিছু কিছু বাচ্চা রয়েছে যাদের শরীরে সঠিক ভাবে পুষ্টি উপাদান পায় না যার ফলে তাদের দাঁত উঠতে কিছুটা দেরি হয়।

যদি নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা দেরি হয় তাহলে আরো কিছু সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত তারপরেও যদি বাচ্চাদের দাঁত না উঠে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিষয়গুলো সঠিকভাবে চিকিৎসককে জানাতে হবে এরপরে চিকিৎসক যে করণীয় গুলো বলবে সাধারণত সেগুলো করে যেতে হবে তাহলে আশা করি বাচ্চাদের দাঁত উঠে যাবে।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় কান্না

বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় কান্না অনেক বেশি করে থাকে। কারন আমরা জানি যে বাচ্চাদের যখন দাঁত বের হয় সাধারণত তখন মাড়ি ফুটো হয়ে সেগুলো বাইরে আসতে থাকে। এ সময় প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক বাচ্চা আছে যারা এই ব্যথাগুলো সহ্য করতে পারে না যার ফলে তারা অনেক বেশি কান্নাকাটি করে। আবার অনেকে আছে যারা তেমন কান্নাকাটি করে না।

বাচ্চাদের-দাঁত-ওঠার-সময়-কান্না

যদি এই সময় বাচ্চারা অনেক বেশি কান্নাকাটি করে তাহলে তাদের উপর বিরক্তি প্রকাশ না করে তাদেরকে খেলনা দিতে হবে। অথবা তারা যে সকল জিনিস পছন্দ করে সেগুলো তাদের সামনে এনে দিতে হবে তাহলে তারা ব্যথাটা ভোলার চেষ্টা করবে। সাধারণত বেশির ভাগ চেষ্টা করতে হবে যেন তারা বিষয়টি ভুলে থাকতে পারে। তাহলে তাদের কান্নাকাটি কমানো যাবে।

বাচ্চাদের দাঁত পড়ার সময়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি কিন্তু বাচ্চাদের দাঁত পড়ার সময় কি হয়ে থাকে এবং কত বয়সে দাঁত পড়ে এ বিষয়গুলো আমাদের অনেকের জানা নেই। সাধারণত প্রতিটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ৬ বছর বয়স থেকে দুধ দাঁত পড়তে শুরু করে। অনেকে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে একটু বড় হওয়ার পরে দাঁত পড়া শুরু করে।

এ ক্ষেত্রে বাচ্চা মেয়েদের দাঁত বাচ্চা ছেলেদের আগে থেকেই পড়া শুরু করে দেয়। সাধারণত যে দাঁত গুলো প্রথমের দিকে উঠে সেগুলো প্রথমে পড়তে শুরু করে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে সামনের পার্টির নিচের দুটি দাঁত আগে পরে এরপরে সামনের পার্টির উপরে দুটি দাঁত সাধারণত এরপরে ক্রমাগতভাবে পড়তে শুরু করে। বাচ্চাদের ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সে সবগুলো দাঁত পড়ে গিয়ে আবার নতুন দাঁত উঠে।

আবার অনেক শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সময়ের আগে অথবা দুর্ঘটনার কোনো কারণে দাঁত পড়ে যেতে পারে। সাধারণত এই সময় শিশুরা বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনার মধ্যে থাকে। কখনো কখনো তারা অনেক বেশি ভয়ের মধ্যে থাকে যে তাদের মনে হয় দাঁত আর উঠবে না। অনেক বাচ্চাদের খেতে দেখা যায় যে দাঁত উঠতে দেরি হয়ে থাকে।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার উপযুক্ত সময়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার উপযুক্ত সময় কখন আপনি কি তা জানেন? বেশিরভাগ পিতা-মাতা অর্থাৎ অভিভাবকের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই। কিন্তু একজন সচেতন পিতা-মাতা হিসেবে অবশ্যই আমাদের এই বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত। কারণ বাচ্চাদের তখন দাঁত উঠতে শুরু করে তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যদি আমরা এই সময় গুলো জেনে রাখতে পারি তাহলে খুব সহজেই বাচ্চাদের সমস্যা গুলো ধরতে পারবো। দাঁত ওঠার ফলে যে সমস্যাগুলো বাচ্চাদের হয়ে থাকে সেগুলো দেখে বুঝতে পারব যে হ্যাঁ বাচ্চাদের হয়তো বা দাঁত উঠতে শুরু করেছে। কারণ বাচ্চারা এই বয়সে কথা বলতে পারে না যে আপনাকে বলে দেবে তাদের এই সমস্যা হচ্ছে।

সাধারণত বাচ্চাদের ছয় মাস থেকে দশ মাসের মধ্যে দাঁত উঠতে শুরু করে। আবার অনেকেই ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ১৫ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সাধারণত এই মাস গুলোর মধ্যেই দাঁত উঠা শুরু করে দেয়। যদি এই সময়ের মধ্যে দাঁত না ওঠে তাহলে অবশ্যই আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এরপর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। যদি এ লক্ষণগুলো প্রকাশ না পায় অর্থাৎ বাচ্চাদের দাঁত না উঠতে শুরু করে তাহলে বেশ কিছু করণীয় রয়েছে অবশ্যই সেগুলো করতে হবে। সাধারণত বাচ্চাদের নির্দিষ্ট বয়স হওয়ার সাথে সাথে দাঁত উঠতে শুরু করে। তবে সবার ক্ষেত্রে একই বয়সে ওঠে না কারো কারো ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হতে পারে।

যদি একেবারেই দাঁত না উঠে তাহলে অবশ্যই দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ভালো দাদার ডাক্তার অথবা শিশু বিশেষজ্ঞর কাছে যেতে হবে। সাধারণত বেশ কিছু কারণে বাচ্চাদের দাঁত উঠে না এগুলোর মধ্যে একটি হলো বংশগত কারণ। যদি এটি কারণ হয়ে থাকে তাহলে কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে নিজে থেকে দাঁত উঠতে শুরু করবে।

যদি শরীরে পুষ্টিগণের সমস্যা থাকে তাহলে বাচ্চাদের দাঁত উঠতে শুরু করে দেরিতে। যদি এরকম কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই বাচ্চাদের পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খাওয়াতে হবে। যেহেতু ছোট থেকে সব খাবার খেতে চাই না তাই বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোর মধ্যে অনেক বেশি পুষ্টি থাকে সেগুলো বেশি করে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

দুধ দাত পড়ার কতদিন পর দাঁত উঠে

দুধ দাঁত পড়ার কতদিন পর নতুন দাঁত ওঠে সাধারণত সবার এই বিষয়টি জেনে রাখা উচিত। যখন বাচ্চাদের দাঁত ওঠার বয়স আসে সাধারণত তখন একসাথে দুই তিনটি দাঁত উঠে যায়। এই সময় বাচ্চারা অনেক বেশি ভয় পেয়ে যায় সাধারণত তারা মনে করে তাদের দাঁত আর বের হবে না। বাচ্চাদের ছয় বছর বয়স থেকে দাঁত উঠতে শুরু করে।

দুধ দাঁত উঠে যাওয়ার পরে কয়েকদিন এর ব্যবধানে আবার নতুন দাঁত বের হতে শুরু করে। সাধারণত এই ব্যবধান সবার ক্ষেত্রে এক হয় না মানুষের ভিন্নতা অনুযায়ী ভিন্ন সময়ের মধ্যে দাঁত উঠতে শুরু করে। তবে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যেই। সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহের মধ্যেই নতুন দাঁত উঠতে শুরু করে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কয়েকটি দাঁত উঠতে অনেক বেশি দেরি হয়।

দাঁত উঠার সময় জ্বর হওয়া

দাঁত ওঠার সময় জ্বর হওয়া সাধারণ একটি বিষয়। কারণ ইতিমধ্যেই আমরা উপরে আলোচনা থেকে দাঁত উঠলে কোন ধরনের সমস্যা গুলো হতে পারে এই বিষয়ে আমরা জেনেছি। সাধারণত দাঁত উঠার সময় বাচ্চাদের যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শরীরে জ্বর থাকা। অনেকের ক্ষেত্রেই হালকা পরিমাণে জ্বর থাকে আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর আসতে পারে।

দাঁত-উঠার-সময়-জ্বর-হওয়া

যদি আমাদের শরীরে কোন জায়গায় ব্যথা অনুভূত হয় সাধারণত তখন সে ব্যথার কারণে জ্বর আসতে পারে। যেহেতু বাচ্চাদের শরীরে রক্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে এবং তাদের শরীরে পুষ্টি তেমন ভাবে থাকে না তাই এ সময় ব্যথার কারণে জ্বর আসাটা স্বাভাবিক। সাধারণত দাঁত ওঠার সময় তাদের মুখের মাড়িতে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হয়।

আরো পড়ুনঃ সামনের ফাঁকা দাঁত ঠিক করার ১৮টি কার্যকরী উপায়

যেহেতু বাচ্চারা এই ব্যথা সহ্য করতে পারে না প্রায় অনেক সময় তাদের জ্বর চলে আসে। যদি হালকা পরিমাণে জ্বর হয় তাহলে কিছুক্ষনের মধ্যেই জ্বর চলে যেতে পারে। যদি প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর হয় এবং বাচ্চাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই দেরি না করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করে পরামর্শ নিতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। যদি আপনি এই লক্ষণ গুলো জেনে রাখতে পারেন তাহলে খুব সহজেই জানতে পারবেন আপনার বাচ্চার কখন দাঁত উঠছে। সাধারণত বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাই আমাদেরকে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। বিশেষ করে যারা নতুন পিতা-মাতা হয়েছে তাদের।

আমার প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। একজন সচেতন পিতা মাতার হিসেবে আমাদের অবশ্যই বিষয় গুলো জেনে রাখা উচিত। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি এই ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো জানতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। 25427

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url