OrdinaryITPostAd

শোক দিবসকে জাতীয় শোক দিবস বলা হয়েছে কেন

জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদশোক দিবসকে জাতীয় শোক দিবস বলা হয়েছে কেন? বিষয়টি সম্পর্কে কি আমাদের জানা আছে? এছাড়া জাতীয় শোক দিবসের কালো ব্যাচ পড়া হয়ে থাকে কিন্তু জাতীয় শোক দিবসে কালো ব্যাচ পরা হয় কেন? এই সম্পর্কেও জানা নেই।

আজ-জাতীয়-শোক-দিবস

আপনি যদি জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে ধারণা পেতে চান তাহলে আপনাকে শোক দিবসকে জাতীয় শোক দিবস বলা হয়েছে কেন? এছাড়া জাতীয় শোক দিবসের কিছু কার্যক্রম যেমন জাতীয় শোক দিবসে কালো ব্যাচ পরা হয় কেন জানুন।

পেজ সূচিপত্রঃ শোক দিবসকে জাতীয় শোক দিবস বলার কারণ এবং এই দিন কালো ব্যাচ পরার কারণ জানুন

শোক দিবসকে জাতীয় শোক দিবস বলা হয়েছে কেন

শোক দিবসকে জাতীয় শোক দিবস বলা হয়েছে কেন? এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। কারণ বাংলাদেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালন করা হয় যেমন স্বাধীনতা দিবস বিজয় দিবস। এই দিবসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জাতীয় শোক দিবস। কিন্তু বিষয় হচ্ছে এই শোক দিবসকে জাতীয় বলা হয় কেন? সাধারণত একটি পুরা জাতির জন্য যখন কোন কিছু পালন করা হয় সেটিকে জাতীয় বলা হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় শোক দিবস কবে - জাতীয় শোক দিবস কত তারিখ

শোক দিবস বাংলাদেশের অর্থাৎ বাঙালি জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন অর্থাৎ অন্যভাবে আপনি এটিকে একটি জঘন্যতম দিন বলতে পারেন কারণ এই দিনে বাঙালি জাতির প্রধান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনে এই দিবস পালন করা হয় সাধারণত তাই এই দিনটিকে জাতীয় তিন হিসেবেই মনে করা হয়ে থাকে।

আমরা সবাই জানি যে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করার পিছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কত বড় অবদান ছিল। তিনি সবসময়ই বাংলাদেশের মানুষকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নতুন করে বাংলাদেশকে গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য সেই সুযোগ তাকে দেয়নি।

এক গভীর রাত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই রাত্রি ছিল ১৯৯৫ সালের ১৫ ই আগস্ট। সাধারণত এই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসায় অর্থাৎ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাসায় যতজন সদস্য ছিল সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি ছোট শিশু শেখ রাসেলকেও রেহাই দেয়া হয়নি তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। সাধারণত তাই এই দিনটিকে জাতীয় দিন হিসেবে পালন করা হয়।

জাতীয় শোক দিবসে কালো ব্যাচ পরা হয় কেন

জাতীয় শোক দিবসে কালো ব্যাচ পরা হয় কেন? এই বিষয়টি সম্পর্কেও আমাদের জানা নেই। যখন কোন শোকের দিন আসে সাধারণত শোক পালন করার জন্য কালো কাপড় পড়তে দেখা যায়। কিন্তু আপনাকে লক্ষ্য করেছেন এবং কখনো জানতে চেয়েছেন যে শোক দিবসে কেন কালো কাপড় পড়া হয়ে থাকে? আপনার যদি বিষয়টি সম্পর্কে না জানা থাকে আজকের এই আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।

পৃথিবীর যে প্রান্তেই শোকের কোন ঘটনা ঘটলে কালো কাপড় পড়া হয়। কিন্তু কবে থেকে এই কার্যকর করা হয় সাধারণত এই বিষয়টি সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। ইতিহাস থেকে জানা যায় উইলিয়াম শেক্সপিয়ার একবার শোকের প্রতীক হিসেবে কালো রংকে বলেছিলেন। দীর্ঘ প্রাচীনকাল থেকেই শোক প্রকাশ করার জন্য কালো কাপড় পড়ার রীতিনীতি চলে আসছে। অনেকেই মনে করে থাকে যে রোমান সাম্রাজ্যে থেকে শোকের পোশাক কালো এ প্রচলনটি চালু হয়।

যেহেতু বর্তমান পৃথিবীর আমরা সবাই জানি যে শোকের পোশাক কালো তাই শোক দিবসে কালো কাপড় পরা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি শোক দিবস রয়েছে। আর এই শোক দিবসে আমরা বাংলাদেশের জঘন্যতম দিনের কথা স্মরণ করি। যেহেতু এই দিন একই পরিবারের অনেকগুলো মানুষ মৃত্যুবরণ করে সাধারণত তাই শোক পালন করতে আমরা কালো কাপড় অথবা কালো ব্যাচ পড়ে থাকি।

জাতীয় শোক দিবস কত তারিখ পালন করা হয়

শোক দিবসকে জাতীয় শোক দিবস বলা হয়েছে কেন? এই বিষয়টি সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জেনেছি। আমাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা জানে না জাতীয় শোক দিবস কত তারিখ পালন করা হয়? যেহেতু এই দিবসটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় দিবস তাই আমাদের উচিত আমাদের জাতীয় দিবস সম্পর্কে ধারণা রাখা। বিশেষ করে যারা পড়াশোনা সাথে যুক্ত রয়েছে সাধারণত তারা এই বিষয়টি খুব ভালোভাবেই জানে।

এর অন্যতম কারণ হলো শোক দিবস উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তবুও আমাদের অবহেলার কারণে সাধারণত আমরা এই দিনটি সম্পর্কে জানিনা। যেদিন এই জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটেছিল সাধারণত প্রতিবছর সেই একই দিনে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট। সাধারণত তাই প্রতিবছর এই একই দিনে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

১৫ আগস্ট কেন জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়

১৫ আগস্ট কেন জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়? গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কিন্তু আমরা ইতিমধ্যেই এই বিষয় সম্পর্কে বেশ কিছু ধারণা নিয়েছি। প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে অংশ নিতে হয়। সেহেতু আমাদের প্রধান এবং প্রথম কাজ করো প্রতিবছর ১৫ আগস্ট কেন জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া।

১৫-আগস্ট-কেন-জাতীয়-শোক-দিবস-পালন-করা-হয়

কারণ এই দিনটি পালন করলেও আমরা এই দিন সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য একেবারেই জানিনা। বাঙালি জাতির জন্য খুবই শোকাহত এবং কষ্টকর একটি দিন ১৫ আগস্ট। এর অন্যতম কারণ হলো এই দিনে আমাদের প্রিয় নেতা এবং স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। এখানে শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়নি তার পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল।

সেই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহেনা দেশের বাইরে থাকার কারণে সে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া থেকে বেঁচে যায়। একে পরিবারের যখন ১৬ সদস্য একই দিনে মৃত্যুবরণ করে সাধারণত এই মৃত্যু যখন স্বাভাবিক মৃত্যু হয় না তখন বিষয়টি কত কষ্টকর তা অনুমান করা যাচ্ছে। সাধারণত তাই দেশের মানুষকে সেই দিনটির কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই প্রতি বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

কবে থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়

শোক দিবসকে জাতীয় শোক দিবস বলা হয়েছে কেন? এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে কবে থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হচ্ছে তাহলে আপনি কি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন? আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানেনা। কারণ তারা এ বিষয়গুলো জানার প্রয়োজন মনে করে না। যখন ইতিহাসের এই জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটে সাধারণত এর পর থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়নি।

এই ঘটনা ঘটার অনেক বছর পর যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে এ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যের হত্যার বিচার কার্য শুরু হয় এরপর থেকেই এই দিনটিকে জাতীয় শক্তিও হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা করার পর থেকেই প্রতিবছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

যখন থেকে এই ঘোষণা করা হয় সাধারণত এরপর থেকেই প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। সাধারণত এই দিনটি উপলক্ষে সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা হয়। তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে হত্যাকারীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই ১৫ আগস্ট কে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়।

জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় কিভাবে

জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় কিভাবে? এই বিষয়ে আমরা অনেকেই কোন ধারণা রাখি না। আমরা সবাই একই রকম ভাবে জাতীয় শোক দিবস পালন করি না। সাধারণত যে যার মত করে শোক দিবস পালন করে থাকে কিন্তু শোক দিবস যেহেতু শোকাহত একদিন সেহেতু এই দিনে কোন ধরনের গান বাজনা অথবা আনন্দের কার্যক্রম করা হয় না। এই দিন মৃত্যুবরণ করা প্রতিটি সদস্যকে স্মরণ করার মাধ্যমে শোক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

এ জাতীয় শোক দিবসের দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও বঙ্গমাতা এবং পরিবারের আরো ১৬ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করে। জাতীয় শোক দিবসের দিনে সূর্য উদয় হওয়ার পরে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধ উত্তোলন করে রাখা হয়। তাছাড়া এই দিনে মসজিদে এবং মাদ্রাসাতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের জন্য বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এছাড়া বনানীতে ১৫ ই আগস্টের নিহত প্রতিটি শহীদদের স্মরণ করা হয়ে থাকে। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দেওয়া হয়ে থাকে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার পিতা-মাতা এবং পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য দোয়া করে। জোহরের নামাজের পরে প্রতিটি মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সাধারণত এভাবেই জাতীয় শোক দিবস প্রতিবছর পালন করা হয়ে থাকে।

জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য

শোক দিবসকে জাতীয় শোক দিবস বলা হয়েছে কেন? এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কেও আমাদের জেনে নিতে হবে। যেহেতু এটি সম্পূর্ণ জাতির জন্য শোক দিবস সাধারণত তাই আমাদেরকে জাতীয় শোক দিবস এর ধারণা মাথায় রাখতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি জাতীয় শোক দিবস হল আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শোকের একটি দিন।

কেন এই দিনটি শোকের দিন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। জাতীয় শোক দিবসের দিনে আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। সাধারণত তাই এই দিনটিকে শোকের দিন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। কারণ বাংলাদেশের মানুষ কখনোই এই দিনটিকে ভুলতে পারবেনা।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আমাদের করণীয়

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আমাদের করণীয় কি? চলুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। আমরা জানি যে প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। এই জাতীয় শোক দিবসের দিনে আমাদের বেশ কিছু করণীয় রয়েছে। এখন বিষয় হচ্ছে এই দিনে আমাদের করণীয় কি? আপনি যদি একজন প্রকৃত বাঙালি হয়ে থাকেন এবং বাংলাদেশকে ভালোবেসে থাকেন তাহলে আপনাকে বঙ্গবন্ধুর অবদান মানতেই হবে।

তিনি বাংলাদেশের প্রধান এবং একমাত্র নেতা যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙ্গালীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং সাহস জাগিয়েছিলেন। তিনি কোন কিছুকেই ভয় পেতেন না। সাধারণত তার নির্দেশেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল এবং যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আমাদের করণীয় রয়েছে। আমাদের প্রধান করণীয় হলো বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের জন্য আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করা।

আরো পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভাষণ

আমরা যেই ধর্মের অনুসারী সাধারণত সেই ধর্মের নিয়ম রীতি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করা। তাছাড়া এই দিনে কোন ধরনের আনন্দ উল্লাস না করা যেহেতু এই দিনটি ইতিহাসের জঘন্যতম একটি দিন নামেই পরিচিত। তাই এই দিনে আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলাফেরা করতে হবে। বিশেষ দোয়া এবং মাহফিলের আয়োজন করতে হবে। এভাবেই জাতীয় শোক দিবস পালন করতে হবে।

আজ জাতীয় শোক দিবস

আজ জাতীয় শোক দিবস আপনাদের মধ্যে অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আজকে হলো আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ। ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং পরিবারের ১৬ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড এতটাই নির্মম ছিল যে বঙ্গবন্ধুর ছোটপুত্র শেখ রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। এরকম নির্মম একটি দিনকেই জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়।

আজ-জাতীয়-শোক-দিবস

সাধারণত এই কারণেই প্রতিবছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ আসলেই জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। আমরা ইতিমধ্যেই জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কোন ধরনের কার্যক্রম গুলো করতে পারি এবং কিভাবে জাতীয় শোক দিবস পালন করতে পারি? এ বিষয় গুলো জেনে রেখে সেভাবে পালন করতে হবে। সকল ধরনের রাজনীতি ভুলে আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের জন্য দোয়া করতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

শোক দিবসকে জাতীয় শোক দিবস বলা হয়েছে কেন? এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে জাতীয় শোক দিবস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি একজন দায়িত্বশীল বাঙালি হয়ে থাকেন এবং শোক দিবস গুরুত্বের সাথে পালন করতে চান তাহলে আপনার উচিত আজকের এই দিনটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা। কারণ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্মান্তিক দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত করতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url