OrdinaryITPostAd

২৭ আগস্ট কি দিবস - ২৭ আগস্ট ২০২৩ ইতিহাসের এই দিনে

২৭ আগস্ট কি দিবস সে সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি জানতে চান যে, ২৭ আগস্ট কি দিবস তাহলে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি মনোযোগের সহিত পড়লে, আপনি জানতে পারবেন ২৭ আগস্ট কি দিবস।

পেজ সূচিপত্র: ২৭ আগস্ট কি দিবস - ২৭ আগস্ট ২০২৩

ভূমিকা 

মাঝে মাঝেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বদ্ধভূমির আবিষ্কার করা হয়। অর্থাৎ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কত মানুষকে যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নৃশংস হত্যা করেছে তার কোন ইয়াত্তা নেই। তারই ধারাবাহিকতায়, খুলনার দিঘলিয়ায় গণকবর আবিষ্কার করা হয়। দিঘলিয়ায় গণকবর আবিষ্কার হওয়ার পরে দিঘলীয়া গণহত্যার বিষয়টি মানুষের সামনে উঠে আসে। যাইহোক ২৭ আগস্ট কি দিবস পালন করা হয়? বা ২৭ আগস্ট কি দিবস বাংলাদেশ, সেই বিষয় সম্পর্কে বক্ষমান আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। 

২৭ আগস্ট কি দিবস - ২৭ আগস্ট কি দিবস বাংলাদেশ

২৭ আগস্ট কি দিবস বাংলাদেশ সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই ২৭ আগস্ট কি দিবস, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য শেষ পর্যন্ত পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগের সহিত পড়ুন। আশা করি আপনি যদি, এই আর্টিকেলটি মনোযোগের সহিত পড়েন তাহলে, ২৭ আগস্ট কি দিবস বাংলাদেশ বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তো দেরি না করে আসুন দেখে নেয়া যাক, ২৭ আগস্ট কি দিবস বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত।

যে কোন দিবস পালন করার পিছনে অবশ্যই কোন না কোন কারণ, ঘটনা বা উদ্দেশ্য থাকে। তাই ২৭ শে আগস্ট "দিঘলিয়া গণহত্যা দিবস" পালন করার পিছনে একটি ঘটনা রয়েছে। অন্যান্য ঘটনার চেয়ে দিঘলিয়ার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি অনেক বেশি নৃশংস এবং ট্রাজেডিময়। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসের ২৭ তারিখে দিঘলিয়ায় কি ঘটনা ঘটেছিল, সেই সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪ মাস পূর্বে পাকিস্তানি বাহিনী এবং রাজাকার বাহিনী খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলায় নৃশংস একটি হত্যাকাণ্ড চালায়। বাংলাদেশী রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনী সেদিন ৬১ জন বাঙালীকে হত্যা করে। সেই হত্যাকাণ্ডকে স্মরণ করতেই প্রতিবছর আগস্ট মাসের ২৭ তারিখে "দিঘলিয়া গণহত্যা দিবস" পালন করা হয়।

সুতরাং ২৭ আগস্ট কি দিবস বা ২৭ আগস্ট কি দিবস বাংলাদেশ? সঠিক উত্তর হলো: ২৭ আগস্ট। ২৭ আগস্ট কি দিবস বা ২৭ আগস্ট কি দিবস বাংলাদেশ, আশা করি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পেরেছেন। নিচে ২৭ আগস্ট ২০২৩ বাংলা কত তারিখ সে বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। 

২৭ আগস্ট ২০২৩

পূর্বেই বলা হয়েছে যে, ২৭ আগস্ট ২০২৩ "দিঘলিয়া গণহত্যা দিবস"। সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সকলকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করলেও সৌভাগ্যক্রমে একজন বেঁচে যায়। শরীরে ১৯ টি আঘাতের পরেও তিনি বেচে ছিলেন। তোর ২৭ আগস্টের সেই নির্মম গণহত্যা কে স্মরণ করার জন্যই প্রতিবছর ২৭শে আগস্ট খুলনাবাসী "দিঘলিয়া গণহত্যা দিবস" পালন করে থাকে। 

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জন সাধারণকে পাখির মতো নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। আর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাংলাদেশের ভেতরে এ ধরনের নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটানোর জন্য তৎকালীন রাজাকার বাহিনী সার্বিকভাবে সহায়তা করেছে। দিঘলিয়ায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তার পেছনের কারণ হলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জানতে পেরেছে যে, ডাক্তার শেখ মতিউর রহমানের ছেলে শেখ আবরার রহমান, তার সহযোগীদের কে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। 

এমন সংবাদ পাকিস্তানি সেনাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা দিঘলীয়য় অপারেশন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সেই উদ্দেশ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজাকারদের সহায়তায় ভোররাতেই, দিঘলিয়া গ্রামটি ঘিরে ফেলে। ছোট্ট দিঘলিয়ায় সেদিন সেনাবাহিনীর নির্মম অত্যাচারের কারণে দিঘলিয়াবাসীর আত্মচিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। 

তারা পুরো গ্রামটি ঝেড়ে ফেলার পরে শেখ আবরার রহমানকে অনুসন্ধান করতে থাকে। এবং গ্রামের ৬১ জন মানুষকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, তাদের সকলকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শেখ আবরার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে শেখ আবরার সম্পর্কে কেউই মুখ খোলেনি তারা আপনার সম্পর্কে তথ্য দেয়ার পরিবর্তে দেশের জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দেওয়া কি শ্রেষ্ঠ মনে করেছিল। 
গ্রামের কেউই আবরার সম্পর্কে মুখ খোলেনি। এর ফলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। এর ফলে তারা গ্রেফতারকৃত সকলকেই নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি অধিকাংশ লাশ তারা নদীতে ফেলে দেয়। আর বাকি লাশ গুলোকে গন কবর দেওয়া হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে যান। 

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া  সৈয়দ আবুল বাসার জানান, সেদিন পাকিস্তানি বাহিনী আমাদের গ্রামে ঢুকে শেখ মতিয়ার রহমান, শেখ রহমত আলী পিরু, মো. আলী শেখ, ভাগ্নে শেখ ইসমাইল হোসেন ছোট খোকা, আব্দুল জলিল, আব্দুল বারেক, হোসেন সরদার, মো. আজিম হোসেন এবং সাত্তার শেখ সহ মোট ৬১ জন ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায়।

এরপরে তাদেরকে সারিবদ্ধ হবে দাঁড় করিয়ে, সকলকেই গুলি করে হত্যা করা হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে শুধু আবুল বাশার বেঁচে যান। তবে তাকেও অনেক আঘাত করা হয় তার শরীরেও ১৯টিরও বেশি আঘাত করা হয়। এখানে নিহত অধিকাংশের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় এবং কিছু ব্যক্তিদের লাশ গণকবর দেওয়া হয়। 

২৭ আগস্ট কি দিবস বা ২৭ আগস্ট কি দিবস বাংলাদেশ, আশা করি তা জানতে পেরেছেন। কেননা উপরে এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। নিচে ২৭ আগস্ট ২০২৩ বাংলা কত তারিখ, সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। 

২৭ আগস্ট ২০২৩ বাংলা কত তারিখ

২৭ আগস্ট ২০২৩ বাংলা কত তারিখ, তা জানতে চাইলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনাকে মনোযোগের সহিত পড়তে হবে মনোযোগের সহিত যদি আপনি এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে জানতে পারবেন যে, ২৭ আগস্ট ২০২৩ বাংলা কত তারিখ। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, ২৭ আগস্ট ২০২৩ বাংলা কত তারিখ? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। 

২৭ আগস্ট ২০২৩ বাংলা কত তারিখ? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো: ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের ৯ তারিখ। ২৭ আগস্ট ২০২৩ বাংলা কত তারিখ, আশা করি সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়েছেন। ২৭ আগস্ট কি দিবস বাংলাদেশ, সেই বিষয়ে ইতোমধ্যে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। দিঘলিয়া গণহত্যা দিবস, সম্পর্কে যদি আপনি আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগের সহিত পড়তে থাকুন। 

শেষ কথা

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে, পাকিস্তানি সেনারা স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় দিঘলিয়ায় মরণ কামড় দিয়েছে। তাই বাংলাদেশের গণহত্যার যতগুলো ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো দিঘলিয়ার সেই ঘটনাটি। 

আপনি যদি প্রথম থেকে এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই ২৭ আগস্ট কি দিবস বাংলাদেশ এবং ২৭ আগস্ট ২০২৩ বাংলা কত তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। দীঘলিয়ার সেই ঘটনাটি শুধুমাত্র খুলনা অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেই ঘটনাটি সারা বাংলাদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুধু খুলনা নয়, দিঘলিয়া দিবস সারা বাংলাদেশেই পালন করা উচিত। দিবস সারা বাংলাদেশে পালন করা উচিত কিনা সেই সম্পর্কে আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিতে পারেন।
মুক্তিযুদ্ধের আরও ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। কেননা এই ওয়েবসাইটটিতে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য বিভিন্ন সময় তুলে ধরা হয়। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন।  ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • 25891 habib
    25891 habib ০১ সেপ্টেম্বর

    ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url