OrdinaryITPostAd

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য - জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ ১০০০ শব্দ

প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন স্বাধীনতা দিবস কি? যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। অনেকেই জানেনা স্বাধীনতা দিবস এর গুরুত্ব কতটুকু। স্বাধীন বাংলাদেশের আমাদের সকলের জানা উচিত স্বাধীনতা দিবস কি। যারা জানেন না তারা এই পর্বটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক স্বাধীনতা দিবস কি এবং স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য।
স্বাধীনতা দিবস কি
আমরা এতদিন জেনে এসেছি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। কিন্তু আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই জানে না স্বাধীনতা দিবস কি। আপনিও যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন স্বাধীনতা দিবস কি। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক স্বাধীনতা দিবস কি বিস্তারিত সহ।

পেজ সূচিপত্রঃ স্বাধীনতা দিবস কি

২৬ মার্চ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। কিন্তু অনেকেই জানেনা এই স্বাধীনতা দিবস কি। তাই আজকে এই পর্বে আলোকপাত করা হবে স্বাধীনতা দিবস কি। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। এই স্বাধীনতা নিয়ে আসেনি 30 লক্ষ তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক স্বাধীনতা দিবস কি এর সম্পর্কে কিছু কথা। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক রক্তাক্ত আনন্দের নাম। ২৬ মার্চ বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকা উড়ানোর দিন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এক তারবার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। সেই দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে এই স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন স্বাধীনতা দিবস কি।

২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস

আপনি কি জানেন ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস। আপনি যদি ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস পালন করবেন না জেনে থাকেন তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস। ২৬ শে মার্চ ২০২৩ সালে ৫৩ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করবে।স্বাধীনতা দিবস প্রত্যেক বাঙালির জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ গৌরবের দিন। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল এই দিনে। মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নিয়েছিলো। প্রতিবছরের ন্যায় এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস।

স্বাধীনতা দিবস রচনা

আপনি যদি স্বাধীনতা দিবস রচনা জানতে চান তাহলে আপনার জন্য এই পর্বটি। এই পর্বে আলোকপাত করা হবে স্বাধীনতা দিবস রচনা নিয়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে স্বাধীনতা দিবস রচনা প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। তাই চলুন স্বাধীনতা দিবস রচনা জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকাঃ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস একটি ঐতিহাসিক ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা। আমাদের জীবনে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। এটি নবপ্রত্যয় ও শপথ গ্রহণের দিন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দেশকে স্বাধীন করার জন্য বানিয়েছিল দীপ্ত শপথ। পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ এর থেকে নিজেদের মুক্ত করার জন্য এবং আপন পরিচয় খোঁজবার নিমিত্তে সেদিন বাঙালি গর্জে উঠেছিলো। দীর্ঘদিনের শোষণ নিপীড়ন ভেঙে গৌরবময় ইতিহাস যেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেদিন এ জাতির ভেতরে। তাই সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সেদিন বাঙালি অর্জন করেছিল স্বাধীনতার সোনালী সূর্য।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসঃ

বাংলাদেশের জন্য স্বাধীনতা দিবস আত্মত্যাগ ও আত্ম অহংকার এর একটি দিন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এদেশের মানুষ পৃথিবীর বুকে নতুন একটি মানচিত্রের সৃষ্টি করে। বাঙালি ব্যক্তির সমস্ত আকাঙ্ক্ষা সমন্বিত হয়েছিল সেদিন। সমস্ত জাতি যেন একই অঙ্গীকার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। আকাশের নক্ষত্ররাজি মত ছোট বড় হাজারো ঘটনার জন্ম হয়েছিল সেদিন। রক্তস্নাত হয়ে এই সবুজ শ্যামল বাংলা অন্যরূপে ছিল সে সময়। বাঙালির সে ক্ষনের বীরত্বের ইতিহাস চর্চিত হয়েছে বহুভাবে বহু স্থানে। ইতিহাস আজন্মকাল ধরে বাঙালির হৃদয়ে থাকবে।

স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযুদ্ধঃ

স্বাধীনতা অর্জনে এদেশের মানুষ সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস এদেশে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছে, অত্যাচারিত হয়েছে সম্ভ্রম হারিয়েছেন কয়েক লক্ষ মা বোন। আলবদর আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা পাকিস্তানীদের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। সর্বস্তরের মানুষ যখন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তখন দেশে রাজাকারদের তৎপরতায় বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছে প্রাণ দিয়েছে। বহু মুক্তিযোদ্ধাদের নিজেরা হত্যা করেছে। পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছে এই রাজাকার বাহিনি।
দেশের অভ্যন্তরেই শত্রুদের বিনাশ করে স্বাধীনতা অর্জন করতে একটি সামরিক পরিকল্পনা করে তৎকালীন মেহেরপুরের মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় অস্থায়ী সরকার। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হন কর্নেল এম এ জি ওসমানি। তার নেতৃত্বে এবং বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের মিত্র বাহিনীর তৎপরতায় ও সহযোগিতায় নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এ দেশ স্বাধীন হয়।

স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপটঃ

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়। অনেক স্থানের নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় এবং অনেক স্থানে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এমনতো অবস্থায় বাঙ্গালীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়।অনেক স্থানে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা না করেই অনেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাবার পর আপামর বাঙালি জনতা পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ভারতের অবিস্মরণীয় সমর্থনের ফলস্বরূপ দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়।

উপসংহারঃ

মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীনতার অধিকার প্রাপ্ত হয়। কিন্তু বর্তমানে দেশে ও বিশ্বে পরাধীনতায় যেন সবাইকে ধীরে ধীরে গ্রাস করেছে। আমাদের সমাজেও শক্তভাবে এই প্রক্রিয়াটি লক্ষ্য করা যায়। অর্জিত এই স্বাধীনতা রক্ষা করতে আমাদের একসাথে উদ্যমী হয়ে কাজে লাগতে হবে। অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য। দেশ গড়ার কাজে উদ্যমী হতে হবে আমাদের। আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করবো এটাই যেন হয় আমাদের নবীনদের মূল লক্ষ্য।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য

একটি ভাল মানের বক্তব্যই পারে আপনার সৃজনশীল দক্ষতা কে উপস্থাপন করতে। তাই এই পর্বটি পড়ে জেনে নিন মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য। সম্মানিত সভাপতি, মাননীয় প্রধান, অতিথি, উপস্থিত সুধিমন্ডলী আজ ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস আয়োজিত আজকের এই আলোচনার সভার শুরুতে আপনাদের প্রতি আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। বাংলাদেশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাধীনতা মানে হল শক্তির কাছে মাথা নত না করে ছিনিয়ে নেওয়া। স্বাধীনতা দিবস মায়ের ভাষায় কথা ওর নিজের দেশের সম্মান রক্ষা করার রাজপথ কাঁপানো মিছিল স্লোগান আন্দোলনে মুখরিত একটি মুহূর্ত। এই দিনে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা তাদের বুকের তাজা রক্ত পিচ ঢালা রাজপথে সিক্ত করে মায়ের সম্মান ও দেশের মানুষের অধিকারকে আদায় করেছে শাসকগোষ্ঠীর কবল থেকে। ১৯৭১ ২৫ শে মার্চ এদেশের জাতীয় জীবনে একটি স্মরণীয় ও কালো রাত।
সম্মানিত সুধী বৃন্দ বাংলা নামক দেশটি বিভিন্ন কারণে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তন্মধ্যে প্রথম এবং অন্যতম কারণ হলো ভাষার জন্য সংগ্রাম আত্মত্যাগ বিপ্লব পৃথিবীর অন্য কোন দেশে সংঘটিত হয়নি। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম আমাদের স্বাধীনতা এই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। পরিশেষে বলতে চাই স্বাধীনতা দিবস আমরা ছিনিয়ে এনেছি পশ্চিম পাকিস্তানের হাত থেকে। আমরা আমাদের বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে স্বাধীনতার ইতিহাস ও গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝাবো। সবাইকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আশা করি জানতে  পেরেছেন মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য।

জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ

আপনি যদি জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বে আলোকপাত করা হবে জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ।২৬ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়। অনেক স্থানের নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় এবং অনেক স্থানে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
এমনতো অবস্থায় বাঙ্গালীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং অনেক স্থানে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা না করেই অনেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাবার পর আপামর বাঙালি জনতা পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ভারতের অবিস্মরণীয় সমর্থনের ফলস্বরূপ দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ।

স্বাধীনতা দিবস কি এর শেষ কথা

রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে আনা আমাদের এই স্বাধীনতা। ৩০ লক্ষ তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম আমাদের স্বাধীনতা। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে আপনি জানতে পেরেছেন স্বাধীনতা দিবস কি। স্বাধীনতা দিবস কি এই পর্বে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এ ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। @ 22882

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url