সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য - সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা
আপনি কি সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য - সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা সম্পর্কে জানেন? সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য - সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা সম্পর্কে জানতে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সুন্দরবন প্রশস্ত বনভূমি যা প্রকৃতি বিশ্বের অন্যতম। ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সম্মেলন দিবস পালন করা হয়। নানা আয়োজনে সুন্দরবন দিবস পালন করে থাকে এবং অনেকেই সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে। তাই চলুন আজকের পর্ব শেষে আমরা জেনে নেই সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য - সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা সম্পর্কে।
দেশের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে জাতীয় সুন্দরবন দিবস পালন করা হয়ে থাকে। প্রতিবছর সুন্দরবন দিবসে প্রতিপাদ্য লিখে এবং সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে অনেকে। আপনি যদি সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য - সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা সম্পর্কে জেনে থাকেন তবে অবশ্যই এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য - সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা
- সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য
- সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা
- সুন্দরবন নিয়ে উক্তি
- সুন্দরবন দর্শনীয় স্থান
- সুন্দরবন দিয়ে বাক্য
- সুন্দরবন দৃশ্য
- শেষ কথা
সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য
প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য কি? যদি জেনে থাকেন তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সুন্দরবন দিবসের মূল প্রতিপাদ্য কি।১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পালিত হয় সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সুন্দরবন দিবস পালন করা হয়। এবারে সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য হলো " বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন" এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সুন্দরবন ঘেরা জেলাগুলোতে দিবসটি পালন করা হয়। ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন এর আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর পরশ এর উদ্যোগে।
এরপর ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের সুন্দরবন দিবস পালন করা হয়। প্রত্যেক বছরে একটি করে প্রতিপাদ্য ঘোষণা করে দিবসটি পালন করা হয়।২০২২ সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল " বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন"। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য কি।
সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা
সবাইকে সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা।১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস ভালোবাসা দিবসের ভাষণ সুন্দরবনকে। সুন্দরবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গোটা দেশের পরিবেশ। পরিবেশবাদী পক্ষ থেকে সুন্দরবন ও এর বৈচিত্র রক্ষায় সমন্বিতভাবে ১৮ দফা প্রস্তাবনা ঘোষণা বাস্তবায়নের সরকারিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ২০০১ সালে আহ্বান জানানো হয়। ১৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো। জাতীয় প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষার জন্য অনতিবিলম্বে বাঘ হরিণ সুন্দরবনের সব ধরনের প্রাণী হত্যা বন্ধ সহ যাবতীয় বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। পরিশেষে সবাইকে সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।
সুন্দরবন নিয়ে উক্তি
আপনি কি সুন্দরবন নিয়ে উক্তি শুনতে চান। তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বে আমরা আলোচনা করব সুন্দরবন নিয়ে উক্তি সমূহ। অনেকেই সুন্দরবন নিয়ে অনেক উক্তি দিয়েছেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক তেমন কিছু সুন্দরবন নিয়ে উক্তি।
- সুন্দরবনের প্রকৃতি নিয়ম মানতে জানে আবার একই সাথে সেই নিয়ম ভাঙতে ও জানে
- সুন্দরবন এ ঘুরতে গেলে মন ভালো হয়ে ওঠে, দেহ সুস্থ হয়ে যায় এবং নিজের জ্ঞানকে সুশৃংখল করা যায়
- সুন্দরবনের প্রকৃতি তার অফার মহিমা দিয়ে আমাদের ভরিয়ে তোলে, কিন্তু আমরা আমাদের অযত্ন এবং অবহেলা দিয়ে সুন্দরবনকে ধ্বংস করে চলেছি।
- সুন্দরবনের প্রকৃতির সৌন্দর্য হল এমন এক অমূল্য উপহার যা প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা বাড়ায়।
- সবকিছুই কৃত্রিম, সুন্দরবনের প্রকৃতি হলো একমাত্র আল্লাহর তৈরি নিজস্ব শিল্প।
- পৃথিবী এবং আকাশ, বন, সমভূমি, নদী, পর্বত এবং সমুদ্র এই সমস্ত সমাহার হলো সুন্দরবন।
সুন্দরবন দর্শনীয় স্থান
আপনি কি সুন্দরবন দর্শনীয় স্থানগুলো জানতে চাচ্ছেন? তবে জেনে নিন সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান সমূহ।বিশ্বের সবচেয়ে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বনাঞ্চল হলো সুন্দরবন। এটি বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের অন্যতম একটি। একজন দর্শনার্থীর পক্ষের পুরো সুন্দরবন ঘুরে দেখা সম্ভব না হলেও বিশেষ কিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারে। কারণ এসব স্থান গুলো তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বৈচিত্র্যময়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সুন্দরবন দর্শনীয় স্থান এর নাম ও বিবরণ সমুহ।
কচিখালিঃ
মংলা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কচিখালি। সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে এটি একটি। পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে কচিখালি সমুদ্রসৈকতে বন বিভাগের স্টেশন পর্যন্ত পায়ে হাঁটা যায়। এই পথের পাশে ঘনঘন বন যেখানে দেখতে পাওয়া যায় বাঘ, হরিন, বানর বিষধর সাপ শুকর ইত্যাদি। কচিখালির প্রধান আকর্ষণ সমুদ্র সৈকত। যে সৈকতের নিরিবিলি পরিবেশ ও প্রকৃতিকে সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে যে কাউকে। এছাড়াও এখানে মাঝে মাঝে বাঘের গর্জন শোনা যায় যার প্রত্যেকটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
কটকাঃ
সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে কটকা অন্যতম। কটকা সুন্দরবনের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত। মাংলা সুন্দর বন্দর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুন্দরবনের অভয়ারণ্য মধ্যে প্রধান কেন্দ্র। যেখানে নৌকায় ভ্রমণ করা যায় এবং সবচেয়ে কাছ থেকে উপভোগ করা যায় সুন্দরবনের আসল প্রকৃতিক সৌন্দর্য। খালে দুই ধারে দেখা যায় অসংখ্য চিত্রা হরিণ মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মাঝে মাঝে রাজকীয় ভঙ্গিতে বাঘের গর্জন শোনা যায়। পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে দেখা যায় বন্যপ্রাণীর অপূর্ব এবং বাঘের হরিণ শিকার দৃশ্য যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে দেয়।
হাড়বাড়িয়াঃ
মংলা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে হাড়বাড়িয়া নামক স্থান অবস্থিত। অপরূপ প্রকৃতিক সৌন্দর্য স্থান প্রধান আকর্ষণ। এখানে কাঠের তৈরি ২টা ট্রেইলসহ গোলাঘর যার একটি পুকুর সংলগ্ন ও কাঠের তৈরি পুল ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে নানান প্রজাতির পশু, পাখি ও উদ্ভিদের সমারোহ।
দুবালার চর
সুন্দরবনের সর্ব দক্ষিণে এই স্থানটি অবস্থিত।বজ্ঞোপসাগরের কোলে অবস্থিত দ্বীপটি মৎস্য আহরণ ও প্রক্রিয়াজাত করণের এক ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে পরিচিত। দুবলার চরে প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে এবং সাগর মাছ ধরে। পরবর্তীতে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে বিক্রি করে। বনের মৎস্য সম্পদ সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে দুবলার চরে সর্বোৎকৃষ্ট স্থান। এছাড়াও দুবলার চর এ রয়েছে আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত।
সুন্দরবন দিয়ে বাক্য
সুন্দরবন দিয়ে বাক্য জানতে চাচ্ছেন। সুন্দরবন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য অজানা রহস্য ও গৌরবময় ইতিহাসের কাছে বাক্য গুলো খুবই সামান্য। তবে এই বাক্যগুলো আপনার যেকোনো সময় প্রয়োজন হতে পারে।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সুন্দরবন দিয়ে বাক্য গুলো।
- বাংলাদেশের সুন্দরবনের পাশ দিয়ে বসবাস করে প্রায়ন ৩০ লক্ষ মানুষ।
- সুন্দরবন বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত।
- সুন্দরবন হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন।
- বাংলাদেশের সুন্দরবনের আয়তন ৬,০১৭ কিলোমিটার(৬২%)।
- সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
- সুন্দরবনের মোট ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে।
- সুন্দরবনের নামকরণ করা হয়েছে সুন্দরী নামের একটি ম্যানগ্রোভ গাছের নাম অনুসারে।
- খুলনা,সাতক্ষীরা,বাগেরহাট,পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলা হতে শুরু করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলা উত্তর 24 পরগনা এবং দক্ষিণ 24 পরগনা জুড়ে সুন্দরবন অবস্থিত।
- সমুদ্র উপকূলে নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি।
সুন্দরবন দৃশ্য
আপনি কি সুন্দরবন দৃশ্য দেখতে চান। সুন্দরবনের দৃশ্য গুলো দেখতে এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে দেখুন।।সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন বা লবণাক্ত বনাঞ্চল। সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটার যা যৌথভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অবস্থিত।সুন্দরবনের বাংলাদেশের আয়তন ৬০১৭ বর্গ কিলোমিটার।খুলনা,সাতক্ষীরা,বাগেরহাট,পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলা নিয়ে বাংলাদেশ সুন্দরবন অবস্থিত। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক সুন্দরবন দৃশ্য গুলো।
সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য - সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা এর শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয়ই সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য এবং সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি আরো বুঝতে পারবেন সুন্দরবন দিবসের প্রতিপাদ্য, সুন্দরবন দিবসের শুভেচ্ছা,সুন্দরবন নিয়ে উক্তি,সুন্দরবন দর্শনীয় স্থান,সুন্দরবন দিয়ে বাক্য,সুন্দরবন দৃশ্য সম্পর্কে। আজকের পর্বটি শেষে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। @22882
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url