OrdinaryITPostAd

জুমাতুল বিদা কি - জুমাতুল বিদা এর ফজিলত - জুমাতুল বিদা স্ট্যাটাস

জুমাতুল বিদা কি? আমরা অনেকেই এই বিষয় সর্ম্পকে জানিনা। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জুমাতুল বিদা কি? এই বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেখান থেকে আপনি জুমাতুল বিদা কি? এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং জুমাতুল বিদা এর ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে জুমাতুল বিদা কি? এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেল থেকে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জুমাতুল বিদা কি? তা জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ জুমাতুল বিদা কি - জুমাতুল বিদা এর ফজিলত

জুমাতুল বিদা কি - জুমাতুল বিদা এর ফজিলতঃ ভূমিকা

জুমাতুল একথাটি আমরা রমজান মাসে শুনে থাকি। তখন আমরা যারা জুমাতুল বিদা কি? এ সম্পর্কে জানেন না তাদের মনে একটা প্রশ্ন আসে। আজকেরে আর্টিকেলে আমরা জুমাতুল বিদা কি? জুমাতুল বিদা এর ফজিলত, জুমাতুল বিদা আলকাউসার, জুমাতুল বিদা স্ট্যাটাস, জুমাতুল বিদা খুতবা, জুমাতুল বিদা অর্থাৎ জুমাতুল বিদা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে বিস্তারিতভাবে। আপনি যদি জুমাতুল বিদা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে পারবেন।

জুমাতুল বিদা কি?

জুমাতুল বিদা বলতে আমরা রমজানের শেষ জুমা সালাতের মাধ্যমে রমজানকে বিদায় জানানো কে বলা হয়। একজন মুসলিম হিসেবে আপনাকে অবশ্যই জুমাতুল বিদা কি? এ সম্পর্কে জেনে থাকতে হবে। সাধারণত আমরা সেই জন্যই জুমাতুল বিদা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস - থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

আমরা সাধারণত রমজানের শেষ জুমার দিন কে জুমাতুল বিদা হিসেবে পালন করে থাকি অনেক গুরুত্বের সাথে। সাধারণত জুমাতুল বিদা উপলক্ষে সেই দিন আরও বেশি লোক সমাগম হয়ে থাকে। অনেকেই এই দিনটিতে বিশেষ ভাবে দোয়া করে কেউ কেউ মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে থাকে। তাহলে বলা যায় যে রমজান মাসের শেষের জুমার দিনকে বলা হয় জুমাতুল বিদা। আশাকরি জুমাতুল বিদা কি? বুঝতে পেরেছেন।

জুমাতুল বিদা এর ফজিলত

প্রিয় বন্ধুরা জুমাতুল বিদা এর ফজিলত রয়েছে অনেক। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জুমাতুল বিদা এর ফজিলত সম্পর্কে জানেনা। রমজান মাসের শেষের জুমার দিন কে জুমাতুল বিদা বলা হয়। আমরা জানি যে জুমার দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে যদি রমজান মাসে হয় তাহলে তো আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারনত তাই জুমাতুল বিদা এর ফজিলত বেশি পাওয়া যায়।

জুমাতুল বিদা বেশি ফজিলত পূর্ণ এর অন্যতম একটি কারণ হলো মাহে রমজান। আমরা জানি যে রমজান মাস হল অত্যান্ত ফজিলতপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উম্মত হিসেবে আমাদের উপহার আল্লাহর কাছ থেকে। জুমার দিন এর গুরুত্ব সম্পর্কে আবু হুরাইরা রাঃ বর্ণিত এক হাদিস রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, " সূর্যোদয়ের মাধ্যমে যে দিনগুলো হয় তার মধ্যে সর্বোত্তম দিন জুমার দিন"

জুমার দিনে হযরত আদম আঃ কে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। জুমার দিনের মধ্যে এমন কিছু সময় আসে যখন কোন মুসলমান নামাজ রত অবস্থায় দোয়া করলে অবশ্যই তার দোয়া কবুল হবে। আর এই জুমা যদি রমজান মাসে হয় তাহলে তো আরো বেশি গুরুত্ব রয়েছে।

জুমাতুল বিদা আল কাউসার

প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা জুমাতুল বিদা আল কাউসার সম্পর্কে আলোচনা করব। আশাকরি আপনি ইতিমধ্যেই জুমাতুল বিদা কি? এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। জুমাতুল বিদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন সকল মুসলিমদের জন্য। সাধারণত পবিত্র মাহে রমজান মাসের শেষ জুমা কে জুমাতুল বিদা বলা হয়। এখন আমরা জুমাতুল বিদা আল কাউসার সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

শুক্রবার অর্থাৎ জুমার দিন এমন এক দিন যেখানে মুসলিম পুরুষদের মধ্যে জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজ অংশগ্রহণ করতে হয়। জুমার নামাজের মহিলারা উপস্থিত হতে পারে তবে তাদের উপস্থিত হওয়া বাধ্যতামূলক নেই। এ বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেন, " মুসলিমগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং কেনাবেচা বন্ধ করো এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ"

আরো পড়ুনঃ ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালন করা হয় - রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন

তাহলে আল্লাহ তাআলার এই কথা থেকে আমরা বুঝলাম যে জুমার দিনের খুবই গুরুত্ব রয়েছে। যদি এই জুমা হয় রমজান মাসে তাহলে এর গুরুত্ব আরো বেশি বেড়ে যায় কারণ রমজান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ একটি পবিত্র মাস। জুমাতুল বিদার দিনে কিছু মুসলমান তাদের দিনের বড় অংশ ইবাদতের ব্যয় করে থাকে।

জুমাতুল বিদা স্ট্যাটাস

জুমাতুল বিদা মুসলমানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জুমাতুল বিদা স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে। সাধারণত তারাই জুমাতুল বিদা স্ট্যাটাস দেখার জন্য গুগলের সার্চ করে। নিচে জুমাতুল বিদা স্ট্যাটাস সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

জুমাতুল বিদা স্ট্যাটাসঃ ১

আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা!

আজ পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমার দিন, হে আল্লাহ এই পবিত্র জুম্মার দিন আপনি আমাদের সকলের গুনা মাফ করে দিন! আমিন

জুমাতুল বিদা স্ট্যাটাসঃ ২

রমজান মাসের সর্বোত্তম রাত লাইলাতুল কদর, আর সর্বোত্তম দিন হল জুমাতুল বিদা।

এদিন মমিন মুসলমানদের ঈমানী সম্মেলন হয়।

জুমাতুল বিদা স্ট্যাটাসঃ ৩

আজ জুমাতুল বিদা সবাইকে জুম্মা মোবারক

হে আল্লাহ জানিনা জীবনে আগামী রমজান পাব কিনা! আজ এই রমজানের শেষ জুমায় আমাদের সকলকে ক্ষমা করে দিন।

জুমাতুল বিদা খুতবা

প্রিয় বন্ধুরা জুমাতুল বিদা প্রত্যেক মুসলমানের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আমরা জানি যে রমজান অত্যন্ত পবিত্র এবং ফজিলতপূর্ণ মাস এর সাথে জুমার দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। সাধারণত সেই যদি রমজান মাসে একসাথে হয় তাহলে আরো বেশি গুরুত্ব বেড়ে যায়। এখন আমরা জুমাতুল বিদা খুতবা সম্পর্কে আলোচনা করব।

জুমাতুল বিদা খুতবাঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য।

যিনি বিচারপতি শেষ দিবসের।

দুরুদ ও সালাম প্রিয় নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য ও সেলাই আমরা জুমাতুল বিদা পেয়েছি। রমজান মাস তোমাদের কাছে কেবল বন্ধু হিসেবে এসেছিল। মনে রেখো বন্ধু বিদায় খুব কষ্টের। তোমাকে সালাম হে ক্ষমা ও অগ্নি থেকে মুক্তির মাস। আমাদের গুনহা মোচনকারী মাস। লাইলাতুল কদরের মাস। রমজান মাস আলবিদা।

জুমাতুল বিদা হাদিস

জুমাতুল বিদা হাদিস সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। আপনি যদি উপরের আলোচনা গুলো পড়ে থাকেন তাহলে জুমাতুল বিদা এর ফজিলত এবং গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আমরা জুমাতুল বিদা হাদিস সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরব। কয়েকটি জুমাতুল বিদা হাদিস নিচে তুলে ধরা হলো।

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, " সূর্যোদয়ের মাধ্যমে যে দিনগুলো হয় তার মধ্যে সর্বোত্তম দিন হল জুমার দিন। এই দিনে হযরত আদম আঃ কে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনে তাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। জুমার দিনে এমন একটি সময় রয়েছে যখন কোন মুসলমান নামাজ রত অবস্থায় দোয়া করলে অবশ্যই তা আল্লাহর কাছে কবুল হবে"।{ তিরমিজি হাদিসঃ ৪৯১}

অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, " যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করবে এবং আগে আগে হেটে মসজিদে যাবে এবং ইমামের কাছাকাছি বসে খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনবে আর কোনরকম অনর্থক কাজ করবেনা তাকে তার প্রতিটি কদমের বিনিময় লাগাতার এক বছর নামাজ রোজা সব দান করা হবে।" { ইবনে মাজা হাদিসঃ ১০৮৭}

জুমাতুল বিদা সম্পর্কে আলোচনা

প্রিয় বন্ধুরা উপরের আলোচনা গুলোতে আমরা ইতিমধ্যেই জুমাতুল বিদা সম্পর্কে আলোচনা করে এসেছি। আপনি যদি জুমাতুল বিদা সম্পর্কে আলোচনা পড়তে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। নিচে জুমাতুল বিদা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

আমরা জানি যে জুমাতুল বিদা হল রমযান মাসের সর্বশেষ জুমার দিন। আমরা জানি যে জুমার দিন হল সপ্তাহের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই উপরে আলোচনা করেছি। এই জুমার দিন যদি রমজান মাসে হয় তাহলে এর গুরুত্ব আরো বেশি হয় কারণ রমজান মাস হল মাস গুলোর মধ্যে সব থেকে পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ মাস।

আরো পড়ুনঃ রজব মাসের কত তারিখে শবে মেরাজ - শবে মেরাজের বিস্তারিত ঘটনা

যেহেতু রমজান মাসের শেষ জুমা অর্থাৎ রমজান মাসে আর কোন জুমার দিন নেই সাধারণত এইজন্য এর গুরুত্ব একটু বেশি অন্যান্য জুমার দিনের তুলনায়। মানুষ এই দিনটিকে অনেক বেশি গুরুত্বের সাথে দেখে এবং এই দিনে বেশি হয়ে থাকে মসজিদে। অনেকে আছে যারা জুমাতুল বিদা উপলক্ষে মিলাদ এবং মাহফিল করে থাকে।

জুমাতুল বিদা কি - জুমাতুল বিদা এর ফজিলতঃ উপসংহার

জুমাতুল বিদা কি? জুমাতুল বিদা আল কাউসার, জুমাতুল বিদা স্ট্যাটাস, জুমাতুল বিদা এর ফজিলত সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশাকরি আপনারাও বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনাকে বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা সত্যি অনেক আনন্দিত। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url