ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ 2023 - পালন করার বিধান
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি? আমরা অনেকেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানিনা। যারা এই দিনটি পালন করে থাকে সাধারণত তাদের জন্য ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি? এ বিষয়ে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি? এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি? এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি? জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি?
- ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি?
- ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কেন পালন করা হয়
- ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করার বিধান
- ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ
- উপসংহার
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি?
আমাদের মধ্যে যারা পীর দের বিষয়ে বেশি আগ্রহে সাধারণত তারা ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করে থাকে কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি? এই বিষয়ে তেমন কোন ধারণা রাখেনা। কিন্তু আপনি যেহেতু এই দিনটি পালন করছেন সেও তো আপনাকে অবশ্যই ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি? এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে তারপরে পালন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কি সরকারি ছুটি? জেনে নিন
আমরা সকলেই জানি যে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ ৫৬১ হিজরী সনের ১১ই রবিউস সানি মাসে আল্লাহতালার ডাকে পরলোক গমন করেন। সাধারণত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানীর রহঃ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর এই দিনটিতে ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করা হয়। তবে এই দিনটি পালনের ক্ষেত্রে অনেকের মাঝেই মতবিভেদ রয়েছে।
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এই বাক্যটি মূলত একটি ফারসি ভাষার শব্দ মিলিত হয়ে তৈরি হয়েছে। এ বাক্যের মধ্যে দুইটি শব্দ পাওয়া যায় আর সেগুলো হল ফাতেহা এবং অপরটি হল ইয়াজদাহম। প্রথম ফাতেহা শব্দের অর্থ হলোঃ ফাতেহা পাঠ করা। সাধারণত মৃত ব্যক্তিদের জন্য পাঠ করা হয়ে থাকে। আবার অন্য আরেকটি ইয়াযদাহম শব্দের অর্থ হলোঃ এগারো।
ফাতিহায় ই ইয়াযদাহম এ সম্পূর্ণ বাক্যটির অর্থ হলো ১১ তারিখে ফাতিহা পাঠ করা। প্রতিবছর হিজরি সনের রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ এর মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ করে ফাতেহা পাঠ করা হয় যার উদ্দেশ্যে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে যেটিকে আমরা ফাতেহা ই ইয়াজদাহম বলে থাকি। আশা করি ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি? বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কেন পালন করা হয়
এই দিনটি পালন করে থাকেন বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের গান-বাজনা করে এই দিনটি পালন করে থাকেন তাদের জন্য ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কেন পালন করা হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। কারণ এই দিনটি পালনের একটি নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে অবশ্যই সেই কারণটি জেনে তারপরে বুঝতে হবে দিনটি পালন করা উচিত কি উচিত নয়।
আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার যে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ হিজরী বছরের ১১ই রবিউল সানি মাসে মৃত্যুবরণ করেন। সাধারণত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ এর মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবেই এই দিনটি পালন করা হয়। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে এ দিনটি পালন করা হয় ঠিক তেমন বাংলাদেশ ও বেশ কিছু মাজার রয়েছে যেগুলোতে এই দিনটি পালন করা হয়।
সাধারণত এই তিনটি উপলক্ষে মাজারে বড় বড় জশনে জুলুসের আয়োজন করা হয় যেখানে বিভিন্ন ধরনের দোয়া মাহফিল হয়ে থাকে আবার অনেকেই আছে যারা গান বাজনা করে এই দিনটি পালন করে থাকেন। সাধারণত এই দিনটি উপলক্ষে মাজারে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয় যেখানে নারী-পুরুষ উভয় উপস্থিত থাকে। নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে গান-বাজনা করে।
এই দিনটি পালন করার পূর্বে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে যে নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে গানবাজনায় উপস্থিত হতে পারবে কিনা আবার আরেকটি বিষয় জানতে হবে যে কোন মৃত মানুষের উদ্দেশ্যে এই দিনগুলো পালন করা যাবে কিনা বিশেষ করে জন্মদিন এবং মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা যাবে কিনা? ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই দিনগুলোর কোন গুরুত্ব নেই।
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করার বিধান
বিশেষ করে যারা সুফি এবং মাজারের প্রতি বিশ্বাস রাখে সাধারণত তারা এই দিনগুলো বেশি পালন করে থাকেন এবং তারা মাজারে গিয়ে গান বাজনা করে থাকেন। তাদের জন্যই এই তিনটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং তারাই ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি? বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাই। এখন আপনি যদি ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে আপনাকে গান-বাজনা হালাল কি হারাম? কোন ব্যক্তির জন্মবার্ষিকী এবং মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা যাবে কিনা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ শবে কদরের ফজিলত - লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস
কোন ব্যক্তি যখন মারা যায় আমরা তো কোন অনেক বেশি কষ্ট পাই কিন্তু কিছু সংখ্যক মানুষ রয়েছে যারা গান-বাজনা করে এ দিনগুলো পালন করে থাকে। এখানে গান-বাজনা না করে যদি আল্লাহ তাআলার কাছে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হতো তাহলে সব থেকে বেশি ভালো হতো। তবে কিছু কিছু জায়গায় সাধারণত এই দুইটি গান বাজনা এবং নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে পালন করে থাকে।
যা ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে কখনোই অনুমোদন করে না। আপনি আরও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবেন এটি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে জায়েজ নেই সেটা যে ব্যক্তি হোক না কেন। তাই আমরা বলতে পারি যে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ এর মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবে যে দিনটি পালন করা হয় সাধারণত এটি সম্পূর্ণ কোরআন এবং হাদিস পরিপন্থী। এগুলো সম্পন্ন হারাম এবং বিদআত।
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ
আশা করি আপনারা আপনাদের মূল জানার বিষয়টি ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি? এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এখন আপনি যদি এই দিনগুলো পালন করে থাকেন এবং জানতে চান যে ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ পালিত হবে সাধারণত তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি যে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ এর মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবে এই দিনটি পালন করা হয়।
ইতিহাস অনুযায়ী জানাযায়ী বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ হিজরি সনের রবিউল সানি মাসের ১১ তারিখ মৃত্যুবরণ করেন। তাই প্রতিবছর এই দিনটিতেই অর্থাৎ হিজরী সনের রবিউস সনি মাসের ১১ তারিখ মৃত্যু বার্ষিকী অর্থাৎ ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করা হয়ে থাকে। আর ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যখন রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখ হবে সাধারণত তখন এই দিনটি পালন করা হবে। এই বছর নভেম্বর মাসের ৭ তারিখে ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করা হবে।
উপসংহারঃ ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি?
ফাতেহা ই ইয়াজদাহম এর অর্থ কি? ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কেন পালন করা হয়? ফাতেহা ই ইয়াজদাহম পালন করার বিধান, ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা এই দিনগুলো পালন করে থাকে এবং তাদের কাছে এই দিনটিগুলো গুরুত্বপূর্ণ তাই অবশ্যই উপরুক্ত বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত জরুরী।
আরো পড়ুনঃ ফাতেহা ই ইয়াজদাহম কত তারিখ ২০২৩ - আবদুল কাদের জিলানী জীবন কাহিনী
আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন আর এই ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত করতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। ২০৮৭৬
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url