OrdinaryITPostAd

পহেলা বৈশাখ - পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ - একলা বৈশাখ রচনা, প্রতিবেদন

পহেলা বৈশাখ নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। পহেলা বৈশাখ হল বাংলা বছরের প্রথম দিন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিন। সাধারণত তাই বাঙ্গালীদের এই দিনটি নিয়ে অনেক আগ্রহ থাকে। আজকে আমরা সেই পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিভিন্ন রকম আলোচনা করব।

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এর জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ পহেলা বৈশাখ - পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ

ভূমিকাঃ পহেলা বৈশাখ - পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ

প্রিয় পাঠকগণ পহেলা বৈশাখ হল বাংলা বছরের প্রথম দিন এই দিনটি বাংলার মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই দিনটিতে বাঙালিরা বিভিন্ন রকম আচার অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ, পহেলা বৈশাখ চালু করেন কে? পহেলা বৈশাখ কে প্রবর্তন করেন? পহেলা বৈশাখ রচনা এবং পহেলা বৈশাখ প্রতিবেদন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পহেলা বৈশাখ চালু করেন কে - পহেলা বৈশাখ কে প্রবর্তন করেন

পহেলা বৈশাখ চালু করেন কে? এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। বিশেষ করে আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল এখন করছেন তারা নিশ্চয়ই পহেলা বৈশাখ কে প্রবর্তন করেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন কারণ এখন আমরা পহেলা বৈশাখ চালু করেন কে? এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ রচনা ৯টি - পহেলা বৈশাখ নিয়ে কিছু কথা

বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ চালু করেন সম্রাট আকবর। কৃষি কাজের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ সালে বাংলা সন প্রবর্তন করেন। ৫ নভেম্বর ১৫৫৬ তার সিংহাসন আরোহণের দিন হতে তা কার্যকর করা হয়। ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ মার্চ ৯৯২ হিজরীতে বাংলা স্বন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় থেকে।

তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারি যে পহেলা বৈশাখ প্রথম সম্রাট আকবর চালু করেন। এরপর থেকে যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় পহেলা বৈশাখ কে প্রবর্তন করেন তাহলে আপনি খুব সহজেই সম্রাট আকবরের নাম বলতে পারেন।

পহেলা বৈশাখ প্রতিবেদন

প্রিয় বন্ধুরা পহেলা বৈশাখ নিয়ে প্রতিবেদন আমাদের লিখতে হয় অনেক সময় না জেনে থাকার কারণে পহেলা বৈশাখ প্রতিবেদন আমরা লিখতে পারি না সাধারণত তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এখন পহেলা বৈশাখ প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করব। নিচে পহেলা বৈশাখ প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো।

১৪-০১-২০২৩

বরাবর,

প্রধান শিক্ষক

রাজশাহী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, রাজশাহী

রাজশাহী, কাজীহাটা

বিষয়ঃ পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন সম্পর্কে প্রতিবেদন।

জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে আমি আপনার বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে নিম্নোক্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করছি।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যবহুল একটি দিন। প্রতিবছরেই এ দিনটি অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একযোগে পালন করে থাকে বাংলা নববর্ষ। পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে সাদরে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের মাধ্যমে।

রাজশাহী মডেল স্কুল এন্ড কলেজে প্রতিবছর নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের উদ্দেশ্যে। নববর্ষের দিন সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের উদ্যোগে ছাত্র-ছাত্রীরা নববর্ষের র‌্যালি নিয়ে বের হয়। এ র‌্যালিটি বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরপর র‌্যালি নিয়ে সবাই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয় এবং নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা-ইলিশ খায়।

আরো পড়ুনঃ ইসলামের আলোকে পহেলা বৈশাখ - নববর্ষ পালন করা কি হারাম

বিদ্যালয়ের সৌজন্যে এ ছাড়াও নানা মুখরোচক খাবারের আয়োজন করা হয়। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর্ব শুরু হয়। যারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে তারা আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। এরপর বাংলা নববর্ষের সেই অমর সংগীত "এসো হে বৈশাখ, এসো এসো" গানটি সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।

পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ

প্রিয় বন্ধুরা আমরা এখন পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করব। আমরা ইতিমধ্যেই অনেকগুলো বিষয় আলোচনা করে এসেছি এখন পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আপনি জানতে চান তাই তো? তাহলে আপনার জন্য নিচে পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাস সুপ্রাচীন। পহেলা বৈশাখ একসময় গ্রামীণ জীবনের অংশ থাকলেও বর্তমানে গ্রাম এবং শহর উভয়েই সমানভাবে পালিত হয়। বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ চালু করেন সম্রাট আকবর। কৃষি কাজের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ সালে বাংলা সন প্রবর্তন করেন। ৫ নভেম্বর ১৫৫৬ তার সিংহাসন আরোহণের দিন হতে তা কার্যকর করা হয়।

১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ মার্চ ৯৯২ হিজরীতে বাংলা স্বন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় থেকে। পহেলা বৈশাখের বিশেষত্ব হলো ইলিশ মাছ। পান্তা ইলিশ নববর্ষে ঐতিহ্য। এই দিনে ধনি গরিব সকলেই পান্তা ভাত ইলিশ খেয়ে থাকে। বাংলাদের বিভিন্ন স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবেও পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়।

মূলত এ দিনটি পুরাতনকে ভুলে পুরনো দুঃখ কষ্ট শোক ভু্লে নতুন বছরের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করাই হলো দিনটির বিশেষত্ব। বাংলাদেশে নববর্ষের অন্যতম অংশ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। নববর্ষের দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা।

পহেলা বৈশাখ রচনা

এখন আমরা পহেলা বৈশাখ রচনা নিয়ে আলোচনা করব। অনেক সময় আমাদের পরীক্ষায় পহেলা বৈশাখ রচনা লিখতে বলা হয়। তখন আমরা অনেকেই পারে আবার অনেকে পারিনা তাই আজকের এই আর্টিকেলে এখন পহেলা বৈশাখ রচনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি এখান থেকে পহেলা বৈশাখ রচনা সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

ভূমিকাঃ পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনে একটি অন্যতম দিন। এই দিনে বাঙ্গালী জাতি দল-মত, ধনী-গরীব নির্বিশেষ উৎসবে মেতে উঠে। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাস সুপ্রাচীন। পহেলা বৈশাখ একসময় গ্রামীণ জীবনের অংশ থাকলেও বর্তমানে গ্রাম এবং শহর উভয়েই সমানভাবে পালিত হয়।

পহেলা বৈশাখের ইতিহাসঃ ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালের বাংলা নববর্ষ কবে - বাংলা নতুন বছর নববর্ষ ২০২৩

তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় ৫ই নভেম্বর ১৫৫৬ থেকে।

পহেলা বৈশাখ কিভাবে পালন করা হয়ঃ পহেলা বৈশাখের বিশেষত্ব হলো ইলিশ মাছ। পান্তা ইলিশ নববর্ষে ঐতিহ্য। এই দিনে ধনি গরিব সকলেই পান্তা ভাত ইলিশ খেয়ে থাকে। বাংলাদের বিভিন্ন স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবেও পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়। মূলত এ দিনটি পুরাতনকে ভুলে পুরনো দুঃখ কষ্ট শোক ভু্লে নতুন বছরের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করাই হলো দিনটির বিশেষত্ব। বাংলাদেশে নববর্ষের অন্যতম অংশ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। নববর্ষের দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মেলাঃ বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের উৎসবের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ নববর্ষ উদযাপন করা হয়। পহেলা বৈশাখের দিন যে মেলা বসে তাকে আমরা পহেলা বৈশাখের মেলা অর্থাৎ বৈশাখী মেলা বলে থাকে। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের দিকে বৈশাখী মেলা বেশি দেখা যায় তবে শহরে এখন বৈশাখী মেলা দেখা যাচ্ছে অনেক।

নতুন বছরের আগমনে মানুষের মনে যে আনন্দ শিহরণ জাগে সে আনন্দ জাগরণের বহিঃপ্রকাশই বৈশাখী মেলা বা পহেলা বৈশাখ। এটি কোনাে বিশেষ ধৰ্মাৰ্চনার মেলা নয়। এটি বাঙালির প্রাণের মেলা।

উপসংহারঃ পহেলা বৈশাখ হল বাঙ্গালীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনটিতে বাঙালিরা বিভিন্ন রকম ভাবে উদযাপন করে থাকে। কারণ বছরের প্রথম দিন অতীতের সব দুঃখ ভুলে সাধারণত নতুন করে শুরু করার জন্যই এই দিনটিকে উদযাপন করা হয়ে থাকে। এটি শুধু বাঙ্গালীদের সংস্কৃতির সাথেই যায় তাই বাঙ্গালীদের একান্তই ব্যক্তিগত উৎসব এটি।

আমাদের শেষ কথাঃ পহেলা বৈশাখ - পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ

প্রিয় পাঠকগণ আজকেরে আর্টিকেলে পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ, পহেলা বৈশাখ প্রতিবেদন, পহেলা বৈশাখ রচনা, পহেলা বৈশাখ চালু করেন কে? এবং পহেলা বৈশাখ কে প্রবর্তন করেন? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না বলে থাকেন তাহলে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ধন্যবাদ। ২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url