ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় বিস্তারিত জেনে নিন

আপনি কি ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় এবং শনিবারে মারা গেলে কি হয় আবার শুক্রবার মারা গেলে কি হয় ইত্যাদি অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

নিচে আপনাদের জন্য শনিবারে মারা গেলে কি হয়, শুক্রবার মারা গেলে কি হয় এবং ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনারা খুব সহজেই ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় তা জেনে নিতে পারবেন। তাই দেরি না করে এখনই জেনে নিন ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় সে সম্পর্কে।

শনিবারে মারা গেলে কি হয়

আমাদের সমাজে শনিবার এবং মঙ্গলবার নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলে থাকেন।অনেকে মনে করেন শনিবার এবং মঙ্গলবার শুভ নয়। এই দিনে কোন শুভকাজ করা ঠিক হবে না। কিন্তু এগুলো আসলে কুসংস্কার। আল্লাহর দিন সবগুলোই এক একই রকম। শনিবার মঙ্গলবার প্রতিটি দিনই শুভ দিন। অনেকে আবার মনে করেন শনিবারে মারা গেলে কি হয়।

আরো পড়ুনঃ মসজিদে প্রবেশের দোয়া ও মসজিদ থেকে বের হওয়ার দোয়া

যেহেতু সমাজে প্রচলিত রয়েছে শনিবার একটি অমঙ্গল কর দিন। তাই শনিবারে মারা যাওয়া মোটেও শুভ নয়। কিন্তু এই বিষয়টি একেবারে ভুল ধারণা। আপনার যদি পর্যাপ্ত আমল থাকে এবং আপনি যেকোনো দিনে মারা গেলে আপনার কোন কিছুই হবে না। আপনার পর্যাপ্ত আমল থাকলে আপনি শনিবারে মারা গেলেও আপনার কবরে কোন আজাব হবে না এবং আপনি পরবর্তীতে জান্নাতি হবেন।

শুক্রবার মারা গেলে কি হয়

অনেকেই মনে করে থাকেন যে শুক্রবারে মারা গেলে বিনা হিসেবে জান্নাত পাওয়া যায়। তবে একথার কতটুকু সত্যতা রয়েছে সে সম্পর্কে আপনি কি জানেন। আপনি কি জানেন শুক্রবারে মারা গেলে কি হয়। অনেক মুসলমান ব্যক্তি এটা মনে করে থাকেন যে শুক্রবারে মারা গেলে বিনা হিসেবে জান্নাত দেওয়া হবে। তবে এ কথার কোন ভিত্তি নেই যে শুক্রবারে মারা গেলে বিনা হিসেবে জান্নাত দেওয়া হবে।

আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের নামাজ কবে ও কত রাকাত

তবে এতোটুকু প্রমাণিত হয়েছে যে শুক্রবারে কেউ মারা গেলে তার প্রতি কবরের আজাব তুলে নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেন, " যেকোনো মুসলমান ব্যক্তি জুমার দিনে মৃত্যুবরণ করলে নিশ্চয়ই কবরের খেতে না থেকে আল্লাহ তাআলা তাকে বাঁচিয়ে রাখবেন। (তিরমিজী, হাদিস নং: ১০৯৫, মিশকাত, হাদিস নং:১৩৬৭)।

ঈদের দিন মারা গেলে কি হয়

ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় - অনেকে মনে করে থাকেন যে ঈদের দিন কোন মুসলমান ব্যক্তি মারা গেলে তার কবরের আজাব মাফ হয়ে যায় এবং বিনা হিসেবে জান্নাত দান করা হয়। তবে ধারণাটি একদম সঠিক নয়। জান্নাত লাভ এতটাও সহজ নয়। ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় সে সম্পর্কে কোনরকম হাদিস পাওয়া যায় না। আর ঈদের মারা গেলে জান্নাত পাওয়া যায় এটাও সত্যি কথা না।

আরো পড়ুনঃ সকল ধরনের নামাজ পড়ার পূর্ণাঙ্গ নিয়ম

তবে ঈদের দিন সম্পর্কে এধরণের কোন হাদিস না থাকলেও জুমার দিন অর্থাৎ শুক্রবার সম্পর্কে এধরণের একটি হাদিস রয়েছে যে শুক্রবারের দিন বা রাতে কেউ মারা গেলে তার কবরের আজাব মাফ করে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেন, " যেকোনো মুসলমান ব্যক্তি জুমার দিনে মৃত্যুবরণ করলে নিশ্চয়ই কবরের খেতে না থেকে আল্লাহ তাআলা তাকে বাঁচিয়ে রাখবেন। (তিরমিজী, হাদিস নং: ১০৯৫, মিশকাত, হাদিস নং:১৩৬৭)। তবে পরবর্তীতে আবার আজাব ফিরে আসবে কি না সে সম্পর্কে নিশ্চয়তা নেই। আশা করি ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন কবরের প্রশ্ন কয়টি জেনে নিন।

কবরের প্রশ্ন কয়টি

প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে মৃত্যুর পর কবরে তিনটি প্রশ্ন করা হবে। এখন এই তিনটি প্রশ্ন কি কি তা আমাদের প্রত্যেক মুসলমানের জানা উচিত। প্রশ্ন তিনটি হচ্ছে - মান রাব্বুকা? ওয়া মান দিনুকা? ওয়ামান নাবিয়ুকা? অর্থাৎ তোমার রব কে? তোমার দিন কী এবং তোমার নবী কে? এই তিনটি প্রশ্ন করা হবে কবরে। যারা ইমান আনবে আমল করবে তারা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। আর যারা ইমান আনেনি আমল করেনি তারা পারবে না। তাই এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে ইমান আনুন এবং আমল করুন। আশা করি কবরের প্রশ্ন কয়টি করবেন তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন কবরের আজাব থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন।

কবরের আজাব থেকে মুক্তির উপায়

কবরের আজাব থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে একটাই সেটা হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্য হওয়া এবং ইবাদত করা। কবরের আজাব থেকে বাচতে চাইলে আপনাকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। রমজান মাসের রোজা পালন করতে হবে, যাকাত দিতে হবে। সামর্থ্য থাকলে হজ আদায় করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে যা নিষেধ তা করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যেগুলো ফরজ করে দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে তাহলেই আপনি কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবেন।

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে এছাড়াও জানতে পেরেছেন কবরের আজাব থেকে মুক্তির উপায়, কবরের প্রশ্ন কয়টি এবং ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় সকল বিষয় সম্পর্কে। আশা করি সকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এ ধরনের তথ্য বেশি বেশি জানতেও পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, ধন্যবাদ। 21021.