৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস ২০২৩ - ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে
প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস - ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে কি দিবস পালন করা হয়। আপনি যদি জেনে থাকেন ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস পালন করা হয় তাহলে অবশ্যই এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করবো ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস - ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে সম্পর্কে। অনেকেই জানেনা ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে কি দিবস পালন করা হয় অথবা কেন পালন করা হয়। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস - ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে সম্পর্কে।
অনেকেই জানেনা ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস পালন করা হয়। আবার ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। তাই আজকে আমরা আলোকপাত করব ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস - ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে সম্পর্কে।চলুন জেনে নেওয়া যাক, 5 ফেব্রুয়ারি কি দিবস পালন করা হয় অথবা ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে সম্পর্কে বিস্তারিত।
সূচিপত্রঃ ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস - ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে
- ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস
- ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে
- গ্রন্থাগার এর বৈশিষ্ট্য
- ৫ ফেব্রুয়ারি দিবস কত সাল থেকে পালন করা হয়
- শেষ কথা
৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস
আপনি কি জানেন ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস পালন করা হয়। অনেকেই জানেনা ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস পালন করা হয়। তাই চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস। ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে পালন করে আসছে অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার দেশের গ্রন্থাগার ব্যবস্থার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সকল প্রকাশনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা এবং সেগুলির যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং গবেষক ও পাঠকদের কাছে সেগুলো প্রাপ্তিসাধ্য করে তোলা হচ্ছে গ্রন্থাগার এর মূল কাজ।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জাতীয় যুব দিবস কবে - জাতীয় যুব দিবস ২০২৩
জাতীয় গ্রন্থাগার ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। বর্তমানে জাতীয় গ্রন্থাগার টি জাতীয় গ্রন্থাগার অধিদপ্তর এর অধীনে দেওয়া হয়। এই অধিদপ্তর টি অর্থাৎ জাতীয় গ্রন্থাগার পরিচালিত হয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে। প্রিয় পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস পালন করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তান সরকার ১৯৬৭ সালে ঢাকায় পাকিস্তান জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর একটি নতুন জাতির জন্য একটি জাতীয় গ্রন্থাগার অপরিহার্য হয়ে পড়ে। গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে সরকার ঢাকায় জাতীয় গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭৪ সালের ৩ জানুয়ারি সরকার জাতীয় আরকাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগার এর জন্য শেরেবাংলা নগরে ৪ একর জমি বরাদ্দ করে। প্রথমে পাঠশালা পরিকল্পনার আওতায় জাতীয় গ্রন্থাগারের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট প্রস্তাব দাখিল করা হয়। গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে বই, সম্পদ, উপকরণ, জনশক্তি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়।
এগুলো মূলত পূর্বের ঢাকার প্রদেশিক শাখাটি থেকে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে এই দিনটিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।২০১৮ সাল থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করা হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ৫ ইতিহাসের এই দিনে সম্পর্কে।
গ্রন্থাগার এর বৈশিষ্ট্য
২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই গ্রন্থাগারের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।কিন্তু অনেকেই জানেনা ৫ ফেব্রুয়ারি দিবসের অর্থাৎ গ্রন্থাগার এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। তাই চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক গ্রন্থাগার এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। গ্রন্থাগার নানা প্রকারের হয়ে থাকে সাধারণত গ্রন্থাগার কে চার ভাগে ভাগ করা হয়।
- জাতীয় গ্রন্থাগার
- একাডেমিক গ্রন্থাগার
- বিশেষ গ্রন্থাগার
- গণগ্রন্থাগার
জাতীয় গ্রন্থাগার
জাতীয় গ্রন্থাগার সাধারণত দেশের সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। অন্য গ্রন্থাগারের পেছনে যে সকল কারণ বিদ্যমান এক্ষেত্রেও তার সবগুলো কারণ বিদ্যমান। তবে পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। আর এই পার্থক্য হওয়ার কারণ জাতীয় পর্যায়ের গ্রন্থাগার অন্য দশটা গ্রন্থাগার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
মূলত জাতীয় গ্রন্থাগার এমন একটি প্রতিষ্ঠান এর সমূহের পরিধি জাতীয়ভিত্তিক গুরুত্ব আন্তর্জাতিক এবং দেশ ও জাতি সম্পর্কের দেশ বিদেশের সকল প্রকাশনা সংগ্রহ করে জাতীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা এর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
একাডেমিক গ্রন্থাগার
একাডেমিক গন্থাগার হলো স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাঠ ও গবেষণা প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়। একাডেমিক গ্রন্থাগারের কেবল পাঠ্য সহায়ক উপকরণের থাকেনা পাশাপাশি বিভিন্ন রেফারেন্স সামগ্রী সহ বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য উপকরণ সংগ্রহ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে অন্যতম উদ্দেশ্য থাকে গবেষকদের প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের মাধ্যমে জ্ঞানচর্চার অগ্রসর পর্যায়ে সহায়তা জাগানোর।
বিশেষ গ্রন্থাগার
বিশেষ গ্রন্থাগার হলো এক ধরনের গবেষণা গ্রন্থাগার যাকে আমরা টেকনিক্যাল লাইব্রেরী ও বলে থাকি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব জুড়ে নানা বিষয়ে গবেষণা কর্মের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। এ গবেষণার জন্য বিশেষ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে সেগুলো সমাজে এক ব্যতিক্রমী ভূমিকা পালন করে।
গণগ্রন্থাগার
গণগ্রন্থাগার হলো জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়। সমাজের সকল স্তরের লোকের চাহিদা পূরণের জন্য মূলত গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্য কোন গ্রন্থাগারে এ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। এমনকি গণগ্রন্থাগারের অসুবিধাও দিতে প্রস্তুত নয় অন্য গণগ্রন্থাগার গুলো। স্বাভাবিক জাতিকে পরিকল্পিত উপায়ে সাহায্য করা এর লক্ষ্য বিশেষ করে বুদ্ধির পরিপক্কতা অর্জন এর সহায়তা গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারন গুলোর মধ্যে একটি। সকল প্রকার সদস্য যেমন যুবক, বৃদ্ধ, মহিলা, ছাত্র ও বিভিন্ন পেশাজীবী এর ব্যবহার করে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গ্রন্থাগার এর বৈশিষ্ট্য সমূহ সম্পর্কে।
৫ ফেব্রুয়ারি দিবস কত সাল থেকে পালন করা হয়
অনেকেই জানেনা ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে সম্পর্কে অথবা ৫ ফেব্রুয়ারি দিবস কত সাল থেকে পালন করা হয়।২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২০১৮ সালে দেশে প্রথম জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে পালনের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয় কারণ ১৯৫৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। এর জন্য একটি কারণ হলো ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে বই নিয়ে বেশ আলোচনা হয় একুশে বইমেলা, একুশে ফেব্রুয়ারি এগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। জনগণের জ্ঞান সৃষ্টি এবং বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি সরকারি গ্রন্থাগার গুলোর কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে দেশব্যাপী ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস - ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনার সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস - ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে কোন দিবস পালন করা হয়। আজকের পর্ব মনোযোগ সহকারে শেষ করলে আপনি বুঝতে পারবেন ৫ ফেব্রুয়ারি কি দিবস,৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে,গ্রন্থাগার এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ৫ ফেব্রুয়ারি দিবস কত সাল থেকে পালন করা হয়।৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়। আপনার যদি ৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের এই দিনে সম্পর্কে কোনো মতামত থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের পর্বটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url