OrdinaryITPostAd

মে দিবস অনুচ্ছেদ - মে দিবস বাংলাদেশ নিয়ে কিছু কথা

মে দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে মে দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি মে দিবস অনুচ্ছেদ রচনা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট মে দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ মে দিবস অনুচ্ছেদ - মে দিবস বাংলাদেশ

ভূমিকাঃ মে দিবস অনুচ্ছেদ - মে দিবস বাংলাদেশ

মে দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আমরা যারা মে দিবস সম্পর্কে ধারণা রাখি তারা অবশ্যই মে দিবস কেন পালন করা হয় এই বিষয় সম্পর্কে জানি। আজকের এই আর্টিকেলে মে দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এছাড়া মে দিবস বাংলাদেশ, মে দিবস কত তারিখে পালিত হয়? মে দিবস নিয়ে কিছু কথা বলা হবে আজকের এই আর্টিকেলে। তাহলে চলুন বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

মে দিবস অনুচ্ছেদ - মে দিবস অনুচ্ছেদ রচনা

মে দিবস যেহেতু আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন তাই বিভিন্ন শ্রেণীর পরীক্ষায় মে দিবস অনুচ্ছেদ রচনা লিখতে বলা হয়। এছাড়া স্কুল কলেজে মে দিবস অনুচ্ছেদ রচনা লেখার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুনঃ বিজয় দিবসের গুরুত্ব ২০২৩ - বিজয় দিবসের স্লোগান 

১লা মে কে সারাবিশ্বে মে দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিবসটি পালিত হওয়ার পেছনে এক রক্তাক্ত ইতিহাস জড়িত। বিশ্বের সব জায়গায় শ্রমিক শোষিত হচ্ছে ধনকুবেরদের কর্তৃক। তাই শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্ত দাবি আদায়ের জন্য ১৮৮৬ সালে আমেরিকায় এক শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক দেন।

প্রায় তিন হাজার শ্রমিক সংবলিত এক বিশাল র‍্যালির আয়োজন করা হয় ১২ ঘন্টার পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা কর্মকালের জন্য। ফলে মালিক শ্রেণির সাথে শ্রমিক শ্রেণির সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় চারজন শ্রমিক। ফলে ৪ মে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আন্দোলনের ডাক দেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো নগরীতে গণআন্দোলনের মাঝে আবার পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে আবার অনেক শ্রমিক নিহত হয়। এমনকি শেষ পর্যন্ত এটি বিশাল দালায় রূপ নেয়। আন্দোলনের সাথে জড়িত কয়েকজনকে দেয়। ১৮৮৭ সালের ১১ নভেম্বর আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এর ফলে বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

১৮৮৯ সালের জুলাই মাসে ফ্রান্সের প্যারিসে ইন্টারন্যাশন্যাল লেবার কংগ্রেসের আয়োজন করা হয় এবং এখানেই প্রতি বছর ১লা মে কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে শ্রমিকরা তাদের কার্যকাল কিছুটা কমাতে সমর্থ হয়। আন্দোলন ব্যতীত কখনোই অধিকার আদায় হয় না। মে দিবস অর্থাৎ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হল শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ দিন।

মে দিবস বাংলাদেশ

মহান মে দিবস হল বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা মে দিবস বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চায়। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে মে দিবস বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের শ্রমিকেরা ১২ ঘন্টার পরিবর্তে ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন ডেকেছিল।

সেই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে অনেক শ্রমিক নিহত হয়। তাদের আত্মত্যাগের কারণে পরবর্তীতে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগ এই দিনটি তখন থেকে সারা বিশ্বের কাছে মে দিবস হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের প্রতি বছর একই দিনে মে দিবস পালন করা হয়।

আরো পড়ুনঃ সংবিধান সংরক্ষণ দিবস - বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা কয়টি

বাংলাদেশের মে দিবসের একটি প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে। আগের বছরের মে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল " শ্রমিক মালিক একতা, উন্নয়নের নিশ্চয়তা"। মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী দিয়ে থাকেন। মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করে থাকেন।

এছাড়া বাংলাদেশের অনেক সরকারি বেসরকারি সংস্থা রয়েছে যারা শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রকম কর্মসূচি পালন করে থাকে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য অর্থাৎ শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন রকম কর্মসূচি পালন করা হয় এই দিনটিতে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে শ্রমিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মে দিবস কত তারিখে পালিত হয়?

মে দিবস কত তারিখে পালিত হয়? এ বিষয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এই দিনটি শ্রমজীবী মানুষদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমরা এখন মে দিবস কত তারিখে পালিত হয়? এর উত্তর হবে প্রতি বছর পহেলা মে দিবসটি পালন করা হয়।

প্রতি বছর মে মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ১লা মে এই দিনটিতে মে দিবস পালন করা হয়। এই দিনে ১৮৮৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকেরা ১২ ঘন্টা কাজের পরিবর্তে ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন করেছিল সেখানে অনেকগুলো শ্রমিক নিহত হয় তাদের এই আত্মত্যাগের কারণে পরবর্তীতে তাদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হয়।

সাধারণত তাই প্রতি বছর এই দিনটিকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য এবং এখনো অবহেলিত শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস অর্থাৎ মে দিবস পালন করা হয়। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও প্রতিবছর একই দিনে সরকারি ছুটি এর মধ্য দিয়ে এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই দিনটিতে মে দিবস পালন করা হয়।

মে দিবস নিয়ে কিছু কথা

মে দিবস নিয়ে কিছু কথা উল্লেখ করা হলো। আশা করি আপনি মে দিবস নিয়ে কিছু কথা জানতে চেয়েছেন। শ্রমজীবী মানুষের জন্য মে দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মে দিবস পালন করা হয়। তো নিচে মে দিবস নিয়ে কিছু কথা উল্লেখ করা হলো।

১। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এই দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

২। ১৯৪৮ সাল থেকে সরকারিভাবে ভারতের সারা বিশ্বের শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানাতে ১লা মে বাধ্যতামূলক সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব নৌ দিবস ২০২৩ - বিশ্ব নৌ দিবস কবে 

৩। এই দিনের দেশের প্রতিটি বিভাগের শ্রমিকেরা সম্মানিত হন। দেশ গঠনে তাদের অবদান স্বীকার করা হয়।

৪। প্রতিবছর এই দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়ে থাকেন।

আমাদের শেষ কথাঃ মে দিবস অনুচ্ছেদ - মে দিবস বাংলাদেশ

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে মে দিবস অনুচ্ছেদ রচনা, মে দিবস বাংলাদেশ, মে দিবস নিয়ে কিছু কথা, মে দিবস কত তারিখে পালিত হয়? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন ধন্যবাদ। ২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url