মধু পূর্ণিমা ২০২৩ কি সরকারি ছুটি - মধু পূর্ণিমা কত তারিখ জানুন
মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি? সাধারণত অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানে না। যেহেতু আমাদের এই বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীর মানুষ বেশি আছে মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি? এ বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই অজানা। আজকের এই আর্টিকেলে মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি? এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি? বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সূচিপত্রঃ মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি
- মধু পূর্ণিমা কাকে বলা হয়
- মধু পূর্ণিমা কত তারিখ হবে
- মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি
- মধু পূর্ণিমা পালন করার কারণ
- আমাদের শেষ কথা
মধু পূর্ণিমা কাকে বলা হয়
মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি? এই বিষয়টি জানতে চাইলে আপনাকে আগে মধু পূর্ণিমা কাকে বলা হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে একটা ধারণা নিতে হবে। কারণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে মধু পূর্ণিমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধু পূর্ণিমা কাকে বলা হয় এ বিষয়ে ধারণা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি তাদের নিজস্ব ধর্ম যা তারা নিয়মিত চর্চা করে।
আরো পড়ুনঃ দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম - দোল পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়
মধু পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। বৌদ্ধদের ইতিহাসের একটি ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ দিন এটি। সাধারণত ভগবান বুদ্ধ কে বনের একটি বানর মধু দান করেন এবং ভগবান বুদ্ধর সেই মধু পান করেন এবং সেটি দেখে বানর অনেক খুশি হয় এবং গাছে গাছে লাফাতে থাকে। যেহেতু এই দিনটি পূর্ণিমা তিথিতে ছিল তাই একে মধু পূর্ণিমা বলা হয়।
মধু পূর্ণিমা কত তারিখ হবে
মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি? এ বিষয়টি জানতে চাইলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে মধু পূর্ণিমা কত তারিখ হবে। তাহলে সেই তারিখ ছুটি কি ছুটি না এ বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি ইবাদত পণ্য দিন হলো মধু পূর্ণিমা। এই দিনটিতে প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর মানুষ বেশ কিছু শিক্ষা নিয়ে থাকে। শিক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ত্যাগী সেবা প্রদানকারী এবং নিষ্ঠাবান হওয়া।
বাংলা ক্যালেন্ডার যদি আমরা খেয়াল করি তাহলে এই বছর মধুর পূর্ণিমা হবে সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখে। যেহেতু এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি বড় উৎসব তাই অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। আশা করি মধু পূর্ণিমা কত তারিখ হবে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।
মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি
বছর বছর শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সরকার ছুটির তালিকা ঘোষণা করে থাকেন। এই ছুটির তালিকার মধ্যে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের আচার অনুষ্ঠান বিদ্যমান থাকে। সেই ধর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব হলো মধু পূর্ণিমা। অনেকেই মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি? এই বিষয়টি সম্পর্কে জানে না।
আরো পড়ুনঃ প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ - প্রবারণা পূর্ণিমার ইতিহাস
তাদেরকে বলে রাখি যখন সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয় সাধারণত তখন সেই ছুটির তালিকায় মধু পূর্ণিমার নাম ছিল। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই বছর মধু পূর্ণিমা পালন করা হবে সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখে। তাই সেই অনুযায়ী বাংলাদেশের সরকারিভাবে সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এখন ছুটির তালিকা অনুযায়ী আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি যে মধু পূর্ণিমা হল সরকারি ভাবে ছুটির দিন। অন্যান্য দিনের মতো এই দিনে সরকারি সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে এমনকি স্কুল কলেজ সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। আশা করি মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি? এ প্রশ্নটির উত্তর বিস্তারিত ভাবে পেয়েছেন।
মধু পূর্ণিমা পালন করার কারণ
আমাদের এই পৃথিবীতে অসংখ্য ধর্ম রয়েছে। এই ধর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বৌদ্ধ ধর্ম। পৃথিবীতে যত ধর্ম রয়েছে সবগুলোর বেশ কিছু ধর্মীয় উৎসব রয়েছে। ঠিক তেমন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদেরও উৎসব রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মধু পূর্ণিমা। প্রতিটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে মধু পূর্ণিমার দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ।
মধু পূর্ণিমা এই উৎসবটি ঐতিহাসিকভাবে একজন নির্বাচিত আধ্যাত্মিক শিক্ষক বা নেতা দের সম্মান করার জন্য পালন করা হয়। প্রতি বছর আষাঢ় মাসে পূর্ণিমার দিনে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। মধু পূর্ণিমা এই দিনটি বৌদ্ধরা বিভিন্ন উৎসব আনন্দের সাথে উদযাপন করে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় সারাদিন সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মধুদানের একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ভগবান বুদ্ধ পারিলেয়্য বনে তার জীবন পরিচালনা করতে থাকেন এই সময় একটি হাতি প্রতিদিন বুদ্ধের সেবা করত। ভগবান বুদ্ধকে বনের ফল সংগ্রহ করে দান করত। হাতির এই কর্মকাণ্ড দেখে বনের একটি বনর বুদ্ধকে পূজা করার ইচ্ছা পোষণ করে। ভাদ্র পূর্ণিমাতে বনের বানরটি একটি মধুভরা মৌচাক সংগ্রহ করে বুদ্ধকে দান করেন।
কিন্তু সেই মৌচাকের মধ্যে মৌমাছির বাচ্চা এবং ডিম থাকার কারণে বুদ্ধ প্রথমে মধু পান করলেন না। তখন বানরটি এ বিষয়টি বুঝতে পারে এবং মধুর মৌচাকটি নিয়ে ছানা ও ডিম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ভগবান বুদ্ধকে সেই মধু ভরা মৌচাক টি দান করেন। এবার ভগবান বুদ্ধ তৃপ্তি সহকারে মধু পান করেন। ভগবান বুদ্ধকে মধুপান করতে দেখে বানর খুশিতে, আনন্দে আত্মহারা হয়ে গাছে গাছে লাফাতে থাকে।
হঠাৎ এভাবে এক ডাল থেকে অন্য ডালে যাওয়ার সময় গাছের একটি অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বানরটি মাটিতে পড়ে যায় এবং অনেক আহত হয় একসময় মৃত্যুবরণ করে। বুদ্ধকে মধুদান এবং বুদ্ধের প্রতি প্রসন্নচিত্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর বানর স্বর্গে ত্রিশ যোজন বিস্তৃত কনক বিমান ও সহস্র অপ্সরা লাভ করল।
বনের সেই হাতিটির ভগবান বুদ্ধের সেবা সেবা করার মন মানসিকতা এবং বানরের মধুদানের কারণে বুদ্ধ ধর্মের মানুষেরা এই দিনটিকে অনেক স্মরণীয় করে রেখেছে। সাধারণত তাদের থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্যই এবং তাদের কথা স্মরণ করার জন্য এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মের মানুষেরা অনেক আনন্দের সাথে পালন করে থাকে।
আমাদের শেষ কথাঃ মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে মধু পূর্ণিমা কাকে বলা হয়? মধু পূর্ণিমা কত তারিখ হবে? মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি? মধু পূর্ণিমা পালন করার কারণ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বের মানুষদের অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। যারা জানেন না এই দিনটি সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণত তাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মাঘী পূর্ণিমা ২০২৩ কবে - মাঘী পূর্ণিমা ২০২৩ কি সরকারি ছুটি
এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। ২০৭৯১
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url