বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কবে - বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ ছুটি কত তারিখ
বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসববুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কবে? যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। সাধারণত আমাদের মধ্যে অনেক বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীর মানুষ রয়েছে যারা তাদের ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে জানে না।
এই আর্টিকেলে বাংলাদেশে বসবাসকারী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কবে? এ বিষয়ে আলোচনা করব। এই ধর্মের যে সকল মানুষ রয়েছে তারা বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ বুদ্ধ পূর্ণিমা কবে পালন করা হবে ২০২৪ বিস্তারিত জানুন
- বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কবে
- বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কত তারিখ
- বৈশাখী পূর্ণিমা ২০২৪ কবে
- বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ ছুটি কত তারিখ
- বৈশাখ মাসে পূর্ণিমা কবে
- বুদ্ধ পূর্ণিমা বাংলা কত তারিখ
- বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করার কারণ
- বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসব
- বুদ্ধ পূর্ণিমা পালনের গুরুত্ব
- আমাদের শেষ কথা
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কবে
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কবে? এ বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আমাদের এই ছোট্ট বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। এই ধর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বৌদ্ধ ধর্ম। বিশেষ করে বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে এই বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদের বসবাস করতে দেখা যায়। এই ধর্মের অনুসারীদের বেশ কিছু ধর্মীয় উৎসব রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বুদ্ধ পূর্ণিমা। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি ধর্মীয় উৎসব রয়েছে তবে বুদ্ধ পূর্ণিমাকে সবথেকে গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়।
আরো পড়ুনঃ মধু পূর্ণিমার তাৎপর্য এবং মধু পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়
বলা যায় যে বুদ্ধ পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব। এখন জানার বিষয় হলো যে এই বুদ্ধ পূর্ণিমা কবে পালন করা হবে এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে অনেকের কোন ধারণা নেই। আপনারা নিশ্চয়ই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর মানুষ সাধারণত তাই আপনাদের ধর্মীয় উৎসব কবে এই বিষয়টি জানার জন্য আমাদের এই আর্টিকেল ওপেন করেছেন। প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনে এই বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করা হয়ে থাকে।
ঠিক একই রকম ভাবে এই বছরও একটি নির্দিষ্ট দিনে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করা হবে এবং আগে থেকেই এই দিনটি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী। যেহেতু এটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব তাই এই উৎসব পালনে বেশ কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। তাই আগে থেকে আমাদের এই বিষয়ে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ইংরেজি ক্যালেন্ডার লক্ষ্য করেন তাহলে মে মাসের ২২ অথবা ২৩ তারিখ এই দিনটি পালন করা হবে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কত তারিখ
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কত তারিখ? ইতিমধ্যে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদের কাছে সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব হল বুদ্ধ পূর্ণিমা। আর এই বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন করার জন্য আমাদেরকে আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। কারণ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে এই উৎসবটি অনেক আনন্দের সাথে এবং বড় পরিসরে উদযাপন করা হয়ে থাকে।
আপনি যদি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর মানুষ হয়ে থাকেন এবং এই দিনটি অনেক আনন্দের সাথে পালন করতে চান তাহলে আপনার জন্য কত তারিখে এই উৎসবটি পালিত হবে এ বিষয়ে জেনে থাকা জরুরী। আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে রাখি যে বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসবটি পালন করা হয়ে থাকে। বাংলা বৈশাখ মাসের যেদিন পূর্ণিমা তিথি রয়েছে সাধারণত সেই দিনই এই উৎসবকে পালন করা হবে।
বাংলা এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ২০২৪ সালের বৌদ্ধ পূর্ণিমা অর্থাৎ বৈশাখ পূর্ণিমা হতে চলেছে মে মাসের ২৩ তারিখ। যেহেতু এই দিনেই পূর্ণিমা তিথি সম্পূর্ণ হবে সাধারণত তাই এই দিনটিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে গণ্য করা হয় এবং উদযাপন করা হয়ে থাকে। আপনি যদি আনন্দের সাথে এই দিনটি উদযাপন করতে চান তাহলে আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
বৈশাখী পূর্ণিমা ২০২৪ কবে
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কবে? এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা অনেকেই বুদ্ধ পূর্ণিমা সম্পর্কে জানি কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ জানে না যে বুদ্ধ পূর্ণিমা এবং বৈশাখী পূর্ণিমা এই দুইটি একই বিষয়। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে সাধারণত তাই এটিকে বৈশাখ পূর্ণিমা বলা হয়ে থাকে। এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই এটিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা বলা হয়ে থাকে।
আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি যে বুদ্ধ পূর্ণিমা কত তারিখ উদযাপন করা হবে। সাধারণত বৈশাখ মাসের যেদিন পূর্ণিমা তিথি রয়েছে সাধারণত সেই দিনেই এই বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয় প্রতি বছর। তাই আপনাকে বাংলা বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে এবং খোঁজখবর রাখতে হবে কোন সময় পূর্ণিমা তিথি অনুষ্ঠিত হয়। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মে মাসের ২৩ তারিখ বুদ্ধ পূর্ণিমা অর্থাৎ বৈশাখী পূর্ণিমা পালিত হবে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ ছুটি কত তারিখ
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ ছুটি কত তারিখ? আমাদের এই বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে এবং এই ধর্মের যে সকল ধর্মীয় উৎসব রয়েছে সাধারণত সেই উৎসব গুলো পালন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। প্রতিটি ধর্মের মানুষের উৎসব গুলোর জন্য আলাদা ছুটির দিন রয়েছে আর এই ছুটিগুলো সবার জন্য প্রযোজ্য। যেমন মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবের সব ধর্মের মানুষ ছুটি উপভোগ করে।
ঠিক একই রকম ভাবে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবেও সকল ধর্মের মানুষ সেই ছুটিগুলো উপভোগ করে। যেহেতু বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করে এবং একটা বিশাল অংকের জনসংখ্যা রয়েছে আমাদের এই বাংলাদেশে তাই তাদের ধর্মপালনের স্বাধীনতার জন্য প্রতিবছর বুদ্ধ পূর্ণিমা অর্থাৎ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসবে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এর ব্যতিক্রম না হয়ে এই বছরও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আপনি যদি ইংরেজি ক্যালেন্ডার লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী মে মাসের ২৩ তারিখ বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করা হবে। আর সরকারি ছুটির তালিকা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন মে মাসের ২৩ তারিখ বাংলাদেশের সরকারি ছুটি রয়েছে। তাহলে এখান থেকে আমরা বলতে পারি যে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন সরকারি ছুটি রয়েছে।
বৈশাখ মাসে পূর্ণিমা কবে
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কবে? এই বিষয়টি সম্পর্কে যেহেতু জেনেছি সেও তো আমাদেরকে আরো ভালোভাবে জানতে হবে যে বৈশাখ মাসে পূর্ণিমা কবে? এর অন্যতম একটি কারণ রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে থাকে যে এই দিনটি শুধু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু বিষয়টি এরকম নয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য এই বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। বৌদ্ধ ধর্মের মানুষের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মের মানুষেরাও এই দিনটি অনেক আনন্দের সাথে উদযাপন করে।
বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার কারণে সাধারণত আমরা আগে থেকে জানতে পারি যে কোন মাসে পূর্ণিমার তিথি কত তারিখ হবে? বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি মাসে পূর্ণিমা তিথি হয়ে থাকে। ঠিক একই রকম বৈশাখ মাসেও পূর্ণিমা তিথি হবে কিন্তু কত তারিখ হবে এবং কবে হবে? এ বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা। ধর্ম পালনের সুবিধার্থে চলুন বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
পূর্ণিমা তিথি ২২ মে ২০২৪ বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা ৪৭ মিনিটে পড়ছে বুদ্ধ পূর্ণিমা। এই পূর্ণিমা তিথি ২৩ মে সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিটে শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। তাহলে ২৩ মে পালন করা হবে বুদ্ধপূর্ণিমা। আশা করছি আপনি খুব ভালোভাবেই জানতে পেরেছেন যে কত তারিখ এই দিনটি পালন করা হবে এবং সে অনুযায়ী নিজে প্রস্তুত হতে পারবেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা বাংলা কত তারিখ
বুদ্ধ পূর্ণিমা বাংলা কত তারিখ? এ বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজানা। সাধারণত আমরা বাঙ্গালী হওয়া সত্বেও বাংলা তারিখ সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। কিন্তু বেশ কিছু ধর্মে বাংলা ক্যালেন্ডার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত তারা তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম গুলো বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী করার চেষ্টা করে। এই ধর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হিন্দু ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্ম। যেহেতু বুদ্ধ পূর্ণিমা দুই ধর্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন তাই বাংলা কত তারিখ দিনটি পালিত হবে? চলুন জেনে নেই।
উপরের আলোচনায় আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি যে মে মাসের ২৩ তারিখ বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করা হবে। আপনি যদি এখন বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন মে মাসের ২৩ তারিখ বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পড়েছে জৈষ্ঠ্য মাসের ৯ তারিখ ১৪৩১ সাল। তাহলে বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আমরা জানতে পারলাম যে জৈষ্ঠ মাসের ৯ তারিখ বৈশাখী পূর্ণিমা অর্থাৎ বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হবে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করার কারণ
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কবে? আশা করছি অজানা থাকার কথা নয়। এখন বিষয় হচ্ছে আমরা এত গুরুত্বের সাথে বুদ্ধপূর্ণিমা পালন করে থাকি কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা যে এই দিনটি কেন পালন করা হয়? বিশেষ করে আমরা যারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বের মানুষ রয়েছে সাধারণত তাদের অবশ্যই নিজেদের ধর্মের এ বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। যেন আমরা অন্য ধর্মাবলম্বীর মানুষকে আমাদের ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে জানাতে পারি।
বৈশাখী পূর্ণিমা অর্থাৎ বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল সাধারণত তাই এই দিনটি আনন্দের সাথে উদযাপন করা হয়। এছাড়া এই দিনটির আরো একটি গুরুত্ব রয়েছে। সাধারণত এই দিনে গৌতম বুদ্ধ অর্থাৎ বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবর্তক জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই পৃথিবীতে। তাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা এই দিনটিকে গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন হিসেবে পালন করে। এই দিনটি উদযাপন করার আরো একটি অন্যতম কারণ হলো এটি।
ইতিহাস থেকে জানা যায় এই পবিত্র পূর্ণিমা তিথিতে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং এই তিথিতে তিনি সিদ্ধি লাভ করেছিলেন। গৌতম বৌদ্ধ ছিলেন খুবই সৎ প্রকৃতির একজন মানুষ। তিনি সবসময় মানুষকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছেন এবং কখনো হিংসা করতে শেখার নি। সব সময় মানুষের পাশে থাকতেন এবং সাহায্য করতেন। সাধারণত গৌতম বুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এই দিনটি উদযাপন করা হয়।
বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসব
বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসব আনন্দের সাথে উদযাপন করা হয়। উপরের আলোচনা থেকে আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি যে বুদ্ধ পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। যেহেতু এটি ধর্মীয় উৎসব সেহেতু বৌদ্ধ ধর্মের মানুষেরা অনেক আনন্দের সাথেই এই দিনটি উদযাপন করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয় এই দিনে।
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাতে তেমন কোন বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ দেখতে পাবেন না কিন্তু আপনি যদি পার্বত্য অঞ্চল চট্টগ্রাম লক্ষ্য করেন তাহলে অনেক বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ দেখতে পাবেন। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলেই সবথেকে বেশি বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ বসবাস করে। অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও অনেক মর্যাদার সাথে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করা হয়। যেহেতু বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ তাই এই দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আরো পড়ুনঃ বুদ্ধ পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটির দিন
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি উদযাপনের জন্য যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে এই দিনটিতে মেলা বসতে দেখা যায়। এছাড়া বৌদ্ধ ধর্মের যে সকল মন্দির রয়েছে এগুলোকে খুব সুন্দর করে ফুলের মালা দিয়ে সাজানো হয়। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সবচেয়ে বড় মেলা বসে চট্টগ্রামের বৈদ্যপাড়া গ্রামে। এই মেলাটিকে বোধিদ্রুম মেলা বলা হয়ে থাকে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা পালনের গুরুত্ব
বুদ্ধ পূর্ণিমা পালনের গুরুত্ব বৌদ্ধ ধর্মের মানুষেরা ভালোভাবেই জানে। তবে সবাই সব বিষয়ে জানবে বিষয়টি এরকম নয় বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করার গুরুত্ব সম্পর্কে জানেনা। আমরা যদি সঠিক নিয়মে বুদ্ধপূর্ণিমা পালন করতে চাই তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই এই ঐতিহাসিক দিনটি পালন করার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে হবে। শুধু বৌদ্ধ ধর্মের জন্য নয় হিন্দু ধর্মের জন্য এই পূর্ণিমা তিথি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন বৌদ্ধ ধর্মের মানুষেরা অনেক আনন্দের সাথে এই দিনটি পালন করে থাকে। এই দিনে তারা তাদের ধর্মীয় দিক নির্দেশনা অনুযায়ী পাক পবিত্রতা অর্জন করে সকালবেলা উঠে গোসল করে এরপরে নতুন জামা কাপড় পড়ে মন্দিরে গিয়ে ইবাদাতে মগ্ন হয়। এর আগে সকল ধরনের প্রস্তুতি সেরে নিতে হয় বিশেষ করে মন্দিরগুলো খুব ভালোভাবে সাজিয়ে রাখতে হয়। যেহেতু এটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব তাই এর গুরুত্ব অবশ্যই রয়েছে। আর এই দিনেই বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন।
আমাদের শেষ কথা
বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৪ কবে? এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে বুদ্ধ পূর্ণিমা নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনার যদি এই বুদ্ধ পূর্ণিমা সম্পর্কে না জানা থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নেবেন। আশা করছি বুদ্ধ পূর্ণিমার সম্পর্কে যে সকল তথ্য রয়েছে সেগুলো জানতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী ধর্ম পালন করতে পারবেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url