কোরবানির ঈদ নিয়ে কবিতা ২০২৪ কোরবানির ঈদের স্ট্যাটাস
কোরবানি ওয়াজিব না ফরজকোরবানির ঈদ নিয়ে কবিতা আপনার সমাজের যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে চাইলে অবশ্যই আগে আমাদের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। আমরা যারা কবিতা পড়তে ভালোবাসা সাধারণত তারা যে কোনো আচার অনুষ্ঠানে কবিতা শেয়ার করে।
আমরা জানি যে ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের কাছে কোরবানি ঈদ হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কবিতা পছন্দ করে থাকেন তাহলে কোরবানির ঈদ নিয়ে কবিতা নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য জেনে নিন।
সূচিপত্রঃ কোরবানির ঈদ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- কোরবানির ঈদ নিয়ে কবিতা
- কোরবানির ঈদ কেন উদযাপন করা হয়
- কোরবানির ঈদ কখন উদযাপন করা হয়
- কোরবানি দেওয়ার নিয়ম
- কোরবানি কয় ভাগে দেওয়া যায়
- কোরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্য
- বাংলাদেশে কোরবানি ঈদ কবে
- কোরবানি করার গুরুত্ব
- কোরবানির ঈদের স্ট্যাটাস
- লেখকের শেষ মন্তব্য
কোরবানির ঈদ নিয়ে কবিতা
কোরবানির ঈদ নিয়ে কবিতা আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেল থেকে বেশ কয়েকটি কবিতা সম্পর্কে জেনে নিন। আমরা যারা কবিতা পড়তে ভালোবাসি সাধারণত তারা বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে সে সম্পর্কে কবিতা আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে থাকি। যেহেতু সামনে মুসলিমদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ সেহেতু কোরবানির ঈদ নিয়ে কবিতা উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুনঃ কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় বিস্তারিত জেনে নিন
কবিতাঃ ১
চাহি নাকো দুম্বা উট, কতটুকু দান? ও দান ঝুট।
চাই কোরবানি, চাই না দান।
রাখিতে ইজ্জত ইসলামের শির চাই তোর, তোর ছেলের,
দেবে কি? কে আছ মুসলমান?
কবিতাঃ ২
ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক।
দোস্ত দুশমন পর ও আপন
সবার মহল আজি হউক রওনক
যে আছ দূরে যে আছ কাছে
সবারে আজ মোর সালাম পৌঁছে
সবারে জানাই এ দিল আশক।
কবিতাঃ ৩
চারিদিকে আজ খুশির জোয়ার
সবাই গাইছে গীত, এসেছে ধরায় মুসলিম জাহানের
প্রিয় কুরবানির ঈদ।
সবাই ঈদে কুরবানি দিবে
প্রতিপালকের তরে, মানব মনের পশুত্বটা যেন
একেবারেই যায় মরে।
নয় এটা কোন সামাজিক রীতি
এটা বড় উপাসনা, বিজ্ঞ এমন সকল লোকের
এই কথাটা জানা।
কিছু মুর্খ কুরবানিকে ভেবে
সামাজিক রীতি নীতি, টাকার গরম দেখাচ্ছে তারা
ভুলে স্রষ্টার ভীতি।
বেশী দাম দিয়ে গরু কিনে তারা
করে যায় অহঙ্কার, কুরবানির সেই মহত্বটাকে
ভেঙ্গে করে চুরমার।
তারা তো জানেনা আল্লাহর কাছে
রক্ত মাংস পৌছেনা, নিয়্যতটাই শুধু দেখার ছিল
খেয়ালে তাদের ধরেনা।
কুরবানি হল ত্যাগের নাম
ভোগের সাথে তার দ্বন্দ, ভোগের জন্য কুরবানি করা
কাজটা বড়ই মন্দ।
সংগ্রহঃ banglarkobita
কোরবানির ঈদ কেন উদযাপন করা হয়
কোরবানির ঈদ কেন উদযাপন করা হয়? একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আপনার এই বিষয়টি জানার কথা। তবে আমরা মুসলিম হিসেবে যেসব কিছুই জানি বিষয়টা এরকম নয়। অনেক কিছু রয়েছে যেগুলো আমাদের কাছে অজানা। সাধারণত আপনাকে এই অজানা বিষয়গুলোই ভালোভাবে জেনে নিতে হবে কারণ একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই এ বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত।
কোরবানি হচ্ছে হযরত ইব্রাহিম আঃ এর সুন্নত। মুসলিম জাতির পিতা হল হযরত ইব্রাহিম আঃ এবং তিনি সর্বপ্রথম কোরবানি করার প্রথা চালু করেন। এখানে দীর্ঘ একটি কাহিনী রয়েছে সাধারণত এটি আল্লাহতালার পক্ষ থেকে একটা পরীক্ষা ছিল। প্রতিটি মুসলিম এই কাহিনী সম্পর্কে অবগত রয়েছে। সাধারণত এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবছর ওই নির্দিষ্ট দিনটিতে আল্লাহতালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোরবানি করা হয়।
দীর্ঘ অনেক বছর পর হযরত ইব্রাহিম আঃ এর সন্তান জন্মায়। সাধারণত তিনি এই সন্তানকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন এমনকি নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসতেন। এই সন্তানের নাম ছিল হযরত ইসমাইল আঃ তিনিও আল্লাহ তায়ালার একজন নবী ছিলেন। সাধারণত আল্লাহ তায়ালা হযরত ইব্রাহিম আঃ কে পরীক্ষা করার জন্য তার সব থেকে প্রিয় জিনিসটিকে কোরবানি করাতে বলেন।
কয়েকবার স্বপ্নে দেখানোর পরে হযরত ইব্রাহিম আঃ বিষয়টি বুঝতে পারে এবং একসময় ছেলে সন্তানকে বিষয়টি অবগত করেন। ছেলে তার পিতাকে আল্লাহ তায়ালার হুকুম মান্য করতে আদেশ দেন। হযরত ইব্রাহিম আঃ তার সন্তানকে নিয়ে যায় গভীর জঙ্গলে এবং কোরবানি করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাই সাধারণত এই সময় আল্লাহ তায়ালা নবীর কোরবানি কবুল করে এবং হযরত ইসমাইল আঃ এর জায়গায় একটি জান্নাতি দুম্বা কুরবানী হয়ে যায়।
সাধারণত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এরপর থেকে প্রতি বছর মুসলিম উম্মাহ আল্লাহ তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য সবথেকে প্রিয় জিনিসটিকে কুরবানী দেয়। তবে এখন দেখা যায় যে আমরা টাকা দিয়ে পশু কিনে সেটিকে কুরবানী করে থাকি। আমরা যদি চাই আল্লাহতালার কাছে কোরবানি কবুল হোক তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই হালাল উপার্জনের টাকায় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে কোরবানি করতে হবে।
কোরবানির ঈদ কখন উদযাপন করা হয়
কোরবানির ঈদ নিয়ে কবিতা বেশ কয়েকটি উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি যদি একজন নতুন মুসলিম হয়ে থাকেন অর্থাৎ আগে অন্য ধর্ম পালন করতেন এখন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা জন্ম থেকে মুসলিম হওয়া সত্বেও কখন কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হয়? এই বিষয়টি সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই।
যদি অন্য কোন ধর্মের মানুষ আমাদেরকে প্রশ্ন করে যে আমাদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ কখন উদযাপন করা হয় এ প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে বিষয়টি কেমন দেখায়? আমরা যেন ইসলাম সম্পর্কে ধারণা রাখতে পারি এবং কখন মুসলিমদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করা হয়? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার জেনে রাখতে পারি। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছর একই মাসে এবং একই তারিখে এই দিনটি উদযাপন করা হয় না।
ইসলামিক প্রতিটি আচার অনুষ্ঠান হিজরী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়। আমরা বাঙালি হওয়ার কারণে হিজরী ক্যালেন্ডার সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা থাকে না। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি প্রতিবছর আরবি মাসের জিলহজ মাসে কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হয়। আর এই জিলহজ মাসের ১০ তারিখে এই দিনটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তারিখ এবং মাসের ভিন্নতা হয়ে থাকে।
কোরবানি দেওয়ার নিয়ম
কোরবানি দেওয়ার নিয়ম আমরা কয়জন জানি? কিন্তু সঠিক নিয়মে যদি আমরা কোরবানি না দিতে পারি তাহলে কখনোই এই কুরবানী আল্লাহতালার কাছে কবুল হয় না। আমরা যদি চাই আমাদের কোরবানি আল্লাহ তায়ালা কবুল করুক তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে সঠিক নিয়মে কোরবানি করতে হবে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিটি আচার অনুষ্ঠানের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদেরকে সেই নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে।
হিজরী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ এই তিন দিন কোরবানি করা যায়। এই তিনদিনের যে কোন একদিন আপনি কুরবানী করতে পারবেন। যদি আপনার কোরবানি সঠিক নিয়মে এবং হালাল টাকায় হয়ে থাকে এবং আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য করে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই কোরবানি আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন।
ঈদুল আজহার অর্থাৎ ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা যাবেনা। যে স্থানে ঈদের নামাজ বা জুমার নামাজ হয় সেই স্থানে কোরবানি করা বৈধ নয়। যে ব্যক্তির কাছে নিশা পরিমাণ সম্পদ রয়েছে অর্থাৎ যার উপরে যাকাত ফরজ সেই ব্যক্তি ১০ ও ১১ জিলহজ যদি সফরে থাকে তারপর ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে বাড়িতে আসার পরে তার ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যাবে।
যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার নামে কোরবানি দেবে সাধারণত তার নিজের পশু নিজের হাতে জবাই করা মুস্তাহাব। যদি সেই ব্যক্তি নিজের পশু জবাই করতে না পারে তাহলে অন্যের দ্বারা জবাই করিয়ে নেবে। সাধারণত এই সময় অবশ্যই নিজেকে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এটি উত্তম। পশু জবাই করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কোরবানির পশুর মুখ যেন কেবলামুখী হয়ে থাকে। এরপরে "বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার" বলে কোরবানির পশু জবাই করতে হবে। যদি কেউ ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ পড়া পরিত্যাগ করে তাহলে জবাইকৃত পশু হারাম বলে গণ্য হবে।
কোরবানি কয় ভাগে দেওয়া যায়
কোরবানি কয় ভাগে দেওয়া যায়? এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেক মুসলিম জানতে চাই। যদিও আমাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা আছে তবুও ভালোভাবে জানার জন্য অনেকেই বারবার এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করে যখন কোরবানির সময় আসে তখন। কারণ একটু যদি ভুল হয়ে যায় তাহলে অনেক সময় আল্লাহতালার কাছে আমাদের এই কোরবানি কবুল হয় না। আমরা যেহেতু আমাদের কোরবানি কবুল করাতে চাই সেহেতু আমাদেরকে এই বিষয় গুলো জানতে হবে।
একটি কোরবানির পশু সাত ভাগে কোরবানি করা যায়। সাত ভাগের বেশি ভাগে কখনোই কোরবানি দেওয়া যায় না। তবে আপনি প্রতিটি পশু সাত ভাগে কোরবানি দিতে পারবেন না যেমন ছোট যে সকল পশুর হয়েছে যেমন ছাগল দুম্বা এগুলো আপনাকে একাই কোরবানি দিতে হবে। উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে কোরবানি দিতে পারবেন অথবা আপনি যদি চান তাহলে সাত ভাগের কমেও কোরবানি দিতে পারবেন।
কোরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্য
কোরবানির ঈদ নিয়ে কবিতা উল্লেখ করার পাশাপাশি কোরবানি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। আমরা অনেকেই কোরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্য জানিনা। তবে কোরবানির ইতিহাস সম্পর্কে আমরা কিছুটা জানলে এই বিষয়টি অনুমান করতে পারে যে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য কোরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাধারণত তাই আমাদের সবথেকে পছন্দের জিনিসকে কোরবানি করার কথা বলা হয়েছে।
কোরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্য হল পশু কোরবানি করার পাশাপাশি আমরা যেন আমাদের মনের ভেতরকার পশুত্বকে একেবারে এর মত কোরবানি করে দিতে পারি। কারণ আমরা অনেকেই মানুষ হওয়া সত্বেও আমরা পশুর মত আচরণ করি। বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজ করি। আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই হালাল উপার্জনে কোরবানি করতে হবে।
বাংলাদেশে কোরবানি ঈদ কবে
বাংলাদেশে কোরবানি ঈদ কবে? যদি এ বিষয়টি আপনার না জানা থাকে তাহলে আগে থেকেই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিন। প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হয়। ভৌগোলিক কারণে পৃথিবীর সব জায়গাতে একই সময় জিলহজ মাসের ১০ তারিখ হয় না। তাই সারা বিশ্বের মানুষ একই সময়ে ঈদ উদযাপন করতে পারে না। তবে আপনি যদি বাংলাদেশে বসবাস করে থাকেন এবং জানতে চান ২০২৪ সালে কত তারিখে ঈদ হবে? তাহলে বিস্তারিত জানুন।
ইতিমধ্যেই সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি ঘোষণা করেছে যে জুন মাসের ১৬ তারিখ জিলহজ মাসের ১০ তারিখ হবে তাই এই দিনেই সৌদি আরবে কোরবানির ঈদ পালন করা হবে। তবে যেহেতু হিজরী মাস গুলো চাঁদ দেখার উপনির্ভরশীল চাই চাঁদ দেখা না গেলে বিষয়টি সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা জানি যে সৌদি আরবের পরের দিন বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন করা হয়। তাই এ বিষয়টি বলতে পারে যে জুন মাসের ১৭ তারিখ বাংলাদেশের কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।
কোরবানি করার গুরুত্ব
কোরবানি করার গুরুত্ব জানা থাকলে আমরা অবশ্যই কোরবানি করতে আগ্রহী হব। কারণ আমাদের অনেকের কাছে টাকা পয়সা থাকলেও আমরা কোরবানি করতে তেমন একটা আগ্রহ প্রকাশ করি না। কিন্তু আপনাদের অবশ্যই জানা উচিত যে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি করার গুরুত্ব রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা নিজে আমাদেরকে কোরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদেরকে আল্লাহতালার নির্দেশনা মান্য করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কোরবানি কার ওপর ফরজ - কোরবানি কাদের উপর ফরজ
আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে কোরবানি করা সম্পর্কে বেশ কিছু আয়াত উল্লেখ করেছেন। তাহলে এখান থেকে আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারি যে অবশ্যই কোরবানি করার গুরুত্ব রয়েছে। তাছাড়া আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কোরবানি সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন। যেগুলো আমাদেরকে কোরবানি করার বিষয়ে উৎসাহিত করে। তাই নিশাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট হওয়ার জন্য কোরবানি করতে হবে।
কোরবানির ঈদের স্ট্যাটাস
কোরবানির ঈদের স্ট্যাটাস দিতে হলে আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। যেহেতু সামনে কোরবানির ঈদ আসছে সেহেতু আমাদের কোরবানি ঈদের শুভেচ্ছা সবাইকে জানাতে হবে। আর এই কুরবানী ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমাদেরকে আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ঈদের স্ট্যাটাস শেয়ার করতে হবে। আপনাদের জন্য বেশ কিছু ঈদের স্ট্যাটাস উল্লেখ করা হলো।
- কাল ঈদুল আজহা, সাজবে তুমি মেহেন্দী দ্বারা, রাঙ্গাবে দুটি হাত। এই আনন্দের সময়টুকু কাটুক তোমার বারো মাস ঈদ মোবারাক।
- চেয়ে দেখো নীল আকাশ চাঁদ উঠেছে, ঈদ এর চাঁদ খুশীর বার্তা নিয়ে সেই খুশিতে, মোদের বাড়ি দাওয়াত দিলাম আসিতে। ঈদ মোবারক।
- সাজবে সবাই নতুন ভাবে নিত্যনতুন পোশাকের সাথে, রং লেগেছে সবার মনে মধুর ওইখানে খুশির হাওয়া লাগল মনে নাচবে সবাই ক্ষণে ক্ষণে।
- ঈদ মানে, পূন্য তিথী, ঈদ মানে, আনন্দ আশা, ঈদ মানে, ভালোবাসা, ঈদ মানে, মিষ্টি মুখ, ঈদ মানে, চাঁদ পানে চেয়ে দেখার সুখ। সবাইকে ঈদ মোবারক।
- ঈদের রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আযহার দিন, উপভোগ করব সারাদিন ঈদ পাবে না প্রতিদিন, বন্ধু তোমার দাওয়াত রইলো ঈদের দিন। ঈদ মোবারক
- ঈদ নিয়ে আসে অনেক আনন্দ, ঈদ মুছে দেয় দূরত্ব। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে হাজারও দুঃখ-কষ্টের মাঝেও একটুখানি হাসি।
- ঈদ মানেই তোমার প্রতি এক আকাশ পরিমাণ ভালোবাসা, ঈদ মানেই দূর আকাশের মিষ্টি হাসি, ঈদ মানেই সুখ-দুঃখ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া।
সংগ্রহঃ allbanglanewspaper
লেখকের শেষ মন্তব্য
কোরবানির ঈদ নিয়ে কবিতা উল্লেখ করার পাশাপাশি আমরা আমাদের আর্টিকেলে কোরবানির ঈদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত কোরবানি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে কিভাবে কোরবানি করা হয় এ বিষয়গুলো অবশ্যই আমাদেরকে জেনে তারপরে কুরবানী করতে হবে।
আশা করছি বিস্তারিত ভাবে বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি নিয়মিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url