OrdinaryITPostAd

২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা

২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা? বিষয়টি অনেক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর মানুষ জানতে চাই। কারণ তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মধু পূর্ণিমা। সেক্ষেত্রে ২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা? বিষয়টি জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আজকের এই আর্টিকেলে ২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা? এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট ২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ ২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা

মধু পূর্ণিমা কয় তারিখ

পৃথিবীতে যে সকল ধর্ম রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বৌদ্ধ ধর্ম। সাধারণত বাংলাদেশের বড় ধর্ম গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বৌদ্ধ ধর্ম। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদের বেশ কিছু ধর্মীয় উৎসব রয়েছে সেগুলোর মধ্যে মধু পূর্ণিমা হলো অন্যতম একটি। ২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা? এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। আবার অনেকেই মধু পূর্ণিমা কয় তারিখ এ বিষয়টি জানেনা।

আরো পড়ুনঃ মাঘী পূর্ণিমা ২০২৩ কবে - মাঘী পূর্ণিমা ২০২৩ কি সরকারি ছুটি

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয় উৎসব হল মধু পূর্ণিমা। সাধারণত এই দিনটিতে শিক্ষার অনেক বিষয় রয়েছে। কিভাবে মানবসেবা পড়তে হয় এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হয় এই শিক্ষাগুলো এই দিনে দেওয়া হয়। এই দিনটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বের মানুষেরা পূজা আলোচনা করে থাকেন। তাই আগে থেকেই মধু পূর্ণিমা কয় তারিখ এ বিষয়টি জেনে রাখা জরুরী।

আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি, মধু পূর্ণিমা ভাদ্র মাসে পালন করা হয়। সাধারণত ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে মধু পূর্ণিমা এর আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর পূর্ণিমা তিথি একই তারিখে হয় না এখানে তারিখের ভিন্নতা রয়েছে। এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখে পূর্ণিমা তিথি অনুষ্ঠিত হবে। এই দিনেই মধু পূর্ণিমা পালন করা হবে।

২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা

অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে মধু পূর্ণিমা কবে সাধারণত তাই ২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা? এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকে যেহেতু এই দিনটি বদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু অবশ্যই সঠিক তারিখ অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা? এ ধরনের প্রশ্ন করে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে না থেকে সঠিক বিষয়টি জেনে নিতে হবে।

ভগবান বুদ্ধ বনবাস এর জন্য বনে অবস্থান করছিলেন তখন একটি হাতি ভগবান বুদ্ধের সেবা যত্নে লিপ্ত হয়। হাতিটি সব সময় ভগবান বুদ্ধের আশেপাশে থাকতো। তাকে খাবার এনে দেওয়া থেকে শুরু করে তার সুরক্ষার সকল কার্যক্রম করতো। এই বিষয়টি দেখে একটি বানর ভগবান বুদ্ধের সেবা করার ইচ্ছা পোষণ করে যার ফলে সে ভগবান বুদ্ধ কে মৌচাক সহ মধু এনে দেয়।

প্রথম অবস্থাতে ভগবান বুদ্ধ সে মধু নিতে চাই না। কারণ মৌচাকের মধ্যে অনেকগুলো মৌমাছি ছিল। এরপরে বানর এ বিষয়টি বুঝতে পারে এবং সে মৌচাক থেকে মৌমাছি গুলোকে পরিষ্কার করে এরপরে ভগবান বুদ্ধ কে দেয়। তখন ভগবান বুদ্ধ মৌচাক সহ মধু টি নিয়ে মধুগুলো পান করে এবং বানরটি অনেক বেশি খুশি হয়। তখন বানরটি গাছের এক ডাল থেকে অন্য ডালে আনন্দে ঘুরে বেড়াই।

এই অবস্থায় হঠাৎ একটি গাছের ডালে লেগে মাটিতে পড়ে যায়। তখন সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। ভগবান বুদ্ধকে মধুদান এবং ভগবান বুদ্ধের প্রতি তার ভালোবাসা মৃত্যু বরণ করার পরে বানর স্বর্গে ৩০ যোজন বিস্তৃত বিমান ও সহস্র সম্মান লাভ করল। প্রতিবছর এই ঘটনাটিকে মনে করেই মধু পূর্ণিমা পালন করা হয়। ঠিক এই বছরও ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৮ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা পালন করা হবে।

মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি

বছর শুরু হওয়ার আগে সাধারণত বাংলাদেশ সরকার দ্বারা ছুটির তালিকা তৈরি করা হয়। এই ছুটির তালিকা তে বিভিন্ন ধর্মের আচার অনুষ্ঠানগুলো অবস্থান করে। যেহেতু বাংলাদেশে বেশ কিছু ধর্মের মানুষ বসবাস করে তাই সকল ধর্মের আচার অনুষ্ঠানগুলোকে প্রাধান্য দিয়েই ছুটির তালিকা তৈরি করা হয়। মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি? অনেকেই এই বিষয়টি জানেনা।

আরো পড়ুনঃ দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম - দোল পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের যে সকল গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর মধ্যে মধু পূর্ণিমা হলো অন্যতম। যেহেতু বাংলাদেশের সকল ধরনের মানুষদের সমানভাবে সম্মান দেওয়া হয়। সেও তো অবশ্যই তাদের ধর্মীয় মূল উৎসবকে সরকারি ছুটি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বের মানুষেরা এই দিনটিতে পূজা করে থাকেন।

মধু পূর্ণিমা পালনের কারণ

ইতিমধ্যেই ২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা? এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। আপনাদের সুবিধার্থে আবার বলে রাখি এই বছর সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখেই মধু পূর্ণিমা পালন করা হবে। তাই আপনি যদি কোনদিন আনন্দের মধ্যে থাকেন তাহলে স্পষ্ট ভাবে জেনে রাখুন যে সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখেই মধু পূর্ণিমা পালিত হবে।

ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে মধু পূর্ণিমা পালন করা হয়ে থাকে। সাধারণত এই দিনটি মধু এবং ভগবান বুদ্ধ এর সাথে সম্পর্ক যুক্ত। মধু পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর মানুষের কাছে খুবই শুভ একটি দিন। এই দিনে তারা নানা উৎসব, আনন্দ ও আয়োজন এর মধ্য দিয়ে পালন করে থাকেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষ মধু পূর্ণিমার দিন বুদ্ধ ও ভিক্ষুসংঘকে মধুদান করার জন্য উৎসবে মেতে ওঠেন।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মধুদানের এক আনন্দঘন পরিবেশ। বানরের মধুদান বৌদ্ধদের ইতিহাসে একটি সাধারণ ঘটনা মনে হলেও এই ঘটনা থেকে আমরা সেবা, ত্যাগ ও দানচিত্তের এক মহৎ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। বোনের মধ্যে থাকা একটি সামান্য বানর হয়ে ভগবান বুদ্ধকে মধু দান করে যেভাবে তার মহত্ত্ব এবং উদারতা ত্যাগ প্রকাশ করেছিল, এবং মধু দিয়ে সে তৃপ্তি পেয়েছে এবং আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছে।

কিন্তু এখনকার মানুষের কাছেও সে ধরনের উদারতা, ত্যাগ ও দানের মহিমা দেখা যাচ্ছে না। সাধারণত এখান থেকে মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই বিভিন্ন ধরনের আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেন মানুষ বানর থেকে শিক্ষা নিতে পারে যে কিভাবে মানুষকে দান করতে হয় এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। আশা করি মধু পূর্ণিমা পালনের কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আমাদের শেষ কথাঃ ২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে মধু পূর্ণিমা কয় তারিখ? ২৮ সেপ্টেমবর কি মধু পূর্ণিমা? মধু পূর্ণিমা কি সরকারি ছুটি? মধু পূর্ণিমা পালনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি বোধ ধর্মের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তাই সকলকেই জেনে রাখা উচিত। আশা করি আপনারা আজকের এই আর্টিকেল পড়ে উক্ত বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আরো পড়ুনঃ প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ - প্রবারণা পূর্ণিমার ইতিহাস

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের ধর্মীয় এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো জানতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। ২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url