OrdinaryITPostAd

ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয়

আমরা অনেকেই হয়তো পরিষ্কার ভাবে জানি না ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয়। আপনি যদি ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয় এ বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে না জানেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজ আমি এই আর্টিকেলে ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয়
যে সমস্ত বন্ধুরা ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয় এ বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে জানেন না তাদের আর্টিকেলটি বেশ উপকারে আসবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয় এ বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয়

ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয়

আজ আমি এই আর্টিকেলে ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয় এ বিষয়ে জানতে হলে আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো খুশি বা ফিরে আসা আর মিলাদুন্নবী (সাঃ) বলতে নবীজি (সাঃ) জন্মদিন বোঝায়। 

সহজ ভাষায় বলতে গেলে রাসূল (সাঃ) জন্ম বা আগমন বোঝায়। অশান্তি আর বর্বরতায় মগ্ন আরবে রাসূল (সাঃ) শান্তির দূত হিসেবে পৃথিবীতে আসেন। নবীজির পৃথিবীতে শুভ আগমনকেই ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) বলে। এ বিষয়ে কোরআন শরীফে যে আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয় সেগুলো হচ্ছে।  

  • আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন “আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি পালন কর যা তোমাদের সমস্ত ধন দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়। - (সূরা ইউনুস-৫৮) 
  • এবং “স্মরণ কর আল্লাহর নিয়ামতকে যা তোমাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে” -(সূরা বাক্বারা-২৩১) 
  • “হে হাবীব, নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি” -(সূরা আম্বিয়া-১০৯)

এই তিনটি আয়াতকে পর্যালোচনা করলে যে বিষয়টি পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে। আল্লাহ পাক হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আমাদের উপরে রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন। তাই এই দিনটাকে খুশিতে উদযাপন করা উচিত। খুশি বলতে গান-বাজনা করা না, খুশি বলতে নবীজির উপরে দুরুদ পাঠ করা এবং জিকির করা আল্লাহর এবাদত বন্দেগী করা। উক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয়।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী 

হিজরী বছরের তিন নাম্বার মাসের অর্থাৎ রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়। বাংলাদেশের মুসলমানরা এই দিনকে ঈদুল মিলাদুন্নবী বলে। আর পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কাছে এ দিন নবী দিবস নামে পরিচিত। এ দিনটি মুসলমানরা খুব আনন্দের সহিত পালন করে থাকে ঈদ মানে খুশি, নবীজির পৃথিবীতে আগমন উপলক্ষে এদিনটিকে খুব তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পালন করা হয়। 

আরো পড়ুনঃ রিজিক সম্পর্কে হাদিস - রিজিক নিয়ে আল্লাহর বাণী

এ দিবসটিতে কোরআন তেলাওয়াত, দুরুদ শরীফ পাঠ, মিলাদ মাহফিল, আল্লাহ পাকের কাছে নবী (সাঃ) এর জন্য প্রার্থনা করা এবং জিকির করা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ইত্যাদি কাজ মুমিন মুসলমানরা করে থাকে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয়।

ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা

ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। আরবি বছরের তৃতীয় মাসে ১২ তারিখে নবীজির জন্ম তারিখ, সে দিনে মুসলমানরা ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করে থাকে। ঈদ অর্থ খুশি বা ফিরে আসা। মক্কা যখন অশান্তি, বর্বরতা, অন্যায়, অত্যাচার এবং অন্ধকারে লিপ্ত ছিল তখন আল্লাহ পাক মানব কল্যাণের রহমত স্বরূপ পৃথিবীতে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে প্রেরণ করেন। 

এবং তিনি মক্কাসহ সারা জাহানে শান্তি ও ন্যায় বিচার স্থাপনে কাজ শুরু করেন এবং তিনি সফল হন। নবীজির এই আগমনের দিনটিকে স্মরণ করে রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা হয়। অনেকের এই ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে দ্বিমত আছে কিন্তু কোরআন শরীফের কিছু আয়াত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, আল্লাহপাক নবীজিকে মানবজাতির রহমত স্বরূপ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এবং এই দিনটি আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করা উচিত। 

আরো পড়ুনঃ ফি আমানিল্লাহ অর্থ কি - ফি আমানিল্লাহ এর জবাব কি

আনন্দ বলতে গান-বাজনা করো না বরং নবীজির নামে দুরুদ পাঠ করা জিকির করা এবং আল্লাহ পাকের ইবাদত বন্দেগী করা। নবীজি নিজে বলেছেন তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখতেন কারণ সোমবারে উনার জন্ম এবং এই দিনেই তিনি নবুয়াত লাভ করেন শুধু তাই না এই তারিখেই নবীজির উপরে আল কোরআন নাযিল হয়। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয় ও ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে আলোচনা।

ঈদে মিলাদুন্নবী ইতিহাস

ঈদ অর্থ খুশি আর ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থ নবীজি (সাঃ) এর জন্মদিন। মক্কা যখন বিভিন্ন ধরনের অন্যায়-অবিচারে লিপ্ত ছিল তখন আল্লাহ পাক মানব কল্যাণ নবীজি (সাঃ) কে পৃথিবীতে পাঠান। সেদিনটি ছিল ১২ই রবিউল আউয়াল আর সেজন্যই মুসলমানরা সেদিনটিকে আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করে। ইতিহাসবিদদের মতে মিশরের ফাতেমীয়া শাসকরা ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদুল মিলাদুন্নবী পালন করতেন। 

এবং ঈদুল মিলাদুন্নবীর প্রচলন শুরু হয় চতুর্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে। রাসুল (সাঃ), হজরত আলী (রা), হজরত ফাতিমা (রা), ইমাম হাসান (রা) ও ইমাম হুসাইন (রা)-এর জন্মোৎসব উদযাপনের মূল প্রবর্তক ছিলেন খলিফা মুইজলি দীনিল্লাহ্। ইবনে জারির সূত্র মতে আব্বাসীয় খলিফাদের যুগে বাদশাহ্ হারুনুর রশীদের মাতা খায়জুরান বিবি ১৭৩ হিজরিতে মদিনা শরিফে নবীজির রওজা জিয়ারত এবং মক্কায় নবীজি যে ঘরে জন্মগ্রহণ করেন সে ঘরে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করেন। 

আরো পড়ুনঃ কেউ দোয়া চাইলে সংক্ষেপে কি বলতে হয় জেনে নিন

সিরাতুন্নবী গবেষক ও ইতিহাসবিদরা মনে করেন ইরাক অঞ্চলের ইরবিল প্রদেশের শাসক আবু সাঈদ মুজাফফর উদ্দীন কুকুবুরী সর্বপ্রথম ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের প্রথা চালু করে। সেই হিসেবে জানা যায় ৬০৪ হিজরি থেকে ঈদে মিলাদুন্নবী আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। আমি উক্ত আলোচনায় খুব সংক্ষেপে ঈদে মিলাদুন্নবী ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

উপসংহার

আমি এই আর্টিকেলে ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন পালন করা হয় এবং ঈদে মিলাদুন্নবী ইতিহাস ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url