রোজা ভঙ্গের ০৭ কারণ - রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহের হাদিস ও কাফফারা
আসসালামু আলাইকুম! আপনি কি রোজা ভঙ্গের কারণ হাদিস ও রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf সম্পর্কে জানেন? এই পোস্টে রোজা ভঙ্গের কারণ হাদিস ও রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই রোজা ভঙ্গের কারণ হাদিস ও রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়ুন।
এছাড়াও নফল রোজা ভঙ্গের কারণ ও রোজা ভঙ্গের দোয়া এবং রোজা ভঙ্গের কাফফারা নিয়ে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি ওযু ভঙ্গের কারণ নিয়েও জানতে পারবেন। যারা রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf ও রোজা ভঙ্গের কাফফারা সহ অন্যান্য বিষয়ে জানতে চান তাদের জন্য পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf ও নফল রোজা ভঙ্গের কারণ সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত পোস্টটি শুরু করি।
সূচিপত্র: রোজা ভঙ্গের কারণ - রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf
- রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf
- নফল রোজা ভঙ্গের কারণ
- রোজা ভঙ্গের কারণ হাদিস
- রোজা ভঙ্গের কাফফারা
- ওযু ভঙ্গের কারণ
রোজা ভঙ্গের কারণ - রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf
রোজা মুসলিম জাতির জন্য ফরজ কাজ। বিশেষ করে রমাদান মাসের রোজা ফরজ। তবে অনেকে এই রোজা ভঙ্গ নিয়ে নানান বিপাকে পড়েন। এই পোস্টে আমরা রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf জানবো। যারা রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf গুলো জানতেন না তাদের জন্য পাঠটি গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু রোজা ভঙ্গের অনেক বিধান রয়েছে সেহেতু রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf সবার জানা থাকা দরকার। তাই রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf জানতে পাঠটি গুরুত্ব সহকারে পড়ুন। চলুন দেখে নিই রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf ।
আরো পড়ুনঃ রোজার মাসে ওজন কমানোর ৭টি উপায়
সহবাস করা: রমজান মাসে যদি কেউ রোজা থাকা অবস্থায় সহবাস করে তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এমনকি এর জন্য কাফফারাও দিতে হবে।
বীর্যপাত: সহবাস ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে বীর্যপাত করলে তার রোজা ভঙ্গ হবে। তবে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
পানাহার: রোজা অবস্থান নাক বা মুখের মাধ্যমে পানি বা কোনো আহার পেটে গেলে কিংবা ঘ্রাণ জাতীয় ধোয়া পেটে গেলে রোজা ভঙ্গ হয়। তবে ভুলবশত করলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
খাদ্যনুরুপ: খাদ্য অনুরুপ কোনো কিছু শরীরে প্রবেশ করা। যেমন ইনজেকশন এর মাধ্যমে খাদ্য জাতীয় কোনো কিছু।
শিঙ্গা: শিঙ্গা লাগানো কিংবা শিঙ্গার পরিমাণ রক্ত বের করা। কেননা এরুপ হলে শরীর দুর্বল হয়। তবে পরীক্ষার জন্য সামান্য রক্ত নেয়া হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
বমি: ইচ্ছে করে বমি করলে রোজা ভঙ্গ হবে।
হায়েয ও নেফাস: মহিলাদের মাসিক ঋতু ও সন্তান প্রসব জনিত কারণে রক্তস্রাব।
উপরিউক্ত কারণে সাওম ভঙ্গ হতে পারে। তবে তা অবশ্যই ইচ্ছাকৃত বা সাওম সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। আশা করি আপনারা রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf বুঝতে পেরেছেন। নিশ্চয়ই এতক্ষণে রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf নিয়ে আর চিন্তার কারণ নেই। এছাড়া নফল রোজা ভঙ্গের কারণ ও রোজা ভঙ্গের দোয়া জানতে পরবর্তী অংশ গুলো পড়ুন।
নফল রোজা ভঙ্গের কারণ
নফল রোজা হলো ব্যাক্তি স্বেচ্ছায় বা নিয়ত করে রাখলে সেটা। এটা ব্যাক্তির জন্য ফরজ নয়। তাই এই রোজা ভঙ্গ হলে কোনো কাফপারা দিতে হবে না। রোজা সহবাস / পানাহার কিংবা বীর্যপাতের মাধ্যমে ভঙ্গ হতে পারে। এছাড়া আরো অনেক কারণও রয়েছে। তবে এই রোজা যদি ভঙ্গ হয় তবে কোনো গুন্নাহ হবে না। তবে এটা পরবর্তীতে কাযা হিসেবে রেখে দিলেই হবে। যেহেতু ফরজ রোজা নয় সেহেতু এর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
রোজা ভঙ্গের কারণ হাদিস - রোজা ভঙ্গের দোয়া
ইসলামে রোজা ভঙ্গ নিয়ে নানা হাদিস এর ব্যাখ্যা রয়েছে। নানা কারণে রোজা ভঙ্গ হয়। যেমন - সহবাস, পানাহার, বীর্যপাত, বমি, রক্তপাত, নেফাস, হায়েয, ইত্যাদি। সহবাস করলে রোজা ভঙ্গের মাসআলা: একটি দীর্ঘ হাদীসে আছে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমি রোযা রেখে স্ত্রী সহবাস করেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উপর কাফফারা আবশ্যক করেছিলেন [সহীহ বুখারী ৬৭০৯; জামে তিরমিযী ৭২৪; মুসনাদে আহমদ ২/২৪১] এছাড়া রোজা ভঙ্গ করা বা শেষ করতে হলে যে দোয়া রয়েছে অর্থাৎ ইফতার এর দোয়া। দোয়াটি হলো-
আরো পড়ুনঃ কেউ দোয়া করলে উত্তরে কি বলতে হয়
اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ- وَ اَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِيْمِيْن
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মালাকা ছুম-তু ওয়াআলা রিযক্বিকা-, ওয়া আফতা রতু বিরহ মাতিকা ইয়া আরহামার রহি-মিন।
রোজা ভঙ্গের কাফফারা
রোজা ভঙ্গের কাফফারা হিসেবে নানা মত বিমত রয়েছে। তবে হাদিসে এসেছে একমাত্র সহবাস করে রোজা ভঙ্গ হওয়া ছাড়া অন্য কোনো ভাবে ভঙ্গ হলে তার কাফফারা নেই। তবে এর জন্য উক্ত রোজার কাযা পূরণ করতে হবে ও মন থেকে আল্লাহ'র কাছে ক্ষমা চায়তে হবে। কাফফারা হিসেবে একটি রোজার বিনিময়ে একটি দাস মুক্ত করা কিংবা একটানা (বিরতি হীনভাবে) ৬০টি রোজা রাখা বা তাও সম্ভব না হলে ৬০জন মিসকিন খাওয়ানো।
ওযু ভঙ্গের কারণ
কোনো ইবাদত এর আগে যেটা ফরজ কাজ সেটা হলো ওযু। তবে এই ওযু অবশ্যই শুদ্ধ হতে হবে। তবে ওযু ভঙ্গের কারণ রয়েছে। নানা কারণে বা অজান্তে ওযু ভঙ্গ হতে পারে। ওযু ভঙ্গের কারণ হলো ৭টি। যথা-
- প্রসাব বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে কিছু বের হওয়া।
- রক্ত বা পুঁজ বেড়িয়ে মাটিতে গড়িয়ে পড়া।
- মুখ ভরে বমি করা।
- থুথুর সাথে সমপরিমাণ বা এর চেয়ে বেশি রক্ত বের হওয়া।
- চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম গেলে ওযু ভঙ্গ হবে।
- পাগল বা মাতাল হলে ওযু ভঙ্গ হয়।
- নামাজে উচ্চ আওয়াজে হাসি দিলে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থ সহ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url