OrdinaryITPostAd

আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল - আশুরার ইতিহাস

আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল? সাধারণত আমরা বেশিরভাগ মুসলিম এ বিষয়টি জানিনা। আশুরা হচ্ছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল? সে সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের জেনে নিতে হবে। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল? সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

আপনি যদি আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল? আপনাকে অন্য কোন ঘটনা আছে সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে সঙ্গে থাকবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল? সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল

আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল

হিজরি বর্ষের ১২ টি মাস রয়েছে এর মধ্যে চারটি মাসকে আল্লাহতালা অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। এই চারটি মাসের মধ্যে অন্যতম একটি হলো মহররম মাস। এই মহররম মাসের ১০ তারিখ পালন করা হয় গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন আশুরা। আশুরার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল? নাকি আরো কিছু ঘটনা রয়েছে?

আরো পড়ুনঃ মহররম মাসের ১০ তারিখের ফজিলত - মহরম মাসের ফজিলত ও আমল

আশুরার দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আরবি "আশারা" শব্দ থেকে আশুরা শব্দটি এসেছে। আশারা অর্থ দশ আর আশুরা মানে দশম। ইসলামী পরিভাষায় আরবি বর্ষপঞ্জি হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলে। এ মাসের ১০ তারিখে কিছু বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। সে কারণেও মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়।

১। আল্লাহ তায়ালা এ দিন পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তার ইচ্ছায় এ দিনেই কিয়ামত ঘটবে।

২। মহান আল্লাহ আদি পিতা আদম আঃ কে এই দিন জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠান। আবার এই দিন আল্লাহ তাআলা আদম আঃ এর দোয়া কবুল করেন। এছাড়াও এ দিনেই সমগ্র মানবজাতির মা ও আদম আঃ এর স্ত্রী হাওয়া আঃ এর সঙ্গে আরাফার ময়দানে পৃথিবীতে প্রথম সাক্ষাৎ হয়।

৩। হজরত ইউসুফ আঃ এর ঘটনা সবার কাছে বিখ্যাত। তিনি ইয়াকুব আঃ এর পুত্র ছিলেন। তার ১২ জন ভাই ছিল। কিন্তু ১১ ভাই ষড়যন্ত্র করে তাকে কূপে ফেলে দেয়। তবে মহান আল্লাহর অনুগ্রহে এক বণিক দল তাকে উদ্ধার করে। এরপর মিসরে গিয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। এরপর ১০ মহররম দীর্ঘ ৪০ বছর পর তিনি পিতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

৪। আল্লাহর নবী নুহ আঃ এর জাতির লোকেরা আল্লাহর নাফরমানি করেছিল। বারবার সতর্ক করার পরও তারা আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায়। আল্লাহর শাস্তি মহাপ্লাবনে নিপতিত হয়। দীর্ঘ প্লাবন শেষে মহররমের ১০ তারিখে তিনি নৌকা থেকে ঈমানদারদের নিয়ে পৃথিবীতে নেমে আসেন।

৫। আল্লাহর প্রিয়নবী ইবরাহিম আঃ কে নমরুদ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিল। তিনি অগ্নিকুণ্ডে ৪০ দিন থাকার পর মহররমের ১০ তারিখ মুক্তি লাভ করেন।

৬। আল্লাহর আরেক নবী হজরত ইউনুস আঃ। তিনি জাতির লোকদের প্রতি হতাশ হয়ে পড়েন। নদী অতিক্রম করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান। আর তখন তাকে একটি বড় মাছ গিলে ফেলে। মাছের পেটে তিনি ৪০ দিন ছিলেন। এরপর ১০ মহররম আল্লাহর রহমতে মাছ তাকে নদীর তীরে ফেলে দেয় এবং তিনি মুক্তি লাভ করেন।

উপরে উল্লেখ করা ঘটনা গুলো আশুরার দিনে ঘটেছিল। এছাড়া আরো অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা রয়েছে। সাধারণত তাই আশুরার দিনটিকে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে আশুরার দিনে পৃথিবী ধ্বংস হবে। সাধারণত তাই প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই দিনটিতে রোজা পালন করতেন।

আশুরার ইতিহাস

আপনি কি আশুরার ইতিহাস সম্পর্কে জানেন? যেহেতু এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম জাতির জন্য তাই আমাদের সকলের আশুরার ইতিহাস সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। ইতিহাসে পাওয়া যায়, আশুরার দশ তারিখে অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের হাত থেকে আল্লাহতায়ালা বনী ইসরাঈলকে রক্ষা করেন। ফেরাউনের ওপর বিজয় দান করেন। এ জন্য দিনটিকে মুসলিম মিল্লাতের বিজয়ের দিন বলা হয়।

আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, "আর বনী ইসরাঈলকে আমি পার করে দিয়েছি নদী। তারপর তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে ফেরাউন ও সেনাবাহিনী, দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্দেশ্যে। এমনকি যখন তারা ডুবতে আরম্ভ করল, তখন বলল, এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে, কোনো মাবুদ নেই তাকে ছাড়া যার ওপর ঈমান এনেছে বনী ইসরাঈলরা।

বস্তুত আমি তারই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত। এখন একথা বলছ। অথচ তুমি ইতোপূর্বে নাফরমানি করেছিলে এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে। অতএব আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।" {সূরা ইউনুসঃ ৯০-৯২}

কোন এক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে যে, তারা হজরত আদম আঃ এর তওবা কবুল হওয়া সম্পর্কে আশুরার দিনের কথাই বলতেন। হজরত নূহ আঃ এর কিশতি বা নৌকা যেদিন জুদি পাহাড়ে থেমেছিল সেই দিনটি ছিল আশুরার দিন। এই রেওয়ায়েতও দুর্বল। তবে এটা ঠিক যে, একথা মুসনাদে আহমাদের একটি রেওয়ায়েতে এসেছে। কিন্তু তার সনদ দুর্বল।

আল্লাহ তালার নবী হযরত আইয়ুব আঃ দীর্ঘ ১৮ বছর কুষ্ঠরোগ ভোগ করার পর আরোগ্য লাভ করেছিলেন আশুরার দিন। হজরত ইউনূস আঃ ৪০ দিন মাছের পেটে থাকার পর মুক্তিলাভ করেন আশুরার দিন। ঘটনাক্রমে হজরত সোলায়মান আঃ সাময়িক রাজত্বহারা হন। আল্লাহতায়ালা তাকে আবারও রাজত্ব ফিরিয়ে দেন আশুরার দিনে।

আল্লাহ তায়ালা হজরত মুসা আঃ ও তার অনুসারী বনি ইসরাইলদের ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্ত করে পানির মধ্যে রাস্তা তৈরি করে দিয়ে পার করে দেন এবং ফেরাউনকে তার বাহিনী সহ সাগরে ডুবিয়ে মারা হয় আশুরার দিন। হজরত মুসা আঃ তুর পাহাড়ে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছিলেন আশুরার দিনে। আশুরার দিনে আল্লাহ তায়ালা হজরত ঈসার আঃ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছিলেন অর্থাৎ জন্ম হয়।

ইহুদিরা হযরত ইশা আঃ কে হত্যার ষড়যন্ত্র করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ফেরেশতা কর্তৃক সশরীরে আসমানে উঠিয়ে নেন এ দিনেই। কাবা শরিফ সর্বপ্রথম গিলাফ দ্বারা আবৃত করা হয়েছিল আশুরার দিন। পৃথিবীর অস্তিত্বের সঙ্গেও আশুরার দিনের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আশুরার দিনেই আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন আকাশমালা, মর্তজগৎ, পর্বতরাজি, লওহ-কলম ও ফেরেশতাদের।

আশুরার দিনে আল্লাহ নিজ আরশে আজিমে অধিষ্ঠিত হন। এভাবে পৃথিবীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ দিনের সম্পর্ক। আশুরার দিনে পৃথিবী ধ্বংস হবে। যেহেতু আশুরার দিন এত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে সাধারণত তাই আশুরার দিনকে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করি আশুরার ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন।

আশুরার দিনে করণীয় ও বর্জনীয়

আল্লাহতালার কাছে যে চারটি মাস সব থেকে বেশি গুরুত্ব পাই সেই চারটি মাসের মধ্যে অন্যতম হলো মহররম মাস। মহররম মাসের ১০ তারিখ পালন করা হয় আশুরা। আশুরার দিনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল? নাকি আরো অনেক ঘটনা ঘটেছিল সেগুলো সম্পর্কে জেনেছি। এ গুরুত্বপূর্ণ দিনে অর্থাৎ আশুরার দিনে করণীয় ও বর্জনীয় জেনে নেওয়া উচিত।

আরো পড়ুনঃ মহররম মাসের ১১ টি ফজিলত - মহরম মাসের ইতিহাস

আশুরার দিন করনীয়ঃ

আশুরার দিন রোজা রাখাঃ আশুরার দিন রোজা রাখলে এক বছরের সগিরাহ গোনাহ মাফের আশা করেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসের বর্ণনায় তা ওঠে এসেছে হজরত আবু কাতাদাহ রাঃ বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, আশুরার দিনের রোজার দ্বারা আমি আল্লাহর কাছে বিগত বছরের গুনাহ মাফের আশা রাখি। {মুসলিম, তিরমিজি}

আশুরায় রোজাদারকে ইফতার করানোঃ ইফতার করানো অনেক ফজিলত রয়েছে আমরা এ বিষয়ে অনেকেই জানি। আপনি যদি এই দিনটির ফলাফল পেতে চান তাহলে আশুরার দিনে নিজে রোজা রাখার পাশাপাশি রোজা পালনকারীদের ইফতার করানো উত্তম। দান, সাদাকাহ করা, গরিবদেরকে পানাহার করানো। ইয়াতিমের প্রতি সদয় ব্যবহার ও সহযোগিতা করা।

বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করুনঃ সম্পূর্ণ মহরম মাস এবং আশুরার দিন বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করা। কেননা এ দিন ও মাসের বিশেষ মুহূর্তে তাওবাহ এবং ইসতেগফারে আল্লাহ তাআলা পুরো জাতিকে ক্ষমা করে দেবেন। হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন, মহররম হলো আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসে এমন একটি দিন আছে, যাতে তিনি অতিতে একটি সম্প্রদায়কে ক্ষমা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অপরাপর সম্প্রদায়কে ক্ষমা করবেন। {তিরমিজি}

আশুরার দিন বর্জনীয় কাজঃ

১। হজরত ইমাম হুসাইন রাঃ স্মরণে কাল্পনিক তাযিয়া বা নকল কবর বানিয়ে মিছিল করা হয়। অবশ্যই এ সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

২। হায় হুসেন হায় আলি ইত্যাদি বলে চিৎকার করা এর সঙ্গে নিজেদের বুকে পেটে পিঠে ছুরি মেরে রক্তাক্ত করা থেকেও বিরত থাকা।

৩। আমাদের দেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায় ফুল দিয়ে সাজানো তাজিয়া মিছিল অথবা বাদ্যযন্ত্রের বাজনা দিয়ে মিছিল করা। এই সকল কাজ থেকে বিরত থাকা।

৪। আমরা অনেকেই আশুরার শোক প্রকাশের জন্য কারো এবং সবুজ কাপড় পড়ে রাস্তায় বের হয়। একজন মুসলিম হিসেবে এমনটা করা উচিত নয়।

৫। তাযিয়া মিছিল নামে পরিচিত কাঁধে অথবা যানবাহনে করে তাজিয়া নিয়ে মিছিল করা থেকে বিরত থাকা।

৬। নকল এসব তাযিয়ার সামনে হাতজোড় করে দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকা এবং এসব তাযিয়া বা নকল কবরে নজরানা স্বরূপ অর্থ দান করা থেকেও বিরত থাকা।

৭। অনেক সম্প্রদায়কে দেখা যায় নিজের শরীরে আঘাত করে রক্তাক্ত করে এবং নেশা করে বিভিন্ন কার্যকলাপ করে থাকে। এ সকল কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।

৮। হজরত ইমাম হুসাইন রাঃ এর নামে ছোট বাচ্চাদেরকে ভিক্ষুক বানিয়ে ভিক্ষা করানো। অনেকের বিশ্বাস ঐ বাচ্চা দীর্ঘায়ু হবে। এটা মহররম মাসের সবথেকে বড় কুফরি এবং কুসংস্কার।

আশুরার দিনের আমলসমূহ

উপরের আলোচনা থেকে আমরা আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল? নাকি আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল সেগুলো সম্পর্কে জেনেছি। যেহেতু মহররম মাসটি আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এই মাসের ১০ তারিখে আশুরা পালন করা হয় তাই আমাদের সকলের এই দিনটিতে আমল সমূহ জেনে রাখতে হবে।

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, নবি কারিম সাঃ ইরশাদ করেছেন "রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম সিয়াম হলো আল্লাহর মাস মহররমের সিয়াম। আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো রাতের নামাজ অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামাজ।" {সহিহ মুসলিমঃ ১১৬৩} আরো ইরশাদ হয়েছে রমজানের পর শ্রেষ্ঠ মাস হচ্ছে আল্লাহর মাস, যাকে তোমরা মহররম বলে থাক। {সুনানে কুবরা, সুনানে নাসাঈঃ ৪২১৬}

এক সাহাবি নবীজির কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লাহর রাসুল! রমজানের পর আপনি কোন মাসে সিয়াম পালন করতে বলেন? নবীজি বললেন, "তুমি যদি রমজানের পর সিয়াম পালন করতে  চাও, তাহলে মহররমে সিয়াম পালন করো। কেননা, মহররম হচ্ছে আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একদিন আছে, যেদিন আল্লাহতায়ালা অতীতে অনেকের তওবা কবুল করেছেন। ভবিষ্যতেও অনেকের তওবা কবুল করবেন।" {জামে তিরমিযিঃ ৭৪১}

রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন মদিনায় আসলেন, তখন তিনি ফরজ হিসেবে আশুরার সিয়াম রাখলেন এবং সাহাবিদেরকে এই সিয়াম পালনের আদেশ দিলেন। এরপর যখন রমজানের সিয়াম ফরজ করা হলো, তখন তা আবশ্যক হয়ে গেল। ফলে আশুরার সিয়ামের আবশ্যকীয়তা রহিত হয়ে গেল। অতএব, যার ইচ্ছা সে এ সিয়াম পালন করবে এবং যার ইচ্ছা সে পরিত্যাগ করবে। {সুনানে আবু দাউদঃ ২৪৪২}

আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিলঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে আশুরায় কি শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল? আশুরার ইতিহাস, আশুরার দিনে করণীয় ও বর্জনীয়, আশুরার দিনের আমলসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ জিলহজ মাসের রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে জানুন

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অবশ্যই এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমরা নিয়মিত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করি।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url