OrdinaryITPostAd

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ

১২ মাসের প্রতিদিনের তাহাজ্জুদ নামাজের সময়সূচীশবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশে পালন করা হবে সে সম্বন্ধে জানতে চান। তাহলে আজকের আর্টি কিন্তু শুধু মাত্র আপনার জন্য। কারণ আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে ছুটি এবং এর ইবাদত ও ফজিলত সম্বন্ধে।
শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ
তাহলে চলুন শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশে সে বিষয়ে পরিপূর্ণ ভাবে সঠিক তথ্য খুঁজে নেওয়া যাক। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্র: শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশে পালন করা হবে তা নিয়ে বর্তমান সময়ে মুসলিম ধর্মের এমন কোন মানুষ নাই যারা রিসার্চ করছে না। কারণ এখন যেহেতু ২০২৪ সালের শবে বরাতের মাস। এ মাসের ইবাদত ও নফল রোজা সহি ভাবে পালনের উদ্দেশ্যে কেউ ধার্মিক বই অথবা কেউ গুগলে বিভিন্ন তথ্য সম্বন্ধে রিসার্চ করে থাকে। শবে বরাতের রাত যেহেতু শাবান মাসের মধ্যে পড়ে।

সেহেতু শাবান মাস শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ থেকে। এবং শেষ হবে ২০২৪ সালের মার্চের ১১ তারিখে। আর শবে বরাতের রাত পালিত হবে সেটি হলো ২৫ ফেব্রুয়ারি রবি বার রাতে সারা রাত শবে বরাতের রাত যেটা আরবী মাসের ১৪ তারিখ ধরে এবং ২৬ তারিখ সোম বার রোজা পালন করতে হবে যেটা আরবী মাসের ১৫ তারিখ ধরে।

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে ছুটি

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে ছুটি সে সম্বন্ধে শুধু চাকরিজীবীরাই নয় বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষরা অপেক্ষা করে থাকে। কারণ প্রতিটি মানুষের জন্য ছুটির দিন এমন একটি দিন যে দিনটা মানুষ সমস্ত কর্ম জীবন থেকে বাইরে এসে একটু আরাম অনুভব করে। শবে বরাত ২০২৪ এ ছুটির তারিখ গুলো হচ্ছে শুক্র ও শনি বার ছুটির তারিখ গুলো বাদেও একুশে ফেব্রুয়ারি যেটা দশ শাবান মাস ধরে এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি যেটা ১৫ শাবান মাস ধরে। এই দুই দিন গুলি সাধারণত শাবান মাসের ছুটির দিন।

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে কি বারে

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে কি বারে সে সম্বন্ধে মুসলিম পরিবারের মানুষ জানে না এমন তো হতেই পারে না। শবে বরাত ২০২৪ সালের তারিখ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ পরে ২৫ তারিখ রবি বার রাতে সারা রাত রাত্রি জাগরণ করার পর ২৬ তারিখ দিনের রোজা রাখতে হবে। মূলত ওই রাত এবং পরের দিনকে শবে বরাতের দিন বলে। মূলত সেই দিনই মুসলমান ধর্মের মানুষরা হালুয়া রুটির আয়োজন করে এবং হালুয়া রুটি দিয়ে ইফতার করে।

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে রোজা

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে রোজা বা শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশে তা আমাদের অধিকাংশ মানুষেরই জানা আছে। কিন্তু তবুও আমরা অনেকেই এমন আছি যারা অনেক সময় ভুলে যায়। কারণ এই যে আরবী মাসের বারোটি মাস সেগুলো পুনরায় আবার এক বছর পর পর আসে। সেহেতু আমরা অনেক সময় ভুলে যেতে পারি। তাই আমরা যদি একটু নামাজ শিখা বই থেকে চোখ বুলিয়ে না নিয়ে তাহলে আমাদের ভুল হয়ে যেতে পারে।
এক হাদিসে বর্ণিত আছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি শাবান মাসের ১৫ তারিখের রোজা পালন করে তাকে মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশে কখনো দোজখের আগুন স্পর্শ করবে না। রাসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই হাদিস থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট যে শবে বরাতের ১৫ তারিখের রোজা কত ইবাদত পূর্ণ ও ফজিলতময়। আর ২০২৪ সাল অনুযায়ী শবে বরাত ২৬ ফেব্রুয়ারি বলে গণনা করা হয়।

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে নামাজ

শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে নামাজ পড়তে হবে বা শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশে সে সম্বন্ধে সঠিক তথ্য হলো। ২৫ ফেব্রুয়ারি সারা দিন পার হয়ে যখন রাত আসবে সেই রাত সারা রাত জাগরণ করে আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকতে হবে। এটি মূলত শবে বরাতের রাত। এক হাদিসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন শাবান মাসের শবে বরাতের রাতে যে ব্যক্তি ১০০ রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে তার জীবনের যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং তার জন্য দোযখ হারাম হয়ে যাবে।
শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে নামাজ
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন শবে বরাতের রাতকে যে জীবিত রাখে অর্থাৎ ইবাদত বন্দেগী করে মহান আল্লাহ পাক তাকে জীবিত রাখেন। অর্থাৎ তার আমলনামায় মৃত্যুর পরেও কিয়ামত পর্যন্ত সওয়াব লেখা হতে থাকবে। অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছেন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন:

মহান আল্লাহ তা'আলা স্বিয় বান্দাদেরকে লক্ষ্য করে বলতে থাকেন যেই বান্দা আমার সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো যে আজ আমার কাছে সুস্থতা কামনা করবে আমি তাকে আজ সুস্থতা দান করব যে আজ আমার নিকট ধন সম্পদ প্রার্থনা করবে আমি তাকে অপরিমিত ধন সম্পদ দান করব

শবে বরাতে বাজি ফোটানো আলোক সজ্জা

শবে বরাতে বাজি ফোটানো আলোক সজ্জা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:

এড়াতে দেখা যায় অনেক ছেলে মেয়েরা এমনকি অনেক বড়রাও রং বেরং এর বাজি ফোটানো এবং আগরবাতি জ্বালানো ইত্যাদি বেহুদা কাজে সারা রাত কাটিয়ে দেয়। অনেক মা বাবাও ছেলে মেয়েদেরকে এই গুনাহের কাজে সহযোগিতা করেন এবং তাদেরকে ছোট বেলা থেকে গুনাহের কাজে অভ্যস্ত করেন। অনেক মসজিদে মোমবাতি বা বৈদ্যুতিক শয্যায় বিয়ে বাড়ির মত করে দেয়া হয়।

এসব প্রথা আমাদের দেশে অনেকটা হিন্দুদের থেকে চলে এসেছে। আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে অন্য জাতির ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের অনুকরণ স্পষ্ট হারাম। তাই আমাদের এবং আমাদের আশে পাশের মানুষদের এ ধরনের কাজ কর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। এবং শবে বরাতের মতো একটি ফজিলত ময় রাতকে ইবাদত ও আমলের মাধ্যমে পরিপূর্ণ করতে হবে।

শবে বরাতের হালুয়া রুটি তৈরির বিধান

শবে বরাতের হালুয়া রুটি তৈরির বিধান সম্পর্কে রিসার্চ করতে গেলে দেখা গেছে অনেকে ধারণা করেন রাসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মোবারক দাঁত শহীদ হওয়ার পর তিনি হালুয়া খেয়েছিলেন। তার শরণার্থে শবে বরাতে হালুয়া রান্না করা হয়। অথবা অনেকের বক্তব্য হল এই দিনে হযরত হামযাহ (রা:) শহীদ হয়েছিলেন। তার ইসালে সওয়াবের জন্য হালুয়া রান্না করা হয়। প্রথমত একথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন যে এই তারিখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাঁত শহীদ হয়েছিলেন বা হযরত হামজার (রা:) শহীদ হয়েছিলেন।

শবে বরাতে মসজিদে একত্রিত হওয়া

শবে বরাতে মসজিদে একত্রিত হওয়া ও রাত জেগে শুধু ইবাদত করা মোটেও দোষের কিছু নয়। কারণ এ রাতে প্রত্যেক মুসলমান ঘর থেকে পুরুষগণ দলে দলে মসজিদে যায় এবং সারা রাত জাগরণ করে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকেন। আর মুসলিম ধর্মীয় প্রত্যেকটি নারী বা মহিলাগণ বাসায় রাত্রি জাগরণ করে থাকেন।
কিন্তু মসজিদে ছোট বড় সব মিলে হৈ হুল্লোড় জমিয়ে দেওয়া শিন্নি পাকানো অবশ্যই অন্যায়। এমনকি অনেক জায়গায় তো মহিলারাও পুরুষদের সাথে জমা হয়ে যায়। অথচ মহিলাদের ফরজ নামাজের জন্য মসজিদে যেতে বারণ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নফল ইবাদতের জন্য মসজিদে যাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না।

শবে বরাত উপলক্ষে বিদ’আত

শবে বরাত উপলক্ষে বিদ’আত সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। বিদ’আত সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে অত্যন্ত পরিতাপের সাথে বলতে হয় যে এ রাত্রিতে সুন্নাতের রাসূল মাফিক নেক আমল করার পরিবর্তে আমাদের সমাজে আজ হিন্দুদের থেকে আমদানিকৃত বিভিন্ন নিয়ম রেওয়াজ স্থান লাভ করেছে। এবং সেগুলো খরচ ওয়াজিবের মত পালিত হচ্ছে। ফলে ইবাদতের এই বরকতময় রাত্রি টি পরিণত হচ্ছে যাবতীয় গুনাহ ও বিদ’আতের রাতে।

শবে বরাত নামাজের নিয়ত

শবে বরাত নামাজের নিয়ত নিচে উল্লেখ করা হলো:
শবে বরাত নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাতআতাই ছালাতিল লাইলাতুল বারাতি নাফলি মতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিস শারিফাতি আল্লাহু আকবার।

শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস

শবে বরাত সম্পর্কে হাদিস গুলো জানা এবং সেই মোতাবেক সারা মাসের ইবাদত বন্দেগি পালন করা অনিবার্য। এই রাত সম্পর্কে একটি সহিহ হাদিস যা সুনানে ইবনে মাজাহ এর একামাতুস সালাত অধ্যায়ে আবু মুসা আল আশআরী থেকে বর্ণিত যে রাসুল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন নিশ্চয়ই আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে সমস্ত সৃষ্টির দিকে বিশেষ নজর দেয়। মুশরিক এবং মুশাহীন ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।

শবে বরাত শব্দের অর্থ কি

শবে বরাত শব্দের অর্থ কি? এ বিষয়টি সমন্ধে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। কারণ আমরা সব সময় শবে বরাতের রোজা ও নফল ইবাদত সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। কিন্তু এই ইবাদত পূর্ণ মাসের অর্থ কি এ বিষয়ে আমাদের মনে অবহেলা রয়েছে। হাদিসের ভাষায় শবে বরাত বা শাবান তথা ১৫ শাবানের রাত। শবে বরাত ফারসি শব্দ। শব শব্দের অর্থ রাত এবং বরাত শব্দের অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই ভাষা মিলে শবে বরাত অর্থ হল মুক্তির রজনী।

শবে বরাতের ফজিলত

শবে বরাতের ফজিলত ও ইবাদত সম্পর্কে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবে বরাত বলে। বিশেষ কিছু ইবাদত ও গুণাবলির কারণে মানুষের কাছে শবে বরাতের গুরুত্ব অপরিসীম। বছরে এক মাত্র শবে কদর ব্যতীত এত অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও মহাত্ন্য মন্ডিত রাত আর দ্বিতীয়টি নেই। শবে বরাতের এই রাতকে মাগফেরাতের রাতও বলা হয়।

শবে বরাতের ইতিহাস

শবে বরাতের ইতিহাস কি এ প্রশ্ন মনে আসতেই সর্বপ্রথম যে গল্পটি মনে আসে তা হল: ইমাম আল মাহাদীর জন্মদিন ইরানের কওমে জমকরণ মসজিদের শবে বরাত উদযাপন। ১২ ইমাম শিয়াদের বক্তব্য অনুসারে মোঃ আল মাহদী সর্বশেষ শিয়া ইমাম ১৫ শাবানে জন্মগ্রহণ করেন। শিয়ারা এই দিনে মোঃ আল মাহদীর জন্মদিন পালন করে এবং নামাজ রোজা ও ইবাদত করে সময় কাটায়।

শেষ কথা

উপরে উক্ত আর্টিকেলে আজ আপনাদের সাথে আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশে পালিত হবে সে সম্বন্ধে। সাথে আরো আলোচনা করেছি শবে বরাত ২০২৪ কত তারিখে ছুটি এবং শবে বরাত এর ইবাদত ও ফজিলত সম্বন্ধে বিভিন্ন তথ্য সম্বন্ধে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আপনার অনেক ভালো লেগেছে।

আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কোন কোন বিষয় গুলি ভালো লেগেছে এবং আপনি কত টুকু উপকৃত হয়েছেন তা আপনার নিকটস্থ বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় আর্টিকেল প্রতি দিন পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 26181

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url