OrdinaryITPostAd

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস - বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কোনটি

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস জাতিসংঘের নির্দেশনায় বিশ্বের সকল দেশে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট দিনে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিশ্ব মানবাধিকার দিবস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কোনটি তা জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস - বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কোনটি

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস - বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কোনটিঃ উপস্থাপনা

মানবদেহের বলতে শুধু মানুষের অধিকারকে বুঝায়। সকল ধরনের এবং সকল পেশার মানুষের সমান অধিকার সমানভাবে দেওয়ার জন্যই বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়ে থাকে। মানবাধিকার কোন ব্যক্তি গোষ্ঠী শ্রেণী বা দেশের অধিকার নয়। অভিন্ন নয় বরং প্রত্যেক মানুষই স্বতন্ত্র কিন্তু জীবনের বৃহত্তম এলাকায় সকল মানুষ অভিন্ন, এক।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস কবে পালিত হয় - বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস ২০২২

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিশ্ব মানবাধিকার দিবস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই বিশ্ব মানবাধিকার দিবস সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কোনটি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

মানবাধিকার কি?

যে অধিকার একান্ত ভাবে মানুষের তাকেই মানবাধিকার বলা হয়। পশুপাখির প্রাণ আছে তাই তারা প্রাণী মানুষের প্রাণ আছে তাই মানুষ ও প্রাণী। প্রাণীর এই দুই শ্রেণীর মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। পশুপাখি যা পারে না মানুষ তারে মানুষের এই বিশেষ ক্ষমতার বিশেষ অধিকার। মানুষ চিন্তা করতে পারে উপভোগ করতে পারে এ ধরনের ক্ষমতা মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে।

প্রতিটি পেশার মানুষকে সমানভাবে তার অধিকার বুঝিয়ে দেওয়ার জন্যই বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়ে থাকে। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে মানবাধিকার কি বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে যা উপরে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস

মানবাধিকার দিবস জাতিসংঘের নির্দেশনায় বিশ্বের সকল দেশে প্রতিবছর পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৪৮ সাল থেকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়ে আসছে। সার্বজনীন মানবাধিকার সংক্রান্ত ঘটনাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি তারিখ নির্ধারিত করা হয়েছে। সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা করা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নবসৃষ্ট জাতিসংঘের অন্যতম বৃহত্তম অর্জন।

বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়। মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশেষ সভা সমাবেশ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কে কেন্দ্র করে পাঁচ বছর পর পর জাতিসংঘের মানবাধিকার ক্ষেত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিবছর ১০ বাংলাদেশ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়ে থাকে। এ দিনটিতে সভা, আলোচনা অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজন করা হয়ে থাকে। এবং প্রতিটি মানুষকে তার সঠিক অধিকার প্রদান করা হবে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়। এছাড়া বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি তাদের পৃথক বাণী দিয়ে থাকেন।

গতবছরের বিশ্ব মানবাধিকার দিবস প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল " বৈষম্য ঘোচাও, সাম্য বাড়াও মানবাধিকার সুরক্ষা দাও"। এবারের মানবাধিকার দিবসে আসুন আমরা সবাই সর্বোচ্চ মানবাধিকার রক্ষায় সহায়তা করব। এর সাথে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কোনটি?

প্রিয় পাঠকগণ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস সম্পর্কে সামান্যতম ধারণা পেয়েছেন। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কোনটি এই বিষয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে। জেনে নিন বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কোনটি?

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব এইডস দিবস কবে - ১ ডিসেম্বর কি এইডস দিবস?

১৯৪৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে আসছে বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ ১০ ডিসেম্বর অত্যন্ত মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে দিবসটি পালন করে। কারণ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্বের সকল দেশে পালন করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় শার্পেভিল গণহত্যা কে স্মরণ করে ২১ মার্চ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন pdf

১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত নং ২১৭ এ (১১১) বিশ্বজনীন মানব অধিকার সমূহ গ্রহণ ও ঘোষণা করে। মানবাধিকারের ঘোষণাপত্র জারি করা হলো, কি এর উদ্দেশ্য এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এ বিষয়ে জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশ্ববাসীকে মানবাধিকারের ঘোষণাপত্র প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই এই প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।

এটি কিছু নিয়ম নীতি এবং প্রতিষ্ঠিত চুক্তি বা প্রথা নিয়ে গঠিত হয় যেগুলো সশস্ত্র সংঘাতের সময় যেসব পক্ষ থাকে তাদের যুদ্ধের পছন্দের পদ্ধতি ও উপায়সমূহকে সীমিত করার মাধ্যমে ব্যক্তি ও সম্পদ বা বস্তু যেগুলা সংঘাতের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাদেরকে রক্ষা করার প্রয়াস চালায়।এটিতে রয়েছে জেনেভা কনভেনশন এবং হেগ কনভেনশন সেই সাথে সংশ্লিষ্ট পরবর্তী চুক্তিসমূহ মামলা থেকে উদ্ভূত আইন এবং প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন।

আধুনিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন দুইটি ঐতিহাসিক ধারা নিয়ে গঠিতঃ

  • হেগ আইন যেটি পূর্বে যুদ্ধের যথোপযুক্ত আইন হিসেবে উল্লেখিত হয়েছিল
  • জেনেভা আইন বা মানবিক আইন।

সংঘাত সম্পর্কিত চুক্তিসমূহকে সুবিন্যস্ত করে যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলো হয়েছিল সেগুলোর মাধ্যমে উদ্ভূত হয়েছিল। এর মধ্যে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি হল ১৮৯৯ এবং ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দের হেগ কনভেনশন এবং যেটি প্রথম ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত হয়েছিল। এই আইন দুইটির উভয়েই jus in bello নিয়ে কাজ করে যেটি সশস্ত্র সংঘাতের সময় কিছু নির্দিষ্ট আচরণ বা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য কি না সে প্রশ্ন নিয়ে কাজ করে।

হেগ আইন বা সমীচীন যুদ্ধের আইন "অপারেশন পরিচালনার ক্ষেত্রে যুদ্ধবাজদের অধিকার এবং কর্তব্যগুলো নির্ধারণ করে এবং ক্ষতি করার যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে সেগুলোকে সীমিত করে"। বিশেষত এটি যোদ্ধা বা যুদ্ধে লিপ্তদের সংজ্ঞায়নে নিযুক্ত থাকে যুদ্ধের পদ্ধতি এবং উপায় সম্পর্কিত নিয়মনীতিগুলো প্রতিষ্ঠা করে এবং সামরিক উদ্দেশ্যের ইস্যূগুলোকে পরীক্ষা করে।

যুদ্ধে আইন

যুদ্ধবিগ্রহে বর্বরতা রোধ করার রীতিবদ্ধ প্রয়াস শুধুমাত্র ১৯ শতকে বিকশিত হতে শুরু হয়। এই চেষ্টা আলোকিত যুুুগের দ্বারা প্রভাবিত রাষ্ট্রসমূহের যুদ্ধবিগ্রহে পরিবর্তনশীল দৃশ্য তৈরীতে সমর্থ হয়। যুদ্ধবিগ্রহের উদ্দেশ্য ছিলো শত্রু রাষ্ট্রকে জয় করা নেওয়া। যেটি শত্রুসৈন্যদের নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমেও করা যেতো।

এভাবে "সামরিক ও অসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে পার্থক্য যুদ্ধাহত এবং আটককৃত শত্রুসৈন্যদের সাথে মানবিকভাবে আচরণ করার প্রয়োজনীয়তা বাসস্থান যে অবশ্যই দিতে হবে আধুনিক আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের কিছু স্তম্ভ এই সবই এই নীতি থেকে উদ্ভূত হয়"

জেনেভা আইন

সশস্ত্র সংঘাতে অসামরিক ব্যক্তিদের নির্বিচারে হত্যার রয়েছে একটি দীর্ঘ এবং অন্ধকার ইতিহাস। এই দীর্ঘ ইতিহাস থেকে চিহ্নিত কিছু উদারহরণের মধ্যে রয়েছে ভারতে অশোক কর্তৃক কলিঙ্গদের গণহত্যা ১০৯৯ খ্রিষ্টাব্দে জেরুজালেম দখলের সময় ক্রসেডারদের দ্বারা মুসলিম এবং ইহুদীদের গণহত্যা মঙ্গোলীয় আক্রমণের সময় মঙ্গোলীয়দের কর্তৃক নির্বিচারে হত্যা যেমন বাগদাদ ধ্বংসের সময় যে গণহত্যা এবং তৈমুর কর্তৃক ভারতীয়দের নির্বিচারে হত্যা।

সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেসরকারি ও অলাভজনক সংস্থা হিসেবে মানবাধিকার বিশেষ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। সংস্থাটির প্রধান কাজ হচ্ছে মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণা করা, পরামর্শ দেওয়া এবং সমর্থন প্রদান করা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত। ১৯৭৮ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশু দিবস কবে - বিশ্ব শিশু দিবস ২০২২

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আশা করি আপনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস - বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কোনটিঃ শেষ কথা

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কোনটি? আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম পোস্ট আরও করতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Chhoyful Alam
    Chhoyful Alam ১৪ ডিসেম্বর

    ধন্যনাদ❤️❤️🥰🥰

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url