OrdinaryITPostAd

২০২৪ সালের কোরবানি ঈদ কবে - ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে ২০২৪

কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ২০২৪ সালের কোরবানি ঈদ কবে? বিষয়টি সম্পর্কে অনেক মুসলিম জানতে চাই। কারণ কোরবানির ঈদ হল মুসলিমদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয় উৎসব। তাই এই ঈদ সম্পর্কে আমাদের অনেকের মনেই বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জাগে।

২০২৪-সালের-কোরবানি-ঈদ-কবে

ঈদ মানে আনন্দ আর ঈদ মানে সবাই মিলে একসাথে হওয়া। বছরে মুসলিমদের জন্য দুটি ঈদ আসে একটি হল ঈদুল ফিতর অর্থাৎ রোজার ঈদ আর একটি হলো ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ। ২০২৪ সালের কোরবানি ঈদ কবে? জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ ২০২৪ সালে কোরবানি ঈদ কবে হবে বিস্তারিত জানুন

২০২৪ সালের কোরবানি ঈদ কবে

২০২৪ সালের কোরবানি ঈদ কবে? এ বিষয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই কোন ধারণা থাকে না। আমরা ইতিমধ্যেই রোজার ঈদ অর্থাৎ ঈদুল ফিতর পার করে এসেছি। ঈদুল ফিতর পার করে আসার সাথে সাথে আমাদের কোরবানির ঈদ কবে হবে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগ্রহ জাগে। কারণ রোজার ঈদের কয়েক মাস পরেই কোরবানি ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত প্রতিবছর এই নিয়ম এবং এই সময়ে কোরবানির ঈদ হয়ে আসছে।

আরো পড়ুনঃ কোরবানি কার ওপর ফরজ - কোরবানি কাদের উপর ফরজ

প্রতি বছর কোরবানি ঈদ হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমনটা শাওয়াল মাসের এক তারিখে রোজার ঈদ পালন করা হয় সারা বছর রমজান মাসে রোজা পালন করার পরে ঠিক একই রকম ভাবে কোরবানির ঈদ হিজরী মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পালন করা হয়ে থাকে। সাধারণত এই সময়টি সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। প্রতি বছর একই সময়ে এবং একই দিনে ঈদ পালন করা হয়।

আমরা যারা মুসলিম ঘরের সন্তান রয়েছে সাধারণত তারা খুব ভালোভাবে জানি যে আমাদের জন্য কোরবানির ঈদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদাত। বছরের মাত্র দুইটি ঈদ মুসলিমদের জন্য। এর মধ্যে একটি রমজান মাসে এক মাস রোজা রাখার পরে ঈদুল ফিতরের ঈদ এবং অন্যটি হলো আল্লাহ তাআলার রাস্তায় নিজের প্রিয় জিনিস কোরবানি করার আনন্দ। যাকে আমরা ঈদুল ফিতর অর্থাৎ কোরবানির ঈদ বলে থাকি।

বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে সাধারণত তারা কোন মাসের কত তারিখে চাঁদ দেখা যাবে এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে। এবং আগে থেকেই বলে দেয় যে কুরবানী ঈদ অথবা রোজার ঈদ কত তারিখ সংঘটিত হবে। সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি ঘোষণা দিয়েছে যে কোরবানির ঈদ ১০ জিলহজ অনুষ্ঠিত হবে অর্থাৎ ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জুন মাসের ১৬ তারিখ। সাধারণত এটি সৌদি আরবের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী।

ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে ২০২৪

ঈদুল আযহা কত তারিখে হবে ২০২৪? আমরা এই বিষয়টি নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করছি। যেহেতু ঈদুল আযহা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের একটি দিন সেহেতু আমাদেরকে আগে থেকেই এই ঈদ কত তারিখে হবে? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। সাধারণত ঈদুল আযহা পালন করার জন্য আমাদেরকে আল্লাহতালার রাস্তায় অর্থাৎ আল্লাহর তালাকে খুশি করার জন্য নিজের পছন্দের কোনো বস্তু কোরবানি করতে হয়।

সাধারণত আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমরা গরু অথবা ছাগল কোরবানি দিয়ে থাকি। তাই কুরবানী ঈদের এক মাস আগে থেকেই গরু এবং ছাগল কেনাকাটি করার ধুম পড়ে যায়। সাধারণত আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরবানি করতে হলে আমাদেরকে আগে থেকে ভালো গরু অথবা ছাগল কিনে রাখতে হবে। যাতে করে আমরা কোরবানির সময় তাড়াহুড়া না করি। সেজন্য আমাদেরকে অবশ্যই ঈদের সম্ভাব্য তারিখ অর্থাৎ কত তারিখে ঈদ হবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

উপরের আলোচনায় আমরা জেনেছি যে সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি ঘোষণা করেছে জুন মাসের ১৬ তারিখ তাদের দেশে ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হবে। আমরা যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট লক্ষ্য করি অনেক আগে থেকেই সৌদি আরবের একদিন পরে বাংলাদেশে ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। সে বিষয়টি যদি মাথায় রাখি তাহলে বাংলাদেশ জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে।

ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ

২০২৪ সালের কোরবানি ঈদ কবে? বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। গত ১০ এপ্রিল ২০২৪ সালে সৌদি আরবে ঈদুল ফিতর অর্থাৎ রোজার ঈদ উদযাপন করা হয়। সারা বাংলাদেশে এপ্রিল মাসের ১১ তারিখ ২০২৪ সালে ঈদুল ফিতর অর্থাৎ রোজার ঈদ উদযাপন করা হয়। সাধারণত এই বিষয়টি নতুন নয় অনেক আগে থেকেই সৌদি আরবের একদিন পরে বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন করা হয় সেটা হোক রোজার ঈদ অথবা কোরবানির ঈদ।

যেদিন সৌদি আরবে ঈদ পালন করা হয় সাধারণত পরের দিন বাংলাদেশ সহ আরো বেশ কিছু মুসলিম দেশে ঈদ উদযাপন করা হয়ে থাকে। সাধারণত এই বিষয়টি যদি আমরা মাথায় রাখি তাহলে বাংলাদেশ এর মানুষ জুন মাসের ১৭ তারিখ ঈদ উদযাপন করবে। যদিও এটি সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তাই এই তারিখ কম বেশি হতে পারে। জুন মাসের মধ্যে সময় ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আপনাকে কোরবানির জন্য পশু কিনে রাখতে হবে।

কোরবানির ঈদ কাকে বলা হয়

কোরবানির ঈদ কাকে বলা হয়? চলুন বিস্তারিত ভাবে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত আমরা মুসলিম ঘরে জন্মগ্রহণ করেছি ঠিকই কিন্তু ইসলাম ধর্ম এবং ইসলাম ধর্মের উৎসব সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই বললেই চলে। যদি আমরা সঠিকভাবে ইসলাম পালন করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ইসলামের যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেমন কোরবানির ঈদ রোজার ঈদ এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে।

কোরবানির-ঈদ-কাকে-বলা-হয়

বিশেষ করে এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা কোরবানির ঈদ সম্পর্কে তেমন একটা জানেনা। আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে রাখি যে কোরবানির ঈদ হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। মুসলিমদের জন্য প্রতিবছর দুইটি ঈদ বরাদ্দ করা হয়েছে। আর এই দুইটি ঈদ আল্লাহতালাকে সন্তুষ্ট করার পরে উদযাপন করতে হবে। যেমন ঈদুল ফিতর এক মাস সিয়াম পালন করার পরে উদযাপন করতে হয় ঠিক একই রকম ভাবে আল্লাহর নামে কোরবানি করে তারপরে আমাদেরকে ঈদ উদযাপন করতে হয়।

আমরা যে কাজ করি না কেন একমাত্র আল্লাহ তার আগে সন্তুষ্ট করার জন্য করতে হবে। আল্লাহতালার নবী হযরত ইব্রাহিম আঃ এবং তার পুত্র হযরত ইসমাইল আঃ কে স্মরণ করার জন্য ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হয়। এই সময় আল্লাহতালাকে সন্তুষ্ট করতে হালাল উপার্জনের টাকায় কোন পশু কিনে আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করতে হয়। যদি আপনার মধ্যে কোন ধরনের হিংসা বিদ্বেষ না থাকে এবং টাকা হালাল হয়ে থাকে তাহলে আপনারা এই কুরবানী আল্লাহ তায়ালার দরবারে কবুল হবে।

বাংলাদেশে কুরবানীর ঈদ কবে হবে

২০২৪ সালের কোরবানি ঈদ কবে? এই বিষয়টি আলোচনা করার সময় আমরা এটি খুব ভালোভাবেই উল্লেখ করেছি যে বাংলাদেশে কোরবানি ঈদ কবে অনুষ্ঠিত হবে? যেহেতু বছরে মাত্র দুইটি ঈদ উদযাপন করা হয়ে থাকে তাই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের সবার জানার আগ্রহ বেশি থাকে। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ। কারণ কোরবানি করার জন্য আমাদেরকে পশু কিনতে হয়। আপনি যদি সৌদি আরবের কোরবানি ঈদ কবে এই বিষয়টি জেনে রাখতে পারেন তাহলে খুব ভালোভাবেই ধারণা করতে পারবেন।

কারণ প্রতি বছর সৌদি আরবের একদিন পরে আমাদের বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ পালন করা হয়ে থাকে। সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি ঘোষণা করেছে যে জুন মাসের ১৬ তারিখ কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হবে। প্রতিবছর হিজরী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হয়। আর এই জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সৌদি আরবের প্রেক্ষাপটে জুন মাসের ১৬ তারিখে হবে।

আপনি যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট লক্ষ্য করেন তাহলে প্রতিবছর সৌদি আরবের একদিন পরে ঈদ উদযাপন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে জিলহজ মাস শুরু হবে জুন মাসের ৮ তারিখ। যদি জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদ উদযাপন করা হয় তাহলে জুন মাসের ১৭ তারিখে বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হবে। হিজরী মাস গুলো চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তাই চাঁদ না দেখা গেলে সঠিকভাবে নির্দিষ্ট তারিখ বলা যাচ্ছে না।

কোরবানির ঈদের গুরুত্ব

কোরবানির ঈদের গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের খুব ভালোভাবেই জানা রয়েছে। বিশেষ করে আপনি যদি একজন প্রকৃত মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকার কথা। কারণ বছরের মাত্র দুইটি ঈদ উদযাপন করা হয়। আর আমরা যদি এই দুটি সম্পর্কে ধারণা রাখতে না পারি তাহলে কখনোই নিজেকে মুসলিম দাবি করতে পারি না। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন যে ইসলামিক ইতিহাসের কোরবানি ঈদের গুরুত্ব অনেক বেশি।

বিশ্বের মুসলিমদের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ। কোরবানি এই শব্দটি আরবি এর বাংলা অর্থ করতে গেলে দাঁড়ায় নৈকট্য অথবা আত্মত্যাগ। কোরবানি করার গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন, আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানি নির্ধারণ করেছি যাতে তারা হালাল পশু জবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। {সূরা হজঃ ৩৪}

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে আরো বলেছেন, "নিশ্চয়ই আমার নিকট কোরবানির পশুর গোশত ও রক্ত কিছুই কবুল হয় না, তবে আমার নিকট পৌঁছে একমাত্র তাকওয়া"। {সূরা হজঃ ৩৭} এক গুরুত্বপূর্ণ সাহাবী মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল সাঃ কোরবানি কী? উত্তরে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, "কোরবানি হচ্ছে তোমাদের আদি পিতা হজরত ইবরাহিম আঃ এর জীবনাদর্শ"।

ওই সাহাবী আবার জিজ্ঞেস করলেন কোরবানির ফজিলত কী? রাসুল সাঃ বললেন, পশুর পশমের পরিবর্তে একেকটি করে নেকি দেয়া হয়। {মেশকাতঃ ১২৯} আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, "কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই কোরবানি করা ব্যক্তির কোরবানি আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায় এবং তার অতীতের সকল গুনাহ মোচন করে দেয়া হয়।" {তিরমিজিঃ ১/১৮০}

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, তোমরা মোটাতাজা পশু দেখে কোরবানি কর, কারণ এ পশুই পুলসিরাতের বাহক হবে। {মুসলিমঃ ২৬৩৯} একজন উল্লেখযোগ্য সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "রাসুলুল্লাহ সাঃ পবিত্র মদিনায় দশ বৎসর জীবনযাপন করেছেন। প্রত্যেক বছরই তিনি পশু কোরবানি করেছেন।" {তিরমিজিঃ ১/১৮৯}

সাধারণত এই হাদিস গুলো থেকে খুব ভালোভাবেই বোঝা যায় যে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি করার গুরুত্ব কত বেশি? যদি কুরবানী করার গুরুত্ব না হতো তাহলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কোরবানি সম্পর্কে এতগুলো কথা কখনোই বলতেন না। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে কুরবানী সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাহলে বোঝা যায় যে কোরবানি করার অনেক গুরুত্ব রয়েছে।

কোরবানি করা হয় কেন

২০২৪ সালের কোরবানি ঈদ কবে? এ বিষয়টি সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। আপনারা যারা নতুন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন অথবা ইসলাম সম্পর্কে আপনাদের তেমন কোন ধারণা নেই তবে আপনি জন্মগতভাবে মুসলিম তাহলে আপনাকে খুব ভালোভাবে জেনে নিতে হবে যে কোরবানি করা হয় কেন? অনেকে নাস্তিক এবং বিধর্মী রয়েছে যারা কোরবানি নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে থাকে। সাধারণত তারা এই বিষয়টিকে পশু হত্যার সাথে তুলনা করে।

কিন্তু এটা কখনো প্রশ্ন হত্যা নয়। কারণ আমরা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালার সন্তুষ্ট অর্জন করার জন্য আমাদের হালাল উপার্জনের টাকা দিয়ে কোরবানি করে থাকি। কোরবানি করার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করা। এছাড়া কোরবানি করার আর অন্য কোন উদ্দেশ্য নাই। যেমন অনেকেই মনে করে থাকে যে কোরবানি করার উদ্দেশ্য হলো মাংস খাওয়া আসলে এই বিষয়টি সম্পন্ন ভুল।

আপনি যে আল্লাহতালার জন্য কোরবানি করছেন আল্লাহতালার কাছে কোনো মাংস অথবা রক্ত পৌঁছায় না আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু আমাদের মনের ভেতরকার তাকওয়া। যদি আপনার মনের ভেতরে কোন ধরনের হিংসা বিদ্বেষ না থাকে এবং আপনি আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আপনার এই কুরবানী কবুল করবেন। তাই একমাত্র আল্লাহতালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোরবানি করুন।

কাদের কোরবানি করতে হবে

কাদের কোরবানি করতে হবে? খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। আমাদের অনেকেরই টাকা আছে কিন্তু টাকা খরচ হয়ে যাবে এই বিষয়টি মাথায় আসলে আমরা কোরবানি দিতে চাই না। কিন্তু এ বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় যখন খরচ করতে হবে সাধারণত তখন টাকার কথা চিন্তা করলে হবে না। তাই মুসলিম ব্যক্তিদের সবাই জেনে রাখতে হবে যে কাদের কোরবানি করতে হবে?

আরো পড়ুনঃ কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় বিস্তারিত জেনে নিন

যাদের নিসাব পরিমান সম্পদ রয়েছে অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তিরা স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং আল্লাহ তা'আলা সম্পদ ও অর্থ দান করেছে সাধারণত তাদেরকেই আল্লাহতালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য মনের ভেতরে কোন রকমের দ্বিধা না এনে কোরবানি করতে হবে। বাংলাদেশে গরু এবং ছাগল তাছাড়া ভেড়া এবং মহিষ কুরবানী করা হয়ে থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশে উট কোরবানি করতেও দেখা যায়। তাই আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোনো পশু কোরবানি করতে পারেন।

কোরবানির ঈদের ফজিলত

কোরবানির ঈদের ফজিলত জানতে হলে আপনাকে কোরবানি করার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে হবে। যা আমরা ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কোরবানির ঈদ খুবই ফজিলতপূর্ণ। বিশেষ করে আপনি যদি আল্লাহতালাকে সন্তুষ্ট করতে চান এবং বিপদ আপদ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনার উচিত এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা। কারণ কোরবানির ঈদ হলো খুবই ফজিলতপূর্ণ।

কোরবানির-ঈদের-ফজিলত

আমরা যদি আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করতে চাই তাহলে আমাদেরকে প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ১১ তারিখ এবং ১২ তারিখ কোরবানি করতে হবে। তবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ কোরবানি করার উপযুক্ত সময়। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে কুরবানী সম্পর্কে বেশ কিছু আয়াত উল্লেখ করেছেন তাছাড়া আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর অনেকগুলো হাদিস কোরবানি সম্পর্কে পাওয়া যায়।

লেখকের শেষ মন্তব্য

২০২৪ সালের কোরবানি ঈদ কবে? এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে আমরা বিস্তারিত ভাবে কোরবানির ঈদ নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন এবং আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করতে চান সে হয়তো আপনাকে আগে থেকেই কোরবানির ঈদ কবে অনুষ্ঠিত হবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। এতে করে কুরবানীর পশুকে না অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।

আশা করি আপনি কোরবানির ঈদ সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় যদি নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url