আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া - আখেরি চাহার সোম্বা এর ফজিলত
আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া কি করবেন? এ বিষয়ে যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। যেহেতু এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু অবশ্যই আমাদেরকে আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। এই আর্টিকেলে আপনাদের জানার সুবিধার্থে আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া সম্পর্কের না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। তাহলে চলুন দেরি না করে আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া - আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া
- আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া
- আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া
- আখেরি চাহার সোম্বা কি
- আখেরি চাহার সোম্বা পালন করার কারণ
- শেষ কথা
আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া
বর্তমান সময়ে কম বেশি সকলেই জানে যে আখেরি চাহার সোম্বা এই দিনটি কি। মুসলিম বিশ্বের জন্য দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দিনটিতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ অসুস্থ অবস্থা থেকে সুস্থ হয়েছিলেন। সাধারণত তাই মুসলিমগণ এই দিনটিকে অনেক গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকেন। কিন্তু অনেকেই আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া কি করতে হবে এ বিষয়টি জানেনা।
আরো পড়ুনঃ আখেরি চাহার সোম্বা কি - আখেরি চাহার সোম্বা মানে কি
আখেরি চাহার সোম্বা এর মূল অর্থ হচ্ছে সফর মাসের শেষ বুধবার। এই দিনটিতে আমাদের প্রিয় নবী সাময়িকভাবে সুস্থ হয়ে যাবেন সাধারণত তাই সে খুশিতে সারা বিশ্বের মুসলিমগণ দের কাছে অনেক আনন্দময় দিন এটি। এই আনন্দের দিনে প্রতিটি মুসলিমের জন্য দোয়া করা হয়। বিভিন্ন মসজিদে এই দিনটি উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
এই দিনটি পালন করার শরীয়ত সম্মত উপায় হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া মাহফিল করা। কিন্তু অনেকেই এই দিনটি গানবাজনা এর সাথে পালন করে থাকে কিন্তু এটি সম্পূর্ণ হারাম। একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদেরকে হারাম কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা এই দিনটি উপলক্ষে আল্লাহ তায়ালার কাছে আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া করতে পারি প্রতিটি মুসলিমের জন্য।
আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া
কোরআন হাদিসে কোথাও আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া সম্পর্কে কোন নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই আপনি আপনার মত করে এই দিনটিতে ইবাদত বন্দেগী পালন করতে পারেন। আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া যদি কোথাও দেখতে পান তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে এটা সম্পূর্ণ কোরআন এবং হাদিসের বাইরে। এই দোয়াগুলো কোরআন এবং হাদিসে উল্লেখ করা নেই।
কিছু অতি উৎসাহ মানুষ রয়েছে যারা আখেরি চাহার সোম্বা এই দিনটি পালন করে থাকে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং নির্দিষ্ট ভাবে আখেরি চাহার সোম্বা এর কোন অস্তিত্ব নেই সে ক্ষেত্রে আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যারা কোরআন হাদিস বেশি মানে না এবং বিদআত কাজ করায় লিপ্ত থাকে সাধারণত তারাই আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া আবিষ্কার করেছেন।
একজন প্রকৃত মুসলিম এবং যার মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে সে কখনো এই দিনটি পালন করতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ রয়েছে যারা এই দিনটি অনেক আনন্দের সাথে পালন করে। বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশের এই দিনটি বেশি পালিত হয়। যেহেতু কোরআন হাদিসে এই দিন সম্পর্কে কোন বিষয় উল্লেখ করা নেই এবংআখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া উল্লেখ করা নেই তাই থাকতে হবে।
আখেরি চাহার সোম্বা কি
আখেরি চাহার সোম্বা সম্পর্কে যাদের কোন ধারণা নেই তাদেরকে প্রথমেই আখেরি চাহার সোম্বা কি? এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কারণ ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন আখেরি চাহার সোম্বা। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অনেক মানুষ রয়েছে যারা আখেরি চাহার সোম্বা কি? এই বিষয়ে তেমন কোন ধারণা রাখেনা।
আরো পড়ুনঃ আখেরি চাহার সোম্বা এর ইতিহাস - আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া
আখেরি চাহার সোম্বা আরবি এবং ফারসি এই দুইটি ভাষার শব্দ নিয়ে গঠিত। আরবি শব্দ হলো আখেরি যার অর্থ হলো শেষ। ফারসি শব্দ চাহার যার অর্থ হলো সফর মাস এবং আরো একটি ফার্সি শব্দ সোম্বা যার অর্থ হলো বুধবার। তাহলে আখেরি চাহার সোম্বা এর মানে হলো সফর মাসের শেষ বুধবার। যখন আমাদের প্রিয় নবী সাঃ এর মৃত্যু সন্নিকটে তখন তিনি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কিন্তু হঠাৎ একদিন সকালে তিনি জ্ঞান ফিরে পেয়ে আগের তুলনায় অনেক সুস্থ অনুভব করেন। এই দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার এবং ২৮ তারিখ। এ খবরটি পেয়ে মদিনা বাসী অনেক বেশি আনন্দিত হয় এবং তারা আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করার জন্য নামাজ আদায় করে। সাধারণত এই উপলক্ষেই যে দিনটি পালিত হয় সেটি হল আখেরি চাহার সোম্বা।
আখেরি চাহার সোম্বা পালন করার কারণ
আমরা ইতিমধ্যেই আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া সম্পর্কে জেনেছি। আপনি যদি আখেরি চাহার সোম্বা পালন করার কারণ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে প্রথমে আপনাকে এ বিষয়টি জেনে নিতে হবে। যেহেতু এটি মুসলিমরা পালন করে থাকে সেহেতু অবশ্যই আমাদেরকে আখেরি চাহার সোম্বা পালন করার কারণ জেনে তারপরে এটি পালন করতে হবে।
আমাদের প্রিয় নবী সাঃ এর যখন দুনিয়ার জীবন শেষের পথে সাধারণত তখন তিনি সফর মাসের শেষ দিকে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাহাবায়ে কেরাম উনাকে সুস্থ করার জন্য বেশ কিছু ওষুধ সেবন করাই তবে কোন ধরনের উপকার পাওয়া যায় না। যার ফলে সকলেই বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেয় এবং তারা মনে করে আমাদের প্রিয় নবী সাঃ আল্লাহতালার কাছে চলে যাবেন।
কিন্তু হঠাৎ সফর মাসের ২৮ তারিখে অর্থাৎ শেষ দিকে দিনটি ছিল বুধবার। এই দিনে সকালে জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পরে তিনি সুস্থ অনুভব করেন। সাধারণত এই সুস্থতা ছিল সাময়িক সুস্থতা। এর পরে তিনি সকাল বেলায় প্রথমে গোসল করেন। এর পরের দুই নাতি হাসান এবং হোসাইন রাঃ এদের সাথে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। এই খবরটি পেয়ে তার পরিবারের সকলেই অনেক বেশি খুশি হয়।
এ খবরটি যখন মদিনাবাসী পায় সাধারণত তারা অনেক বেশি খুশি হয়। অনেকে এই দিনটিকে ঈদের মতো করে পালন করে থাকে। এই খবরটি পাওয়ার পরে তারা প্রথমে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করেনা নামাজ আদায় করেন। এরপরে দূরদূরান্ত থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে দেখতে আসেন। এই দিনটিকে মনে রাখার জন্যই আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা হয়।
আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া - আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়াঃ শেষ কথা
আখেরি চাহার সোম্বা দোয়া, আখেরি চাহার সোম্বা এর দোয়া, আখেরি চাহার সোম্বা কি? আখেরি চাহার সোম্বা পালন করার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আখেরি চাহার সোম্বা সম্পর্কে কোন ধারণা না রাখেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে এ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিতে হবে। কারণ এ বিষয়টি মুসলিমদের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
আরো পড়ুনঃ আখেরি চাহার সোম্বা দিন করনীয় - আখেরি চাহার সোম্বা আমল
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো করতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এ ধরনের ইসলামিক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। ২৫৪২৭
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url