২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দে অনুচ্ছেদ রচনা ও ভাষণ
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ লিখতে হয়। বিশেষ করে যারা রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তাদের জন্য স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ - স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা
স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা ২০২৩
আমরা জানি যে আমাদের বাঙ্গালীদের জীবনের স্বাধীনতা দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। কারণ স্বাধীনতা দিবসে আমাদের এই ছোট্ট বাংলাদেশ পায়হানাদার বাহিনীদের কাছ থেকে স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রকমের আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্বাধীনতা দিবসের রচনা প্রতিযোগিতা। এইজন্য স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ লেখার প্রয়োজন হয়।
আরো পড়ুনঃ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রচনা - জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ ১০০০ শব্দ
যারা রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তাদের কথা চিন্তা করে আজকের এই আর্টিকেলে স্বাধীনতা দিবস কবে? স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ, স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
স্বাধীনতা দিবস কবে?
আমাদের মধ্যে অনেক বাঙালি রয়েছে যারা স্বাধীনতা দিবস কবে? এ বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখেনা। যেহেতু স্বাধীনতা দিবস বাঙ্গালীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন তাই একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে আমাদের অবশ্যই স্বাধীনতা দিবস কবে? এই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
বাঙালি হিসেবে আমরা কম বেশি সকলেই জানি যে প্রতিবছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। কারণ ২৬ মার্চের প্রথম শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয় এর আগেই তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন। সাধারণত তখন থেকেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায় এবং তিনি বাঙ্গালীদের কে পায়খানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বলে।
স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ
আপনারা যারা রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চান স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ সম্পর্কে জেনে নিন এটি আপনার রচনা প্রতিযোগিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আপনার সুবিধার্থে স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ আলোচনা করা হলো।
ভূমিকা - পাকিস্তানি শাসকদের পূর্বে ২০০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পর বাঙালি জাতিকে দীর্ঘ ২৪ বছর পাকিস্তানি শোষকদের বর্বরোচিত শোষণের নির্মম শিকার হতে হয়। পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ বাঙালি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে মৃত্যুপণ সংগ্রাম শুরু করে।
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লক্ষ প্রাণ আর দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ বাংলাদেশ। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার পথে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর এই গৌরবময় দিনটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পরিচিত।
ঐতিহাসিক পটভূমির ধারাক্রম - ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ব্রিটিশ বেনিয়াদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে ভারত-পাকিস্তান দুইটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যোজন-যোজন দূরত্ব সত্ত্বেও শুধুমাত্র ধর্মের দোহাই দিয়ে পাকিস্থান ও বাংলাদেশ নিয়ে গঠিত হয় নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তান।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কেবল অর্থনৈতিক শোষণই নয় বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপরও নিপীড়ন শুরু করে। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। তখনই ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠনের মধ্য দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের প্রতি পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে শুরু করে।
১৯৫২ সালে উর্দুকে আবারও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রজনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামে। বর্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মিছিলে গুলি চালালে শহিদ হন রফিক, জব্বার, সালাম, বরকতসহ আরও অনেকে। শহিদদের এই পবিত্র রক্তই যেন বাঙালির হৃদয়ে স্বাধীন লাল-সবুজের পতাকার ছবি এঁকে দেয়।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বিশাল সমাবেশের ডাক দেন। সমাবেশের ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বলেন, "এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম" বলে যার ফলে বাংলাদেশের তৎকালীন জনগণেরা পাক হানাদার বাহিনীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
২৫ মার্চের অপারেশন সার্চলাইট - ২৫ মার্চের অন্ধকার রাতে বর্বর পাকিস্তানি পশুশক্তি নিরস্ত্র-ঘুমন্ত বাঙালির ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। সামরিক বাহিনীর বড় বড় অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে ইয়াহিয়া খান ঘোষণা করেন, "তিরিশ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা কর, তখন দেখবে তারা আমাদের হাত চেটে খাবে।"
সে পরিকল্পনা মতোই ২৫ মার্চের রাতে পাকিস্তানি আর্মি অপারেশন সার্চলাইট আরম্ভ করে যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেয়া। এরই অংশ হিসাবে সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হত্যা করা হয়, ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী সমাজ নিধন করা হয় এবং সারা বাংলাদেশে নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যা করা হয়।
আরো পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস কবে - জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ
পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ - ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইট নামে এদেশের নিরীহ মানুষের উপর গণহত্যা চালায়। তারা তৎকালীন ঢাকার ইউপিআর সদরদপ্তরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন আবাসিক হলে ছাত্র দের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় আশেপাশে যাদের পায় তাদের এ ক্রসফায়ার করে ঘটনাস্থলে মেরে ফেলা হয়।
তারা শুরু করে পৃথিবীর নৃশংসতম গণহত্যা। এরপর বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ক্রসফায়ার করে মেরে ফেলা হয়। এদেশের নিরীহ মা বোনদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। বীর বাঙালি তখন গেরিলা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে।
স্বাধীনতা অর্জন - ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এক তার বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে এম এ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের ঘোষণা পত্র পাঠ করেন।
উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য - স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের বাঙালিদের পাক হানাদার বাহিনীদের অত্যাচার থেকে মুক্ত করা। মানুষের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়সংগত অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় প্রতিষ্ঠা, শোষণ, বৈষম্য, অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত একটি সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।
জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম। স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশ জীবনে বয়ে আনে বিভিন্ন রকমের স্মৃতি। একদিকে হারানোর কষ্ট অন্যদিকে প্রাপ্তির আনন্দ। তবে শেষ পর্যন্ত সর্বস্ব হারিয়েও স্বাধীনতা প্রাপ্তির অপার আনন্দই বড় হয়ে ওঠে প্রতিটি বাঙালির কাছে। গৌরবোজ্জ্বল এই দিনটি প্রতিবছর আসে আত্মত্যাগ ও আত্মপরিচয়ের বার্তা নিয়ে।
স্বাধীনতা বনাম অপশক্তি - স্বাধীনতার পর বার বার সামরিক অভ্যুত্থান, হত্যা আর রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল, স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী দেশি ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের অপতৎপরতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, যুব সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা, বেকারত্বের হার, জনস্ফীতি, আইনশৃংখলার অবনতি, ঘুষ, দুর্নীতি ইত্যাদি অবক্ষয় স্বাধীনতার মূল্য লক্ষ্য বা চেতনাকে বিপন্ন করে চলছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কিছু অপশক্তি সব সময় লড়াই করে গিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের চেতনার কাছে তারা কখনোই টিকতে পারেনি। তারা বাংলাদেশের মানুষকে অত্যাচার করেছে বিভিন্ন রকম ভাবে নির্যাতন করেছে। বাংলাদেশের নারীদের ইজ্জত নিয়ে খেলা করেছে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
স্বাধীনতা দিবসে আমাদের করণীয় - স্বাধীনতা দিবসে শপথ নিতে হবে যে, বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতাকে জাতীয় জীবনে স্থিতিশীল করে রাখার শথপ নিয়ে দেশ ও জাতির জন্যে আমরা আমাদের কাজ করে যাব। স্বাধীনতা দিবসের চেতনাকে আমাদের জাতীয় জীবনের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশে একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই স্বাধীনতা দিবসের সত্যিকারের তাৎপর্য আমরা অনুধাবন করতে সক্ষম হব।
স্বাধীনতা দিবসে আমাদের করণীয় হলো যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কারণে প্রাণ দিয়ে এসে তাদেরকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করা। একজন মুসলিম হিসেবে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা। স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের বিভিন্ন রকম কর্মসূচি পালন করা হয় সেগুলোতে অংশগ্রহণ করা। আমাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে ধারণা নেওয়া।
উপসংহার - দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর লক্ষ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জন করেছে এই স্বাধীনতা। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে আমরা আমাদের জীবন দিয়ে রক্ষা করব। রুখে দাঁড়াবো স্বাধীনতার বিপক্ষে সকল অপশক্তিকে। সকলে মিলে একসাথে কাজ করে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে অনেক করুন ইতিহাস রয়েছে। যার জন্য অনেক নিষ্পাপ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়।
স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা
স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা - স্বাধীনতা এক অমূল্য সম্পদ। ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার গুরুত্ব অপরিসীম। ২৬-এ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস । আমাদের জীবনে স্বাধীনতা দিবস অত্যন্ত গৌরবময় তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সূচনা হয়, অবসান ঘটে তেইশ বছরব্যাপী চলা পাকিস্তানি অপশাসনের।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। কিন্তু জনগণের রায়কে উপেক্ষা করে পাকিস্তানি সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে। এদেশের সচেতন জনতা কিছুতেই তা মেনে নিতে পারেনি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে হামলা চালায় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর।
তারা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় পিলখানা, রাজারবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। মধ্যরাতের পর হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রেফতারের পূর্বেই, অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘােষণা করেন। তাঁর স্বাক্ষরিত ঘােষণা বার্তাটি তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ২৬ শে মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয় কবে, কত সালে জানুন
চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭-এ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নামে প্রচারিত হয় স্বাধীনতার ঘােষণা। সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির সংগ্রাম। এরপর গােটা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করে নয় মাসব্যাপী চলা বাঙালির বীরত্বপূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘটনাবলি। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি লাভ করে চূড়ান্ত বিজয়, লাভ করে মুক্তির স্বাদ।
স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ - স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনাঃ উপসংহার
স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা, স্বাধীনতা দিবস রচনা ১০০০ শব্দ, স্বাধীনতা দিবস কবে? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মধ্যে এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন তথ্যমূলক আর্টিকেলের সাথে সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন ভালো থাকুন ধন্যবাদ। ২০৮৭৬
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url