২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ ৯০০ শব্দের
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ অনেক সময় লেখার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ পরীক্ষায় চলে আসে। তাই আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
সূচিপত্রঃ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ
- আজ মহান স্বাধীনতা দিবস
- স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে উদযাপন করা হয়
- ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ
- স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি
- আমাদের শেষ কথাঃ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ
আজ মহান স্বাধীনতা দিবস
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস স্বাধীনতার ইতিহাস। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়। চলুন আজ মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস রচনা - ২৬শে মার্চ সম্পর্কে কিছু কথা
কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংহত করার নতুন শপথে বলীয়ান হওয়ার দিন আজ। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একের পর এক মাইলফলক অর্জন এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে মহিমান্বিত করেছে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিন ঢাকাসহ সারা দেশে প্রত্যুষে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। এ উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার মূল্যবান বক্তব্য রাখবেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিবেন তারপরে বিভিন্ন রকমের প্যারেড, আচার অনুষ্ঠান পালন করা হবে। সাধারণত এভাবেই প্রতিবছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। যেহেতু এটি বাংলাদেশের একটি জাতীয় দিবস তাই এই দিবস নিয়ে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়া বেসরকারিভাবে ও অনেক কর্মসূচি হয়ে থাকে।
স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে উদযাপন করা হয়
স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে উদযাপন করা হয়? বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রত্যেক বাঙালি জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য। প্রতিটি বাঙালির কাছে স্বাধীনতা দিবস একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ এই দিনের পর থেকে বাংলাদেশ সম্পন্নরূপের স্বাধীন হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছিল।
২৬ মার্চ বাংলাদেশকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর পরে বাংলাদেশ যখন বিজয় অর্জন করে এর পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটিতে বাংলাদেশের মানুষেরা বিভিন্ন রকমের কর্মসূচি পালন করে থাকে। যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা উদযাপন করে।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ
বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানা জরুরী। এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস তাই অনেক সময় পরীক্ষায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ চলে আসে। আপনারা যেন খুব সহজেই ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ লিখতে পারেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস কবে - জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ
২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জীবনঘাতী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গােলাবর্ষণ করা হয়। অনেক স্থানে নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানাে হয়। বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালানাে হয়। ২৫ মার্চ রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বে বঙ্গবন্ধু ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘােষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যা চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে পাঠানাে হয়। ২৬ মার্চ এই ঘােষণাপত্রটি চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান চৌধুরী পাঠ করেন। তখন থেকেই এ দিনটি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। পরে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান একই কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করেন।
স্বাধীনতা দিবসে সকল সরকারি ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে স্কুলের শিক্ষার্থীরা র্যালিতে অংশ নেয়। সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলােচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রভৃতির আয়ােজন করা হয়। এ দিন হাসপাতাল, এতিমখানা ও জেলখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে ২৬ মার্চ দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে ছুটির ঘোষণা করা হয়।
আমাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রতকরণে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশে বাঙালির চূড়ান্ত সশস্ত্র সংগ্রাম এ দিনেই শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘােষণায় সেদিন বাঙালি লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা পেয়েছিল বলেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। স্বাধীনতার চেতনায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে একটি আধুনিক, প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তােলার পথযাত্রায়।
স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি
স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি উল্লেখ করা হলো। স্বাধীনতা দিবসের দিনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধকে। সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতা দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
আরো পড়ুনঃ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রচনা - জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ ১০০০ শব্দ
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আমাদের শেষ কথাঃ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেল থেকে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ, স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে উদযাপন করা হয়? আজ মহান স্বাধীনতা দিবস এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে অবশ্যই আমাদের উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা উচিত।
আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এটি পরীক্ষায় উত্তর হিসেবে এবং প্রতিযোগিতায় ও আপনাকে সাহায্য করবে।২০৭৯১
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url