ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় - ৪০ দিনে ধনী হওয়ার আমল
রিজিক বৃদ্ধি করার দোয়া ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় জেনে নেওয়া যাক। ইসলামে প্রতিটি বিষয়ের একটি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে তাই ধনী হতে হলে আমাদের ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায় গুলো জেনে তারপরে ধনী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আপনি যদি একজন মুসলিম ঘরের সন্তান হয়ে থাকেন এবং ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্যই। এখানে আমরা ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায় গুলো আলোচনা করব।
সূচিপত্রঃ ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী ধনী হওয়ার উপায় - ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়
- ইসলামে ধনী হওয়ার উপায়
- ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়
- ৪০ দিনে ধনী হওয়ার আমল
- দ্রুত ধনী হওয়ার আমল
- রাতারাতি ধনী হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়
- রাতারাতি ধনী হওয়ার দোয়া
- রিজিক বৃদ্ধি করার দোয়া
- ঋণ পরিশোধের দোয়া
- অভাব দূর করার দোয়া ও আমল
- লেখকের শেষ বক্তব্য
ইসলামে ধনী হওয়ার উপায়
ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আমরা সবাই চাই ধনী হতে। যদি আপনি ইসলামিক উপায়ে ধনী হতে চান তাহলে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে অবশ্যই আপনাকে এই নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। যদি আপনি এই নিয়মগুলো অনুসরণ করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ধনী হতে পারবেন অল্প সময়ের মধ্যেই।
আরো পড়ুনঃ নামাজের সময়সূচী ২০২৪
আপনি যদি অবৈধ পথ অবলম্বন করেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে ধনী হতে পারবেন। যেহেতু আমরা মানুষ আমাদের মরতে হবে একসময় তাই আমাদেরকে অবশ্যই ইসলামিক উপায়ে এবং আল্লাহ তালার বিধান অনুযায়ী আমল করতে হবে। যদি আমরা এই বিধান অনুযায়ী আমল করতে পারি তাহলে খুব সহজেই আল্লাহ তা'আলা আমাদের ধনী করে দেবেন।
ধনী হওয়ার দোয়া পাঠ করা -- আপনি যদি নিয়মিত আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে থাকেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা একদিন আপনাকে অবশ্যই ধনী করবে। এই জন্য আপনাকে নিয়মিত "সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদীহি সুবহানাল্লাহীল আজীম ওয়া বিহামদিহী আসতাগফিরুল্লাহ" এই দোয়াটি পাঠ করতে হবে।
আল্লাহর রাস্তায় দান করা -- আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে যদি আমরা দান করি তাহলে আমাদের সম্পদ অনেকটাই কমে যাবে। কিন্তু আসলে এরকম কোন বিষয় নেই যদি একদিক থেকে সম্পদ কমে যায় তবে অন্য দিক থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সম্পদ বাড়িয়ে দেয়। তাই আপনি যদি ধনী হতে চান ইসলামিক উপায়ে তাহলে আল্লাহর রাস্তায় দান করুন।
দ্রুত বিয়ে করুন -- বিয়ে হল ধনী হওয়ার অন্যতম সেরা মাধ্যম। কোরআন এবং হাদিসে তাড়াতাড়ি বিয়ে করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদি আপনি গরিব থাকেন এবং তাড়াতাড়ি ধনী হতে চান তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করুন।
ওযু অবস্থায় থাকা -- আপনি যদি দ্রুত ধনী হতে চান তাহলে সবসময় পবিত্র অবস্থায় থাকুন। পবিত্র থাকার অন্যতম উপায় হল সবসময় ওযু অবস্থায় থাকা। এই আমলটি যদি নিয়মিত করতে পারেন এবং সবসময় ওযু অবস্থায় পবিত্র অবস্থায় থাকতে পারেন তাহলে তাড়াতাড়ি ধনী হতে পারবেন।
বিভিন্ন ব্যবসা করা -- আমরা সবাই চাকরি খুঁজে থাকি কিন্তু চাকরি চাইতে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যবসা। আল্লাহ তায়ালা ব্যবসাকে হালাল করেছেন। এখন আপনি যদি হালাল কোন ব্যবসা খুঁজে থাকেন তাহলে সেটি আপনাকে ধনী হতে সাহায্য করবে।
ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায়
ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার উপায় জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে ধনী করতে পারবো। আপনারা নিশ্চয়ই হারাম কাজ ছেড়ে ধনী হওয়ার উদ্দেশ্যেই আর্টিকেল গুলো পড়ছেন। বেশ কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই নিজেকে ধনী করতে পারবেন। তাড়াতাড়ি ধনী হওয়ার অন্যতম প্রধান উপায় হল ব্যবসা করা।
ফলের দোকান -- আপনি যদি একটি হালাল ব্যবসা খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ফলের দোকান সবথেকে উপযোগী হবে। ফলের দোকান করতে হলে আপনাকে বেশ কিছু জায়গা নির্বাচন করতে হবে এগুলোর মধ্যে এক নম্বর হলো মেডিকেলের পাশে এবং বাস স্ট্যান্ডের পাশে। আপনি যদি এই জায়গা গুলোতে ফলের দোকান দিতে পারেন তাহলে আপনি লাভবান হবেন।
টুপি আতর এর দোকান -- যেহেতু আমরা ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় খুঁজছি সেহেতু এটি হলো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। আপনি যদি এই পণ্যগুলোর দোকান দিতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ধনী হতে পারবেন। বিশেষ করে মসজিদ অথবা মাদ্রাসার সঙ্গে এ দোকানগুলো দিলে সব থেকে বেশি ভালো হয়।
চায়ের দোকান -- হালাল ব্যবসা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চায়ের দোকান। সাধারণত আমরা চা খেতে বেশি পছন্দ করে থাকি। তাই রাস্তার পাশে যদি একটা চায়ের দোকান দেওয়া যায় এবং আমাদের যা মানুষ পছন্দ করে তাহলে এখান থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
জুতার দোকান -- আমরা সবাই নতুন নতুন জুতা পড়তে পছন্দ করি। যখন নতুন কোন ডিজাইনের জুতা বের হয় তখন আমরা সেটিকে কিনে থাকি। এখন আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করেন তাহলে খুব সহজেই লাভবান হতে পারবেন।
বেকারির ব্যবসা -- বর্তমান সময়ে চলমান ব্যবসা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বেকারি সামগ্রী। সাধারণত আমরা পাউরুটি সহ বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি। এই ব্যবসা করার জন্য তেমন পুজি প্রয়োজন হয় না অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করেই শুরু করতে পারেন এবং দ্রুত সময় লাভবান হতে পারবেন।
কাঁচামালের ব্যবসা করা -- আপনি যদি খুব সহজে এবং অল্প সময়ের মধ্যে ধনী হতে চান তাহলে কাঁচামালের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সাধারণত এই ব্যবসা প্রতিদিন চলে এবং মানুষ প্রতিদিন এই পণ্যগুলো ক্রয় করে থাকে।
৪০ দিনে ধনী হওয়ার আমল
৪০ দিনে ধনী হওয়ার আমল সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে সবাই ধনী হতে চাই কিন্তু ধনী হওয়ার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। আপনি যদি অবৈধ পথে ধনী হতে চান তাহলেও পারবেন কিন্তু এটি কখনো উচিত হবে না। যদি ইসলামিক উপায়ে ধনী হতে চান তাহলে বেশ কিছু নিয়ম এবং আমল রয়েছে। যদি নিয়মিত এই আমল গুলো করতে পারেন তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই ধনী হতে পারবেন।
এক লাগাতার ৪০ দিন পর্যন্ত এশার নামাজের পরে ওজু থাকা অবস্থায় কিবলামুখী হয়ে চোখ বন্ধ করে ৪০০ বার "আসতাগফিরুল্লাহাল্লাযি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম, বাদীউস সামওয়াতি ওয়াল আরদী মিন জামিয়ি হুরমি ওয়া জুলমি ওয়া এসরফি আ’লা নাফসি ওয়াআতুবু ইলাইহি" এই দোয়া পড়তে হবে।
দ্রুত ধনী হওয়ার আমল
দ্রুত ধনী হওয়ার আমল সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। আমরা ইতিমধ্যেই ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনেছি। আপনি যদি একজন মুসলিম ঘরের সন্তান হয়ে থাকেন এবং দ্রুত ধনী হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই আমল গুলো করা উচিত। আমরা যাই করি না কেন যদি আল্লাহ তায়ালার কাছে বিষয় গুলো চাই তাহলে আল্লাহতায়ালা অবশ্যই আমাদেরকে দেবে।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বে যার অর্থ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আল্লাহ তায়ালা তাকে তার সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবে। সব ধরনের সংকট থেকে মুক্তি দেবে এবং তাকে এমন ভাবে অর্থ দান করবে যা কোন মানুষ ধারণাও করতে পারে না।"
রাতারাতি ধনী হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়
রাতারাতি ধনী হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। আমরা সবাই ধনী হতে চাই। তবে ধনী হতে চাইলেই হওয়া যায় না এর জন্য অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আপনার যদি ইচ্ছা এবং মন মানসিকতা থাকে কঠোর পরিশ্রম করার তাহলে আপনি অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করে ধনী হতে পারবেন। তবে রাতারাতি ধনী হতে চাইলে অবশ্যই ব্যবসা শুরু করতে হবে।
আমরা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি যদি তাড়াতাড়ি ধনী হতে চান তাহলে আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে হবে এবং সেই ব্যবসা হতে হবে হালাল। যদি হারাম উপায়ে ইনকাম করতে চান তাহলেও পারবেন কিন্তু এই ইনকামের কোন মজা নেই।
মুদিখানার দোকান -- মুদিখানার দোকান হলো আমাদের প্রয়োজনীয় সবকিছুর দোকান। আপনি অল্প কিছু পরিমাণে টাকা ইনভেস্ট করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মুদিখানার দোকানে লাভ বেশি কারণ এখানে প্রতিনিয়ত পণ্য বিক্রি হয়ে থাকে।
ফাস্টফুডের ব্যবসা -- ফাস্টফুড জাতীয় খাবার পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কম রয়েছে। আপনি যদি হালাল একটি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ফাস্টফুড এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিশেষ করে যেখানে মানুষের যাতায়াত বেশি সেখানে এই ব্যবসা শুরু করুন।
কফি হাউস -- যদি ইসলামিক উপায়ে ধনী হতে চান তাহলে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা হল কফি হাউসের ব্যবসা। এটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা এবং অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
বাজার হোম ডেলিভারি -- যারা বাজারে সরাসরি গিয়ে বাজার করতে অপছন্দ করে তাদের টার্গেট করে এই ব্যবসা। আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করেন তাহলে খুব সহজেই গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী বাজার গুলো তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ভালো পরিমান টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসা -- যদি তাড়াতাড়ি ধনী হতে চান তাহলে যে ব্যবসা গুলো করতে পারেন এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। সাধারণত আমরা বাড়িতে রান্না করতে তেমন পছন্দ করি না এবং বাইরের অর্থাৎ রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করি। তাই এই ব্যবসা খুবই লাভজনক।
বইয়ের দোকান -- আপনি যদি একটি হালাল ব্যবসা খুঁজে থাকেন এবং তাড়াতাড়ি ধনী হতে চান তাহলে বইয়ের দোকান দিতে পারেন। বিশেষ করে স্কুল কলেজের পাশেই বইয়ের দোকান দিতে পারেন আশা করি আপনার ভালো বিক্রি হবে এবং আপনি লাভবান হবেন।
রাতারাতি ধনী হওয়ার দোয়া
রাতারাতি ধনী হওয়ার দোয়া জানা থাকলে খুব সহজে আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার কাছে দোয়া করতে পারব। আপনি যদি ইতিমধ্যেই যে আমল গুলো জেনেছেন সেই আমল গুলো শুরু করুন। তাছাড়া বেশ কিছু দোয়া রয়েছে যেগুলো আমরা করবো আল্লাহ তাআলার কাছে। তিনি আমাদের রিজিক বৃদ্ধি করেন এবং আমাদের সম্পদ দান করেন হালাল উপায়ে।
নিজের আয়াত গুলো পাঠ করলে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়, মনে স্থিরতা আসে এবং গরীব হলে ধন সম্পদ লাভ হয়। সাধারণত এগুলো আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা দিয়ে থাকেন।
আরবিঃ ولا تمدن عينيك الى ما متعنا به ازوجا منهم زهرة الحيوة الدنيا لتفتنهم فيه ورزق ربك خير و ابقى امر اهلك بالله واصطبر عليها لا نسلك رزقا نحن نرزقك والعاقبة للتقوى
বাংলা উচ্চারণঃ ওয়ালা তামাদ্দূনী আ’ইনাইকা ইলা মা মুতাআ’ন্না বিহী আজওয়াজা মিনহুম জাহরাতাল হায়াতিদ দুনইয়া লা তাফতানিহিম ফিহী ওয়া রিজক্বু রাব্বিকা খাইরুওয়া আবক্বা আমারা আহলাকা বিল্লাহি ওয়াসতাবির আ’লাইহা লা নাসলাকা রিজক্বা নাহনু নারজুক্বুকা ওয়াল আ’ক্বিবাতু লিত্তাক্বওয়া।
রিজিক বৃদ্ধি করার দোয়া
ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় অবলম্বন করে ধনী হওয়া উচিত প্রতিটি মুসলিমের। আমাদের প্রত্যেকের রিযিক নির্ধারণ করে থাকেন আল্লাহ তাআলা। আল্লাহতালা নির্ধারণ করার চাইতে বেশি কখনো পাওয়া সম্ভব না আবার কম পাওয়া সম্ভব নয়। যদি আপনি আপনার রিজিক আরও বৃদ্ধি করতে চান তাহলে একমাত্র আল্লাহ তাআলার কাছে চাইতে থাকুন।
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাগফির লি জাম্বি ওয়া ওয়াসসি লি ফি দারি, ওয়া বারিক লি ফিমা রাজাকতানি।
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন, আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন এবং আপনি আমাকে যে জীবিকা দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন।
ঋণ পরিশোধের দোয়া
ঋণ পরিশোধের দোয়া চলুন জেনে নেওয়া যাক। আমাদের কম বেশি সকলের ঋণ থাকে। যদি আপনি আপনার এই ঋণ গুলো পরিশোধ করতে চান তাহলে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করুন। আল্লাহতালা যদি চায় তাহলে খুব সহজেই এবং অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার ঋণ গুলো পরিশোধ করিয়ে দিতে পারবে আপনার দ্বারায়। ঋন পরিশোধের জন্য প্রত্যেক নামাযের পর ৭ বার এই দোয়া পড়তে হবেঃ
আরবিঃ اللهم يا غنى يا حميد يامبدى يامعيد يارحيم ياكريم اكفنى بحلالك عن حرامك واغننى بفضلك عمن سواك
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইয়া গানিয়্যু ইয়া হামীদূ ইয়া মুবদিউ ইয়া মুয়ীদূ ইয়া রাহিমু ইয়া কারিমুকফিনী বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়াগনিনী বিফাদ্বলিকা আম্মান সিওয়াকা।
অভাব দূর করার দোয়া ও আমল
অভাব দূর করার দোয়া ও আমল জানা থাকলে খুব সহজে আমরা আমাদের সংসার থেকে অভাব দূর করতে পারব। আল্লাহ তা'আলা আমাদের পরীক্ষা করার জন্য অভাব দিয়ে থাকেন এবং যদি আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করি তাহলে তিনি আমাদের এই অভাব দূর করতে পারবেন। অভাব দূর করতে হলে যে আমলগুলো করতে হবে সেগুলো হলো ফজর বাদ সূরা ইয়াসিন পড়তে হবে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ইসলামিক নামের তালিকা
জোহর নামাজের পরে সূরা নুহ, আছর নামাজের পরে সূরা নাবা, মাগরীব নামাজের পরে সূরা ওয়াক্বিয়া, ও ইশার নামাজের পর সূরা মুলক নিয়মিত পাঠ করতে হবে তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালার রহমতে অভাব দূর হবে। প্রতিদিন ফজর নামাজের পরে নিজের আয়াতটি ৫০ বার পড়তে হবে তাহলে অভাব দূর করবে একমাত্র আল্লাহ তা'আলা।
আরবিঃ سلام قولامن رب رحيم
বাংলা উচ্চারণঃ সালামুন ক্বাওলাম্মির রাব্বির রাহিম।
লেখকের শেষ বক্তব্য
ইসলামে ধনী হওয়ার উপায় অনেক গুলো আছে। ওপরের আলোচনায় আমরা বেশ কিছু উপায় উল্লেখ করেছি। আপনি যদি তাড়াতাড়ি ধনী হতে চান তাহলে অবশ্যই এই আমল গুলো করতে থাকুন। কারণ আমাদের একমাত্র ধনী করতে পারে আল্লাহু তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া আমাদের ধনী করার মত এরকম পৃথিবীর অন্য কেউ নেই। তাই অল্প সময়ের মধ্যে ধনী হতে চাইলে উপরের আমলগুলো করুন।
আশা করি আপনারা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে ধনী হওয়ার উপায় গুলো বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের ইসলামিক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। 20791
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url