জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য - জুমাতুল বিদার আমল সমূহ
রমজানের শেষ জুমার ফজিলতজুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা হবে। অনেকে মনে করে থাকে যে জুমাতুল বিদার গুরুত্ব এবং তাৎপর্য অন্যান্য জুমার দিনের চাইতে অনেক বেশি। কিন্তু আসলেই কি বিষয়টি এরকম?
একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। না হলে আমাদের অজান্তেই বিদআত পালন করা হবে। তাই চলুন জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ জুমাতুল বিদার পালন করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য গুলো বিস্তারিত জানুন
- জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- জুমাতুল বিদা কাকে বলে
- জুমাতুল বিদা কেন পালন করা হয়
- জুমাতুল বিদা কোরআন হাদিস দিয়ে প্রমাণিত
- জুমাতুল বিদা পালন করা কি জায়েজ
- জুমাতুল বিদা কখন পালন করা হয়
- জুমাতুল বিদা ফজিলত
- জুমাতুল বিদার আমল সমূহ
- জুমাতুল বিদার তাৎপর্য
- আমাদের শেষ কথা
জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। কিছু কিছু দিন রয়েছে যেগুলো মুসলিমদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত বেশিরভাগ মুসলিম মনে করে থাকে যে তাদের জন্য জুমাতুল বিদা গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। কিন্তু আসলেই কি জুমাতুল বিদা মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? আপনি যদি একজন প্রকৃত মুসলিম হয়ে থাকেন এবং এই দিনটি পালন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার এই বিষয়ে জানা উচিত।
আরো পড়ুনঃ জুমাতুল বিদা কি - জুমাতুল বিদার ফজিলত
জুমাতুল বিদার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে আগে জুমাতুল বিদা কি? এ বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে ধারণা নিতে হবে। কারণ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ জুমাতুল বিদা বিষয়টি কি এবং কেন পালন করা হয়ে থাকে? এই বিষয়ে তেমন কোন ধারণা রাখেনা। যেহেতু বেশিরভাগ মুসলিম মনে করে থাকে যে এই দিনটি মুসলিম উম্মার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু অবশ্যই আমাদের এ বিষয়ে জেনে রাখা উচিত।
আমরা জানি যে একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের কাছে জুমার দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য দিনের চাইতে জুমার দিনটির গুরুত্ব একটু বেশি হয়ে থাকে। কারণ আল্লাহতালা এই জুমার দিনটিকে অন্যরকম গুরুত্ব দিয়েছেন। যেহেতু আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা'আলা এই দিনটাকে গুরুত্ব দিয়েছেন সে তো অবশ্যই আমাদেরকে এই দিনের গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি জুমার দিন একই রকম গুরুত্ব দিতে হবে।
জুমাতুল বিদা হল রমজান মাসের শেষ জুমার দিন। অনেকেই মনে করে থাকে যে রমজান মাসের শেষ জুমার দিন একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। কিন্তু আসলে বিষয়টি এরকম নয়। এটা ঠিক যে রমজান মাস হল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। কিন্তু রমজান মাসে আরো বেশ কয়েকটি জুমার দিন আসে সাধারণত প্রতিটি জুমার দিন একই রকম গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে।
এই জুমার দিনটি রমজান মাসের শেষ বলে এর গুরুত্ব বেশি দিতে হবে আসলে বিষয়টি এরকম নয়। যেহেতু জুমার দিনের ফজিলত রয়েছে এবং রমজান মাস মুসলিমদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস সেহেতু রমজান মাসে যদি জুমার দিন হয় তাহলে এর ফজিলত বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে রমজান মাসের শেষ জুমার আলাদা কোন গুরুত্ব অথবা তাৎপর্য নেই।
জুমাতুল বিদা কাকে বলে
জুমাতুল বিদা কাকে বলে? এই বিষয়ে আমাদের অনেকের জানা নেই। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন এবং এই দিনটি পালন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আগে থেকে আপনার এ বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। কারণ আমাদের মুসলিমদের মাঝে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় যে আমরা না জেনেই বিভিন্ন বিষয়ে পালন করে থাকি। আল্লাহতালার সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য অবশ্যই আমাদেরকে এই বিষয় গুলো জেনে নিতে হবে।
জুমাতুল বিদা বলতে বুঝানো হয়েছে রমজান মাসের শেষ জুমার দিনকে। আমরা জানি যে প্রতি মাসে বেশ কয়েকটি জুমার দিন এসে থাকে একই রকম ভাবে রমজান মাস যেহেতু ২৯ বা ৩০ দিনের হয়ে থাকে সেহেতু বেশ কয়েকটি জুমার দিন এ রমজান মাসে পাওয়া যায়। এ রমজান মাসের মধ্যে শেষ যে জুমার দিন রয়েছে সাধারণত এটিকে জুমাতুল বিদা বলা হয়ে থাকে। জুমাতুল বিদা শব্দের অর্থ হল শেষ জুমার দিন।
জুমাতুল বিদা কেন পালন করা হয়
জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে এই দিনটি কেন পালন করা হয়ে থাকে? জুমাতুল বিদা পালন করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো রমজান মাস। প্রতি মাসে জুমার দিন আসে সাধারণত কোন মাসেই এই দিনটি পালন করা হয় না শুধু রমজান মাসে জুমাতুল বিদা এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। আমরা জানি যে রমজান মাসে মুসলিম উম্মার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।
আরো জানি যে জুমার দিন ও মুসলিম উম্মার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ একটি দিন। যদি রমজান মাসে এই জুমার দিন হয় তাহলে অনেকেই মনে করে থাকে যে এই দিনটির ফজিলত আগের থেকে অনেক বেশি বেড়ে যায়। সাধারণত তাই অধিক নেকি পাওয়ার আশায় রমজান মাসের শেষ জুমার দিনে জুমাতুল বিদা পালন করা হয়ে থাকে। সাধারণত এই দিনে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের আমল করে থাকে।
সাধারণত অনেকেই বিশ্বাস করে যে রমজান মাস যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস এবং সামনে বছর আমরা এই রমজান মাসে জীবিত নাও থাকতে পারি সেহেতু রমজান মাসের শেষ জুমার দিনটি একটু গুরুত্বের সাথে পালন করে যায়। আল্লাহতালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য এবং নিজের আমল নামায় নেকির পাল্লা বৃদ্ধি করার জন্য মুসলিমদের মধ্যে কিছু মানুষ রয়েছে যারা এই দিনটি গুরুত্বের সাথে পালন করে।
জুমাতুল বিদা কোরআন হাদিস দিয়ে প্রমাণিত
জুমাতুল বিদা কোরআন হাদিস দিয়ে প্রমাণিত করার দরকার রয়েছে। অনেকেই এই দিনটিকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে সাধারণত এইজন্য তারা বিভিন্ন ধরনের আমল করে থাকে। আবার মুসলিমদের মধ্যে এমন কিছু মানুষের এসে যারা এই দিনটিকে সাধারণত জুমার দিন হিসেবেই মনে করে থাকে। জুমার দিনে যে সকল আমল করতে হয় সাধারণত তারা সেই আমল গুলোই করতে থাকে।
আপনারা যারা জুমাতুল বিদা এই দিনটাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে থাকেন সাধারণত তাদের জন্য কোরআন হাদিস থেকে বিষয়টি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি যে কোরআন এবং হাদিসের কোথাও জুমাতুল বিদা নামে কোন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ দিনের কথা উল্লেখ করা নেই। যদি এই দিনটি এতই গুরুত্বপূর্ণ হতো তাহলে আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম অবশ্যই এই দিনটির কথা উল্লেখ করতেন।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সাধারন জুমার দিনের কথা উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন হাদিসে। জুমার দিন অন্যান্য জিনিস চাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ সাধারণত এই বিষয় গুলো অনেক জায়গায় বলা হয়েছে। কারণ আল্লাহ তায়ালা এই জুমার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছিলেন। সাধারণত এই জন্যই জমার দিনকে অন্যান্য দিনের চাইতে আলাদা করা হয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণিত, নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, "সূর্যদয়ের মাধ্যমে যে দিন গুলো হয় তার মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন। কারণ এই দিনে হজরত আদমকে আঃ সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল। এই দিনেই তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। আর এদিনের মধ্যে এমন একটি সময় আছে, যখন কোনো মুসলমান নামাজরত অবস্থায় দোয়া করলে অবশ্যই তার দোয়া কবুল করা হয়। {সুনানে তিরমিজিঃ ৪৯১}
এরকম অনেক হাদিস রয়েছে যেখানে জুমার দিনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সাধারণত কোথাও রমজান মাসের শেষ জুমার কথা উল্লেখ করা নেই। তাই আমরা বলতে পারি যে এই দিনটি আমাদের জন্য আলাদা কোন গুরুত্বপূর্ণ দিন নয়। সাধারণত অন্যান্য জুমার দিনগুলো আমরা যেমন পালন করে থাকি ঠিক একই রকম ভাবে আমাদেরকে রমজান মাসের শেষ জুমার দিন পালন করতে হবে।
জুমাতুল বিদা পালন করা কি জায়েজ
জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সাধারণত এই আলোচনার মাঝে আপনি বিস্তারিত ভাবে জুমাতুল বিদা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আবার অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে এই দিনটি পালন করা কি জায়েজ? আপনি যদি মনোযোগ সহকারে বিষয় গুলো পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি ইতিমধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছেন। আপনাদের সুবিধার্থে বলতে চাই জুমাতুল বিদা নামে কোন ধরনের দিন ইসলামিক ইতিহাসের নেই।
আপনি যদি কোরআন এবং হাদিস লক্ষ্য করেন তাহলে কোথাও জুমাতুল বিদা সম্পর্কে কিছুই জানতে পারবেন না। যদি এই দিনটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হতো তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা অথবা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই দিনটির কথা হাদিসে উল্লেখ করতেন। যেহেতু কোথাও এই দিনটির কথা উল্লেখ করার নেই তাহলে আমরা বলতে পারি যে এই দিনটি পালন করা যাবে না। তবে জুমার দিনের কোনরকম গুরুত্ব রয়েছে।
প্রতিটি জুমার দিন একই রকম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে সাধারণত তাই অন্যান্য জুমার দিনগুলো আমরা যেমন ভাবে পালন করে থাকি ঠিক একই রকম ভাবে রমজান মাসের শেষ জুমার দিন অর্থাৎ জুমাতুল বিদা পালন করতে হবে। এই দিন উপলক্ষে অন্য কোন আমল করা যাবে না। তাহলে এই বিষয়টি বিদআত হয়ে যাবে। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদেরকে বিদআত থেকে বিরত থাকতে হবে।
জুমাতুল বিদা কখন পালন করা হয়
জুমাতুল বিদা কখন পালন করা হয়? চলুন বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। অনেক মুসলিম মনে করে থাকে যে জুমাতুল বিদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। সাধারণত তারা এই দিনটি কখন পালন করা হয়? এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাই। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি যে জুমাতুল বিদা এই দিনটি পালন করা হয় রমজান মাসের শেষ জুমার দিনে। রমজান মাসের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে আমাদের কাছে সাধারণত এই রমজান মাসে যদি জুমার দিন হয় তাহলে এর গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়।
জুমাতুল বিদা ফজিলত
জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য যখন আলোচনা করেছি সাধারণত তখন জুমাতুল বিদার ফজিলত সম্পর্কে আপনাদের বেশ কিছু বিষয় জানিয়েছি। আপনি যদি মনে করে থাকেন যে অন্যান্য জুমার দিনের চাইতে রমজান মাসের শেষ জুমার দিনটি অনেক ফজিলত পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আপনার এই ধারণা ভুল। রমজান মাসের অন্যান্য জুমার দিন যেমন ফজিলত কোন থেকে একই রকম ভাবে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।
রমজান মাসের শেষ জুম্মা বলে এর গুরুত্ব অনেক বেশি বিষয়টি এরকম নয়। অন্যান্য জুমার দিনের চাইতে যদি মনে করেন এই জুমার অনেক বেশি ফজিলত তাহলে এটি বিদআত করা হবে। কারণ কোরআন এবং হাদিসের কোথাও রমজান মাসের শেষ জুমার ফজিলত অনেক বেশি এ বিষয়ে উল্লেখ করা নেই। যেহেতু কোরআন হাদিস দ্বারা এটি প্রমাণিত নয় সেহেতু এর ফজিলত রয়েছে এটা আমরা বলতে পারিনা।
জুমাতুল বিদার আমল সমূহ
জুমাতুল বিদার আমল সমূহ অনেকেই জানতে চাই। আমরা ইতিমধ্যেই আপনাদের একটি বিষয় জানিয়েছি যে রমজান মাসের শেষ জুমা বলে এই তিনটির গুরুত্ব অন্যরকম হবে আসলে বিষয়টি এরকম নয়। রমজান মাসে অন্যান্য যে সকল জুমার দিন রয়েছে সাধারণত একই রকম গুরুত্বের হয়ে থাকে। অন্যান্য জুম্মার দিনে আপনি যে সকল আমল করেন ঠিক একই আমল গুলো আপনাকে রমজান মাসের শেষ জুমার দিন করতে হবে।
- পাক পবিত্র হয়ে গোসল করে প্রস্তুত হতে হবে।
- জুমার দিন উপলক্ষে অবশ্যই উত্তম এবং নতুন পোশাক পড়তে হবে।
- নামাজে যাওয়ার আগে সুগন্ধি ব্যবহার করতে হবে।
- অবশ্যই মসজিদে যাওয়ার সময় হেঁটে হেঁটে যেতে হবে।
- আজানের আগেই মসজিদে প্রবেশ করতে হবে।
- প্রথম কাতারের দিকে বসার চেষ্টা করতে হবে।
- ইমামের দেওয়া খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে।
- খুতবা শোনার সময় অযথা কথা বলা যাবে না।
- মনে মনে বেশি বেশি দুরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
জুমাতুল বিদার বয়ান
জুমাতুল বিদার বয়ান আমাদের প্রত্যেকের শোনা উচিত। আমরা জানি যে প্রতিটি মুসলিম এর কাছে জুমার দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন হয়ে থাকে। তাছাড়া এই জুমার দিন যদি রমজান মাসে হয় তাহলে এর গুরুত্ব এবং ফজিলত আরো বৃদ্ধি পায়। তবে রমজান মাসের প্রতিটি জুমার দিন গুরুত্বপূর্ণ শুধু রমজান মাসের শেষ জুমার দিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এরকম নয়।
আরো পড়ুনঃ শবে কদরের আমল - শবে কদরের যে সকল আমল করবেন
রমজান মাসের শেষ জুমার দিন উপলক্ষে মসজিদে বিশেষ বয়ান দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি ইসলাম সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে চান এবং ইসলামকে মন থেকে মানতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই রমজান মাসের শেষ জুমার দিন মনোযোগ সহকারে ইমামের দেওয়া বয়ান গুলো শোনা উচিত। রমজান মাসের প্রতিটি জুমার দিন আমাদেরকে মনোযোগ সহকারে এবং গুরুত্বের সাথে পালন করতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য জানা থাকলে আমল গুলো করা খুব সহজ হয়ে যায়। আপনি যেহেতু একজন মুসলিম সেহেতু অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। যদি কোরআন এবং হাদিসে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়ার না থাকে তাহলে পালন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যান্য জুমার দিন যে সকল আমল করেন ঠিক একই আমল গুলো এই দিনে করতে হবে।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় যদি আরো পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। যা আপনাকে ইসলামিক বিষয়ে জানতে সাহায্য করবে। 25427
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url