লাইলাতুল কদরের রাতে কি করতে হয় - শবে কদরের নামাজ
শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস ও ইতিহাসলাইলাতুল কদরের রাতে কি করতে হয় এ সম্বন্ধে আপনাদের হয়তো সাধারন কিছু জ্ঞান আছে। কিন্তু আপনি লাইলাতুল কদর সম্বন্ধে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু মাত্র আপনার জন্য। কারণ আজ লাইলাতুল কদরে ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য দিব।
তাহলে চলুন লাইলাতুল কদরের রাতে কি করতে হয় এ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র: লাইলাতুল কদরের রাতে কি করতে হয়
- লাইলাতুল কদরের রাতে কি করতে হয়
- লাইলাতুল কদরে কুরআন অবতীর্ণের তাৎপর্য
- রমজান মাসের শবে কদরের নামাজ
- লাইলাতুল কদরে ইবাদতের গুরুত্ব
- শবে কদরের গোপনীয়তার রহস্য
- লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বিবরণ
- সূরা কদরের ভিত্তিক আলোচনা
- সূরা আল কদর এর মূল বক্তব্য
- শবে কদরের নামাজের নিয়ম
- শবে কদরের তারিখ নির্ধারণ
- শবে কদরের সরল অনুবাদ
- লাইলাতুল কদর নির্ধারণ
- শবে কদরের ফজিলত
- শবে কদরের মাসয়ালা
- শেষ কথা
লাইলাতুল কদরের রাতে কি করতে হয়
লাইলাতুল কদরের রাতে কি করতে হয় বা লাইলাতুল কদরের রাতে কতটুকু ইবাদত করতে হয়। লাইলাতুল কদরের নামাজ ও রোজার গুরুত্ব কতখানি এই বিষয় সম্বন্ধে জানেনা এমন মানুষ নেই বললেও কিন্তু ভুল হবে। কারণ লাইলাতুল কদরের রাতে যে রাত জেগে ইবাদত করতে হয় এ কথা তো আমরা প্রত্যেকেই জানি কিন্তু সেই ইবাদতের গুরুত্বতা কতটুকু এবং ইবাদতের সঠিক নিয়ম সম্বন্ধে হয়তো আমরা অনেকেই অবগত নয়।
লাইলাতুল কদর আল্লাহর ৩৬৫ দিনের মধ্যে এমন একটি মহিমাময় ও ফজিলত পূর্ণ রাত যে এই রাতের মহিমার কথা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা বণী ঈসরাইল গোত্রের এক বুজুর্গের আলোচনার প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল: তিনি একাধারে এক হাজার মাস আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই রকম নেকির আশা পোষণ করে আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করলেন:
হে আল্লাহ আমার উম্মতদের আয়ু অনেক কম এবং তাদের আমলও অতি অল্প। আপনি দয়া করে মেহেরবানী করে তাদের নেকি বাড়িয়ে দেন। তারপর আল্লাহ তাআলা দয়া করে উম্মতদেরকে লাইলাতুল কদর দান করেন। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত লাইলাতুল কদরের রাতে পরিপূর্ণ ভাবে শ্রদ্ধার সাথে অতিবাহিত করা। লাইলাতুল কদর রাতে সারা রাত্রি ইবাদতে লিপ্ত থাকা।
লাইলাতুল কদরে কুরআন অবতীর্ণের তাৎপর্য
লাইলাতুল কদরে কুরআন অবতীর্ণের তাৎপর্য সমূহ নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন মাজীদকে লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেছেন। এটা সর্ব প্রথম লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত ছিল। রমজান মাসের কদরের রাত্রিতে এটি প্রথম আসমানে এক সাথে অবতীর্ণ করেন। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী এক সূরা ও এক আয়াত দুই আয়াত করে দীর্ঘ ২৩ বছরে রাসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর অবতীর্ণ হয়। কোনো কোনো তাফসীরকার বলেছেন, ২০ অথবা ২৩ লাইলাতুল কদর পূর্ণ কুরআন লাওহে মাহফুজ হতে দুনিয়ার আসমানে নাজিল হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বছর দুনিয়াতে অবতীর্ণ হওয়ার অংশ সেই বছর লাইলাতুল কদরে লাওহে মাহফুজ হতে একত্রে অবতীর্ণ হতো।
রমজান মাসের শবে কদরের নামাজ
রমজান মাসের শবে কদরের নামাজ ও রোজার ফজিলত অন্য সমস্ত মাসের রাত্রি জাগরণ থেকে উত্তম। এ নামাজ রমজান মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত্রে পড়তে হয়। বেতের নামাজের পর হতে সুবহে সাদেক পর্যন্ত এর নামাজের সময় থাকে। নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, মুরাক্কাদা, দোয়া দরুদ, ইস্তেগফার ইত্যাদি নফল ইবাদতে সারা রাত্রি জাগরণ করলে বহু সওয়াব পাওয়া যাবে । দুই দুই রাকাত করে এই নামাজ পড়তে হয়।
লাইলাতুল কদরে ইবাদতের গুরুত্ব
লাইলাতুল কদরে ইবাদতের গুরুত্ব এবং লাইলাতুল কদরের রাতে কি করতে হয় সে সম্পর্কে বর্ণনা করতে গেলে যে কথাটি সর্ব প্রথম বলা দরকার সেটি হলো লাইলাতুল কদর তথা মহিমামন্ডিত রজনীটি এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। অর্থাৎ এ রাতের ইবাদত ১০০০ মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম। এ রাত্রিতে হযরত জিব্রাইল (আঃ) অগণিত ফেরেস্তাদের নিয়ে দুনিয়ার জমিনে আগমন করেন তারা মুমিনদের অংশ গ্রহণ করে সকলে আমিন আমিন বলতে থাকে। এ রাতে মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমত অবতীর্ণ হয়। তিনি সে দিন অসংখ্য গুনাগার দেরকে মার্জনা করে থাকেন। এ রাতে সকল মানুষের হায়াত মউত, রিজিক দৌলত, সুখ দুঃখ, সব কিছু নির্ধারণ করে থাকেন।
শবে কদরের গোপনীয়তার রহস্য
শবে কদরের গোপনীয়তার রহস্য কি? এ রাতের ইবাদতের আল্লাহ তাআলা বান্দাদেরকে কি উপহার দিবেন এ সম্বন্ধে বিশেষ কিছু গোপন রহস্য রয়েছে। শ্রদ্ধেয় ওলামা একরাম শবে কদরের গোপনীয়তার রহস্য ব্যক্ত করেন যে, শবে কদর যদি নির্দিষ্ট রাতে অনুষ্ঠিত হতো এবং তা মানুষের জানা থাকতো তবে অনেক অলস ও গাফেলতগত ভাগ্যে ব্যক্তি এমন একটি মহান রাতের মর্যাদা না দিয়ে আল্লাহর গজবে পতিত হতো।
মূলত মহান আল্লাহ তাআলা সেজন্যই এ রাতের মহিমা সম্বন্ধে অবগত করলেও এ রাতের ইবাদতের আল্লাহ তা'আলা বান্দাদেরকে কি পুরস্কার দিবেন সে বিষয়ে অনেক গোপনীয়তা রেখেছেন। অনেকে আছে স্বভাবজাত অপরাধী। অপরাধ না করলে এতোটুকু সময় থাকতে পারে না তারা। তবে এ রাত এতটাই ইবাদত পূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ রাত যে এমন ধরনের অপরাধীরাও এ রাতে ইবাদত থেকে নিজেকে বিরত রাখে না।
লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বিবরণ
লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বিবরণ দিতে গেলে যে কথাটি না বললেই নয় যে শবে কদরের ফজিলতের রাতকে যথা সম্ভব গোটা রমজানে তালাশ করতে হয়। অর্থাৎ রমজানের প্রত্যেকটি রাতে যদি যথাযথ ইবাদত ও তওবা ইস্তেগফারের মধ্যে অতিবাহিত করা হয় তবে শবে কদর অবশ্যই নসিব হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস করা যায়। আর তা সম্ভব না হলে অন্তত শেষ দিন গুলোতে জাগ্রত থেকে জিকির তাজবি তাহলিল, তেলাওয়াতে কোরআন, নফল নামাজ প্রভৃতির মাধ্যমে শবে কদরের ফজিলত হাসিল করবে।
আর সেদিন অন্য কিছু সম্ভব না হলে অন্তত ইশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সাথে অবশ্যই আদায় করবে। কারণ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে ইশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা সম্পূর্ণ রাতের ইবাদত করার সমতুল্য। আর যদি বেজোড় রাত গুলো পরিপূর্ণ ভাবে ইবাদতের মধ্যে অতিবাহিত করার সুযোগ না হয় তবে অন্তত ২৭ তারিখের রাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
সূরা কদরের ভিত্তিক আলোচনা
সূরা কদরের ভিত্তিক আলোচনা সমূহ নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
কদর একটি আরবী শব্দ। এর অর্থ মর্যাদা ও মাহাত্না। এখানে বলা প্রয়োজন কেন এই রাতটিকে শবে কদর বা কদরের রাত বলা হয়। আদতে একজন বান্দা জীবন সাহারায় বিশাল পথ অতিক্রম করেছে। প্রভুর দেয়া অগণিত নিয়ামত ভোগ করেছে। আর জীবন প্রান্তরে উদভ্রান্তের মত ছোটাছুটি করে কামিয়েছে বেশুমার পাপ। কলঙ্ক মুছে দিয়েছে তার প্রকৃত অস্তিত্ব। মানবতার কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট নেই তার জীবন সংসারের কোথাও।
সে তার পাপ কাজে জীবনের এমন এক পর্যায়ে চলে এসেছে যে সে এখন বড়ই অসহায়। এমন হতমান লাঞ্ছিত এক অভাগার জীবনেও যদি একটি লাইলাতুল কদর আসে যদি এটি হবে কদরের আহ্বানেও ধ্বনিত হয় তার জিন্দেগীতে আর সে যদি কোন রাতে ইবাদতের কৃত সকল পাপকর্মের অনুশোচনায় বিগলিত মন নিয়ে সকল অপরাধ বর্জনের মাধ্যমে আগামী জীবনে এমনটি না করার সংকল্প বদ্ধ করে। তাহলে মহান আল্লাহ তা'আলা তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।
সূরা আল কদর এর মূল বক্তব্য
সূরা আল কদর এর মূল বক্তব্য সমূহ কি বা সূরা আল কদরে মহান আল্লাহ তাআলা কি বাণী পাঠিয়েছেন বান্দাদের জন্য তা কি আপনাদের জানা আছে। মহান আল্লাহ তাআলা আলোচ্য সূরায় পবিত্র কোরআন মাজিদের মর্যাদা ও সম্মানিত রজনীর মর্যাদা ও ফজিলত ও গুরুত্ব সম্বন্ধে আলোকপাত করেছেন। সুরা আল কদরের এক থেকে পাঁচ আয়াতে তিনি বলেছেন,
আমিই এই কিতাব নাযিল করেছি। অর্থাৎ তা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিজস্ব কোন রচনা নহে। বরং তা নাযিল করা কিতাব। আমি এই কিতাব কদরের রাত্রে নাযিল করেছি। তাই লাইলাতুল কদর বড়ই সম্মান ও মর্যাদার রাত্রি। পরে এই কথার ব্যাখ্যা করে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা বলেছেন কদর হাজার মাসের তুলনায় অধিক উত্তম রাত।
শবে কদরের নামাজের নিয়ম
শবে কদরের নামাজের নিয়ম সম্বন্ধে জানা ও এ রাতের নামাজ সঠিক ভাবে পালন করা প্রত্যেকটি মুসলমান ধর্মে মানুষের জন্য অনিবার্য। এ নামাজ ইশার নামাজের পর তারাবীহ ও বেতের নামাজ আদায় করে পড়তে হয়। পবিত্র হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে শবে কদরের রাত্রিতে যদি চার রাকাত নামাজ পড়া যায়।
আরো পড়ুন: শবে বরাতের সরকারি ছুটি ২০২৪ কত তারিখে
এ নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ইন্না আনযালনা একবার এবং সূরা ইখলাস ২৭ বার পড়তে হয়। এ নামাজ পড়লে নামাজির সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। সে যেন মায়ের গর্ভ হতে এখনই ভূমিষ্ঠ হয়েছে এমন ভাবে আল্লাহ তাকে নিষ্পাপ করে দেবেন। এছাড়াও আল্লাহ তাআলা তাকে বেহেশতে এক হাজার মহল দান করবেন।
শবে কদরের তারিখ নির্ধারণ
শবে কদরের তারিখ নির্ধারণ করা হয় কবে? এ নিয়ে কদরের রাত নির্ধারণের ব্যাপারে ওলামা ও ইমাম গণদের বহু উক্তি রয়েছে।
- হানাফি মাযহাবের ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মোহাম্মদের মতে এবং ইমাম আবু হানিফা (রাঃ) এর ওপর এক উক্তি মতে শবে কদর রমজান মাসে হয়ে থাকে।
- ইমাম মালেক ও ইমাম আহম্মদের মতে রমজানের শেষ দশ দিনের মধ্যে শবে কদরের রাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- প্রখ্যাত আল্লামা খাজাইমা (রাহঃ) এবং আরো অনেক আলেমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোর রাত অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ তম রজনীতে শবে কদরের সম্ভাবনা অধিক।
শবে কদরের সরল অনুবাদ
শবে কদরের সরল অনুবাদ সম্বন্ধে নিচে পরিপূর্ণ আলোচনা করা হলো:
নিশ্চয়ই আমি সম্মানিত রজনীতে আল কোরআনকে অবতীর্ণ করেছি। হে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কি? কদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। সে রাতে ফেরেশতা গণ ও হযরত জিবরাঈল (আঃ) তাদের প্রতি পালকের নির্দেশে প্রত্যেক বিষয় নিয়ে অবতীর্ণ হন। সে রাত হচ্ছে শান্তি ময়। তা ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত জারি থাকে।
লাইলাতুল কদর নির্ধারণ
লাইলাতুল কদর নির্ধারণ করা হয় কত থেকে কত তম তারিখ পর্যন্ত সে সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই জানি। লাইলাতুল কদরের রজনী রমজান মাসের ২০ তারিখ দিবাগত রাত হতে শুরু করে 29 তারিখের মধ্যে যেকোন বেজোড় রাতে অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে সকলে একমত। কেননা বোখারী শরীফে বর্ণিত আছে যে রাসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন তোমরা লাইলাতুল কদরকে রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোর রাত্রি সমূহের তালাশ কর।
অর্থাৎ লাইলাতুল কদরের সম্ভাব্য সময় রমজান মাসের ২০ তারিখের পর থেকে শুরু করে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ এবং ২৯ তারিখ গুলি উত্তম। তবে ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহ বলেন, ২৭ এর রমজানে শবে কদর। কেননা শব্দদ্বয়ের নয়টি বর্ণ রয়েছে। আর এই বাক্যটি সুরাতে তিন বার উল্লেখ রয়েছে। অতএব নয় কে তিন দ্বারা গুণ করলে ২৭ হয়।
শবে কদরের ফজিলত
শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে এক মজলিসে রাসূল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন বনি ইসরাইলে এক লোক ছিল। সারা রাত ইবাদতে মশগুল থাকতো আর ভোর হতে আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়তো। লিপ্ত থাকতো সারাদিন জিহাদে। লাগাতার এক হাজার মাস কেটে যায় তার অনুরূপ সাধনায়। সাহাবায়ে কেরাম ঘটনাটি শুনে খুবই বিস্মিত হলেন ভাবনায় বিহল হলেন।
কারণ এক হাজার মাস অর্থাৎ ৮৩ বছর ৬ মাস সময় তো অনেকে বাচেনা এ যুগে। তাহলে কি করে সম্ভব প্রতি নিয়ত অবিরাম ইবাদতে আসন লাভ করা। তবে কি এ মর্যাদা লাভ এ ব্যর্থ হবে উম্মতে মহানবী। অথচ তারা শ্রেষ্ঠ উম্মত। মঙ্গলময় এই ভাবনায় আন্দোলিত যখন তাদের মন তখনই ওহী নাযিল হলো প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। নাযিল হলো সুরাতুল কদর।
শবে কদরের মাসয়ালা
শবে কদরের মাসয়ালা সমূহ কি কি বা লাইলাতুল কদরের রাতে কি করতে হয় এ সম্বন্ধে আপনারা হয়তো বিভিন্ন বই থেকে অনুসন্ধান করে থাকেন। আবার অনেক সময় আপনার বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে অথবা গুগলের মাধ্যমেও তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। কারণ এই মাসের ইবাদতের এতটা ফজিলত রয়েছে যে এ মাসের ইবাদত থেকে মুসলমান ধর্মের কোন ব্যক্তি নিজেকে বিরত রাখতে পারে না।
শবে কদরে কোন মহিলার মাসিক হলে চিন্তার কোন কারণ নেই। মহিলারাও এই রাতে প্রায় পুরোপুরি ইবাদত করতে পারবে। শুধুমাত্র দুইটি কাজ করতে পারবেনা। তা হল: এক নামাজ ও দ্বিতীয় কোরআন তেলাওয়াত। দরুদ শরীফ পাঠ, ইস্তেগফার, তসবীহ, জিকির পাঠ ইত্যাদি সবাই করতে পারবে।
শেষ কথা
উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল লাইলাতুল কদরের রাতে কি করতে হয় এ সম্বন্ধে। সাথে আরো আলোচনা করেছি লাইলাতুল কদরে ইবাদতের গুরুত্ব ও পরিপূর্ণ লাইলাতুল কদরের বিস্তারিত বিবরণ সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন এবং কোন কোন বিষয় গুলি আপনার ভালো লেগেছে তা আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্ব পূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতি দিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 26181
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url