OrdinaryITPostAd

রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম - রমজানে করনীয় ও বর্জনীয়

আপনি কি রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম
নিচে আপনাদের জন্য রমজানের করনীয় কি কি, রমজানে করনীয় ও বর্জনীয় এবং রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম ইত্যাদি বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনারা খুব সহজেই রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে চলুন রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম

রমজানের করনীয় কি কি

প্রতিটি মুসলমানের কাছে রমজান মাস রহমত নিয়ে আসে। এই মাস আসে মানুষকে পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ দিতে। এই মাসে যে পরিবর্তন হতে পারে না তার চেয়ে কপালপোড়া আর কেউ নেই। তাই এই রমজানে করণীয় কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো প্রতিটি মুসলমানের করা উচিত। তাহলে চলুন রমজানের করনীয় কি কি সেগুলো দেখে নিন।
রমজানের করণীয় বিষয়গুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম বিষয় যেটি সেটি হচ্ছে রমজানের ৩০ টি রোজা পালন করা। রমজান মাসে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সাথে তারাবির নামাজ আদায় করা।মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা, গালাগালি না করা, বেশি বেশি দান সাদকাহ করা, বেশি বেশি আমল করা ইত্যাদি বিষয়গুলো রমজানে প্রতিটি মানুষের করনীয়। আশা করি রমজানের করনীয় কি কি তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন রমজানে করনীয় ও বর্জনীয় কি জেনে নিন।

রমজানে করনীয় ও বর্জনীয়

বছরে ১২ টি মাসের মধ্যে রমজান মাস আসে মুসলমানদের কাছে একটি বোনাস মাস হিসেবে। এই মাসটি আসে মানুষের সকল পাপ থেকে মুক্ত করার উপায় হিসেবে। এই মাসটি রহমত ও বরকতের মাস। তাই রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় কিছু বিষয় রয়েছে। যেগুলো প্রত্যেক মুসলমানের মেনে চলা উচিত। চলুন তাহলে সেসব রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় কাজগুলি দেখে নিন।
রমজানে করণীয় হচ্ছে রমজান মাসের ৩০ টি রোজা ঠিকঠাকভাবে আদায় করা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি তারাবির নামাজগুলো আদায় করা। মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা এবং মিথ্যা কথা না বলা। বেশি বেশি আমল করা। রমজানে বেশি বেশি নফল ইবাদত গুলো আদায় করতে পারেন।এছাড়াও রমজানে গরীব-দুঃখীদের দান সদকা করা। 

আর রমজান মাসে বর্জনীয় কাজগুলো হচ্ছে যেগুলো আপনার অভ্যাসে রয়েছে কিন্তু ইসলাম পরিপন্থী কাজ। যেমন রমজানে মানুষকে গালাগালি করা ঠিক না, আপনি যদি রোজা নাও রাখেন তবুও রোজাদার ব্যক্তির সাথে দুর্ব্যবহার করাও ঠিক না। আশা করি রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় কাজগুলো আপনারা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম জেনে নিন।

রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম

রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম সঠিকভাবে জানতে হবে। নতুবা রোজা করতে যেয়ে আপনি আপনার অজান্তেই আপনার রোজা ভেঙে ফেলতে পারেন। তাই রমজান মাসে রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান সকলের থাকতে হবে। চলুন তাহলে রোজা রেখে অজু করার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা জেনে নিন।
রোজা রেখে অজু করার নিয়ম হচ্ছে আপনি নাকে ও মুখে পানি দেওয়ার সময় অতি সতর্কতা বজায় রাখবেন। কেননা নাকে আমাদের ছিদ্র থাকে যার ভেতর দিয়ে আমাদের পেটে পানি প্রবেশ করতে পারে। তাই ওযু করার সময় যদি আমরা খুব জোরে করে নাকে পানি দি বা খুব বেশি পরিমাণে পানি দেই তাহলে সেটি আমাদের পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সেদিকে সতর্ক রেখে অজু করতে হবে।

আবার মুখের ভেতর পানি নিয়ে গড়গড়ি করার সময় অতি সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। আপনি যদি মুখের ভেতর পানি নিয়ে গড়গড়ি করতে চান তাহলে খুব অল্প পরিমাণে নিয়ে হালকা করে ফেলে দিতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি অল্প পানি নিয়ে একটু কুলি করে ওযু টা সেরে নিলে। তাহলে পেটের ভেতরে পানি যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। আর রোজা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আশা করি রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন রমজানের আমল সম্পর্কে জেনে নিন।

রমজানের আমল

রমজান মাস মুসলমানদের কাছে আসে আমলের জন্যই। রমজানে যে ব্যক্তি বেশি বেশি আমল করবে সে ব্যক্তি বুদ্ধিমান। রমজান মাস আসে মানুষকে পরিবর্তনের জন্য। তাই এই মাসের রমজানের আমল গুলো করে নিজের পাপকে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে হবে। রমজানের আমল গুলো যেমন, প্রতিটি রোজা পালন করা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, তারাবির নামাজ আদায় করা এবং কুরআন তেলাওয়াত পাঠ করা ইত্যাদি আমল গুলো বেশি বেশি করতে হবে।

রোজাদারের করনীয়

রোজাদারের করনীয় সম্পর্কে আমরা উপরের একটি অংশে বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি। আপনি যদি আর্টিকেলটি শুরু থেকে পড়ে আসেন তাহলে এতক্ষণ জেনে যাওয়ার কথা যে রোজাদারের করনীয় কি। রোজাদারের করনীয় হচ্ছে তার রোজা যেন কোনভাবেই ভেঙে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ রোজা রেখে কোন খারাপ কাজ করা যাবে না। রোজা রেখে মানুষকে গালি দেওয়া যাবে না। নিজের নফসকে ঠিক রাখতে হবে। 

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটিতে রোজা রেখে ওযু করার নিয়ম ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় যেমন রোজাদারের করনীয়, রমজানের আমল ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বেশি বেশি জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, ধন্যবাদ। 21021.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url