মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২৬শে মার্চ সম্পর্কে ৫টি সেরা বাক্য
আপনি কি স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য জানতে চান? তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আশা করছি স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য থেকে আপনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়ে যাবেন।
তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সূচিপত্রঃ স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য
- স্বাধীনতা দিবস কবে পালন করা হয়
- স্বাধীনতা দিবস কত তারিখ ঘোষণা করা হয়
- স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য
- স্বাধীনতা দিবস কেন পালন করা হয়
- আমাদের শেষ কথা
স্বাধীনতা দিবস কবে পালন করা হয়?
স্বাধীনতা দিবস কবে পালন করা হয়? খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। এখনকার সময়ের বাচ্চাদের অনেকের কাছে স্বাধীনতা দিবস কবে পালন করা হয়? প্রশ্ন করলে এর উত্তর পাওয়া যায় না। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এখনকার মানুষেরা ভুলতে বসেছে অবহেলার কারণে। কিন্তু বাংলাদেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।
আরো পড়ুনঃ ২৬ শে মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয় কবে, কত সালে জানুন
বাংলাদেশকে স্বাধীন করানোর জন্য ৩০ লক্ষ্য মানুষ তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাস আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে। এর সাথে মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা দিবস কবে পালন করা হয়? প্রতি বছর মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। এর পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।
২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীরা নিরস্ত্র এবং ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই রাতে তারা অসংখ্য ঘুমন্ত বাঙালিকে হত্যা করেছিল। ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এক তার বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে এম এ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। পরে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান একই কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করেন। এরপর থেকেই ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবস কত তারিখ ঘোষণা করা হয়
স্বাধীনতা দিবস কত তারিখ ঘোষণা করা হয়? এই তথ্যটি আমাদের অনেকে জানা নেই। বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিবসের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের মাধ্যমে। অনেক মানুষের আত্মত্যাগ এবং মা-বোনেদের ইজ্জতের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।
এরপর থেকে প্রতিবছর ২৬ মার্চকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু ২৬ মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২৬ মার্চকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করার ঘোষণা দেওয়া হয় ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক বিশেষ প্রজ্ঞাপনে। এবং এই দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য
আমাদের এই ছোট্ট বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ২৬ মাঠ থেকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে আমাদের এই বাংলাদেশ। সেই তখন থেকে প্রতি বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিভিন্ন সময় আমাদের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য সম্পর্কে লেখার প্রয়োজন হয়।
সেই সময় অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য কি লিখব এ বিষয়টি বুঝে উঠতে পারি না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার সহকর্মীরা অনেক ভূমিকা রাখে। আপনাদের যারা সুবিধার্থে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য নিচে তুলে ধরা হলো।
১। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি মানুষকে সম্বোধন করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
২। স্বাধীনতা দিবসে সারাদিন টেলিভিশন ও রেডিওতে আমরা দেশাত্মবোধক অনুষ্ঠান ও প্যারেড, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও দেশাত্মবোধক গান শুনতে পাই।
আরো পড়ুনঃ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস রচনা - ২৬শে মার্চ সম্পর্কে কিছু কথা
৩। বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ও সংগঠনে দেশের জাতীয় পতাকা অনেক সম্মানের সাথে উত্তোলন করা হয়ে থাকে।
৪। বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ছোট বড় সকলেই তাদের শ্রদ্ধা করে স্মরণ করে এবং বিভিন্ন রকম কর্মসূচি পালন করে।
৫। বাংলাদেশের বিজয়ের ইতিহাসের অন্যতম সূচনা হয়েছিল স্বাধীনতা দিবসের মধ্য দিয়ে।
স্বাধীনতা দিবস কেন পালন করা হয়
স্বাধীনতার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। স্বাধীনতা দিবসের পর থেকেই বাঙালিরা তৎপর হয়ে ওঠে এবং পাক হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে দেয়। কারণ এই দিনেই বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাক হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের এই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস যেন বাংলাদেশের মানুষেরা ভুলে না যায় সেজন্যই প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। যেহেতু বাঙ্গালীদের জীবনে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইতিহাস তাই প্রতিটি বাঙালির এ সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত এবং তাদের আগামী প্রজন্মকে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে বলা উচিত।
আরো পড়ুনঃ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রচনা - জাতীয় দিবস অনুচ্ছেদ ১০০০ শব্দ
১৯৭২ সালের পর থেকে প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন হয়ে আসছে। এই দিনটিকে বিভিন্ন রকম কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। বিভিন্ন রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় এবং যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছে তাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করা হয়। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
আমাদের শেষ কথাঃ স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য, স্বাধীনতা দিবস কবে পালন করা হয়? স্বাধীনতা দিবস কত তারিখ ঘোষণা করা হয়? স্বাধীনতা দিবস কেন পালন করা হয়? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য গুলো জানতে পেরেছেন। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারী পড়ে নিন ধন্যবাদ।২০৭৯১
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url