শবে কদরের রাতে নামাজ পড়ার নিয়ম - শবে কদরের ফজিলত
লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিসকদরের রাতে ইবাদত করার নিয়ম জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই আল্লাহ তাআলার ইবাদত করতে পারব। আল্লাহতালা সন্তুষ্ট হওয়ার জন্য কদরের রাতের আমল সমূহ সম্পর্কে প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত।
প্রতিটি মুসলিমের কাছে কদরের রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই কদরের রাতের আমল সমূহ সবাই জেনে রাখতে চাই। আপনাদের ইবাদতের সুবিধার্থে কদরের রাতে ইবাদত করার নিয়ম উল্লেখ করা হলো।
সূচিপত্রঃ শবে কদরের রাতে কিভাবে ইবাদত করতে হয় তার নিয়ম জানুন - কদরের রাতের আমল সমূহ
- কদরের রাতে ইবাদত করার নিয়ম
- কদরের রাতের আমল সমূহ
- শবে কদর কি
- শবে কদর কবে
- শবে কদরের রাতে কি কি আমল করব
- লাইলাতুল কদরের নামাজ
- লাইলাতুল কদরের কি ভাগ্য লেখা হয়
- শবে কদরের ফজিলত
- শবে কদরের গুরুত্ব
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
কদরের রাতে ইবাদত করার নিয়ম
কদরের রাতে ইবাদত করার নিয়ম না জানার কারণে ঠিকভাবে আমরা আল্লাহতালার ইবাদত পালন করতে পারি না। সঠিক নিয়মে ইবাদত পালন করতে না পারার কারণেই আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট হয় না। আপনি যদি সঠিক নিয়মে আল্লাহ তাআলার ইবাদত পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে যে কিভাবে শবে কদরের রাতে আল্লাহ তাআলার ইবাদত পালন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কিনা
শবে কদরের রাতের সবথেকে বড় ইবাদত হল নামাজ আদায় করা। সাধারণত সুনির্দিষ্ট ভাবে শবে কদরের তেমন কোন ইবাদতের কথা উল্লেখ করা নেই। যার ফলে যেই ইবাদত আপনার ভালো লাগে সেটাই করতে পারেন। নামাজ হচ্ছে সকল ইবাদতের মূল তাই সর্বপ্রথমে আপনার নামাজ আদায় করা উচিত। শবে কদরের রাতে ইবাদত পালন করার নিয়ম হলো আপনাকে মাগরিব এবং ইশারের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতে হবে।
এশার নামাজের পরে অবশ্যই তারাবির সালাত আদায় করতে হবে। তারাবি নামাজের পরে অবশ্যই সারারাত এবাদত করার নিয়ত করতে হবে। এখন বিষয় হলো সারারাত নামাজ আদায় করা সম্ভব নয় তাই রাতের কিছু অংশ নামাজ আদায় করতে হবে আবার কিছু অংশে অন্যান্য ইবাদত গুলো পালন করতে হবে। নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে দুই রাকাত করে পড়তে হবে।
ইবাদত শুরু করার আগে অবশ্যই নিজেকে পাক পবিত্র করে নিতে হবে। অপবিত্র হয়ে কখনোই কোন ধরনের এবাদত করা যাবে না কারণ এটি সম্পূর্ণ হারাম। দুনিয়ার সবকিছু ভুলে গিয়ে অবশ্যই আল্লাহ তাআলার এবাদত বন্দেগীতে মগ্ন থাকতে হবে। আগেই দুনিয়াবি যত কাজ রয়েছে সবগুলো সেরে নিতে হবে। যে ইবাদত পালন করব সেটিতে মনোযোগী হতে হবে।
কদরের রাতের আমল সমূহ
কদরের রাতের আমল সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে যেগুলো কদরের রাতে করা উচিত। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে শবে কদরের রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিটি মুসলিম এর কাছে। আপনি যদি আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার এ বিষয় গুলো জেনে রাখা উচিত।
কদরের রাতে আমল সমূহের মধ্যে অন্যতম হলো নফল নামাজ আদায় করা। ফরজ নামাজ এবং তারাবির নামাজের পরে অবশ্যই আমাদেরকে লাইলাতুল কদর উপলক্ষে নফল নামাজ আদায় করতে হবে। পৃথিবীতে যত সকল ইবাদত রয়েছে সবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো নামাজ। তাই এই রাতে আপনি যত বেশি এবং দীর্ঘ সময় ধরে নামাজ আদায় করতে পারেন।
নামাজ আদায় করার পরে আল্লাহ তায়ালার জিকির এর মধ্যে মগ্ন থাকতে হবে। যদি পারা যায় তাহলে এই রাতে বেশি বেশি দান করতে হবে। আমাদের বাড়ির আশেপাশে যে সকল প্রতিবেশী রয়েছে তাদের খোঁজখবর নিতে হবে। যদি কোন ক্ষুধার্ত প্রতিবেশী থাকে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে খাবার দিতে হবে। সারারাত জেগে আল্লাহ তাআলার ইবাদত পালন করতে হবে।
শবে কদর কি
কদরের রাতে ইবাদত করার নিয়ম জানার আগে অবশ্যই আমাদেরকে শবে কদর কি? এ বিষয়ে ধারণা নিয়ে নিতে হবে। সাধারণত আমরা যারা মুসলিম রয়েছে তারা একটি রাতের সাথে সবাই পরিচিত সেটি হল শবে কদরের রাত। বছরের একটি সময় অর্থাৎ রমজান মাসের শেষ দশকের ভিতর রাত্রে শবে কদর এসে থাকে। চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক শবে কদর বিষয়টি আসলে কি?
শবে কদর হল ফার্সি শব্দ এর আরবি হলো লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল কদর এর অর্থ হল অতিশয় সম্মানিত অর্থাৎ মহিমান্বিত রাত আবার অনেকেই এটিকে পবিত্র রজনী বলে থাকেন। ফার্সি ভাষায় শাব এবং আরবি ভাষায় লাইলাতুল শব্দের অর্থ হলো রাত বা রজনী। আবার কদর শব্দের বাংলা অর্থ হলো সম্মান, মর্যাদা। এছাড়া এটির অন্য একটি অর্থ রয়েছে সেটি হল ভাগ্য এবং তাকদির নির্ধারণ করা।
ইসলাম ধর্মের অনুসারে এই রাত্রি মুসলিমদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত এই রাতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উম্মতের সমান বৃদ্ধি করা হয়। কারণ এর আগের নবীদের কারো ক্ষেত্রেই এত সম্মান দেখানো হয়নি। এই একটি রাত হাজার রাতের ইবাদতের চেয়ে উত্তম এটি আল্লাহ তা'আলা নিজেই কুরআনে উল্লেখ করেছেন।
শবে কদর কবে
শবে কদর কবে? আমরা অনেকেই এই বিষয়টি জানিনা। যদি আপনি আল্লাহ তাআলার এবাদত করতে চান এবং শবে কদর পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। আপনাদের একটি বিষয় জানিয়ে রাখি যে শবে কদর হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানিত একটি রাত। হাজার বছর ইবাদত করলে যেই নেকি পাওয়া যায় তার থেকে বেশি নেকি পাওয়া যাবে এই একটি রাত এবাদত করলেই।
উপমহাদেশের বেশিরভাগ দেশেই শবে কদর পালন করা হয় ২৭ শে রমজান রাতে। সাধারণত এ সকল মানুষ মনে করে থাকে এই একটি রাতেই শবে কদর রয়েছে কিন্তু আসলেই কি এ বিষয়টি সত্য? কোরআন অথবা হাদিসের কোন জায়গাতেই নির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়নি যে শবে কদর কবে এবং কত তারিখে? এ বিষয়টি একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ জানে না।
বিভিন্ন সহি হাদিস থেকে জানা যায় যে শবে কদর রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রি গুলোর মধ্যে একটিতে রয়েছে। বিজোড় রাত্রি গুলো বলতে বোঝানো হয়েছে রমজান মাসের শেষ দশকের ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজানের রাত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এই বিজোড় রাত্রি গুলোতেই আমাদেরকে লাইলাতুল কদর খুঁজতে বলেছেন।
শবে কদরের রাতে কি কি আমল করব
কদরের রাতে ইবাদত করার নিয়ম সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আপনি যদি শবে কদরে আল্লাহতালার ক্ষমা পেতে চান এবং আল্লাহ তা'আলার দয়া পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই শবে কদরের রাতে কোন ধরনের আমল গুলো করতে হবে এই বিষয়ে ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ অনেক আমল রয়েছে এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু আমল করলেই শবে কদর হয়ে যাবে।
কিছু আমল এবং দোয়া পড়ে আমাদের এই শবে কদরের রাতটি অতিবাহিত করতে হবে। এই আমল গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যত বেশি পারা যায় নফল নামাজ আদায় করতে হবে। যদি মসজিদে ইবাদত পালন করতে জানতে হলে মসজিদে ঢুকেই ২ রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে। এরপরে রাত্রে দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতে হবে।
রাতে তারাবির নামাজের শেষ করে সাহরির আগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে। এছাড়া আরো বেশ কিছু আমল রয়েছে যেগুলো করতে হবে যেমন এই রাতে বেশি বেশি দান করতে হবে। লাইলাতুল কদরের রাতে যদি সম্ভব হয় তাহলে সালাতুত তাসবিহ আদায় করতে হবে। তাছাড়া শবে কদরের রাতে তাওবার নামাজ আদায় করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য যে সকল নফল নামাজ রয়েছে সেগুলো বেশি বেশি পড়তে হবে।
লাইলাতুল কদরের নামাজ
লাইলাতুল কদরের নামাজ কিভাবে আদায় করতে হবে? এবং কত রাকাত আদায় করতে হবে? এ বিষয় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। নামাজ হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যেহেতু লাইলাতুল কদরের রাতে আমরা নামাজ আদায় করি তাই নামাজ কিভাবে আদায় করতে হবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকে জানা থাকলে নামাজ আদায় করা খুব সহজ হয়ে যায়।
লাইলাতুল কদরের নামাজ আদায় করার জন্য প্রথমে পাক-পবিত্র হয়ে নিতে হবে এরপরে অবশ্যই নামাজের নিয়ত পড়তে হবে। লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত রেখে উল্লেখ করা হলোঃ
বাংলা অর্থঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া'লা রাকআ'তাই ছালাতি লাইলাতিল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবর।
লাইলাতুল কদর বলে নামাজের নিয়ম এবং পদ্ধতি আলাদা হবে এমন কোন বিষয় নেই। লাইলাতুল কদরের নামাজ দুই রাকাত করে নফল নামাজ যত বেশি সময় ধরে এবং মনোযোগ সহকারে পরাজয় তত ভালো। দুই রাকাত করে আপনি যত খুশি তত নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন। এরপরে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে। বেশি বেশি দোয়া পড়তে হবে এবং ইস্তেগফার পড়তে হবে এর সাথে সাথে তওবা করতে হবে।
লাইলাতুল কদরের কি ভাগ্য লেখা হয়
লাইলাতুল কদরের কি ভাগ্য লেখা হয়? সাধারণত এই ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। ইতিমধ্যেই কদরের রাতে ইবাদত করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। সাধারণত অনেকেই লাইলাতুল কদরের রাতে ভাগ্য লিখা হয় আগামী এক বছরের জন্য এ বিষয়টি মনে করে থাকে। আমার অনেকেই এ বিষয়টি বিশ্বাস করে না। সাধারণত এই কথাটি কতটুকু সত্য চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যদি কোরআন এবং হাদিসে এ ধরনের কোন কথা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ কথা বিশ্বাস করতে হবে। আল্লাহতালা নিজে কোরআনে এই বিষয়ে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন, "হা-মিম! শপথ! উজ্জ্বল কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি তা নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে নিশ্চয়ই আমি ছিলাম সতর্ককারী। যাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়।" {সুরা দুখানঃ ১-৪}
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের কথা উল্লেখ করেছেন। কারণ তিনি রমজান মাসের লাইলাতুল কদরের রাতে কোরআন নাজিল করেন। এবং তিনি এখানে উল্লেখ করেছেন যে এই বরকতময় রাতেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো নির্ধারণ করে থাকেন। তাহলে লাইলাতুল কদরকে ভাগ্য লিখার রাত বলা চলে। আশা করি বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
শবে কদরের ফজিলত
শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। সাধারণত এই বিষয়গুলো না জানার কারণে আমরা অবহেলার সাথে শবে কদর পার করে দেয়। কিন্তু আপনাদের একটি বিষয় গুরুত্বের সাথে জেনে রাখা উচিত দিয়ে শবে কদরের একটি রাত সাধারন হাজার রাতের চেয়ে অনেক বেশি উত্তম। এই কথা যারাই শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পেয়ে যাওয়া যায়।
শবে কদরের পবিত্র এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে। আমাদের প্রিয় হযরত মুহাম্মদ সাঃ আমাদেরকে এ বিষয়ে আগে থেকেই ধারণা দিয়ে গিয়েছেন। সাধারণত এই রাতকে বলা হয় গুনাহ মাপের অন্যতম সেরা রাত। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, "লাইলাতুল কদরে যে ব্যক্তি ইমান ও সওয়াবের নিয়তে কিয়াম নামাজ পড়বে করবে, তার পূর্বের সব পাপ মোচন করা হবে।" {মুসলিম শরিফঃ ৭৬০}
আমরা সবাই জানি যে রমজান মাস হল পবিত্র কুরআন নাযিলের পবিত্র একটি মাস। আর রমজান মাসে রয়েছে শবে কদর সেটি হলো কুরআন নাজিলের রাত। শবে কদরের রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মুকাররমার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে হজরত জিবরাইল আঃ এর মাধ্যমে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সাঃ এর ওপর মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কুরআন নাযিল করেছিলেন।
আরো পড়ুনঃ শবে কদরের নামাজ বিতরের আগে না পরে জেনে নিন
আমাদের এই পৃথিবীতে যে সকল গ্রন্থ রয়েছে এ গ্রন্থগুলোর চেয়ে সবথেকে পবিত্র হল কোরআন। কোরআনের চেয়ে পবিত্র অন্য কোন গ্রন্থ পৃথিবীতে আরেকটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু এই পবিত্র কোরআন আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসের এই পবিত্র রাতে নাযিল করেছেন তাহলে এর ফজিলত সম্পর্কে আমরা ধারণা করতে পারব। তাই যত বেশি সম্ভব এই রাতে এবাদত পালন করতে হবে।
শবে কদরের গুরুত্ব
শবে কদরের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা সাধারণত শবে কদরের গুরুত্ব তেমন ভাবে দেই না যার ফলে আল্লাহ তা'আলা আমাদের উপর সন্তুষ্ট হয় না। যদি আমরা শবে কদরের গুরুত্ব সঠিকভাবে দিতে পারি তাহলে আল্লাহ তা'আলা আমাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবে। কারণ এই রাতে আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে চলে আসেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে যে বান্দা তার থেকে প্রিয় হয়ে থাকে সবকিছু দান করে থাকেন।
যদি মন থেকে শবে কদরের রাতে কেউ দোয়া করে তাহলে সেই দোয়া আল্লাহ তায়ালা কখনোই ফিরিয়ে দেয় না। কিন্তু নিজেকে আগে পবিত্র করে নিতে হবে তারপরে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া চাইতে হবে। আপনি যদি আপনার জীবনের সকল গুনাহ গুলো মাফ করাতে চান এবং আপনার জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া থাকে এবং সেটি যদি পবিত্র হয় তাহলে এই রাতে আল্লাহ তাআলার কাছে চাইতে পারেন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
কদরের রাতে ইবাদত করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে এই সম্পর্কে জানানো হয়েছে। যেহেতু লাইলাতুল কদর খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত এবং প্রতিটি মুসলমানের এই রাত সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত তাই আমাদেরকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। এখানে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি আপনারা এই পবিত্র রাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। 20791
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url