OrdinaryITPostAd

ঘন ঘন জ্বর যে ০৭ জিনিসের লক্ষণ - ঘন ঘন জ্বরের ১১ কারণ

ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ বুঝতে হলে আপনাকে জ্বরের উপসর্গ গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। এই পোস্টের মাধ্যমে ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ এই বিষয়ে ব্যাপক বলা হয়েছে। ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ এবং কোন কারণে হয় জেনে সতর্ক হতে পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কোন কারণে ঘন ঘন জ্বর আপনার শরীরের ভিতরে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের কোন ধরনের আক্রমণ এর ফলে সমস্যা করেছে কিনা অথবা ইনফেকশন হয়েছে কিনা সেটি বুঝতে হবে। কারণ ফাঙ্গাস ইনফেকশন এর কারণে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। এই ঘন ঘন জ্বরের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে প্রাণঘাতী যেকোন রোগ।

পেইজ সূচিপত্র

ঘন ঘন জ্বর কেন হয়

ঘন ঘন জ্বরের কারণ এর প্রভাব ভাইরাস বা অন্য কোন সংক্রমণের ফলে হতে পারে। তবে এই জ্বরের কারণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জানা থাকতে হবে। কারণ জীবাণু যখন শরীরে প্রবেশ করে, তখন সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরে সেই পরিমাণে প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকতে হবে।

বিভিন্নভাবে ঘন ঘন জ্বর শরীরে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এর মধ্যে পেটের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, ফুসফুসের সংক্রমণ, সর্দি কাশি লেগে থাকা এবং রক্তস্বল্পতার মত সমস্যা হয়ে এই ঘন ঘন জ্বরের সৃষ্টি হতে পারে। কেউ যদি টিকা নিয়ে থাকে অথবা ফোড়া বা টিউমার হয় তাহলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।


অন্য কোন ধরনের ভাইরাস ঋতু পরিবর্তন বা অন্য যেকোন বড় ধরনের রোগের ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ যেমন চিকেন পক্স, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, নিউমোনিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।

ক্যান্সার জনিত সমস্যা ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিয়ে যার ফলে ঘন ঘন জ্বর দেখা দিতে পারে। তবে ব্লাড ক্যান্সার সহ এমন কিছু ধরনের ক্যান্সার রয়েছে যেইগুলো প্রথম অবস্থা থেকেই ঘন ঘন জ্বর শরীরে দেখা দিতে পারে। ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ জেনে নিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ

ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস বা বিভিন্ন পরজীবী সংক্রমণে আপনার জ্বর হতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেকেই এই ঘন ঘন জ্বর হওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে না। যার ফলে কিছুদিনের মধ্যেই এই লক্ষণ বেড়ে যেয়ে শরীরে প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

কিন্তু এই অবস্থায় যখন আপনার কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে, তখন ঘন ঘন জ্বরের কারণ কি বিষয়ে হচ্ছে সেই বিষয়ে কিছু লক্ষণ জেনে নিলে আপনার জন্য সুবিধা হবে। ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ হতে পারে চলুন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
  • যখনই জ্বর আসবে তখনই কাঁপুনি দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।
  • প্রচন্ডভাবে খিদের অভাব দেখা দিবে, যার ফলে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
  • ডিহাইড্রেশন শুরু হয়ে যাবে ধীরে ধীরে জ্বরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকবে।
  • আপনি খুব বেশি ডিপ্রেশন এর মধ্যে পড়ে যাবেন।
  • মাথা ব্যথা এবং অবসাদ দেখা দিতে পারে।
  • এই অবস্থায় যখন জ্বর বাড়তে থাকবে তখন অতিরিক্ত জ্বর উঠার কারণে খিঁচুনি হয়ে যেতে পারে।
  • যখনই জ্বরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে, তখন ঘুম ঘুম একটি রেশ কাজ করতে পারে।

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয়

ভিটামিন ডি এর অভাবে আপনার শরীরে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। কারণ ভিটামিন ডি এর মধ্যে এমন এক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যা আপনার দেহের শারীরিক চাহিদা পূরণ করে থাকে। এই ভিটামিন ডি আপনার দেহে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস এর ঘাটতি পূরণ করে থাকে।

গবেষণায় বলা হয়েছে ভিটামিন ডি ক্যান্সারের ঘাটতিও কমিয়ে থাকে। কিন্তু যদি আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়, তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে এবং প্রদাহ ও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এর মাত্রা বাড়তে পারে।

ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ না জানার ফলে মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হতে পারে। তবে ভিটামিন ডি এর ঘাটতির যেই সকল লক্ষণ রয়েছে সেইগুলো যদি প্রকাশ পায়, তাহলে খুব দ্রুত আপনাকে চিকিৎসা নিতে হবে। ঘন ঘন জ্বর যেহেতু ভিটামিন ডি এর অভাবে হতে পারে।


তাই এই অবস্থায় আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে, তাহলে স্ট্রেস হরমোন এর মাত্রা বেড়ে যায়। যখনই এই হরমোনের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায় তখন আপনার ঘুম হবে না। ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ না জানলে শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়বে এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

আর যখনই ভিটামিন ডি এর অভাব হবে, তখন আপনার ঘুম যেহেতু ঠিকমতো হয় না। তাই প্রতিনিয়ত আপনি ঘুমাতে গেলেই আপনার ঘুম ভেঙে যেতে পারে। ভিটামিন ডি এর ঘাটতিতে জয়েন্টে ব্যথা এবং পেশিতে যন্ত্রণা হতে পারে। সেই সাথে আপনার ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।

ঘন ঘন জ্বরের কারণ এর মাধ্যমে ভিটামিন ডি এর অভাবে অল্প আঘাতেই আপনার হাড় ভেঙে যেতে পারে। দুর্বল হাড় এর ক্ষয় হয়ে গেলে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার আপনাকে বেশি করে খেতে হবে। যখনই ঘন ঘন জ্বর হয়, তখন ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আপনাকে যথাসম্ভব পূরণ করতে হবে।

কারণ আপনার ইমিউনিটি সিস্টেম যখন দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন ঘন ঘন জ্বর আপনার শরীরের সাথে লড়াই করতে পারে না। তাই পুষ্টির ঘাটতি হলে আপনাকে খুব দ্রুত ভাইরাসের সংক্রমণ শরীর থেকে কমিয়ে আনতে হবে। এমনকি শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে, যা ভিটামিন ডি এর অভাব হলে হতে পারে।

ঘন ঘন জ্বর আসার কারণ কি

ঘন ঘন জ্বর অনেক ধরনের কারণেই আসতে পারে। এর মধ্যে ঘন ঘন জ্বরের কারণ এর ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ বিশেষ করে যদি দেহে প্রবেশ করে, তাহলে শরীরে রোগ বাসা বাঁধতে পারে। সেই বিভিন্ন ধরনের রোগের ফলে ঘন ঘন জ্বর আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

যেহেতু ঘন ঘন জ্বর এর সাথে মরণব্যাধি বিভিন্ন রোগের সম্পর্ক রয়েছে। তাই ঘন ঘন জ্বর খুব বেশি ভালো নয়। যদি আপনার শরীরে কিছু রোগ খুব ভালোভাবে আক্রমণ করে, তাহলে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। ঘন ঘন জ্বর আসার কারণসমূহ গুলো হলো -

১। যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রয়েছে, তারা যদি নিজের প্রতি খেয়াল না রাখে তাহলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যার ফলে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রমণ হতে পারে। এই অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগী যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না রেখে জীবন যাপন করে তাহলে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।

২। অনেক সময় মূত্র তন্ত্রের ত্রুটির কারণে বারবার প্রস্রাবের সংক্রমণ হয়, যার ফলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই এই মূত্রতন্ত্রের ত্রুটির সমস্যা জন্ম থেকেই হতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যায় ঘন ঘন জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৩। ব্রংকাইটিস এমন একটি রোগ যেটি হলে আপনার ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। তবে ব্রংকাইটিস হলে অনেক বেশি পরিমাণে সর্দি কাশিও লেগে থাকতে পারে। তাই এই অবস্থায় আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

৪। ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ জেনে যদি বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ যখন প্রকাশ পায়, তখন অনেক সময় কিডনি, লিভার ও হার্টে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।

৫। যারা অনেক বেশি পরিমাণে ঠান্ডা জাতীয় পানীয় খেয়ে থাকে, বিশেষ করে ঠান্ডা পানিতে গোসল করা, ঠান্ডা খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন জ্বরের কারণ হতে পারে।

৬। এলার্জি জনিত সমস্যার কারণে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। এছাড়াও যেই সকল খাবারে এলার্জি রয়েছে, সেই সকল খাবার গ্রহণের ফলে অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যার ফলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। এলার্জি হওয়ার কারণে ঘন ঘন জ্বর হয়।

৭। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করা হয়, তাহলে জ্বর আসতে পারে। তবে এইক্ষেত্রে যদি আপনার ঘন ঘন জ্বর হয়, তাহলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হতে পারে। এইক্ষেত্রে আপনার শরীর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়তে পারে। এই অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৮। আপনার যদি ধূমপান করার অভ্যাস থাকে, তাহলে ধূমপানের কারণে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে পারে। আর সেই ইনফেকশন এর ফলে আপনার শরীরে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। তাই অতিরিক্ত ধূমপান আপনার শরীরের জন্যে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

৯। ফুসফুসে যদি কোন কারণে পানি চলে আসে, তাহলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। নিউমোনিয়া, কিডনির মতো জটিলতা এর কারণে আপনার ফুসফুস এর মধ্যে পানি জমে যেতে পারে।

তাই ফুসফুসে যখনই পানি জমে যায়, এর প্রভাবে কিছুদিন পরপর ঘন ঘন জ্বর হয়। এই অবস্থায় ফুসফুসের চিকিৎসা না করালে এই রকম সমস্যা হতে পারে।

১০। অনেকের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া হলে বুঝতে পারেনা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। সেইক্ষেত্রে কিছুদিন পর পর ঘন ঘন জ্বর হয়। কিন্তু যদি নিউমোনিয়া রোগী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে পারে, তাহলে খুব শীঘ্রই এই ঘন ঘন জ্বর থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারে।

১১। ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধী একটি রোগ হচ্ছে এইচআইভি ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। তবে ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন জ্বর হয়।

এই সংক্রান্ত রোগীদের যখন ঘন ঘন জ্বরের কারণ উৎপত্তি হয়, তখন সেটি থেকে বেঁচে থাকা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলা উচিত।

ঘন ঘন জ্বরের আড়ালে কি রয়েছে

শরীরে যদি ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ জানা থাকে তাহলে সেটিকে অনেক সময় অন্যান্য রোগের উপসর্গ বলা যেতে পারে। কিন্তু ঘন ঘন জ্বরের কারণ হলে সেই জ্বরের আড়ালে যদি কোন ধরনের প্রাণঘাতী রোগ লুকিয়ে থাকে, তাহলে সেটি খুবই মারাত্মক হয়ে থাকে। লিউকোমিয়া, পাকস্থলী ও ক্যান্সার সমস্যা হয়।

কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে এই ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। এছাড়াও নিউমোনিয়া থেকে যদি সর্দি, কাশি ও জ্বরের মতো সমস্যা হয়, তখন এই শারীরিক সমস্যায় আপনাকে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ যখনই প্রাণঘাতী কোন রোগ আপনার শরীরের বাসা বাঁধে।

তখন সেটি ধীরে ধীরে খুবই গুরুতর পর্যায়ে চলে যেতে পারে। কোন ব্যক্তির যদি কোন কারণে ঘন ঘন জ্বর হয়, তাহলে প্রথমে সেই রোগীর কাছ থেকে বিস্তারিত সবকিছু জেনে নিতে হবে। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার সময়কাল কেমন, কোন সময়ে জ্বর বেশি পরিমাণে থাকে এবং এই ঘন ঘন জ্বরের বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ এর বিষয়ে জানতে হবে।


পরবর্তীতে শরীরে যদি কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়, তাহলে ঘন ঘন জ্বরের বিষয়ে আপনাকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ যেকোন ধরনের ভাইরাস অর্থাৎ ফাঙ্গাস ইনফেকশনের কারণে এই ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। যা পরবর্তীতে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সংক্রমণেও হতে পারে।

এছাড়াও যদি কেউ টিকা নিয়ে থাকে বা শরীরে যদি কোন ফোড়া দেখা দেয়, টিউমার হলে বা প্রস্রাবের রাস্তায় যদি কোন ধরনের ইনফেকশন হয়, পিরিয়ডের অত্যাধিক ব্যথা হয় বা কোন ধরনের মানসিক চোট খায় তাহলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। তবে এই ঘন ঘন জ্বরের আসল বিষয়টি আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।

যদি ঘন ঘন জ্বরের কারণ এর জন্য ক্যান্সার আপনার শরীরে বাসা বেঁধে থাকে, তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে। যার ফলে ঘন ঘন জ্বর দেখা দিতে পারে। তবে ব্লাড ক্যান্সার হলেও এই ঘন ঘন জ্বর হয়। 

যেহেতু বিভিন্ন কারণেই ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ হতে পারে। তাই এই জ্বরের আড়ালে কি ধরনের রোগ লুকিয়ে আছে, সেটি আপনাকে খুঁজে বের করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয়

ঘন ঘন জ্বর আসা যেহেতু খুব বেশি একটা ভালো নয়। তাই আপনার শরীরে ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ হলে আপনাকে বুঝতে হবে, আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কেন কমে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে যার মধ্যে হলো -
  • ঘন ঘন জ্বর থেকে বাঁচতে ধূমপান ও সকল ধরনের মদ্যপান পরিত্যাগ করতে হবে।
  • ঘন ঘন জ্বরের কারণে সব সময় আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
  • নিয়মিত ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে তবে অতিরিক্ত নয়।
  • পুষ্টিকর ও সুষম যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
  • ঘন ঘন জ্বর হলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
  • শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়লে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে।
  • শরীরে ঘন ঘন ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
  • যেই সকল অভ্যাস আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে, সেই সকল পরিবর্তন নিজের মধ্যে আনতে হবে।

শেষকথা

আশা করছি এই পোস্ট থেকে আপনি ঘন ঘন জ্বরের কারণ, ঘন ঘন জ্বর কিসের লক্ষণ, ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় বিষয়গুলো এর সাথে বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। যদি এই সকল বিষয় জানার মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url