OrdinaryITPostAd

২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ? রোজা শুরুর তারিখ ২০২৪

১২মাসের প্রতিদিনের তাহাজ্জুদ নামাজের সময়সূচী২০২৪ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ কত এ বিষয়টি জানা প্রত্যেকের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামনেই রমজান মাস আসতে চলেছে। তাই রমজান মাসের ইবাদতের বিবরণ সম্পর্কে পরিপূর্ণ তথ্য দিব আজকের আর্টিকেলে।
২০২৪ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ কত
তাহলে চলুন ২০২৪ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ কত সে সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্র: ২০২৪ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ কত

২০২৪ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ কত

২০২৪ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ কত এ বিষয়ে আগাম জানার আগ্রহ আমাদের সকলের মাঝেই বিরাজমান। কারণ সামনেই আসছে ২০২৪ সালের রমজান মাস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর। ২০২৪ সালের রমজান মাস চলবে ২৯ দিন পর্যন্ত। অর্থাৎ ১১ ই মার্চ শুরু হলে মুসলমানদের রমজান পালন করতে হবে ৮ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত।

চলতি বছর সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয় ২৩ মার্চ। ঠিক ১ মাস পর অর্থাৎ ২১ এপ্রিল খুশির ঈদ পালন করেন সৌদি আরব। সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে আমিরাতস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটি জানিয়েছেন তাদের গণনা হিসেবে ২০২৪ সালের রমজান মাস শুরু হবে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে এবং মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে ১০ এপ্রিল।

তারাবীহ নামাজ সম্পর্কিত মাসয়ালা

তারাবীহ নামাজ সম্পর্কিত মাসয়ালা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ হলো রমজান মাসে তারাবীহ নামাজের মধ্যে এক খতম কোরআন পাঠ করা সুন্নত। একাধিক বার কুরআন খতম করতে পারলে যতবার খতম করবে তত গুণ বেশি সওয়াব পাবে। এশার নামাজ একাকী পড়লে তারাবীহও একাকি পড়বে। তবে কোন ব্যক্তি জামাতে শামিল হওয়ার নিয়তে এসে দেখল এশার জামাত শেষ হয়ে গিয়েছে এবং তারাবীহ জামাত চলতেছে এই অবস্থায় উক্ত ব্যক্তি একাকী এশার নামাজ পড়ে তারাবীহ জামাতে শামিল হতে পারবে।

এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে এশার জামাতে যোগদান কারীর অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচনা করা হবে। এশার নামাজের পূর্বে তারাবীহ পড়া দূরস্থ নয়। কোন ব্যক্তি যথাক্রমে এশার নামাজ এবং তারাবীহ নামাজ পড়লো তারপর কোন কারণে তার এশার নামাজ শুদ্ধ হয়নি বলে পুনরায় পড়তে হলো সেক্ষেত্রে তারাবীহ পুনরায় করতে হবে। কেননা তারাবীহ নামাজ রমজান মাসের এশার অধীন।

রমজান মাসের ইবাদতের বিবরণ

রমজান মাসের ইবাদতের বিবরণ সমূহ জানা আমাদের প্রত্যেকের জন্যই আবশ্যক। রমজান মাসের রোজা ও ইবাদতের বহু ফজিলত রয়েছে। আরবী ১২ মাসের মধ্যে রমজান মাসের রোজাকে ফরজ করা হয়েছে। এই মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়। রমজান মাসকে সাওমের মাসও বলা হয়। পবিত্র রমজান মাস আরবী বছরের নবম তম মাস। এই মাসে যে কোন নেক বা পুন্যের কাজ ধারা অন্য যে কোন মাসের নেক কাজের ৭০ গুণ বেশি সওয়াব লাভ করা যায়।

বিভিন্ন হাদিসে রমজান মাসের ফজিলতের কথা বর্ণিত রয়েছে। রোজার ফজিলতের বিবরণ লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। রমজানের মর্যাদা বৃদ্ধির আরেকটি কারণ হলো এই মাসে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন মাজীদ যা লৌহে মাহফুজে সংরক্ষিত ছিল তা আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর নাযিল হওয়ার লক্ষ্যে লৌহে মাহফুজ হতে প্রথম আকাশে স্থানান্তর করেন ।

রমজান মাসের রোজার বিবরণ

রমজান মাসের রোজার বিবরণ সমূহ ২০২৪ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ কত দেওয়া আছে সে ক্যালেন্ডার দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন। রমজান মাসের এক মাসের রোজা আল্লাহ তা'আলা ফরজ করেছেন বান্দাদের উপর। সুবহে সাদিকের পূর্বে সাহরী খেয়ে ফজরের আযানের পর থেকে শুরু করে মাগরিবের আজাদ পর্যন্ত বিনা আহার পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থেকে এই রোজা পালন করতে হয়। মাগরিবের আজানের পর পানি দ্বারা রোজা খুলে তারপরে আহার করতে হয়। এই রোজা হচ্ছে ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের মধ্যে চতুর্থ। সমস্ত মানব জাতির আধ্যাত্মিক জগতের উন্নতি সাধন এবং মহান আল্লাহর প্রশিক্ষণ গ্রহণের নিমিত্তে রোজার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে।

রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব

রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব সর্বাধিক। ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের মধ্যে যাকাতের পরে রোজার স্থান। ইবাদত সমূহের মধ্যে রোজার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। রোজার অভ্যাস অবলম্বনে দুঃখী এবং নিরন্নদের খুদার কষ্ট অনুভবের সুযোগ হয় এবং তা দ্বারা গরিবদের প্রতি করুণা এবং দয়া মমতা সৃষ্টি হয়। এতে মানুষের মনে দানশীলতা ও পরোপকার আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

রোজার চাঁদ দেখে মাসয়ালা

রোজার চাঁদ দেখে মাসয়ালা সমূহ নিচে আলোচনা করা হলো:
রোজার চাঁদ দেখে মাসয়ালা
  • আকাশে বেশি মেঘ থাকায় চাঁদ না দেখা গেলে একজন মুসলমানের কাছে সে নিজে চাঁদ দেখেছে বলে স্বাক্ষর পাওয়া গেলে রোজা রাখা বাধ্যতা মূলক।
  • আকাশে মেঘ না থাকা অবস্থায় অন্তত পক্ষে ৫ জন মুসলমানের চাঁদ দেখার সাক্ষ্য পেলে রোজা রাখবে।
  • রোজা ভেঙে ঈদ করার উপরোক্ত অবস্থায় কম পক্ষে ২ জন মুমিন পুরুষের সাক্ষ্য দরকার।
  • ২ জন মুমিন পুরুষের বদলে যদি ১ জন মুমিন পুরুষ এবং ২ জন মুমিন মহিলা সাক্ষ্য দেয় তাতেও হবে।
  • যদি পুরুষ সাক্ষী ১ জনও না পাওয়া যায় তাহলে মহিলার সাক্ষী যতই হোক না কেন তাতে হবে না।

তারাবীহ নামাজের বিবরণ

তারাবীহ নামাজের বিবরণ সম্বন্ধে আমরা অনেকেই জানি আবার অধিকাংশ এমন আছে যারা পরিপূর্ণ ভাবে জানে না। রমজানের চাঁদ উঠলে সে রাতেই এশার ফরজ এবং সুন্নত দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর বেতরের পূর্বে ২০ রাকাত নামাজ স্ত্রী পুরুষ সকলের জন্যই আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। শুধু পুরুষ লোকই জামাতে আদায় করবে। একা পড়লেও নামাজ আদায় হবে কিন্তু জামাতের সওয়াব পাবে না।
সারা মাসে তারাবীহ নামাজের একবার কোরআন শরীফ খতম করা সুন্নত। এছাড়াও রমজান মাসে বেশি বেশি কোরআন পড়া ও খতম দেওয়ার অনেক সওয়াব রয়েছে। এছাড়াও এ মাসে ৪১ বার ইয়াসিন সূরা পড়ে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সমস্ত নবী রাসুলের প্রতি বকশিশ করলে আল্লাহ তা'আলা অত্যন্ত খুশি হন।

রমজান মাসের ফজিলত

রমজান মাসের ফজিলত ও ইবাদতের গুনাগুন সম্বন্ধে যত আলোচনা করব ততই কম। কারণ এই মাসের ইবাদতের ফজিলত সম্বন্ধে বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়। আল্লাহতালা কোরআন শরীফে বলেছেন রমজান এমন এক মহিমা ময় ও গৌরব মন্ডিত মাস যে মাস আল্লাহ তায়ালার পাক কালাম কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ হয়েছে। রমজান মাসের ফজিলতের দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে আল্লাহ তাআলা সারা পৃথিবীর মুসলমান নর নারীকে এ মাসে এক বিশেষ ইবাদত ফরজ করেছেন।

এই মাসের রাত্রি সমূহের তারাবীহ নামাজ পড়ে বান্দারা আল্লাহ তায়ালার অধিকতরও নিকটস্থ অর্জন করার সৌভাগ্য লাভ করে। রমজান মাসের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এ মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল কাজ করে সে অন্যান্য মাসে একটি ফরজ কাজ পালনের সমান সওয়াব লাভ করে। মহান আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে মুমিনদের রিজিক বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়।

ই’তিকাফের প্রকারভেদ

ই’তিকাফের প্রকারভেদ সমূহ সম্বন্ধে হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা নেই। কারণ রমজান মাসে প্রত্যেকে রোজা পালন করে। তারাবীহ নামাজ পড়ে। কিন্তু ই’তিকাফ সবাই পালন করে না। এজন্য ই’তিকাফ সম্বন্ধে অনেক কিছুই অজানা রয়ে যায়। ই’তিকাফ তিন প্রকার। যথা:
  • ওয়াজিব ই’তিকাফ: ই’তিকাফ করার মানত করলে তা পূরণ করা ওয়াজিব।
  • সুন্নাত ই’তিকাফ: রমজানের শেষ দশ দিন ই’তিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।
  • মুস্তাহাব ই’তিকাফ: ওয়াজিব ও সুন্নাত ব্যতীত অন্য সব ই’তিকাফ মুস্তাহাব।

রোজা কার উপর ফরজ

রোজা কার উপর ফরজ তা পরিপূর্ণ ভাবে জানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই আবশ্যক। এমন এক ব্যক্তি একাকী রমজান মাসের চাঁদ দেখল যে ব্যক্তি শরীয়ত সম্মত চলাফেরা করে না এই অবস্থায় তার কথায় বিশ্বাস করে অন্যান্য লোকে রোজা রাখবে না, কিন্তু তার নিজের রোজা রাখতে হবে। যদি তা ৩০ টি রোজা পুরা হওয়ার পরও ঈদের চাঁদ দেখা না যায় তবে তার আরেকটি রোজা রাখতে হবে এবং সে সকলের সাথে ঈদ করবে।
যে ব্যক্তি শরীয়ত অনুযায়ী না চলে সব সময় পাপ কাজ করে যেমন নামাজ পড়ে না রোজা রাখেনা মিথ্যা কথা বলে এবং অন্যান্য পাপ কাজও করে শরীয়তের দৃষ্টিতে তার সাক্ষীর কোন মূল্য নেই। শতবার কসম খেয়ে বললেও তার এবং তার মত চরিত্রের আরও কয়েক জনের সাক্ষী বিশ্বাস হবে না। খবর ছড়িয়ে পড়ল যে গত সন্ধ্যায় চাঁদ উঠেছে। কিন্তু বহু সন্ধ্যার পরও স্বচক্ষে চাঁদ দেখেছে এমন কোন লোক পাওয়া গেল না। সবাই বলে যে খবর শুনেছে এরূপ খবরের কোন মূল্য নেই।

ই’তিকাফের ফজিলত

ই’তিকাফের ফজিলত অনেক। যেহেতু রমজান মাসের শেষ দশ দিন ই’তিকাফ করলে ২৭ শে রমজান যদি শবে কদর না হয়, তবু এই ১০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট শবে কদরের ইবাদত এই ই’তিকাফের মধ্যে আদায় হয়ে যায়। এর ফলে কদরের রাতের ফজিলত লাভ করা যায়। এছাড়াও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি একদিন এক রাত ই’তিকাফ করবে তাদের ও জাহান্নামের মাঝখানে এরূপ তিনটি খান্তকের আড় হবে যার প্রত্যেকটির প্রশস্ততা হবে ৫০০ বছরের রাস্তা।

ইফতার করার নিয়ত

ইফতার করার নিয়ত সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো:
ইফতার করার নিয়ত
আল্লাহুম্মা ছুমতুলাকা ওয়াতাওয়াক্কালতু আলা রিযকিকা ওয়াফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।

ই’তিকাফের বিবরণ

ই’তিকাফের বিবরণ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করার সে সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য আবশ্যক যারা ই’তিকাফ করেন বা করতে আগ্রহী। ই’তিকাফ আরবী শব্দ। এর অর্থ কোন স্থানে অবস্থান করা। কোন জিনিসের ওপর নিজেকে শক্তভাবে আটকে রাখা বা কোন জিনিস বাধ্যতা মূলক ভাবে ধরে রাখা। আর শরীয়তের পরিভাষায় ইবাদতের নিয়তে মসজিদে কোন ব্যক্তি বিশেষ অবস্থানকে ই’তিকাফ বলে।

সাহরীর বিবরণ

সাহরীর বিবরণ সম্বন্ধে জানতে চান। ২০২৪ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ কত বা কি কি তার বিস্তারিত ক্যালেন্ডার দেখলেই আপনার বুঝতে পারবেন রমজান মাসের প্রতি দিনের সাহরী খাওয়া ও ইফতার করার সময় সূচি। তবে সাহরী সম্পর্কিত গুরুত্ব পূর্ণ বিবরণ এই যে রোজার নিয়তে শেষ রাতে কিছু খাওয়াকে সাহরী বলে। সাহরী খাওয়া সুন্নত। সাহরীর সময় একটি খুরমা বা সামান্য পানি পান করলেও সাহরীর সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।

শেষ কথা

উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল ২০২৪ সালের রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ কত এ সম্বন্ধে। সাথে আরো আলোচনা করেছি রমজান মাসের ইবাদতের বিবরণ এবং তারাবীহ সম্পর্কিত তথ্য ও ই’তিকাফ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার অনেক ভালো লেগেছে। 

আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন তা কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন। এমনই গুরুত্ব পূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতি দিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 26181

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url