শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস - হরিচাঁদ ঠাকুরের অষ্টশত নাম
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিলেন। আপনারা যারা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আজকের এয়ারটেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কারণ এখানে আমরা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস
- ভূমিকা
- শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অষ্টশত নাম
- শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস
- শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের গান
- উপসংহার
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবসঃ ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস সম্পর্কে জানতে চান? এখানে আরো জানতে পারবেন শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অষ্টশত নাম, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের গান। তাহলে চলুন দেরি না করে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের সম্পর্কে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অষ্টশত নাম
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অষ্টশত নাম সম্পর্কে আপনাদের সামনে এখন তুলে ধরব। শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ১০৮ টি নাম রয়েছে আপনি যদি শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অষ্টশত নাম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন। নিচে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অষ্টশত নাম উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুনঃ হিন্দু মেয়ে শিশুর নাম এবং অর্থ - হিন্দু মেয়েদের আধুনিক নামের তালিকা
- রামকান্ত রাখে নাম ‘বাসুদেবেম্বর’।
- পূর্ণ হরিচাদ’ নাম ধরাতে প্রচার।
- হরিদাস’ বলে ডাকে পিতা যশোমন্ত্র।
- মাতা অন্নপূর্ণা ডাকে ‘হরি প্রাণবন্ত’।
- গোলক রাখিল নাম ‘জয় গৌর হরি।
- দশরথ রাখে নাম ‘পর ব্যাথা ধারী’।
- শ্রীনন্দ দুলাল বলে ব্রজ মহামতি।
- রাখাল বালক ডাকে রাখালের পতি।
- হীরামন রাখে নাম ‘কমল লোচন’।
- নাটুবর রাখে নাম ‘জীবের জীবন’।
- বিশ্বনাথ রাখে নাম ‘প্রাণ দাতাহার।
- দীননাথ নাম রাখে ‘দীনবন্ধু হরি’।
- রামরত্ন রাখে নাম ‘নদীয়ার গোরা।
- লোচন রাখিল নাম ‘হরি ননী চোরা’।
- মৃত্যুঞ্জয় রাখে নাম ‘মদন মোহন’।
- কর্ণধর’ বলে ডাকে গোঁসাই বদন।
- শ্রীগুরুচাঁদ রাখে নাম ‘অনাদির মূলা।
- সত্যভামা রাখে নাম ‘অকুলের কুল’।
- কোষ্ঠীস্বর রাখে নাম ‘স্বয়ং অবতার’
- রামচাঁদ রাখে নাম ‘হরিমূলাধার’।
- জগদিশ রাখিল নাম হরি ইচ্ছাময়।
- যুধিষ্ঠির রাখে নাম ‘হবি দয়াময়’।
- কমল রাখিল নাম ত্রিভঙ্গ কানাই’।
- পাবর্তী রাখিল নাম ‘চৈতন্য গোঁসাই।
- ভিকমাতা রাখে নাম ‘ভুবন মোহন”।
- ব্রহ্মণ্য দেবের দেব বলে দ্বিজগণ
- শ্রীহরি ওঝার ওঝা বলে কালাচাঁদ।
- শ্রীউমাচরণ বলে ‘আকাশের চাঁদ’।
- শান্তিমাতা রাখে নাম ‘দেব নারায়ন।
- কেনাই রাখিল নাম ভক্তপ্রাণধন’।
- মালাদেবী রাখে নাম ‘স্বয়ং ভগবান’।
- রামকৃষ্ণ রাখে নাম ‘হরিচাঁদ প্রাণ’।
- উদয় পাগল বলে ‘শ্রীমধুসূধন’।
- হরিপাল রাখে নাম ‘পতিত পাবন’।
- মহানন্দ রাখে নাম ‘ক্ষীরদ বিহারী।
- শ্রীরামভরত বলে সূত্রধর হরি’।
- চৈতন্য রাখিল নাম ‘দর্পচূর্ণকারী।
- শ্রীরাম কুমার বলে ‘হরি বিষ হরি”।
- ভারক রাখিল নাম’ গৃহীব্রহ্মচারী।
- অশ্বিনী রাখিল নাম ‘বাঁকাসখাছরি’।
- বুদ্ধি মন্ত রাখে নাম ‘বাবা জগবন্ধু’।
- মঙ্গল রাখিল নাম ‘ছরি প্রেম সিন্ধু’।
- অক্ষয় রাখিল নাম হরি পুরী পুরী।
- ভবানী রাখিল নাম ‘পিতা মৃত্যুঞ্জয়’।
- দারুব্রহ্ম বলে ডাকে ভক্ত পান্ডাদ্বয়।
- জানকী রাখিল নাম ‘দুৰ্ব্বাদল শ্যাম’।
- চন্দ্ৰকান্ত রাখে নাম ‘ধনুধারী রাম’।
- নকুল রাখিল নাম ‘অকুল কান্ডারী’।
- যাদব রাখিল নাম চতুর্ভূজধারী।
- গোপাল রাখিল নাম বিপদভঞ্জন।
- আনন্দা রাখিল নাম ‘দুঃখিনীর ধন।
- হরিবর রাখে নাম ‘নয়নের মণি’।
- ভকত বৎসল’ বলে ডাক্তার তারিনী।
- দেবীচাদ রাখে নাম ‘চারু চন্দ্রানন’।
- অমৃত রাখিল নাম ‘পুরুষ মহান’।
- চকমন রাখে নাম ‘হরি রক্ষাকারী’।
- জয়চাঁদ রাখে নাম ‘মহাবীর হরি’।
- গোবিন্দ রাখিল নাম ‘মনপ্রাণ আত্মা’।
- বিধবা রমনী বলে ‘হরি ত্রাণ কর্তা’।
- শ্রীউদয় বালা বলে ‘ব্রহ্ম সনাতন’।
- ভবপারের মাঝি’ বলে ভকত ভজন।
- শ্রীবংশী রাখিল নাম ‘অন্তর্যামী হরি।
- শ্ৰীনব গোপাল বলে ‘পারের কান্ডারী
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস সম্পর্কে আলোচনা করব। শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ১৮১২ সালের ১১ই মার্চ অবিভক্ত বাংলার গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার অন্তর্গত ওড়াকান্দির পার্শ্ববর্তী সফলা ডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সেভাবে হয়নি কিন্তু প্রিম ভক্তের কথা সহজ-সরল ভাবে প্রচার করতেন।
আরো পড়ুনঃ শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৩ - দুর্গাপূজা ২০২৩ সময়সূচী
বৈষ্ণব বাড়িতে জন্ম হওয়ার কারণে শাস্ত্র আলোচনার মাধ্যমে হিন্দু ও বৌদ্ধ শাস্ত্রের সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করার সুযোগে অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান অর্জন করেছিলেন তিনি। তার প্রচারিত সাধন পদ্ধতিকে বলা হয় মতবাদ। তার দুই ছেলে গুরুচাঁদ ঠাকুর ও উমাচরণ। গুরু চন্দ্র ঠাকুরের পিতা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের মৃত্যুর পর মতুয়া ধর্মের উন্নতি সাধন শিক্ষার প্রসারে ব্রতী হয়েছিলেন।
তার ভক্তরা তাকে শ্রীচৈতন্যদেব এবং গৌতম বুদ্ধের যৌথ অবতার বলে মনে করত। তার প্রচারিত মতুয়া ধর্মের কোন দেবদেবীর স্থান নেই। ভক্ত অনুসারীদের উদ্দেশ্যে তিনি একটি বাণী প্রচার করেছিলেন, " মুখে হরি নাম কৃষ্ণ নাম হতে কাম" যেহেতু শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ১৮১২ খ্রিস্টাব্দের ১১ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন তাই এই দিনটিকে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস বলা হয়।
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের গান
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের গান সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের গান পছন্দ করে তারাই শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের গান শুনতে চায়। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা যেহেতু শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর সম্পর্কে আলোচনা করছি তাই শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের গান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের গান
- যদি পারের আশা কর ও সুজন মনা
- সকালে ধরিও পাড়ি-বসে থেক না
- সদা বল হরি হরি হাতে হাইল ধরি শ্রদ্ধা মাস্তুলে দিয়ে বিবেকের টানা
- ভক্তি বাদাম তুলে দিয়ে আনন্দ প্রাণ
- প্রেম বায়ুতে খাটাইও অনুসন্ধানে
- যখন উঠবে ভাবের তুফান ঢেউ খেলিও হয়ে মগন
- আনন্দ পাবি সর্বক্ষণ পূরিবে সব কামনা
- কু-মতির ঐ কু-পবন যদি উথলে
- উল্টা বেয়ে যেও তরী রাখিও তায় নঙ্গর করি
- মুখে বল হরি হরি পবনের ভয় রবে না ভোর বেলা
- ধরিলে পাড়ি শঙ্কা নাই তাহার অনায়াসে উঠে পাড়ি হয়ে যায়
- সে পার শেষ বেলা ধরিলে পাড়ি দিবা শেষে বেড়ায় ঘুরি
- অন্ধকারে ডুবায় তরী দুর্ভোগে মরে সেই জনা প্রহ্লাদ দিয়ৈছিল
- পাড়ি অতি সকালে মহাসুখে পার হয়ে যায় হরি বল বলে
- প্রহ্লাদ চারি ভাইর কনিষ্ঠ কর্ম্ম গুণে সর্বশ্রেষ্ঠ ত্রি-ভূবনে নাম
- উৎকৃষ্ট রল তাহার ঘোষণা আদিত্য কয় দিনে দিনে দিন ফুরায়ে
- যায় সুখ শয্যায় ঘুমিয়ে রলি পারের কি উপায় হরি গোসাই কয়
- পারের বেলা ঘটবেরে তোর বিষম জ্বালা পাড়ি ধর
- এই ভোর বেলা পারে যদি যাওরে দীনা
আরো পড়ুনঃ হিন্দু বিয়ের তারিখ ২০২৩ - হিন্দুর বিয়ে তারিখ ১৪২৯
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের গানঃ
- আমার মন পাখীতে বুঝ মানে না উপায় কি করি।
- আমি দিবানিশি বুঝাই তারে রে মন পাখীর নয়নে ঝরে না।
- বারি পাখী আনন্দ হৃদি পিঞ্জরে সপ্ত তালায় বসত করে রে
- পাখী বাল ভাল আহার করে রে মন হরি নামে যায় না গড়াগড়ি
- পাখী ঘৃত মাখন ননী খেয়ে রল বন পানে চেয়ে রে আমার কি লাভ হল।
- পাখী পুষে রে মন পাখী কখন জানি যাবে উড়ি পাখী কেন
- হরি বল বলেনা ভাবিতেছি সেই ভাবনারে পাখী সদা জপে
- কু-মন্ত্রণা রে মন পাখী একদিনও না বলল হরি পাখি হরিচাঁদের
- চরণ ভূলে সর্ব্বদা কু-বুলি বলে রে
- দীনা বলে নামে পাষান গলেরে মন
- আমার মন গল্ল না জনম ভরি
সংগ্রহঃ matuarbarta
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবসঃ উপসংহার
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আগমন দিবস, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের গান, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অষ্টশত নাম উল্লেখ করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলে। প্রিয় বন্ধুরা আশাকরি আপনারাও বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাকে বিষয়গুলো জানাতে পেয়ে আমরা সত্যিই অনেক আনন্দিত আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ। ২০৮৭৬
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url