OrdinaryITPostAd

আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ - ১৪৪৪ জিলকদ ক্যালেন্ডার ২০২৩

আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ এ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। অনেকেই আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ সম্পর্কে।

আপনারা যদি সম্পূর্ণ এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ এ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ

ভূমিকা

জিলকদ মাস কে আরবীতে জুলকাআদাহ বলা হয়। ফারসি ও উর্দুতে এটিকে জিলকাআদাহ বলা হলেও বাংলায় এটি জিলকদ মাস হিসেবে ব্যাপক পরিচিত ও ব্যবহারিত। এর অর্থ হল-বসা, স্থির হওয়া কিংবা বিশ্রাম গ্রহণ করা। কারণ এ মাসের আগের চার মাস যেমন ইবাদত বন্দেগীর মাস তেমনি এর পরের মাসে মুসলিম উম্মাহর বিশেষ এবাদত হজের মাস।
জিলকদ মাস বিশ্রামের মাস হলেও এ মাসে বিভিন্ন ধরনের রোজা পালন করতে হয়। যার কারণে আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ এই সম্পর্কে জেনে থাকা খুব জরুরী কারণ তারিখ না জানলে কোন দিন রোজা করবেন সে সম্পর্কে জানতে পারবেন না যেহেতু জিলকদ মাসে সোম ও বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার রোজা রাখতে হয় তেমনি তারিখ অনুযায়ী রোজা রাখতে হয়। এর জন্য অনেকে আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ এই সম্পর্কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকে। চলুন তাহলে দেরি না করে আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে নেওয়া যাক।

আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ

আমরা সবাই জানি আরবি মাস দেখা হয় চন্দ্রের উপর তাই একে চন্দ্র মাসও বলা হয়ে থাকে। অনেকেই আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ এ সম্পর্কে জানতে চায় কারণ জিলকদ মাসের রোজা সমূহ বা রমজান মাসের রোজার সাক্ষী হিসেবে যে ছয়টি রোজা করা হয় তার জিলকদ মাসে করা হয়। এজন্য এ মাসের তারিখ জানা প্রয়োজন। বাংলা বা ইংরেজি সাল বা বছরের মত আরবি সাল বা ক্যালেন্ডার আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আরবি বছর মোট ১২টি মাসের সমষ্টি নিয়ে গঠিত।
জি অর্থ ওয়ালা আর কাদাহ অর্থ বসা যেহেতু এ মাসটি সম্মানিত মাসের একটি, আরোগ্য এখানে যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধ করে বাড়িতে বসে থাকতো এই মাসকে শান্তির মাসে বলা হয়। কেননা এই সময়কালে কোন রক্তপাত দেখা যেত না এবং সেই থেকেই সময়কারকে জিলকদ মাস বলে অভিহিত করা হয়। তবে ক্ষেত্রবিশেষে আক্রান্ত হলে নিজেকে রক্ষা করা জায়েজ ছিল আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ আজ তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মুসলমান ব্যক্তির জন্য। আজকে জিলকদ মাসের কত তারিখ তা জানা সম্ভব ক্যালেন্ডার এর মাধ্যমে আপনার আর গুগলে সার্চ করলে ই জানতে পারবেন জিরকদ মাসের কত তারিখ বা আপনার বাড়িতে যে ক্যালেন্ডার রয়েছে সে ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে জানতে পারবেন আজকে কত তারিখ।

জিলকদ মাসের আমল

জিলকত মাসে সে সকল মাস সমূহের অন্যতম যেগুলোকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বয়ং সম্মানিত বা হারাম মাস বলে আখ্যায়িত দিয়েছেন। জিলকদ মাস হচ্ছে দুইদের মধ্যবর্তী মাস এবং এই মাসে সকল প্রকার যুদ্ধ বন্ধ থাকে এবং মুসলমানদের জন্য আল্লাহতালা এ মাস কে বিশ্রামের মাস ঘোষিত করেছেন।আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ এ সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি। চলুন এবার জেনে নিই জিলকদ মাসের আমলসমূহ। জিলকদ মাস বিশ্রামের মাস হলেও এ মাসেও কিছু আমল রয়েছে চলুন সে সম্পর্কে এবার আলোচনা করা যাক।
জিলকদ মাসের আমল গুলো হল:
  1. এই মাসের ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখ রোজা পালন করা।
  2. জিলকদ মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামের বীজের রোজা পালন করা।
  3. সোম ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সুন্নত রোজা পালন করা।
  4. কুরআন তেলাওয়াত করা ও সালাতুত তাসবিহ আদায় করা।
  5. সম্ভব হলে ওমরাহ পালন করা।
  6. হজের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
  7. কোরবানির প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

জিলকদ মাসের তাৎপর্য

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ সে সম্পর্কে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক জিলকদ মাসের তাৎপর্য সম্পর্কে। জিলকদ মাসের অনেক ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এই সময় আরবের লোকজন বাণিজ্য থেকে ফিরে আসত, যুদ্ধ থেকে ফিরে আসতো, তাই এই মাস বিশ্রামের মাস। ঋতুর পরিবর্তনে এই সময়টাই স্থানীয় আরবের লোকজনের হাতে তেমন কোন কাজ থাকতো না। আরব সংস্কৃতি অনুযায়ী তারা এ মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে বিরত থাকতো এবং অন্যায় অপরাধ থেকেও বিরত থাকতো। এসব কারণে এই মাসের নাম জিলকদ। আর তাই জিলকদ মাসে ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ। আর তাই জিলকদ মাসকেও নিষিদ্ধ চার মাসের মধ্যে ধরা হয়। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনে যে কয়টি ওমরা করেছেন তার সব কয়টি করেছে এ জিলকদ মাসে।
এ মাসে সংঘটিত হয়েছিল হুদাইবিহার সন্ধি ও বাইয়াতের রিদওয়ান। তবে এ মাসে নির্দিষ্ট কোন ফরজ ওয়াজিব ও সুন্নত এবাদত ও আমল নেই। মুসলিম উম্মাহো যেন ইবাদতের মাস গুলো অতিবাহিত করে সামনে হদ ও রোজার প্রস্তুতি নেওয়ার পথে কোন যুদ্ধবিগ্রহ তথা বিশ্রামের ঘাটতি না হয় সে কারণে এ মাসে সব ধরনের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ নিষিদ্ধ করে হারাম মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য আরবের লোকেরা তৎকালীন সময়ে ঝিলকদ মাসে বাণিজ্য থেকে ফিরে আসত এবং যুদ্ধ থেকে ফিরে আসত এবং বিশ্রাম গ্রহণ করত তাছাড়া ঋতুর পরিবর্তনে এই সময়টা স্থানীয় আরবদের লোকজনের হাতে তেমন কোন কাজও থাকতো না। আরব সংস্কৃতি অনুযায়ী তারা এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকতে এবং অন্যায় অপরাধ থেকে বিরত থাকতো এসব কারণেও এই মাসকে জিলকদ বলা হয়।

জিলকদ মাসের কত তারিখে রোজা রাখতে হয়

আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ এই নিয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেল। আর এ ধাপটিরমাধ্যমে জানতে পারবেন কত তারিখে রোজা রাখা যায়। জিলকদ মাস হচ্ছে মমিন ব্যক্তিদের জন্য বিশ্রামের মাস। কারণ দীর্ঘ রোজা এবং বিভিন্ন ইবাদত পালন করার পর এই মাসটি পড়ে দুই ঈদের মাঝখানে।  আর তাই মুমিন ব্যক্তিদের জন্য এই মাসটি বিশ্রামের মাস হয়ে থাকে। তবে জিলকদ মাসে ইবাদত করা যায়।

প্রতিমাসের মতো জিলকদ মাসেও ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখে নকল রোজা পালন করতে হয়। তবে চাঁদের ওপর ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বেদের আদি পিতা নবী হযরত আদম (আ.) সুন্নতে রোজা রাখা যায়। প্রতি সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নতি নববী রোজা পালন করা যায়। প্রতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা যায়। সালাতুল তাজবি এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে বেশি বেশি করে নফল নামাজও পড়া যায়। তাহলে বুঝতে পেরেছেন জিলকদ মাসের কোন কোন তারিখে রোজা রাখা যাবে।

আশা করি আজকের এই আজকের কি পড়ে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন আজ জিলকদ মাসের কত তারিখ এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট অর্ডিনারি আইটি ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url